পর্যটনের নামে বিনা শুল্কে আসছে দামি গাড়ি
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন ব্রিটিশ নাগরিক এ দেশে বেড়াতে আসেন। পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশের নানা প্রান্ত ঘোরার জন্য সঙ্গে আনেন বিলাসবহুল টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার স্টেশনওয়াগন ভিএক্স মডেলের একটি গাড়ি।
পর্যটক বিমানযোগে এলেও গাড়ি আসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫৬ লাখ টাকা। পর্যটক হিসেবে তিনি ‘কারনেট দ্য পেসেজ’ সুবিধা নিয়ে বিনা শুল্কে গাড়িটি খালাস করেন। এই সুবিধা না নিলে গাড়িটির জন্য শুল্ক দিতে হতো প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।
কিন্তু বাংলাদেশে প্রবেশের পর এই গাড়ির আর কোনো হদিস মেলেনি। পর্যটনের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলার রাস্তায়ও দেখা যায়নি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি এনে ওই পর্যটক গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন বা হাতবদল করেছেন, যা পুরোপুরি বেআইনি।
জানা গেছে, এভাবে পর্যটকদের জন্য বিনা শুল্কে বিলাসবহুল গাড়ি আনার সুবিধার ব্যাপক অপব্যবহার হচ্ছে। পর্যটনের নামে চলছে জমজমাট গাড়ি ব্যবসা, চলছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি।
এই সুবিধার সুযোগ নিতে সম্প্রতি বেড়ে গেছে মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, লেক্সাস, টয়োটা ব্র্যান্ডের মতো বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি। আর এই বিলাসবহুল গাড়িগুলো বাংলাদেশে আসার পর কোনো হদিস থাকে না। অর্থাৎ এই সুবিধার নিয়ম অনুসারে নির্ধারিত সময় পরে গাড়িগুলো আবার দেশের বাইরে ফেরত যায় না।
পর্যটকেরা গাড়ি নিয়ে যেকোনো দেশে প্রবেশের জন্য দ্য কাস্টমস কনভেনশন অন দ্য টেম্পোরারি ইমপোর্টেশন অব প্রাইভেট ভেহিক্যালস (১৯৫৪) অ্যান্ড কমার্শিয়াল রোড ভেহিক্যালস (১৯৫৬) নামে একটি আন্তর্জাতিক আইন আছে। এটি ‘কারনেট দ্য পেসেজ’ নামে সারা বিশ্বের বহুল পরিচিত। বিশ্বের সব দেশ তা অনুসরণ করতে বাধ্য।
এই সুবিধার আওতায় কোনো পর্যটক চাইলে তাঁর নিজের গাড়ি নিয়ে বিনা শুল্কেই যেকোনো দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে ফিরে যাওয়ার সময় তা ফেরত নিয়ে যেতে হবে। সাধারণত এক বছরের জন্য এই সুবিধা বহাল থাকে।
এই সুবিধার আওতায় বাংলাদেশে সিংগভাগ গাড়ি এনেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকেরা, যাঁদের আদি নিবাস সিলেট জেলায়। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত কারনেট সুবিধায় আসা বিলাসবহুল গাড়িগুলোর মধ্যে মাত্র ১৩টি ফেরত গেছে বলে জানা যায়।
এনবিআরের শুল্ক বিভাগ এখন এসব গাড়ির খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে। ইতিমধ্যে শুল্ক বিভাগ থেকে সব কাস্টমস কমিশনারকে কারনেট সুবিধায় আসা গাড়িগুলোর ইঞ্জিন, চেসিস নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরও গাড়িগুলো খুঁজছে।
যেভাবে আসে: একশ্রেণীর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক এ দেশে বেড়াতে আসার সময় জাহাজে করে একটি বিলাসবহুল গাড়ি পাঠিয়ে দেন। ওই ব্রিটিশ নাগরিক চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কারনেট সুবিধার আওতায় বিনা শুল্কে গাড়িটি খালাস করেন।
কারনেট সুবিধা নিতে পর্যটকদের জন্য ‘রয়েল অটোমোবাইল ক্লাব অব ইউকে’তে নিবন্ধন নিতে এবং গাড়ির মূল্যের ১০ শতাংশ অর্থ জামানত হিসেবে জমা রাখতে হয়। আবার প্রায় প্রতিটি দেশেই পর্যটকদের জন্য রয়েল অটোমোবাইল ক্লাবের শাখা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট পর্যটকের গাড়িতে তাঁর রয়েল অটোমোবাইল ক্লাবের দেওয়া নম্বরপ্লেট লাগিয়ে বাংলাদেশে চলাচল করার কথা।
বাংলাদেশে নিয়ে আসা গাড়ি খালাস করার পর তা বিক্রি করে দেওয়া হয় কিংবা হাতবদল হয় মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে। কিন্তু ব্যক্তি বা পর্যটক দেশে ফিরে যাওয়ার আগে গাড়ি হারিয়ে গেছে বা চুরি গেছে বলে থানায় ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ব্রিটেনে পৌঁছে সেই জিডির অনুলিপি দেখিয়ে জামানতের অর্থ তুলে নেন।
