আর্থিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার তাগিদ
আর্থিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের দায়-ব্যবস্থাপনা আরও সুদৃঢ় করা এবং বিনিয়োগে অর্থের পর্যাপ্ততা বৃদ্ধির বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। আহ্বান জানানো হয়েছে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অর্থ বিভাগের কাজের মধ্যে সমন্বয় আনতে।
গতকাল শনিবার মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত ‘সাম্প্রতিক মুদ্রাবাজার পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব সুপারিশ করেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক অর্থসচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাউদ্দিন আহমেদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান, এমসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, কার্যকরী সদস্য কামরান টি রহমান প্রমুখ। সভাটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ট ব্যাংকার মামুন রশীদ।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের উচ্চমূল্যের কারণে অর্থনীতিতে টাকার সরবরাহ বাড়ানো দরকার। সরবরাহ ও চাহিদার উভয় দিকেই কিছুটা চাপ রয়েছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতিও অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, হয়তো শেয়ারবাজার কিংবা আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতির কারণে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘জেগে’ উঠেছে। অবশ্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রানীতি ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। বিপুল পরিমাণ মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি হলেও কোনটা মূলধনি যন্ত্রপাতি হিসেবে কাজে লাগছে, সেটাও তদারকি করতে হবে।
অর্থনীতির এমন প্রেক্ষাপটে সরকার হয়তো কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার নাও পেতে পারে বলে মন্তব্য করেন মির্জ্জা আজিজ।
সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, দেশে আগ্রাসী বিনিয়োগ পরিস্থিতি নেই। ভালো উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহ দেখান না। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬-৭ শতাংশ অর্জন হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন, কৃষি, প্রবাসী আয়— কোনো খাতেই প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক নয়। শুধু রপ্তানি খাত দিয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন কতটা সম্ভব?
সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, এখনো মুদ্রাবাজারে তারল্য সংকট রয়েছে। বন্ড মার্কেট থেকে টাকা আসতে পারে, কিন্তু তা কার্যকর করা যাচ্ছে না। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ সুশাসন দরকার বলে তিনি মত দেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগেই বেশি উৎসাহী ছিল। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ করায় শেয়ারবাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্গাচাষিদের ঋণ দেওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ নয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ধরনের কার্যক্রমেই বেশি উৎসাহী।
আনিস এ খান বলেন, ব্যবসা সম্প্রসারণে টাকা দরকার। কিন্ত সুদের হার বেশি থাকায় ঋণের অর্থের মূল্য বেড়ে যায়। এটা শিল্পায়নে বাঁধা।
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, গত এক বছরে শিল্পের কাঁচামালের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। এই বাড়তি দাম মিটিয়ে পরিচালনা তহবিল কীভাবে সম্ভব?
ব্যাংক, এমনকি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও টাকা দেয় না—এমন তথ্য উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, তাহলে এত বিরাট রিজার্ভ রেখে লাভ কী?
গতকাল শনিবার মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত ‘সাম্প্রতিক মুদ্রাবাজার পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব সুপারিশ করেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক অর্থসচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাউদ্দিন আহমেদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান, এমসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, কার্যকরী সদস্য কামরান টি রহমান প্রমুখ। সভাটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ট ব্যাংকার মামুন রশীদ।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের উচ্চমূল্যের কারণে অর্থনীতিতে টাকার সরবরাহ বাড়ানো দরকার। সরবরাহ ও চাহিদার উভয় দিকেই কিছুটা চাপ রয়েছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতিও অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, হয়তো শেয়ারবাজার কিংবা আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতির কারণে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘জেগে’ উঠেছে। অবশ্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রানীতি ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। বিপুল পরিমাণ মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি হলেও কোনটা মূলধনি যন্ত্রপাতি হিসেবে কাজে লাগছে, সেটাও তদারকি করতে হবে।
অর্থনীতির এমন প্রেক্ষাপটে সরকার হয়তো কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার নাও পেতে পারে বলে মন্তব্য করেন মির্জ্জা আজিজ।
সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, দেশে আগ্রাসী বিনিয়োগ পরিস্থিতি নেই। ভালো উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহ দেখান না। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬-৭ শতাংশ অর্জন হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন, কৃষি, প্রবাসী আয়— কোনো খাতেই প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক নয়। শুধু রপ্তানি খাত দিয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন কতটা সম্ভব?
সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, এখনো মুদ্রাবাজারে তারল্য সংকট রয়েছে। বন্ড মার্কেট থেকে টাকা আসতে পারে, কিন্তু তা কার্যকর করা যাচ্ছে না। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ সুশাসন দরকার বলে তিনি মত দেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগেই বেশি উৎসাহী ছিল। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ করায় শেয়ারবাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্গাচাষিদের ঋণ দেওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ নয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ধরনের কার্যক্রমেই বেশি উৎসাহী।
আনিস এ খান বলেন, ব্যবসা সম্প্রসারণে টাকা দরকার। কিন্ত সুদের হার বেশি থাকায় ঋণের অর্থের মূল্য বেড়ে যায়। এটা শিল্পায়নে বাঁধা।
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, গত এক বছরে শিল্পের কাঁচামালের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। এই বাড়তি দাম মিটিয়ে পরিচালনা তহবিল কীভাবে সম্ভব?
ব্যাংক, এমনকি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও টাকা দেয় না—এমন তথ্য উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, তাহলে এত বিরাট রিজার্ভ রেখে লাভ কী?
No comments