এই কি সেই নিউজিল্যান্ড
একজনের কাছে টেস্ট জগত পুরোটাই অচেনা, প্রায় অচেনা হয়ে পড়ছিল আরেকজনের কাছেও। কেন উইলিয়ামসনের এটি অভিষেক টেস্ট, জেসি রাইডার তাঁর ১১ টেস্টের শেষটি খেলেছিলেন ১৪ মাস আগে। কাল এই দুজন মিলেই অনেক দিন পর নিউজিল্যান্ডকে এনে দিলেন হাসির উপলক্ষ। দুজনের চোয়ালবদ্ধ ব্যাটিংয়ে আহমেদাবাদ টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। সারা দিনে উইকেট পড়েছে মাত্র তিনটি, লিড নেওয়াটাকেও এখন আর অসম্ভব মনে হচ্ছে না।
পঞ্চম উইকেটে রাইডার-উইলিয়ামসন গড়েছেন ১৯৪ রানের জুটি। নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটে এর চেয়ে বড় জুটি আছে কেবল একটিই, ২০০০ সালে ওয়েলিংটনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২২ রানের জুটি গড়েছিলেন নাথান অ্যাস্টল ও ক্রেইগ ম্যাকমিলান। রাইডার-উইলিয়ামসনের জুটিটা লড়াইয়ে ফেরানোর চেয়েও আরেকটা বড় কাজ করেছে নিউজিল্যান্ডের জন্য, জুগিয়েছে আত্মবিশ্বাস। বাংলাদেশ-বিপর্যয়ের পর যেটি সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল, কিউইরা এই বিশ্বাসটা পেয়েছে ভারতের কন্ডিশনে ভারতের স্পিনারদের খেলা অসম্ভব নয়।
দিনের শেষ ওভারে রাইডার আউট না হলে কিউইদের হাসিটা চওড়া থাকত আরও। তবে গোধূলিবেলায় আউট হওয়ার হতাশার চেয়ে তার আগে যা করেছেন, সেই তৃপ্তিতেই বেশি আচ্ছন্ন থাকবেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দীর্ঘ বিরতির পর খেলতে নেমে সেঞ্চুরি পেয়েছেন বলেই শুধু নয়, রান পেলেন যে নিজের ও দলের বড় প্রয়োজনের সময়! কনুইয়ের চোট তাঁকে দীর্ঘদিন রেখেছিল দলের বাইরে, কিন্তু ‘খবর’ হয়েছেন অনেকবার। যথারীতি নেতিবাচক সব কারণে। বিরুদ্ধ স্রোতে চলার অভ্যাস তাঁর সব সময়ই। যে যুগে আর সবকিছুর আগে ফিটনেস, সেখানে আশ্চর্য ব্যতিক্রম হয়ে বয়ে চলেছেন ইনজামাম-উল হকের অলস সৌন্দর্যের ধারা। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ছায়াসঙ্গী বিতর্ক। ‘আমিই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট’—মাতাল অবস্থায় দেওয়া তাঁর এই ‘বাণী’ অমর হয়ে গেছে ক্রিকেট ইতিহাসেই। শৃঙ্খলা ভঙ্গের হাজারো ঘটনার পরও পার পেয়ে গেছেন বারবার। কেন, তাঁর একটা নমুনা দেখালেন কাল—প্রতিভা, সামর্থ্য আর পারফরম্যান্স।
সেঞ্চুরি করেছেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো বল খেলেছেন ২০৫টি। নিজের স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক মানসিকতাকে খোলসবন্দী করে রেখেছিলেন পরিস্থিতির দাবি মেটাতে। তৃতীয় উইকেটে ১০৪ রানের জুটি গড়ার পর ম্যাককালাম-টেলর ফিরে যান ৬ রানের ব্যবধানে। পরিস্থিতি চাইছিল বড় একটা জুটি। পঞ্চম উইকেটে উইলিয়ামসনকে নিয়ে সেই দাবি মিটিয়েছেন রাইডার, জুটিতে দুজনে উইকেটে কাটিয়ে দিয়েছেন ৬৮.১ ওভার। শ্রীশান্তকে দারুণ এক কভার ড্রাইভে ৪ মেরে শতক ছোঁয়ার পরের বলেই এলবিডব্লু হয়ে যান রাইডার। এই নিয়ে তিন টেস্ট সেঞ্চুরির সবগুলোই করলেন ভারতের বিপক্ষে। কালকের ইনিংসটির জন্য অবশ্য কৃতজ্ঞ থাকতে পারেন রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে, ১১ রানে তাঁর সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন দ্রাবিড়।
কঠিন একটা পরীক্ষা ছিল উইলিয়ামসনেরও। টানা দুই ম্যাচে শূন্য করে ওয়ানডে অভিষেক। বাংলাদেশ সফরে নিউজিল্যান্ডের একমাত্র সেঞ্চুরিটি করে সামর্থ্য কিছুটা প্রমাণ করেছেন। তবে টেস্ট অভিষেকের সময় ওয়ানডে অভিষেকের স্মৃতি তাঁর মনে না পড়ে পারেই না! কাল শুরুতে একটু নড়বড়ে থাকলেও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। একপর্যায়ে উইকেটকিপারসহ সাতজন ফিল্ডার ঘিরে ছিলেন তাঁকে। কিন্তু চিড় ধরেনি মনঃসংযোগে। নিউজিল্যান্ডের ‘মাইকেল ক্লার্ক’ এখন দাঁড়িয়ে ক্লার্কের মতোই এক কীর্তি গড়ার সামনে। অভিষেকেই ভারতের মাটিতে সেঞ্চুরি!
