এবার অন্তত এক ইনিংসের ফাইনাল নয়
এমন নাটকীয়ভাবে কোনো বিশ্বকাপ ফাইনাল শুরু হয়নি কোনো দিন।
জহির খানের প্রথম বলে রান নেই। প্রথম ওভারটিই মেডেন। এটা আবার নাটকীয় শুরু হয় কীভাবে?
নাটকীয় যে শুরুর কথা বলা হচ্ছে, সেটি ম্যাচ শুরুরও আধঘণ্টা আগে। যখন ম্যাচ রেফারি কুমার সাঙ্গাকারার ‘কল’ শুনতে পাননি বলে দ্বিতীয়বার টস করতে হলো। বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে প্রথম।
ম্যাচ রেফারির নাম জেফ ক্রো। মার্টিন ক্রোর অগ্রজ সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের টানা দ্বিতীয় ফাইনাল। এমনিতে বেশির ভাগ ম্যাচে ম্যাচ রেফারির নাম-টাম জানার প্রয়োজন পড়ে না। জেফ ক্রো দুবারই তাঁর নাম জানতে বাধ্য করলেন।
২০০৭ বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ জয় উদ্যাপন করে ফেলার পর প্রায়ান্ধকারে আবারও দুই দলকে মাঠে নামিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কান ইনিংসের ২০ ওভার হয়ে যাওয়াই যে ম্যাচের রেজাল্ট হয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট, বিস্ময়করভাবে এটি ভুলে গিয়ে।
বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ম্যাচে এমন ভুল নিয়ে যতটা হইচই হওয়ার কথা ছিল, ততটা হয়নি। কারণ ম্যাচের ফল তো এর আগেই সবার জানা হয়ে গিয়েছিল। ভুল করে আবার খেলা শুরুটা ছিল নিছকই আনুষ্ঠানিকতা। অস্ট্রেলিয়া তাতে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক শিরোপা উদ্যাপন করার সুযোগ পেয়েছিল এই যা!
এবারেরটা জেফ ক্রোর ভুল বলা ঠিক হবে না। হয়তো সাঙ্গাকারা এমন মৃদু স্বরে বলেছিলেন যে, দর্শকদের চেঁচামেচিতে তা হারিয়ে গেছে। বিতর্ক যদি হয়, এই কারণেই হবে যে, বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সাঙ্গাকারা প্রথমবার জিতেছিলেন কি না কে জানে!
আগের দিন ধোনি বলছিলেন, এমনিতে আগে-পরে ব্যাট করায় কিছু আসে-যায় না। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো চাপের ম্যাচে পরে ব্যাট করলে চাপটা অনেক বেড়ে যায়। এ কারণেই বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতলে ব্যাটিং করাটাই নিয়ম। প্রথম সেই নিয়মের বাইরে হেঁটেছিল শ্রীলঙ্কা। আগের পাঁচটি ফাইনালে আগে ব্যাটিং করা দলই জিতেছে জেনেও রানাতুঙ্গা ১৯৯৬ ফাইনালে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়ার হাতে ব্যাট তুলে দেন। সাত ব্যাটসম্যানের দল শ্রীলঙ্কা রান তাড়া করায় খুব ভালো। তবে আসল কারণ ছিল অন্য। ফাইনালের আগের দিন দুপুরে দুই দল অনুশীলন করার পর রাতে কোচ ডেভ হোয়াটমোর ও অর্জুনা রানাতুঙ্গা আবার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। শিশিরের ব্যাপারটা তখনই টের পান তাঁরা। এবারের বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে শিশিরভেজা বল পাগল করে দিয়েছিল গ্রায়েম সোয়ানের জীবন। সোনালি চুলের এক লেগ স্পিনারের একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল ১৯৯৬ বিশ্বকাপের ওই ফাইনালে। নাম বললে আপনি অবশ্যই চিনবেন। শেন ওয়ার্ন।
