আরও লজ্জার সামনে অস্ট্রেলিয়া
‘কেবলই হতাশার’। শিরোনামটি সিডনির ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর। দ্য অস্ট্রেলিয়ান পুরো অবস্থা বোঝাতে বেছে নিয়েছে যন্ত্রণাদগ্ধ শেন ওয়াটসনের মুখবিকৃতি। নিচে লেখা: ‘দুর্ভাগা’। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড-এর চোখে অস্ট্রেলিয়া খেলছে ‘এলোমেলো ক্রিকেট’।
প্রথমবারের মতো নিজেদের মাটিতে শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হেরে যাওয়ার পর এভাবেই আরেক দফা দেশের সংবাদমাধ্যমে ধোলাই হয়েছে রিকি পন্টিংয়ের দল। আর যাদের নিয়ে এই শোরগোল, তাদের পালিয়ে বাঁচার পথ সংকীর্ণ। অস্ট্রেলিয়াকে আজই নেমে পড়তে হচ্ছে লজ্জার একটি রেকর্ডের শঙ্কা নিয়ে। আজ হারলে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময়টার সাক্ষী হয়ে থাকবে এই দল। টানা আটটি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া তাদের ইতিহাসে কখনোই হারেনি।
গত ম্যাচ শেষেই পন্টিং দলকে আড়াল করার বৃথা চেষ্টা করে বলেছিলেন, একের পর এক পরাজয়েও নাকি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, ‘যে ম্যাচগুলোয় আমরা হেরেছি, এর অনেকগুলোতেই কিন্তু জিততেও পারতাম। ম্যাচে আমাদের অবস্থা ছিল সে রকমই।’ ফলাফল যা বলছে, অস্ট্রেলিয়া ততটা খারাপ অবস্থায় নেই বলেই পন্টিংয়ের মত।
পন্টিং নিজে অবশ্য আজ থাকছেন না। দুয়ারে দাঁড়িয়ে অ্যাশেজ। অর্থহীন হয়ে পড়া এই ওয়ানডে খেলার চেয়ে শেফিল্ড শিল্ডের প্রথম শ্রেণীর ম্যাচটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কাছে। দলের নির্বাচক গ্রেগ চ্যাপেলও বলছেন, এই সিরিজের কথা ভুলে যাওয়াই ভালো। এর চেয়ে দল বরং অ্যাশেজ নিয়েই ভাবুক।
চাইলেও কি আর ব্রিসবেনের ওয়ানডে থেকে মনোযোগ সরিয়ে রাখতে পারছে অস্ট্রেলিয়া! বরং ‘মৃত রাবার’টিও উত্তেজনা ছড়াচ্ছে হোয়াইটওয়াশের সম্ভাবনা জাগায়। নিজেদের মাঠে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া হোয়াইটওয়াশ এর আগে কখনোই হয়নি। টেস্টেও যে একবার এই লজ্জায় পড়তে হয়েছিল, সেটিও সেই ১৮৮৬-৮৭ মৌসুমের ঘটনা।
আবারও নেতৃত্ব ফিরে পাওয়া মাইকেল ক্লার্কের কাঁধে তাই বিশাল দায়িত্ব। এই ম্যাচটা জেতার জন্য অস্ট্রেলিয়া মরিয়া চেষ্টাই করবে। কিন্তু এও আশঙ্কার কথা, ক্লার্ক অধিনায়ক থাকলে দলে না আবার উল্টো গোপন বিদ্রোহ হয়। ক্লার্কির নেতৃত্ব মেনে নিতে দলের অনেকেই রাজি নয় বলে গুঞ্জন। পন্টিং অবশ্য জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে আবার ছুটি নেওয়ার আগে বলে গেলেন, ‘এ ধরনের সব খবরই বানোয়াট।’
এই ঘোরতর দুঃসময়ে অস্ট্রেলিয়ার জন্য কিছু সুসংবাদ দিতে পারে কেবল পরিসংখ্যান। গ্যাবার এই মাঠে অস্ট্রেলিয়া কখনোই শ্রীলঙ্কার কাছে হারেনি, টেস্টেও না। অধিনায়ক হিসেবে যে ক্লার্কের নেতৃত্বগুণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সেটিও পরিসংখ্যান নাকচ করে দেয়। ১৭ ওয়ানডের ১২টিই জিতিয়েছেন অধিনায়ক ক্লার্ক, দলের দায়িত্ব পেলে ব্যাটিংটাও ভালো হয়ে যায় তাঁর। ৫ সেঞ্চুরির দুটোই করেছেন অধিনায়ক থাকার সময়। ব্যাটিং-গড়ও এ সময় বেড়ে হয়ে যায় ৪৮-এর মতো।
