তালিকাভুক্তির শর্ত বোনাস শেয়ার
এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডকে তালিকাভুক্তির জন্য নতুন শর্ত দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। সংস্থাটি প্রাথমিক শেয়ারধারীদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কোম্পানিটিকে।
ডিএসইর পক্ষ থেকে কোম্পানিটিকে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শেয়ারধারীরা নির্দিষ্ট হারে বোনাস শেয়ার পেলে তাঁদের শেয়ারপ্রতি ক্রয়মূল্য কমে আসবে। ফলে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অতি মূল্যে শেয়ার বিক্রির যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, তাও অনেকখানি কমবে। এতে তালিকাভুক্তির ব্যাপারে সৃষ্ট জটিলতাও নিরসন হবে।
জানা গেছে, প্রস্তাবটি কোম্পানির সক্রিয় বিবেচনাধীন। একই সঙ্গে কোম্পানির পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
এসইসি তাদের দিক থেকে নীতিগত কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে ডিএসইর কাছ থেকে লিখিতভাবে প্রস্তাব পাওয়ার পরই এমজেএলকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা এ প্রস্তাবের কথা স্বীকার করে গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। আইনের মধ্যে থেকে যে পদ্ধতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সবচেয়ে বেশি সংরক্ষিত হবে, সেভাবে তালিকাভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হলে এসইসির কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়।’
তবে ডিএসইর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির জন্য কোনো শর্ত বা প্রস্তাব দিইনি। এমজেএল বাংলাদেশ কোম্পানি আইনের ৫৭-এর ২(সি) ধারা অনুযায়ী প্রাথমিক শেয়ারধারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শর্তে তালিকাভুক্তি চেয়েছিল। কিন্তু আমরা তাদের বলেছি, এ ধারা অনুযায়ী প্রিমিয়ামের টাকা দিয়ে শেয়ারধারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে তারা চাইলে ৫৭-এর ২(এ) ধারা অনুযায়ী আসতে পারে।’
জানা গেছে, কোম্পানি আইনের ৫৭-এর ২(এ) ধারা অনুসারে বোনাস শেয়ার দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে কোম্পানির চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী বলেন, ‘তালিকাভুক্তির ব্যাপারে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এ ব্যাপারে ডিএসই অনানুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এসইসি বা ডিএসইর পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পেলে আমরা তা বিবেচনা করব।’
এসইসি সূত্র বলছে, ডিএসই পক্ষ থেকে কোম্পানিটির প্রাথমিক শেয়ারধারীদের ৩০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। যদি এ হারে বোনাস দেওয়া হয়, তাহলে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য দাঁড়াবে ১১৬ টাকা ৯২ পয়সার মতো।
বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক পর্যায়ে এমজেএল বাংলাদেশের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে দাম নেওয়া হয়েছে ১৫২ টাকা। বাজারে সাম্প্রতিক ধসের পর কোম্পানির শেয়ারের এ মূল্যায়ন নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে ব্যাপক সমালোচনা ওঠে। তীব্র সমালোচনার মুখে গত ২০ জানুয়ারি সরকার কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া স্থগিত করে।
তবে এর একদিন পরই বিক্রীত মূল্যের চেয়ে শেয়ারের দর কমে গেলে পরিচালকদের কিনতে হবে—এ শর্তে কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথমে এ শর্তে রাজি হলেও পরে নানা জটিলতার কথা উল্লেখ করে কোম্পানির পক্ষ থেকে শর্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করা হয়।
একপর্যায়ে তালিকাভুক্তির ছয় মাসের মধ্যে শেয়ারের দর প্রস্তাবিত মূল্যের নিচে নেমে গেলে প্রাথমিক শেয়ারধারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে—এ শর্তে তালিকাভুক্তির অনুমোদন চায় এমজেএল। এসইসি এতে সম্মতি দিলেও আপত্তি তোলে ডিএসই। ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়, কোম্পানি আইনের যে ধারা বলে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেই ধারা অনুযায়ী প্রিমিয়ামের টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণের কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে, এমজেএল বাংলাদেশ ও এমআই সিমেন্ট লিমিটেডের তালিকাভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শেয়ারধারীরা।