ওয়ান্ডারার্সে ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীও রানাতুঙ্গার পথে হেঁটেছিলেন। রানাতুঙ্গার সিদ্ধান্ত বিচক্ষণতার উদাহরণ আর সৌরভেরটা ঐতিহাসিক ভুলের। আগের রাতে বৃষ্টি হয়েছিল, উইকেটে সেটির ছায়া দেখে সৌরভ ভেবেছিলেন পেসাররা সাহায্য পাবে। শুরুতে হেইডেন আর গিলক্রিস্ট, পরে পন্টিং আর মার্টিন এমন মার শুরু করেন যে, পেসাররা কোনো সাহায্য পাচ্ছেন কি পাচ্ছেন না, তা বোঝার আর কোনো উপায় থাকেনি। জহির খানের প্রথম ওভারেই ১৫ রান। হেইডেনের সঙ্গে তর্কাতর্কি করে লাইন-লেংথের কথা ভুলে যান। ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে দেওয়ার পর তাঁকে তাই সরিয়ে নিতে বাধ্য হন সৌরভ।
বিশ্বকাপ ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার ঘটনা ৫টি, তবে এই দুটিই বেশি বিখ্যাত হয়ে আছে। পরে ব্যাটিং করে জয়ের ঘটনাও দুটি। পরপর দুবার—১৯৯৬ ও ১৯৯৯। তবে ’৯৯-এ যারা পরে ব্যাটিং করেছিল, সেটি নিজেদের পছন্দে করেনি। ওয়াসিম আকরাম টসে জিতে ঐতিহ্য অনুযায়ী ব্যাটিং নিয়েছিলেন। পাকিস্তানিরা এমনই ব্যাটিং করল যে, এক ইনিংস শেষ হওয়ার পরই ম্যাচ রিপোর্ট লেখা শুরু করে দিতে পেরেছিলেন সাংবাদিকেরা! ১৩২ রানেই অলআউট, ইতিহাসের সবচেয়ে একতরফা বিশ্বকাপ ফাইনালের বন্দোবস্ত তাতেই হয়ে যায়।
এর আগের নয়টি বিশ্বকাপ ফাইনালের ৭টিতেই প্রথমে ব্যাটিং করা দল জিতেছে—সাঙ্গাকারাও তাই ব্যাটিংই করলেন। ধোনি জিতলে তিনিও তা-ই করতেন। বাতিল হওয়া প্রথম টসে জিতেছেন ভেবে ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীকে ‘আমরা ব্যাটিং করব’ বলেও ফেলেছিলেন।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথম ইনিংস শেষেই যেমন ম্যাচের মীমাংসা হয়ে গিয়েছিল, পরের দুটি বিশ্বকাপেও তা-ই। ২০০৩-এ অস্ট্রেলিয়ার ২ উইকেটে ৩৫৯ রানের পর প্রশ্নটা ছিল, ভারত কত রানে হারবে? হেরেছিল ১২৫ রানে। রানের হিসাবে ফাইনালে সবচেয়ে বড় ব্যবধান।
সেবার রিকি পন্টিং যা করেছিলেন, ২০০৭ বিশ্বকাপ ফাইনালে আরও রুদ্র রূপে তা করলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ব্যাট ধরতে সুবিধা হবে বলে গ্লাভসে স্কোয়াশ বল রেখে ১০৪ বলে ১৪৯, যাতে ১৩টি চার ও ৮টি ছয়। বৃষ্টির কারণে ৩৮ ওভারে কমে আসা ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে ২৮১ করার পরই আসলে ম্যাচ শেষ!
এবারের আগে টানা তিনটি ফাইনাল কার্যত এক ইনিংসের খেলা হয়ে গিয়েছিল, তিনটিই অস্ট্রেলিয়ার কীর্তি। সেই ১৯৯৬ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে নেই। শেষ পর্যন্ত জয়-পরাজয়ের ব্যবধান যা-ই হোক, এবার অন্তত প্রথম ইনিংস শেষেই জয়ীর নাম বলে দেওয়া সম্ভব ছিল না।
ফাইনালে ২৭৪ অনেক রান। তবে ভারতীয় জবাব শুরু হওয়ার আগেই কেউ শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপ দিয়ে দেয়নি। আগের তিনবার যেমন দিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে।
জহির খানের প্রথম বলে রান নেই। প্রথম ওভারটিই মেডেন। এটা আবার নাটকীয় শুরু হয় কীভাবে?
