আইভরি কোস্টে জাতিগত সহিংসতায় নিহত ৮০০
আইভরি কোস্টের ডুয়েকোয়ে শহরে জাতিগত সংঘর্ষে অন্তত ৮০০ জন নিহত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) বরাত দিয়ে গতকাল শনিবার বিসিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আলাসেন ওয়াতারার অনুগত বাহিনী দেশটির উত্তরাঞ্চল থেকে এখন রাজধানী দখলের জন্য লড়াই করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট লরা বাগবোর বাহিনীর সঙ্গে আবিদজান শহরে ওয়াতারার সমর্থকদের লড়াই অব্যাহত রয়েছে। লড়াই চলছে রাজধানীতে, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরেও।
এদিকে বাগবোর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই লরা বাগবোর।
আইভরি কোস্টে নিযুক্ত আইসিআরসির প্রধান ডোমিনিক লিয়েংমি এক বিবৃতিতে সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আদিবাসীদের মধ্যে গোষ্ঠীগত এই সহিংসতার ব্যাপকতা ও নিষ্ঠুরতার চিত্র অত্যন্ত ভয়াবহ ও বেদনাদায়ক।
আইসিআরসি জানায়, গত সোমবার থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এই সময়ের মধ্যে নারী, শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ দুয়েকোয়ে শহর থেকে পালিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ের সহিংস ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার আইসিআরসির প্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকেরা ওই শহর পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিক তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের কারণেই এত বিপুলসংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত মঙ্গলবার সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। শহরটি এখন ওয়াতারার অনুগত বাহিনীর দখলে রয়েছে।
আইসিআরসির মুখপাত্র ডরোথিয়া ক্রিমিতস্যাস এএফপিকে জানান, ‘এই শহরে বড় ধরনের কিছু একটা ঘটেছে, তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের প্রতিনিধিরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা শহরের বিভিন্ন স্থানে অনেক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন। ইতিমধ্যে অন্তত ২৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন তাঁরা।’
দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, প্রাণভয়ে হাজার হাজার বাসিন্দা দুয়েকোয়ে শহর থেকে পালিয়ে পাশের গুইগলো শহরের দিকে যাচ্ছে।
লরা বাগবোকে উৎখাতের লক্ষ্যে গত সোমবার থেকে ওয়াতারার সমর্থিত বাহিনী উত্তরাঞ্চল থেকে রাজধানী ইয়ামাউসোক্রো ও বন্দর শহর সান পেদ্রো দখলে নেওয়ার জন্য লড়াই করছে।
আবিদজান শহরেও দুই পক্ষের তুমুল লড়াই অব্যাহত রয়েছে। প্লাতিয়ু আগবান এলাকায়ও লড়াই চলছে। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও সরকারি টেলিভিশনের প্রধান সদর দপ্তরের বাইরে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের খবর নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, গত দুই দিনে তাঁরা অন্তত ৮০ জন আহতকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ ও গুলিবিদ্ধ।
গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে ওয়াতারা বিজয়ী হন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু বাগবো দাবি করেন, নির্বাচনে তাঁরই জয় হয়েছে। তিনিই দেশটির বৈধ প্রেসিডেন্ট।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আলাসেন ওয়াতারার অনুগত বাহিনী দেশটির উত্তরাঞ্চল থেকে এখন রাজধানী দখলের জন্য লড়াই করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট লরা বাগবোর বাহিনীর সঙ্গে আবিদজান শহরে ওয়াতারার সমর্থকদের লড়াই অব্যাহত রয়েছে। লড়াই চলছে রাজধানীতে, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরেও।
এদিকে বাগবোর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই লরা বাগবোর।
আইভরি কোস্টে নিযুক্ত আইসিআরসির প্রধান ডোমিনিক লিয়েংমি এক বিবৃতিতে সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আদিবাসীদের মধ্যে গোষ্ঠীগত এই সহিংসতার ব্যাপকতা ও নিষ্ঠুরতার চিত্র অত্যন্ত ভয়াবহ ও বেদনাদায়ক।
আইসিআরসি জানায়, গত সোমবার থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এই সময়ের মধ্যে নারী, শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ দুয়েকোয়ে শহর থেকে পালিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ের সহিংস ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার আইসিআরসির প্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকেরা ওই শহর পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিক তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের কারণেই এত বিপুলসংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত মঙ্গলবার সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। শহরটি এখন ওয়াতারার অনুগত বাহিনীর দখলে রয়েছে।
আইসিআরসির মুখপাত্র ডরোথিয়া ক্রিমিতস্যাস এএফপিকে জানান, ‘এই শহরে বড় ধরনের কিছু একটা ঘটেছে, তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের প্রতিনিধিরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা শহরের বিভিন্ন স্থানে অনেক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন। ইতিমধ্যে অন্তত ২৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন তাঁরা।’
দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, প্রাণভয়ে হাজার হাজার বাসিন্দা দুয়েকোয়ে শহর থেকে পালিয়ে পাশের গুইগলো শহরের দিকে যাচ্ছে।
লরা বাগবোকে উৎখাতের লক্ষ্যে গত সোমবার থেকে ওয়াতারার সমর্থিত বাহিনী উত্তরাঞ্চল থেকে রাজধানী ইয়ামাউসোক্রো ও বন্দর শহর সান পেদ্রো দখলে নেওয়ার জন্য লড়াই করছে।
আবিদজান শহরেও দুই পক্ষের তুমুল লড়াই অব্যাহত রয়েছে। প্লাতিয়ু আগবান এলাকায়ও লড়াই চলছে। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও সরকারি টেলিভিশনের প্রধান সদর দপ্তরের বাইরে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের খবর নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, গত দুই দিনে তাঁরা অন্তত ৮০ জন আহতকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ ও গুলিবিদ্ধ।
গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে ওয়াতারা বিজয়ী হন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু বাগবো দাবি করেন, নির্বাচনে তাঁরই জয় হয়েছে। তিনিই দেশটির বৈধ প্রেসিডেন্ট।
No comments