ডিএসইর পক্ষ থেকে কোম্পানিটিকে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শেয়ারধারীরা নির্দিষ্ট হারে বোনাস শেয়ার পেলে তাঁদের শেয়ারপ্রতি ক্রয়মূল্য কমে আসবে। ফলে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অতি মূল্যে শেয়ার বিক্রির যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, তাও অনেকখানি কমবে। এতে তালিকাভুক্তির ব্যাপারে সৃষ্ট জটিলতাও নিরসন হবে।
জানা গেছে, প্রস্তাবটি কোম্পানির সক্রিয় বিবেচনাধীন। একই সঙ্গে কোম্পানির পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
এসইসি তাদের দিক থেকে নীতিগত কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে ডিএসইর কাছ থেকে লিখিতভাবে প্রস্তাব পাওয়ার পরই এমজেএলকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা এ প্রস্তাবের কথা স্বীকার করে গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। আইনের মধ্যে থেকে যে পদ্ধতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সবচেয়ে বেশি সংরক্ষিত হবে, সেভাবে তালিকাভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হলে এসইসির কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়।’
তবে ডিএসইর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির জন্য কোনো শর্ত বা প্রস্তাব দিইনি। এমজেএল বাংলাদেশ কোম্পানি আইনের ৫৭-এর ২(সি) ধারা অনুযায়ী প্রাথমিক শেয়ারধারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শর্তে তালিকাভুক্তি চেয়েছিল। কিন্তু আমরা তাদের বলেছি, এ ধারা অনুযায়ী প্রিমিয়ামের টাকা দিয়ে শেয়ারধারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে তারা চাইলে ৫৭-এর ২(এ) ধারা অনুযায়ী আসতে পারে।’
জানা গেছে, কোম্পানি আইনের ৫৭-এর ২(এ) ধারা অনুসারে বোনাস শেয়ার দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে কোম্পানির চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী বলেন, ‘তালিকাভুক্তির ব্যাপারে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এ ব্যাপারে ডিএসই অনানুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এসইসি বা ডিএসইর পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পেলে আমরা তা বিবেচনা করব।’
এসইসি সূত্র বলছে, ডিএসই পক্ষ থেকে কোম্পানিটির প্রাথমিক শেয়ারধারীদের ৩০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। যদি এ হারে বোনাস দেওয়া হয়, তাহলে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য দাঁড়াবে ১১৬ টাকা ৯২ পয়সার মতো।
বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক পর্যায়ে এমজেএল বাংলাদেশের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে দাম নেওয়া হয়েছে ১৫২ টাকা। বাজারে সাম্প্রতিক ধসের পর কোম্পানির শেয়ারের এ মূল্যায়ন নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে ব্যাপক সমালোচনা ওঠে। তীব্র সমালোচনার মুখে গত ২০ জানুয়ারি সরকার কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া স্থগিত করে।
তবে এর একদিন পরই বিক্রীত মূল্যের চেয়ে শেয়ারের দর কমে গেলে পরিচালকদের কিনতে হবে—এ শর্তে কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথমে এ শর্তে রাজি হলেও পরে নানা জটিলতার কথা উল্লেখ করে কোম্পানির পক্ষ থেকে শর্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করা হয়।
একপর্যায়ে তালিকাভুক্তির ছয় মাসের মধ্যে শেয়ারের দর প্রস্তাবিত মূল্যের নিচে নেমে গেলে প্রাথমিক শেয়ারধারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে—এ শর্তে তালিকাভুক্তির অনুমোদন চায় এমজেএল। এসইসি এতে সম্মতি দিলেও আপত্তি তোলে ডিএসই। ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়, কোম্পানি আইনের যে ধারা বলে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেই ধারা অনুযায়ী প্রিমিয়ামের টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণের কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে, এমজেএল বাংলাদেশ ও এমআই সিমেন্ট লিমিটেডের তালিকাভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শেয়ারধারীরা।
No comments