অবকাঠামো সমস্যায় দর্শনা স্থলবন্দর ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা
নানা ধরনের সংকটের মুখে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্থলবন্দর। অবকাঠামোর অপ্রতুলতা ও রেল-যোগাযোগে সমস্যার কারণে ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন।
এর ফলে এই স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমেছে।
জানা গেছে, চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরে দর্শনা স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কিন্তু অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র সাত কোটি ৬০ লাখ ৮২২ টাকা, যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নানা ধরনের পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে আমদানিকারকেরা এ বন্দর ব্যবহারে নিরুত্সাহিত হওয়ায় এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কমেছে, যে কারণে রাজস্ব আদায়ে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে এই বন্দরের রাজস্ব আয় হয় ৩৫ কোটি ৮৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৬ টাকা, যা ২০০৬-০৭ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়ায় ৭৭ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ৫২৮ টাকা। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭-০৮ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়ে এক লাফে প্রায় ১১৮ কোটি ৬২ লাখ ৮৮ হাজার টাকায় উন্নীত হয়। কিস্তু ২০০৮-০৯ অর্থবছরে আবার তা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৮ কোটি ৮৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
এ প্রসঙ্গে দর্শনা স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের তত্ত্বাবধায়ক মো. রেজাউল হক প্রথম আলোকে জানান, একসময় এ বন্দর দিয়ে সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার, চিনি, গম, চালসহ ১৫-১৬ ধরনের পণ্য আমদানি হলেও এক বছর ধরে তা দু-তিনটিতে নেমে এসেছে। বর্তমানে শুধু ভুট্টা ও সয়াবিন ভুসি আমদানি হচ্ছে। কিন্তু এ দুটি পণ্য আমদানির ওপর কোনো সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) নেই। মাঝেমধ্যে শিলপাটা আমদানি হওয়ায় কিছু রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে।
দর্শনা স্থলবন্দর ব্যবহারকারী একাধিক আমদানিকারক এ প্রতিনিধিকে জানান, এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি এখনো রেলপথেই সীমাবদ্ধ। রেলপথে পণ্য আমদানি করতে হলে এক র্যাক অর্থাত্ সব কটি বগিতে করেই পণ্য বহন করতে হয়। সে জন্য ট্রেনযোগে পণ্য আমদানিকারকের সংখ্যা কম।
আমদানিকারকেরা আরও বলেন, স্থলপথে পণ্য পরিবহন চালু না হওয়া পর্যন্ত মাঝারি মাপের ব্যববসায়ীদের এক-দুই বগি করে পণ্য বহনের সুযোগ দেওয়া হলে আবারও এ বন্দরে আমদানি ও রাজস্ব দুটোই বাড়বে।
এ ছাড়া আমদানিকারকেরা বন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়ে বলেন, এ বন্দর থেকে খালাসের আগ পর্যন্ত পণ্য নিয়ে লুটপাট চলে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের স্থানীয় নেতাদের মদদে একশ্রেণীর উচ্ছৃঙ্খল ক্যাডার পণ্য লুটপাট করে থাকে, যাদের বিরুদ্ধে বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী বা কর্তৃপক্ষ কেউই পদক্ষেপ নিতে পারে না। এটিও এ বন্দর দিয়ে আমদানি কমার একটি কারণ।
তবে দর্শনা স্থলবন্দরে নিয়োজিত নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর উপপরিদর্শক আবদুল মজিদ দাবি করেন, বর্তমানে এখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা অনেক ভালো।
দর্শনা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান জানান, ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয়, সেগুলোর দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ কম হয়। সে জন্য এ বন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা ভারতীয় পণ্য আমদানিতে নিরুত্সাহ বোধ করছেন।
জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান, উচ্চমূল্যের কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে ভারত থেকে চাল, ডাল ও গম আমদানি বন্ধ রয়েছে, যে কারণে বন্দরের রাজস্ব আদায়েও বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
এর ফলে এই স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমেছে।
জানা গেছে, চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরে দর্শনা স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কিন্তু অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র সাত কোটি ৬০ লাখ ৮২২ টাকা, যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নানা ধরনের পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে আমদানিকারকেরা এ বন্দর ব্যবহারে নিরুত্সাহিত হওয়ায় এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কমেছে, যে কারণে রাজস্ব আদায়ে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে এই বন্দরের রাজস্ব আয় হয় ৩৫ কোটি ৮৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৬ টাকা, যা ২০০৬-০৭ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়ায় ৭৭ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ৫২৮ টাকা। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭-০৮ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়ে এক লাফে প্রায় ১১৮ কোটি ৬২ লাখ ৮৮ হাজার টাকায় উন্নীত হয়। কিস্তু ২০০৮-০৯ অর্থবছরে আবার তা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৮ কোটি ৮৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
এ প্রসঙ্গে দর্শনা স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের তত্ত্বাবধায়ক মো. রেজাউল হক প্রথম আলোকে জানান, একসময় এ বন্দর দিয়ে সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার, চিনি, গম, চালসহ ১৫-১৬ ধরনের পণ্য আমদানি হলেও এক বছর ধরে তা দু-তিনটিতে নেমে এসেছে। বর্তমানে শুধু ভুট্টা ও সয়াবিন ভুসি আমদানি হচ্ছে। কিন্তু এ দুটি পণ্য আমদানির ওপর কোনো সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) নেই। মাঝেমধ্যে শিলপাটা আমদানি হওয়ায় কিছু রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে।
দর্শনা স্থলবন্দর ব্যবহারকারী একাধিক আমদানিকারক এ প্রতিনিধিকে জানান, এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি এখনো রেলপথেই সীমাবদ্ধ। রেলপথে পণ্য আমদানি করতে হলে এক র্যাক অর্থাত্ সব কটি বগিতে করেই পণ্য বহন করতে হয়। সে জন্য ট্রেনযোগে পণ্য আমদানিকারকের সংখ্যা কম।
আমদানিকারকেরা আরও বলেন, স্থলপথে পণ্য পরিবহন চালু না হওয়া পর্যন্ত মাঝারি মাপের ব্যববসায়ীদের এক-দুই বগি করে পণ্য বহনের সুযোগ দেওয়া হলে আবারও এ বন্দরে আমদানি ও রাজস্ব দুটোই বাড়বে।
এ ছাড়া আমদানিকারকেরা বন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়ে বলেন, এ বন্দর থেকে খালাসের আগ পর্যন্ত পণ্য নিয়ে লুটপাট চলে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের স্থানীয় নেতাদের মদদে একশ্রেণীর উচ্ছৃঙ্খল ক্যাডার পণ্য লুটপাট করে থাকে, যাদের বিরুদ্ধে বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী বা কর্তৃপক্ষ কেউই পদক্ষেপ নিতে পারে না। এটিও এ বন্দর দিয়ে আমদানি কমার একটি কারণ।
তবে দর্শনা স্থলবন্দরে নিয়োজিত নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর উপপরিদর্শক আবদুল মজিদ দাবি করেন, বর্তমানে এখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা অনেক ভালো।
দর্শনা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান জানান, ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয়, সেগুলোর দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ কম হয়। সে জন্য এ বন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা ভারতীয় পণ্য আমদানিতে নিরুত্সাহ বোধ করছেন।
জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান, উচ্চমূল্যের কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে ভারত থেকে চাল, ডাল ও গম আমদানি বন্ধ রয়েছে, যে কারণে বন্দরের রাজস্ব আদায়েও বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
No comments