নাটকীয় যে শুরুর কথা বলা হচ্ছে, সেটি ম্যাচ শুরুরও আধঘণ্টা আগে। যখন ম্যাচ রেফারি কুমার সাঙ্গাকারার ‘কল’ শুনতে পাননি বলে দ্বিতীয়বার টস করতে হলো। বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে প্রথম।
ম্যাচ রেফারির নাম জেফ ক্রো। মার্টিন ক্রোর অগ্রজ সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের টানা দ্বিতীয় ফাইনাল। এমনিতে বেশির ভাগ ম্যাচে ম্যাচ রেফারির নাম-টাম জানার প্রয়োজন পড়ে না। জেফ ক্রো দুবারই তাঁর নাম জানতে বাধ্য করলেন।
২০০৭ বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ জয় উদ্যাপন করে ফেলার পর প্রায়ান্ধকারে আবারও দুই দলকে মাঠে নামিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কান ইনিংসের ২০ ওভার হয়ে যাওয়াই যে ম্যাচের রেজাল্ট হয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট, বিস্ময়করভাবে এটি ভুলে গিয়ে।
বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ম্যাচে এমন ভুল নিয়ে যতটা হইচই হওয়ার কথা ছিল, ততটা হয়নি। কারণ ম্যাচের ফল তো এর আগেই সবার জানা হয়ে গিয়েছিল। ভুল করে আবার খেলা শুরুটা ছিল নিছকই আনুষ্ঠানিকতা। অস্ট্রেলিয়া তাতে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক শিরোপা উদ্যাপন করার সুযোগ পেয়েছিল এই যা!
এবারেরটা জেফ ক্রোর ভুল বলা ঠিক হবে না। হয়তো সাঙ্গাকারা এমন মৃদু স্বরে বলেছিলেন যে, দর্শকদের চেঁচামেচিতে তা হারিয়ে গেছে। বিতর্ক যদি হয়, এই কারণেই হবে যে, বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সাঙ্গাকারা প্রথমবার জিতেছিলেন কি না কে জানে!
আগের দিন ধোনি বলছিলেন, এমনিতে আগে-পরে ব্যাট করায় কিছু আসে-যায় না। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো চাপের ম্যাচে পরে ব্যাট করলে চাপটা অনেক বেড়ে যায়। এ কারণেই বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতলে ব্যাটিং করাটাই নিয়ম। প্রথম সেই নিয়মের বাইরে হেঁটেছিল শ্রীলঙ্কা। আগের পাঁচটি ফাইনালে আগে ব্যাটিং করা দলই জিতেছে জেনেও রানাতুঙ্গা ১৯৯৬ ফাইনালে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়ার হাতে ব্যাট তুলে দেন। সাত ব্যাটসম্যানের দল শ্রীলঙ্কা রান তাড়া করায় খুব ভালো। তবে আসল কারণ ছিল অন্য। ফাইনালের আগের দিন দুপুরে দুই দল অনুশীলন করার পর রাতে কোচ ডেভ হোয়াটমোর ও অর্জুনা রানাতুঙ্গা আবার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। শিশিরের ব্যাপারটা তখনই টের পান তাঁরা। এবারের বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে শিশিরভেজা বল পাগল করে দিয়েছিল গ্রায়েম সোয়ানের জীবন। সোনালি চুলের এক লেগ স্পিনারের একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল ১৯৯৬ বিশ্বকাপের ওই ফাইনালে। নাম বললে আপনি অবশ্যই চিনবেন। শেন ওয়ার্ন।