হঠাৎ আমদানি বৃদ্ধি: ২০১০ সাল থেকেই বাংলাদেশে কারনেট সুবিধার আওতায় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএডব্লিউ, টয়োটা ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল জিপ বাংলাদেশে প্রবেশ বেড়েছে। এ বছর ৪৯টি গাড়ি এই সুবিধার আওতায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এর আগে ২০০৯ সালে ১৩টি, ২০০৮ সালে ছয়টি ও ২০০৭ সালে পাঁচটি গাড়ির মালিক কারনেট সুবিধা নিয়েছেন। এই গাড়িগুলোরও খোঁজ জানে না শুল্ক কর্মকর্তারা। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ফিরে গেছে মাত্র ১৩টি গাড়ি।
এনবিআর সূত্রে আরও জানা গেছে, কারনেট সুবিধায় চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ৪৬টি গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে খালাস হয়েছে। হঠাৎ করে এ ধরনের গাড়ি আমদানি বৃদ্ধির বিষয়টি খোঁজ নেওয়া শুরু হওয়ায় আরও ৩০টি গাড়ি খালাসের প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ (আমদানি) শাখা।
এনবিআরের সদস্য (শুল্ক) শাহ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারনেট সুবিধায় বিলাসবহুল গাড়িগুলো এনে বিক্রি করে দেয় একটি চক্র। আমরা কমিশনারেটগুলোর কাছে এই সুবিধায় আসা গাড়িগুলোর যাবতীয় তথ্য চেয়েছি। তথ্য পেলেই বাংলাদেশ বিআরটিএকে জানাব, যেন তারা এ ধরনের কোনো গাড়ির নিবন্ধন না দেয়।’
তবে বারভিডার সভাপতি আবদুল মান্নান চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, বাংলাদেশে ঘুষ দিলে যেকোনো গাড়ির নিবন্ধন পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে কারনেট সুবিধায় আসা কোটি টাকা দামের গাড়ির ক্রেতারা ঘুষ দিয়ে বিআরটিএ থেকে নিবন্ধন নিয়ে নিচ্ছেন। আর ভুয়া নম্বরপ্লেট লাগানো থাকলেও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা এসব দামি গাড়ির মালিকদের ধরতে সাহস পান না। ফলে একটি চক্র বিনা শুল্কে দামি ও বিলাসবহুল গাড়ি এনে বিক্রি করছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে আসা দুই হাজার থেকে চার হাজার সিসির বিএমডব্লিউ, লেক্সাস ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের জিপের দাম পড়ে ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্কসহ মোট শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হয় ৮০৫ শতাংশ হারে। এসব মিলিয়ে গাড়ির মোট দাম পড়ে প্রায় দুই থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা টাকা।
পর্যটক বিমানযোগে এলেও গাড়ি আসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫৬ লাখ টাকা। পর্যটক হিসেবে তিনি ‘কারনেট দ্য পেসেজ’ সুবিধা নিয়ে বিনা শুল্কে গাড়িটি খালাস করেন। এই সুবিধা না নিলে গাড়িটির জন্য শুল্ক দিতে হতো প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।
কিন্তু বাংলাদেশে প্রবেশের পর এই গাড়ির আর কোনো হদিস মেলেনি। পর্যটনের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলার রাস্তায়ও দেখা যায়নি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি এনে ওই পর্যটক গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন বা হাতবদল করেছেন, যা পুরোপুরি বেআইনি।
জানা গেছে, এভাবে পর্যটকদের জন্য বিনা শুল্কে বিলাসবহুল গাড়ি আনার সুবিধার ব্যাপক অপব্যবহার হচ্ছে। পর্যটনের নামে চলছে জমজমাট গাড়ি ব্যবসা, চলছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি।
এই সুবিধার সুযোগ নিতে সম্প্রতি বেড়ে গেছে মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ, লেক্সাস, টয়োটা ব্র্যান্ডের মতো বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি। আর এই বিলাসবহুল গাড়িগুলো বাংলাদেশে আসার পর কোনো হদিস থাকে না। অর্থাৎ এই সুবিধার নিয়ম অনুসারে নির্ধারিত সময় পরে গাড়িগুলো আবার দেশের বাইরে ফেরত যায় না।
পর্যটকেরা গাড়ি নিয়ে যেকোনো দেশে প্রবেশের জন্য দ্য কাস্টমস কনভেনশন অন দ্য টেম্পোরারি ইমপোর্টেশন অব প্রাইভেট ভেহিক্যালস (১৯৫৪) অ্যান্ড কমার্শিয়াল রোড ভেহিক্যালস (১৯৫৬) নামে একটি আন্তর্জাতিক আইন আছে। এটি ‘কারনেট দ্য পেসেজ’ নামে সারা বিশ্বের বহুল পরিচিত। বিশ্বের সব দেশ তা অনুসরণ করতে বাধ্য।
এই সুবিধার আওতায় কোনো পর্যটক চাইলে তাঁর নিজের গাড়ি নিয়ে বিনা শুল্কেই যেকোনো দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে ফিরে যাওয়ার সময় তা ফেরত নিয়ে যেতে হবে। সাধারণত এক বছরের জন্য এই সুবিধা বহাল থাকে।
