পাকিস্তানে মাজারে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪১ জন নিহত
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে একজন সুফি সাধকের মাজারের বাইরে গতকাল রোববার দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৪১ জন নিহত ও ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছে। হামলার দায়িত্ব কেউ তাৎক্ষণিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে পুলিশ ধারণা করছে, সুফি মতবাদের ঘোরবিরোধী তালেবানসহ সুন্নি চরমপন্থীরা এ হামলা চালাতে পারে।
এ ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তিনি হামলাকে কাপুরুষোচিত কর্মকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেন।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদ হোসাইন শাহ জানান, পাঞ্জাবের দেরা গাজি খান জেলায় অবস্থিত ত্রয়োদশ শতকের মুসলিম সুফি সাধক আহমেদ সুলতানের মাজারের বাইরে ওই হামলা চালানো হয়। দুজন আত্মঘাতী হামলাকারী এতে অংশ নেন। তাঁরা হেঁটে মাজারের কাছে আসেন। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা মাজারে ঢোকার সময় তাঁদের দেহ তল্লাশি করতে চাইলে তাঁরা নিজেদের উড়িয়ে দেন। এ সময় বার্ষিক ওরস উপলক্ষে মাজার ও এর আশপাশে শত শত লোক সমবেত হয়েছিল।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নিহত ৪১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হামলায় ৭০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত ব্যক্তিদের দেরা গাজি খান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দেরা গাজি খানের পুলিশপ্রধান আহমেদ মুবারক জানান, মাজারের ভেতর ঢোকার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর হামলাকারীরা মাজারের বাইরেই সঙ্গে থাকা বোমার সাহায্যে নিজেদের উড়িয়ে দেন।
আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা অবশ্য বলেছেন, তাঁরা একজন হামলাকারীকে আটক করেছেন। তাঁর সঙ্গে থাকা বোমাটি পুরোপুরি বিস্ফোরিত হয়নি। তিনি আহত হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা আগেই মাজারে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল।
কোনো গোষ্ঠী এখনো হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সুফিবাদের ঘোরবিরোধী তালেবান বা কোনো চরমপন্থী সুন্নি গোষ্ঠী এ হামলার পেছনে থাকতে পারে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি গতকাল ওই হামলার নিন্দা করে বলেছেন, যারা এই হামলা চালিয়েছে, তারা কাপুরুষ। তাদের কোনো ধর্ম ও মানবিক মূল্যবোধ নেই। তিনি বলেন, এটি পাকিস্তানের সমাজকে বিভক্ত করার একটি গভীর ষড়যন্ত্র।
পাঞ্জাবের পাকপাত্তান এলাকায় অবস্থিত ত্রয়োদশ শতকের সুফি সাধক বাবা ফরিদের মাজারেও গত বছরের অক্টোবরে অনুরূপ হামলা চালানো হয়। এতে চারজন নিহত হয়। গত বছরের জুলাইয়ে লাহোরে দাতা দরবার মাজারে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪২ জন নিহত হয়। এ ছাড়া করাচিসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে প্রায়ই মাজারে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়।
২০০৭ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের সময় ইসলামাবাদের লাল মসজিদে মুসলিম চরমপন্থীদের দমনের জন্য সেনা অভিযান চালানো হয়। এর পর থেকেই তালেবান ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো পাকিস্তানের বিভিন্ন বেসামরিক স্থাপনায় হামলা জোরদার করে। তাদের বোমা ও আত্মঘাতী হামলায় পাকিস্তানে গত চার বছরে চার হাজার ১৫০ জন লোক প্রাণ হারিয়েছে। এদের অধিকাংশই বেসামরিক জনগণ। সাম্প্রতিক সময়ে তালেবান ও আল-কায়েদা আফগান সীমান্তসংলগ্ন পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে সেনা অবস্থানের ওপরও হামলা জোরদার করেছে।
এ ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তিনি হামলাকে কাপুরুষোচিত কর্মকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেন।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদ হোসাইন শাহ জানান, পাঞ্জাবের দেরা গাজি খান জেলায় অবস্থিত ত্রয়োদশ শতকের মুসলিম সুফি সাধক আহমেদ সুলতানের মাজারের বাইরে ওই হামলা চালানো হয়। দুজন আত্মঘাতী হামলাকারী এতে অংশ নেন। তাঁরা হেঁটে মাজারের কাছে আসেন। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা মাজারে ঢোকার সময় তাঁদের দেহ তল্লাশি করতে চাইলে তাঁরা নিজেদের উড়িয়ে দেন। এ সময় বার্ষিক ওরস উপলক্ষে মাজার ও এর আশপাশে শত শত লোক সমবেত হয়েছিল।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নিহত ৪১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হামলায় ৭০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত ব্যক্তিদের দেরা গাজি খান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দেরা গাজি খানের পুলিশপ্রধান আহমেদ মুবারক জানান, মাজারের ভেতর ঢোকার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর হামলাকারীরা মাজারের বাইরেই সঙ্গে থাকা বোমার সাহায্যে নিজেদের উড়িয়ে দেন।
আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা অবশ্য বলেছেন, তাঁরা একজন হামলাকারীকে আটক করেছেন। তাঁর সঙ্গে থাকা বোমাটি পুরোপুরি বিস্ফোরিত হয়নি। তিনি আহত হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা আগেই মাজারে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল।
কোনো গোষ্ঠী এখনো হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সুফিবাদের ঘোরবিরোধী তালেবান বা কোনো চরমপন্থী সুন্নি গোষ্ঠী এ হামলার পেছনে থাকতে পারে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি গতকাল ওই হামলার নিন্দা করে বলেছেন, যারা এই হামলা চালিয়েছে, তারা কাপুরুষ। তাদের কোনো ধর্ম ও মানবিক মূল্যবোধ নেই। তিনি বলেন, এটি পাকিস্তানের সমাজকে বিভক্ত করার একটি গভীর ষড়যন্ত্র।
পাঞ্জাবের পাকপাত্তান এলাকায় অবস্থিত ত্রয়োদশ শতকের সুফি সাধক বাবা ফরিদের মাজারেও গত বছরের অক্টোবরে অনুরূপ হামলা চালানো হয়। এতে চারজন নিহত হয়। গত বছরের জুলাইয়ে লাহোরে দাতা দরবার মাজারে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪২ জন নিহত হয়। এ ছাড়া করাচিসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে প্রায়ই মাজারে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়।
২০০৭ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের সময় ইসলামাবাদের লাল মসজিদে মুসলিম চরমপন্থীদের দমনের জন্য সেনা অভিযান চালানো হয়। এর পর থেকেই তালেবান ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো পাকিস্তানের বিভিন্ন বেসামরিক স্থাপনায় হামলা জোরদার করে। তাদের বোমা ও আত্মঘাতী হামলায় পাকিস্তানে গত চার বছরে চার হাজার ১৫০ জন লোক প্রাণ হারিয়েছে। এদের অধিকাংশই বেসামরিক জনগণ। সাম্প্রতিক সময়ে তালেবান ও আল-কায়েদা আফগান সীমান্তসংলগ্ন পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে সেনা অবস্থানের ওপরও হামলা জোরদার করেছে।
No comments