গম্ভীর’ এক ইনিংস দেখলাম
আগের নয়টি বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি ছিল মাত্র পাঁচটি। কাল একই ফাইনালে আমরা একটি সেঞ্চুরি দেখলাম, দুটি ‘প্রায় সেঞ্চুরি’। জয়াবর্ধনে আর গম্ভীর দুটো ক্লাসিক ইনিংস খেলল। দুটো ইনিংসও এল এমন দুজনের কাছ থেকে, ফাইনালের আগে সম্ভাব্য নায়ক হিসেবে আসলে যাদের কথা বেশির ভাগ লোকই বলেনি। এবার বিশ্বকাপে এর আগে একটি সেঞ্চুরি করলেও মাহেলা জয়াবর্ধনের সময়টা আসলেই ভালো যাচ্ছিল না। জয়াবর্ধনের কারণে মিডল অর্ডারও ভঙ্গুর হয়ে পড়েছিল। আর গম্ভীর টুকটাক রান করে গেলেও আলোটা একদমই তার ওপর ছিল না।
ছায়ার আড়ালে থাকা দুই ব্যাটসম্যানই সঠিক সময়েই মঞ্চের আলোটা নিয়ে এল নিজেদের ওপর। দুটো ইনিংসই পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র ৮৮ বলে খেলা জয়াবর্ধনের ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটা মেরুদণ্ড হয়ে থাকল শ্রীলঙ্কার। তার চেয়েও বড় কথা, জয়াবর্ধনে কিন্তু ষষ্ঠ আর সপ্তম উইকেট দুটো দুর্দান্ত জুটি গড়ে তুলল। সঙ্গী হিসেবে এমন দুজন ব্যাটসম্যানকে জয়াবর্ধনে পেয়েছিল, যাদের ব্যাটিং গড় ১৫-এর মতো।
মনে হচ্ছিল জয়াবর্ধনেই তার এই সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচের নায়ক হয়ে যাবে। বিশ্বকাপের মতো বড় ম্যাচে ২৭৪ রান মানে অনেক বড় স্কোর। যে চাপ এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে, তাতে মূল স্কোরের সঙ্গে ২৫ যোগ করে নিতে পারে। ভারতের মাথার ওপর আসলে ছিল ৩০০ রান তাড়া করে জেতার লক্ষ্য।
সেই অবস্থায় দুই ব্যাটিং-ভরসা শেবাগ-টেন্ডুলকারকে হারিয়ে ফেলা মাত্র ৩১ রানের মধ্যে! এ কারণেই গম্ভীরের ইনিংসটার মাহাত্ম্য বহু গুণে বেড়ে যাচ্ছে। টেন্ডুলকার যেভাবে শুরু করেছিল, মনে হচ্ছিল ক্রিকেট-বিধাতা বুঝি চিত্রনাট্য মিলিয়ে নাটক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আসল ‘ক্লাইম্যাক্স’ যে লুকিয়ে অন্য জায়গায়, কেই-বা জানত!
সেই ক্লাইম্যাক্স হিসেবে আবির্ভূত হলো গম্ভীর। কোয়ার্টার ফাইনাল আর সেমিফাইনাল দুটো ম্যাচেই আসলে যে আউট হয়েছে চাপের মুখে পড়ে। সেই গম্ভীর ভারতের নড়বড়ে শুরুর পর আরও বহু গুণ বেড়ে যাওয়া চাপটা নিয়ে কী ইনিংসটাই না খেলল! বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে চাপের মুখে কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়, সেটারই প্রামাণ্যচিত্র হয়ে থাকবে ইনিংসটা। ধোনিও শেখাল, অধিনায়ককে কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়। কাল কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে ওপরেও নিয়ে এসেছিল ধোনি। চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিল। যেটি ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের মধ্যে অন্য রকম আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে পেরেছে।
তিনজনের তিনটি ইনিংসই দুর্দান্ত। তবে আমি বেশি নম্বর দেব গম্ভীরকেই।
ছায়ার আড়ালে থাকা দুই ব্যাটসম্যানই সঠিক সময়েই মঞ্চের আলোটা নিয়ে এল নিজেদের ওপর। দুটো ইনিংসই পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র ৮৮ বলে খেলা জয়াবর্ধনের ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটা মেরুদণ্ড হয়ে থাকল শ্রীলঙ্কার। তার চেয়েও বড় কথা, জয়াবর্ধনে কিন্তু ষষ্ঠ আর সপ্তম উইকেট দুটো দুর্দান্ত জুটি গড়ে তুলল। সঙ্গী হিসেবে এমন দুজন ব্যাটসম্যানকে জয়াবর্ধনে পেয়েছিল, যাদের ব্যাটিং গড় ১৫-এর মতো।
মনে হচ্ছিল জয়াবর্ধনেই তার এই সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচের নায়ক হয়ে যাবে। বিশ্বকাপের মতো বড় ম্যাচে ২৭৪ রান মানে অনেক বড় স্কোর। যে চাপ এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে, তাতে মূল স্কোরের সঙ্গে ২৫ যোগ করে নিতে পারে। ভারতের মাথার ওপর আসলে ছিল ৩০০ রান তাড়া করে জেতার লক্ষ্য।
সেই অবস্থায় দুই ব্যাটিং-ভরসা শেবাগ-টেন্ডুলকারকে হারিয়ে ফেলা মাত্র ৩১ রানের মধ্যে! এ কারণেই গম্ভীরের ইনিংসটার মাহাত্ম্য বহু গুণে বেড়ে যাচ্ছে। টেন্ডুলকার যেভাবে শুরু করেছিল, মনে হচ্ছিল ক্রিকেট-বিধাতা বুঝি চিত্রনাট্য মিলিয়ে নাটক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আসল ‘ক্লাইম্যাক্স’ যে লুকিয়ে অন্য জায়গায়, কেই-বা জানত!
সেই ক্লাইম্যাক্স হিসেবে আবির্ভূত হলো গম্ভীর। কোয়ার্টার ফাইনাল আর সেমিফাইনাল দুটো ম্যাচেই আসলে যে আউট হয়েছে চাপের মুখে পড়ে। সেই গম্ভীর ভারতের নড়বড়ে শুরুর পর আরও বহু গুণ বেড়ে যাওয়া চাপটা নিয়ে কী ইনিংসটাই না খেলল! বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে চাপের মুখে কীভাবে ব্যাটিং করতে হয়, সেটারই প্রামাণ্যচিত্র হয়ে থাকবে ইনিংসটা। ধোনিও শেখাল, অধিনায়ককে কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়। কাল কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে ওপরেও নিয়ে এসেছিল ধোনি। চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিল। যেটি ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের মধ্যে অন্য রকম আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে পেরেছে।
তিনজনের তিনটি ইনিংসই দুর্দান্ত। তবে আমি বেশি নম্বর দেব গম্ভীরকেই।
No comments