এই সুবিধার আওতায় বাংলাদেশে সিংগভাগ গাড়ি এনেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকেরা, যাঁদের আদি নিবাস সিলেট জেলায়। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত কারনেট সুবিধায় আসা বিলাসবহুল গাড়িগুলোর মধ্যে মাত্র ১৩টি ফেরত গেছে বলে জানা যায়।
এনবিআরের শুল্ক বিভাগ এখন এসব গাড়ির খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে। ইতিমধ্যে শুল্ক বিভাগ থেকে সব কাস্টমস কমিশনারকে কারনেট সুবিধায় আসা গাড়িগুলোর ইঞ্জিন, চেসিস নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরও গাড়িগুলো খুঁজছে।
যেভাবে আসে: একশ্রেণীর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক এ দেশে বেড়াতে আসার সময় জাহাজে করে একটি বিলাসবহুল গাড়ি পাঠিয়ে দেন। ওই ব্রিটিশ নাগরিক চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কারনেট সুবিধার আওতায় বিনা শুল্কে গাড়িটি খালাস করেন।
কারনেট সুবিধা নিতে পর্যটকদের জন্য ‘রয়েল অটোমোবাইল ক্লাব অব ইউকে’তে নিবন্ধন নিতে এবং গাড়ির মূল্যের ১০ শতাংশ অর্থ জামানত হিসেবে জমা রাখতে হয়। আবার প্রায় প্রতিটি দেশেই পর্যটকদের জন্য রয়েল অটোমোবাইল ক্লাবের শাখা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট পর্যটকের গাড়িতে তাঁর রয়েল অটোমোবাইল ক্লাবের দেওয়া নম্বরপ্লেট লাগিয়ে বাংলাদেশে চলাচল করার কথা।
বাংলাদেশে নিয়ে আসা গাড়ি খালাস করার পর তা বিক্রি করে দেওয়া হয় কিংবা হাতবদল হয় মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে। কিন্তু ব্যক্তি বা পর্যটক দেশে ফিরে যাওয়ার আগে গাড়ি হারিয়ে গেছে বা চুরি গেছে বলে থানায় ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ব্রিটেনে পৌঁছে সেই জিডির অনুলিপি দেখিয়ে জামানতের অর্থ তুলে নেন।
হঠাৎ আমদানি বৃদ্ধি: ২০১০ সাল থেকেই বাংলাদেশে কারনেট সুবিধার আওতায় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএডব্লিউ, টয়োটা ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল জিপ বাংলাদেশে প্রবেশ বেড়েছে। এ বছর ৪৯টি গাড়ি এই সুবিধার আওতায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এর আগে ২০০৯ সালে ১৩টি, ২০০৮ সালে ছয়টি ও ২০০৭ সালে পাঁচটি গাড়ির মালিক কারনেট সুবিধা নিয়েছেন। এই গাড়িগুলোরও খোঁজ জানে না শুল্ক কর্মকর্তারা। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ফিরে গেছে মাত্র ১৩টি গাড়ি।
এনবিআর সূত্রে আরও জানা গেছে, কারনেট সুবিধায় চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ৪৬টি গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে খালাস হয়েছে। হঠাৎ করে এ ধরনের গাড়ি আমদানি বৃদ্ধির বিষয়টি খোঁজ নেওয়া শুরু হওয়ায় আরও ৩০টি গাড়ি খালাসের প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ (আমদানি) শাখা।
এনবিআরের সদস্য (শুল্ক) শাহ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারনেট সুবিধায় বিলাসবহুল গাড়িগুলো এনে বিক্রি করে দেয় একটি চক্র। আমরা কমিশনারেটগুলোর কাছে এই সুবিধায় আসা গাড়িগুলোর যাবতীয় তথ্য চেয়েছি। তথ্য পেলেই বাংলাদেশ বিআরটিএকে জানাব, যেন তারা এ ধরনের কোনো গাড়ির নিবন্ধন না দেয়।’
তবে বারভিডার সভাপতি আবদুল মান্নান চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, বাংলাদেশে ঘুষ দিলে যেকোনো গাড়ির নিবন্ধন পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে কারনেট সুবিধায় আসা কোটি টাকা দামের গাড়ির ক্রেতারা ঘুষ দিয়ে বিআরটিএ থেকে নিবন্ধন নিয়ে নিচ্ছেন। আর ভুয়া নম্বরপ্লেট লাগানো থাকলেও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা এসব দামি গাড়ির মালিকদের ধরতে সাহস পান না। ফলে একটি চক্র বিনা শুল্কে দামি ও বিলাসবহুল গাড়ি এনে বিক্রি করছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে আসা দুই হাজার থেকে চার হাজার সিসির বিএমডব্লিউ, লেক্সাস ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের জিপের দাম পড়ে ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্কসহ মোট শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হয় ৮০৫ শতাংশ হারে। এসব মিলিয়ে গাড়ির মোট দাম পড়ে প্রায় দুই থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা টাকা।
No comments