মানুষকে ক্ষুদ্রঋণের চোরাবালি থেকে বের করে আনতে হবে
দেশের ছয় কোটি দরিদ্র মানুষের মধ্যে চার কোটিই ক্ষুদ্রঋণের আওতায়। তা সত্ত্বেও ক্ষুদ্রঋণ গ্রাহকদের জীবনমানের তেমন কোনো উন্নতি নেই। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা উল্লেখ করে প্রশ্ন তুলে বলেন, তাহলে ক্ষুদ্রঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কী কাজ করছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মানুষকে ক্ষুদ্রঋণের মধ্যে আর আটকে রাখা যাবে না। ঋণের চোরাবালি থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে তাদের। শুধুই ঋণ গ্রাহক বানিয়ে রাখা নয়, তাদের মানব সম্পদে পরিণত করতে হবে।
গতকাল শনিবার পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চার দিনব্যাপী ‘২০ বছর পূর্তি ও উন্নয়ন মেলা’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পিকেএসএফ সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মেজবাহউদ্দিন আহমেদ এতে স্বাগত বক্তব্য দেন।
অর্থমন্ত্রী জানান, দেশে ২০ হাজার প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে নিয়োজিত। এই সংখ্যাটা অনেক বেশি। ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান এত বেশি থাকার কারণেই গ্রাহকেরা একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিচ্ছে। ফলে ঋণের চোরাবালিতে আটকে যাচ্ছে গ্রাহকেরা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য বিমোচনের উপায় নয়। এটি একটি উপকরণ মাত্র। দারিদ্র্য বিমোচনে অন্য উপকরণগুলোরও দরকার। মানব সম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তির প্রয়োগ এখন জরুরি হয়ে উঠেছে। কিন্তু এসব বিষয়ে ততটা অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
অর্থমন্ত্রী জানান, দেশে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষুদ্রঋণের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২০ শতাংশই পিকেএসএফের। ক্ষুদ্রঋণ দরিদ্রসীমা থেকে বের করে নিয়ে আসতে না পারলেও মানুষের ভোগের সক্ষমতা ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ বলেন মহাজনী ঋণ এখনো চলছে। মহাজনী ব্যবস্থায় ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ সুদ দিতে হতো। ক্ষুদ্রঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিতে হয় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। এ হিসেবে মহাজনী ব্যবস্থা থেকে তারা ভালো।
তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সব দরিদ্রের কাছেই পিকেএসএফের কর্মসূচিগুলো পৌঁছানোর দরকার। এ জন্য অবশ্য তদারক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতি তাগিদ দেন তিনি।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বর্তমানে ক্ষুদ্রঋণে সরল সুদ (ফ্লাট রেট) নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন কৌশলে সুদ নেওয়া হচ্ছে বেশি। গ্রাহকেরা তা বুঝতে পারছেন না। কেউ কেউ সুদ নিচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও পিকেএসএফের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম সাইদুজ্জামানকে ‘আজীবন সম্মাননা পদক’ প্রদান করে পিকেএসএফ। অনুষ্ঠান শেষে এম সাইদুজ্জামানের জীবনীর ওপর একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল থেকে শুরু হওয়া চার দিনের উন্নয়ন মেলা শেষ হবে আগামী মঙ্গলবার। এতে ১৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
সাতটি সেমিনার: পিকেএসএফের উন্নয়ন মেলায় সাতটি সেমিনার রয়েছে। মেলার দ্বিতীয় দিন আজ রোববার সকালে ‘বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী : বাস্তবতা ও করণীয়’ এবং বিকেলে ‘বাংলাদেশে প্রাকৃতিক পরিবেশের অবনতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত : বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। কাল সকালে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জনউন্নয়ন’, বিকেলে ‘নারী ও শিশু উন্নয়ন’ এবং সন্ধ্যায় হবে ‘বাংলাদেশ: টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ’। শেষ দিন অনুষ্ঠিত হবে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন’ শীর্ষক একটি সেমিনার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মানুষকে ক্ষুদ্রঋণের মধ্যে আর আটকে রাখা যাবে না। ঋণের চোরাবালি থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে তাদের। শুধুই ঋণ গ্রাহক বানিয়ে রাখা নয়, তাদের মানব সম্পদে পরিণত করতে হবে।
গতকাল শনিবার পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চার দিনব্যাপী ‘২০ বছর পূর্তি ও উন্নয়ন মেলা’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পিকেএসএফ সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মেজবাহউদ্দিন আহমেদ এতে স্বাগত বক্তব্য দেন।
অর্থমন্ত্রী জানান, দেশে ২০ হাজার প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে নিয়োজিত। এই সংখ্যাটা অনেক বেশি। ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান এত বেশি থাকার কারণেই গ্রাহকেরা একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিচ্ছে। ফলে ঋণের চোরাবালিতে আটকে যাচ্ছে গ্রাহকেরা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য বিমোচনের উপায় নয়। এটি একটি উপকরণ মাত্র। দারিদ্র্য বিমোচনে অন্য উপকরণগুলোরও দরকার। মানব সম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তির প্রয়োগ এখন জরুরি হয়ে উঠেছে। কিন্তু এসব বিষয়ে ততটা অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
অর্থমন্ত্রী জানান, দেশে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষুদ্রঋণের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২০ শতাংশই পিকেএসএফের। ক্ষুদ্রঋণ দরিদ্রসীমা থেকে বের করে নিয়ে আসতে না পারলেও মানুষের ভোগের সক্ষমতা ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ বলেন মহাজনী ঋণ এখনো চলছে। মহাজনী ব্যবস্থায় ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ সুদ দিতে হতো। ক্ষুদ্রঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিতে হয় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। এ হিসেবে মহাজনী ব্যবস্থা থেকে তারা ভালো।
তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সব দরিদ্রের কাছেই পিকেএসএফের কর্মসূচিগুলো পৌঁছানোর দরকার। এ জন্য অবশ্য তদারক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতি তাগিদ দেন তিনি।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বর্তমানে ক্ষুদ্রঋণে সরল সুদ (ফ্লাট রেট) নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন কৌশলে সুদ নেওয়া হচ্ছে বেশি। গ্রাহকেরা তা বুঝতে পারছেন না। কেউ কেউ সুদ নিচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও পিকেএসএফের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম সাইদুজ্জামানকে ‘আজীবন সম্মাননা পদক’ প্রদান করে পিকেএসএফ। অনুষ্ঠান শেষে এম সাইদুজ্জামানের জীবনীর ওপর একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল থেকে শুরু হওয়া চার দিনের উন্নয়ন মেলা শেষ হবে আগামী মঙ্গলবার। এতে ১৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
সাতটি সেমিনার: পিকেএসএফের উন্নয়ন মেলায় সাতটি সেমিনার রয়েছে। মেলার দ্বিতীয় দিন আজ রোববার সকালে ‘বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী : বাস্তবতা ও করণীয়’ এবং বিকেলে ‘বাংলাদেশে প্রাকৃতিক পরিবেশের অবনতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত : বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। কাল সকালে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জনউন্নয়ন’, বিকেলে ‘নারী ও শিশু উন্নয়ন’ এবং সন্ধ্যায় হবে ‘বাংলাদেশ: টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ’। শেষ দিন অনুষ্ঠিত হবে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন’ শীর্ষক একটি সেমিনার।
No comments