পঞ্চম উইকেটে রাইডার-উইলিয়ামসন গড়েছেন ১৯৪ রানের জুটি। নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটে এর চেয়ে বড় জুটি আছে কেবল একটিই, ২০০০ সালে ওয়েলিংটনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২২ রানের জুটি গড়েছিলেন নাথান অ্যাস্টল ও ক্রেইগ ম্যাকমিলান। রাইডার-উইলিয়ামসনের জুটিটা লড়াইয়ে ফেরানোর চেয়েও আরেকটা বড় কাজ করেছে নিউজিল্যান্ডের জন্য, জুগিয়েছে আত্মবিশ্বাস। বাংলাদেশ-বিপর্যয়ের পর যেটি সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল, কিউইরা এই বিশ্বাসটা পেয়েছে ভারতের কন্ডিশনে ভারতের স্পিনারদের খেলা অসম্ভব নয়।
দিনের শেষ ওভারে রাইডার আউট না হলে কিউইদের হাসিটা চওড়া থাকত আরও। তবে গোধূলিবেলায় আউট হওয়ার হতাশার চেয়ে তার আগে যা করেছেন, সেই তৃপ্তিতেই বেশি আচ্ছন্ন থাকবেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দীর্ঘ বিরতির পর খেলতে নেমে সেঞ্চুরি পেয়েছেন বলেই শুধু নয়, রান পেলেন যে নিজের ও দলের বড় প্রয়োজনের সময়! কনুইয়ের চোট তাঁকে দীর্ঘদিন রেখেছিল দলের বাইরে, কিন্তু ‘খবর’ হয়েছেন অনেকবার। যথারীতি নেতিবাচক সব কারণে। বিরুদ্ধ স্রোতে চলার অভ্যাস তাঁর সব সময়ই। যে যুগে আর সবকিছুর আগে ফিটনেস, সেখানে আশ্চর্য ব্যতিক্রম হয়ে বয়ে চলেছেন ইনজামাম-উল হকের অলস সৌন্দর্যের ধারা। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ছায়াসঙ্গী বিতর্ক। ‘আমিই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট’—মাতাল অবস্থায় দেওয়া তাঁর এই ‘বাণী’ অমর হয়ে গেছে ক্রিকেট ইতিহাসেই। শৃঙ্খলা ভঙ্গের হাজারো ঘটনার পরও পার পেয়ে গেছেন বারবার। কেন, তাঁর একটা নমুনা দেখালেন কাল—প্রতিভা, সামর্থ্য আর পারফরম্যান্স।
সেঞ্চুরি করেছেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো বল খেলেছেন ২০৫টি। নিজের স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক মানসিকতাকে খোলসবন্দী করে রেখেছিলেন পরিস্থিতির দাবি মেটাতে। তৃতীয় উইকেটে ১০৪ রানের জুটি গড়ার পর ম্যাককালাম-টেলর ফিরে যান ৬ রানের ব্যবধানে। পরিস্থিতি চাইছিল বড় একটা জুটি। পঞ্চম উইকেটে উইলিয়ামসনকে নিয়ে সেই দাবি মিটিয়েছেন রাইডার, জুটিতে দুজনে উইকেটে কাটিয়ে দিয়েছেন ৬৮.১ ওভার। শ্রীশান্তকে দারুণ এক কভার ড্রাইভে ৪ মেরে শতক ছোঁয়ার পরের বলেই এলবিডব্লু হয়ে যান রাইডার। এই নিয়ে তিন টেস্ট সেঞ্চুরির সবগুলোই করলেন ভারতের বিপক্ষে। কালকের ইনিংসটির জন্য অবশ্য কৃতজ্ঞ থাকতে পারেন রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে, ১১ রানে তাঁর সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন দ্রাবিড়।
কঠিন একটা পরীক্ষা ছিল উইলিয়ামসনেরও। টানা দুই ম্যাচে শূন্য করে ওয়ানডে অভিষেক। বাংলাদেশ সফরে নিউজিল্যান্ডের একমাত্র সেঞ্চুরিটি করে সামর্থ্য কিছুটা প্রমাণ করেছেন। তবে টেস্ট অভিষেকের সময় ওয়ানডে অভিষেকের স্মৃতি তাঁর মনে না পড়ে পারেই না! কাল শুরুতে একটু নড়বড়ে থাকলেও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। একপর্যায়ে উইকেটকিপারসহ সাতজন ফিল্ডার ঘিরে ছিলেন তাঁকে। কিন্তু চিড় ধরেনি মনঃসংযোগে। নিউজিল্যান্ডের ‘মাইকেল ক্লার্ক’ এখন দাঁড়িয়ে ক্লার্কের মতোই এক কীর্তি গড়ার সামনে। অভিষেকেই ভারতের মাটিতে সেঞ্চুরি!
No comments