২০ বছর পর মিয়ানমারে আজ সাধারণ নির্বাচন
সামরিক জান্তাশাসিত মিয়ানমারে আজ রোববার সাধারণ নির্বাচনের ভোট নেওয়া হবে। দীর্ঘ দুই দশকের মধ্যে এটা মিয়ানমারের প্রথম সাধারণ নির্বাচন।
আজকের নির্বাচনে সামরিক জান্তা-সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি), বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি (মিয়ানমার), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফোর্সসহ (এনডিএফ) ৩৭টি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। পার্লামেন্টের এক হাজার ১৩৬টি আসনের জন্য তারা লড়াই করছে। মিয়ানমারে ভোটার সংখ্যা দুই কোটি ৯০ লাখ।
গৃহবন্দী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি আজকের নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন না। তাঁর আইনজীবী নিয়ান উইন জানিয়েছেন, সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নির্বাচনে অংশ নিতে না পারায় তিনি ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন না করার অজুহাতে কয়েক মাস আগে সামরিক জান্তা এনএলডিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
সামরিক জান্তা আজকের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেয়নি। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান থেইন সোয়ে বলেছেন, নির্বাচন করার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা তাঁদের আছে। তাই এ ব্যাপারে কোনো বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিত্বকারী রাষ্ট্রদূতেরা আছেন তাঁদের দেশে। তাই নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ কোনো সংস্থা বা গোষ্ঠীকে আমন্ত্রণ জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই।
জান্তা-সমর্থিত ইউএসডিপি সব আসনে প্রার্থী দিলেও বিরোধী দলগুলো প্রার্থী দিয়েছে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে। আজকের নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। সরকার-সমর্থিত ইউএসডিপি অনেক আগাম ভোট নিয়ে নিয়েছে এবং তাদের পক্ষে ভোট দিতে ভোটারদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এনডিএফসহ কয়েকটি দল। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্য তৎপর মানবাধিকার সংস্থা চিন হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের অনুষ্ঠান পরিচালক সালাই জাউক লিং জানান, সেনারা অনেক জায়গায় নির্বাচনী কেন্দ্রকে তল্লাশি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। তিনি প্রশ্ন করেন, সৈন্যরা এভাবে ভোটারদের ওপর নজরদারি করলে তাঁরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন কী করে?
রাখাইন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট পার্টির (আরএনডিপি) চেয়ারম্যান আয়ি মাউগুং বলেছেন, সরকারি অর্থের ব্যবহার এবং প্রভাব বিস্তার করে ইউএসডিপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে বিজয়ী হয়, তাহলে তাদের মতো গণতন্ত্রমনা দলগুলো সম্মিলিতভাবে নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করবে।
সাবেক মন্ত্রী ও সেনা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গত এপ্রিলে গঠিত হয় ইউএসডিপি। এ দলটি স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে বলে রাজনৈতিক দলগুলো অনেক দিন ধরে অভিযোগ করে আসছে।
এদিকে মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী থেইন সেইন বলেছেন, আজকের নির্বাচন মিয়ানমারকে নতুন আলোর দিকে নিয়ে যাবে। তিনি দেশবাসীকে নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। এএফপি, সিএনএন ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
আজকের নির্বাচনে সামরিক জান্তা-সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি), বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি (মিয়ানমার), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফোর্সসহ (এনডিএফ) ৩৭টি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। পার্লামেন্টের এক হাজার ১৩৬টি আসনের জন্য তারা লড়াই করছে। মিয়ানমারে ভোটার সংখ্যা দুই কোটি ৯০ লাখ।
গৃহবন্দী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি আজকের নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন না। তাঁর আইনজীবী নিয়ান উইন জানিয়েছেন, সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নির্বাচনে অংশ নিতে না পারায় তিনি ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন না করার অজুহাতে কয়েক মাস আগে সামরিক জান্তা এনএলডিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
সামরিক জান্তা আজকের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেয়নি। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান থেইন সোয়ে বলেছেন, নির্বাচন করার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা তাঁদের আছে। তাই এ ব্যাপারে কোনো বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিত্বকারী রাষ্ট্রদূতেরা আছেন তাঁদের দেশে। তাই নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ কোনো সংস্থা বা গোষ্ঠীকে আমন্ত্রণ জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই।
জান্তা-সমর্থিত ইউএসডিপি সব আসনে প্রার্থী দিলেও বিরোধী দলগুলো প্রার্থী দিয়েছে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে। আজকের নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। সরকার-সমর্থিত ইউএসডিপি অনেক আগাম ভোট নিয়ে নিয়েছে এবং তাদের পক্ষে ভোট দিতে ভোটারদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এনডিএফসহ কয়েকটি দল। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্য তৎপর মানবাধিকার সংস্থা চিন হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের অনুষ্ঠান পরিচালক সালাই জাউক লিং জানান, সেনারা অনেক জায়গায় নির্বাচনী কেন্দ্রকে তল্লাশি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। তিনি প্রশ্ন করেন, সৈন্যরা এভাবে ভোটারদের ওপর নজরদারি করলে তাঁরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন কী করে?
রাখাইন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট পার্টির (আরএনডিপি) চেয়ারম্যান আয়ি মাউগুং বলেছেন, সরকারি অর্থের ব্যবহার এবং প্রভাব বিস্তার করে ইউএসডিপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে বিজয়ী হয়, তাহলে তাদের মতো গণতন্ত্রমনা দলগুলো সম্মিলিতভাবে নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করবে।
সাবেক মন্ত্রী ও সেনা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গত এপ্রিলে গঠিত হয় ইউএসডিপি। এ দলটি স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে বলে রাজনৈতিক দলগুলো অনেক দিন ধরে অভিযোগ করে আসছে।
এদিকে মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী থেইন সেইন বলেছেন, আজকের নির্বাচন মিয়ানমারকে নতুন আলোর দিকে নিয়ে যাবে। তিনি দেশবাসীকে নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। এএফপি, সিএনএন ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
No comments