ওয়ান্ডারার্সে ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীও রানাতুঙ্গার পথে হেঁটেছিলেন। রানাতুঙ্গার সিদ্ধান্ত বিচক্ষণতার উদাহরণ আর সৌরভেরটা ঐতিহাসিক ভুলের। আগের রাতে বৃষ্টি হয়েছিল, উইকেটে সেটির ছায়া দেখে সৌরভ ভেবেছিলেন পেসাররা সাহায্য পাবে। শুরুতে হেইডেন আর গিলক্রিস্ট, পরে পন্টিং আর মার্টিন এমন মার শুরু করেন যে, পেসাররা কোনো সাহায্য পাচ্ছেন কি পাচ্ছেন না, তা বোঝার আর কোনো উপায় থাকেনি। জহির খানের প্রথম ওভারেই ১৫ রান। হেইডেনের সঙ্গে তর্কাতর্কি করে লাইন-লেংথের কথা ভুলে যান। ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে দেওয়ার পর তাঁকে তাই সরিয়ে নিতে বাধ্য হন সৌরভ।
বিশ্বকাপ ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার ঘটনা ৫টি, তবে এই দুটিই বেশি বিখ্যাত হয়ে আছে। পরে ব্যাটিং করে জয়ের ঘটনাও দুটি। পরপর দুবার—১৯৯৬ ও ১৯৯৯। তবে ’৯৯-এ যারা পরে ব্যাটিং করেছিল, সেটি নিজেদের পছন্দে করেনি। ওয়াসিম আকরাম টসে জিতে ঐতিহ্য অনুযায়ী ব্যাটিং নিয়েছিলেন। পাকিস্তানিরা এমনই ব্যাটিং করল যে, এক ইনিংস শেষ হওয়ার পরই ম্যাচ রিপোর্ট লেখা শুরু করে দিতে পেরেছিলেন সাংবাদিকেরা! ১৩২ রানেই অলআউট, ইতিহাসের সবচেয়ে একতরফা বিশ্বকাপ ফাইনালের বন্দোবস্ত তাতেই হয়ে যায়।
এর আগের নয়টি বিশ্বকাপ ফাইনালের ৭টিতেই প্রথমে ব্যাটিং করা দল জিতেছে—সাঙ্গাকারাও তাই ব্যাটিংই করলেন। ধোনি জিতলে তিনিও তা-ই করতেন। বাতিল হওয়া প্রথম টসে জিতেছেন ভেবে ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীকে ‘আমরা ব্যাটিং করব’ বলেও ফেলেছিলেন।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথম ইনিংস শেষেই যেমন ম্যাচের মীমাংসা হয়ে গিয়েছিল, পরের দুটি বিশ্বকাপেও তা-ই। ২০০৩-এ অস্ট্রেলিয়ার ২ উইকেটে ৩৫৯ রানের পর প্রশ্নটা ছিল, ভারত কত রানে হারবে? হেরেছিল ১২৫ রানে। রানের হিসাবে ফাইনালে সবচেয়ে বড় ব্যবধান।
সেবার রিকি পন্টিং যা করেছিলেন, ২০০৭ বিশ্বকাপ ফাইনালে আরও রুদ্র রূপে তা করলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ব্যাট ধরতে সুবিধা হবে বলে গ্লাভসে স্কোয়াশ বল রেখে ১০৪ বলে ১৪৯, যাতে ১৩টি চার ও ৮টি ছয়। বৃষ্টির কারণে ৩৮ ওভারে কমে আসা ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে ২৮১ করার পরই আসলে ম্যাচ শেষ!
এবারের আগে টানা তিনটি ফাইনাল কার্যত এক ইনিংসের খেলা হয়ে গিয়েছিল, তিনটিই অস্ট্রেলিয়ার কীর্তি। সেই ১৯৯৬ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে নেই। শেষ পর্যন্ত জয়-পরাজয়ের ব্যবধান যা-ই হোক, এবার অন্তত প্রথম ইনিংস শেষেই জয়ীর নাম বলে দেওয়া সম্ভব ছিল না।
ফাইনালে ২৭৪ অনেক রান। তবে ভারতীয় জবাব শুরু হওয়ার আগেই কেউ শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপ দিয়ে দেয়নি। আগের তিনবার যেমন দিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে।
No comments