প্রথমবারের মতো নিজেদের মাটিতে শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হেরে যাওয়ার পর এভাবেই আরেক দফা দেশের সংবাদমাধ্যমে ধোলাই হয়েছে রিকি পন্টিংয়ের দল। আর যাদের নিয়ে এই শোরগোল, তাদের পালিয়ে বাঁচার পথ সংকীর্ণ। অস্ট্রেলিয়াকে আজই নেমে পড়তে হচ্ছে লজ্জার একটি রেকর্ডের শঙ্কা নিয়ে। আজ হারলে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময়টার সাক্ষী হয়ে থাকবে এই দল। টানা আটটি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া তাদের ইতিহাসে কখনোই হারেনি।
গত ম্যাচ শেষেই পন্টিং দলকে আড়াল করার বৃথা চেষ্টা করে বলেছিলেন, একের পর এক পরাজয়েও নাকি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, ‘যে ম্যাচগুলোয় আমরা হেরেছি, এর অনেকগুলোতেই কিন্তু জিততেও পারতাম। ম্যাচে আমাদের অবস্থা ছিল সে রকমই।’ ফলাফল যা বলছে, অস্ট্রেলিয়া ততটা খারাপ অবস্থায় নেই বলেই পন্টিংয়ের মত।
পন্টিং নিজে অবশ্য আজ থাকছেন না। দুয়ারে দাঁড়িয়ে অ্যাশেজ। অর্থহীন হয়ে পড়া এই ওয়ানডে খেলার চেয়ে শেফিল্ড শিল্ডের প্রথম শ্রেণীর ম্যাচটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কাছে। দলের নির্বাচক গ্রেগ চ্যাপেলও বলছেন, এই সিরিজের কথা ভুলে যাওয়াই ভালো। এর চেয়ে দল বরং অ্যাশেজ নিয়েই ভাবুক।
চাইলেও কি আর ব্রিসবেনের ওয়ানডে থেকে মনোযোগ সরিয়ে রাখতে পারছে অস্ট্রেলিয়া! বরং ‘মৃত রাবার’টিও উত্তেজনা ছড়াচ্ছে হোয়াইটওয়াশের সম্ভাবনা জাগায়। নিজেদের মাঠে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া হোয়াইটওয়াশ এর আগে কখনোই হয়নি। টেস্টেও যে একবার এই লজ্জায় পড়তে হয়েছিল, সেটিও সেই ১৮৮৬-৮৭ মৌসুমের ঘটনা।
আবারও নেতৃত্ব ফিরে পাওয়া মাইকেল ক্লার্কের কাঁধে তাই বিশাল দায়িত্ব। এই ম্যাচটা জেতার জন্য অস্ট্রেলিয়া মরিয়া চেষ্টাই করবে। কিন্তু এও আশঙ্কার কথা, ক্লার্ক অধিনায়ক থাকলে দলে না আবার উল্টো গোপন বিদ্রোহ হয়। ক্লার্কির নেতৃত্ব মেনে নিতে দলের অনেকেই রাজি নয় বলে গুঞ্জন। পন্টিং অবশ্য জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে আবার ছুটি নেওয়ার আগে বলে গেলেন, ‘এ ধরনের সব খবরই বানোয়াট।’
এই ঘোরতর দুঃসময়ে অস্ট্রেলিয়ার জন্য কিছু সুসংবাদ দিতে পারে কেবল পরিসংখ্যান। গ্যাবার এই মাঠে অস্ট্রেলিয়া কখনোই শ্রীলঙ্কার কাছে হারেনি, টেস্টেও না। অধিনায়ক হিসেবে যে ক্লার্কের নেতৃত্বগুণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সেটিও পরিসংখ্যান নাকচ করে দেয়। ১৭ ওয়ানডের ১২টিই জিতিয়েছেন অধিনায়ক ক্লার্ক, দলের দায়িত্ব পেলে ব্যাটিংটাও ভালো হয়ে যায় তাঁর। ৫ সেঞ্চুরির দুটোই করেছেন অধিনায়ক থাকার সময়। ব্যাটিং-গড়ও এ সময় বেড়ে হয়ে যায় ৪৮-এর মতো।
No comments