দল হারলে ব্যক্তিগত সাফল্য গৌণ: জয়বর্ধনে
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে শতরান দারুণ একটি ব্যাপার। যে কীর্তি একজন ব্যাটসম্যানকে ইতিহাসের পাতায় অমর করে রাখে, সেই কীর্তির অংশীদার হয়েও মাহেলা জয়বর্ধনে খুশি হতে পারছেন না। নিজের সেঞ্চুরির পরেও দল যদি বিশ্বকাপ জিততে না পারে, তাহলে এর চেয়ে দুঃখের বিষয় আর হতে পারে না। শনিবার মুম্বাইয়ে নিজের সেঞ্চুরিটিও জয়বর্ধনের কাছে এ মুহূর্তের তিক্ত স্বাদেরই মনে হচ্ছে। তাঁর সাফ কথা, দল জিততে না পারলে ব্যক্তিগত সাফল্যেরই কোনো মূল্য নেই।
‘আমরা ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ২৭৪ রান করেছিলাম—যা মোটেই হেলাফেলার সংগ্রহ নয়। ভারতের দুই সেরা ব্যাটসম্যানকেও খুব তাড়াতাড়িই ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না।’ জয়বর্ধনের আক্ষেপ।
জয়বর্ধন আরও বলেন, ‘শেবাগ ও শচীনকে আউট করে দেওয়ার পর আমাদের বিশ্বকাপ জয়ের ভালো সুযোগ ছিল। কিন্তু এরপরে কোনো কিছুই সঠিক পথে চলেনি। আমাদের বোলাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ওপর কোনো চাপই সৃষ্টি করতে পারেনি।’
জয়বর্ধনে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের প্রশংসা করে বলেন, এটি বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইনআপ। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা প্রমাণ করেছে, তাদের ব্যাটিং গভীরতা কতখানি।
ফাইনালে নিজের ইনিংস সম্পর্কে বলেন, ‘সাঙ্গাকারা আউট হয়ে যাওয়ার সময় আমি উইকেটে ছিলাম। তখনই ভেবেছিলাম, শ্রীলঙ্কাকে যদি একটি ভালো স্কোর গড়তে হয়, তাহলে আমাকে পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে হবে। কয়েকটি বল ভালোভাবে ব্যাটে লেগে যাওয়ার পর আমি আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেলাম। বাকি সময়, প্রথমে কুলাসেকেরা ও পরে তিসারা পেরেরার সঙ্গে জুটি দুটিও দারুণ হয়েছে।’
জয়বর্ধনে বলেন, ‘বিশ্বকাপ ফাইনালে পরাজয়ের পর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। নতুন প্রতিভাবানদের তৈরি করতে হবে। এ কাজে আমার, সাঙ্গাকারা, সামারাবিরার মতো অভিজ্ঞ ও অনেক দিন ধরে খেলা খেলোয়াড়দের ভূমিকা অনেক।’
নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আরও অনেক দিন খেলে যেতে চাই। দেশকে এনে দিতে চাই আরও সাফল্য। আমি মনে করি, এখনো ক্রিকেটটা খেলে যাওয়ার মতো যথেষ্ট রসদই আমার মধ্যে রয়েছে। যেদিন মনে হবে, দেশকে ও ক্রিকেটকে দেওয়ার মতো কিছুই আমার মধ্যে অবশিষ্ট নেই, সেদিন আমায় বলতে হবে না, নিজে থেকেই আমি সরে দাঁড়াবে।
‘আমরা ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ২৭৪ রান করেছিলাম—যা মোটেই হেলাফেলার সংগ্রহ নয়। ভারতের দুই সেরা ব্যাটসম্যানকেও খুব তাড়াতাড়িই ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না।’ জয়বর্ধনের আক্ষেপ।
জয়বর্ধন আরও বলেন, ‘শেবাগ ও শচীনকে আউট করে দেওয়ার পর আমাদের বিশ্বকাপ জয়ের ভালো সুযোগ ছিল। কিন্তু এরপরে কোনো কিছুই সঠিক পথে চলেনি। আমাদের বোলাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ওপর কোনো চাপই সৃষ্টি করতে পারেনি।’
জয়বর্ধনে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের প্রশংসা করে বলেন, এটি বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইনআপ। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা প্রমাণ করেছে, তাদের ব্যাটিং গভীরতা কতখানি।
ফাইনালে নিজের ইনিংস সম্পর্কে বলেন, ‘সাঙ্গাকারা আউট হয়ে যাওয়ার সময় আমি উইকেটে ছিলাম। তখনই ভেবেছিলাম, শ্রীলঙ্কাকে যদি একটি ভালো স্কোর গড়তে হয়, তাহলে আমাকে পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে হবে। কয়েকটি বল ভালোভাবে ব্যাটে লেগে যাওয়ার পর আমি আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেলাম। বাকি সময়, প্রথমে কুলাসেকেরা ও পরে তিসারা পেরেরার সঙ্গে জুটি দুটিও দারুণ হয়েছে।’
জয়বর্ধনে বলেন, ‘বিশ্বকাপ ফাইনালে পরাজয়ের পর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। নতুন প্রতিভাবানদের তৈরি করতে হবে। এ কাজে আমার, সাঙ্গাকারা, সামারাবিরার মতো অভিজ্ঞ ও অনেক দিন ধরে খেলা খেলোয়াড়দের ভূমিকা অনেক।’
নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আরও অনেক দিন খেলে যেতে চাই। দেশকে এনে দিতে চাই আরও সাফল্য। আমি মনে করি, এখনো ক্রিকেটটা খেলে যাওয়ার মতো যথেষ্ট রসদই আমার মধ্যে রয়েছে। যেদিন মনে হবে, দেশকে ও ক্রিকেটকে দেওয়ার মতো কিছুই আমার মধ্যে অবশিষ্ট নেই, সেদিন আমায় বলতে হবে না, নিজে থেকেই আমি সরে দাঁড়াবে।
No comments