‘চিলির পুনর্গঠনে ব্যয় হবে তিন হাজার কোটি ডলার’

চিলির নতুন প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা বলেছেন, জানুয়ারির ভূমিকম্পের পর দেশটির পুনর্গঠনে অন্তত তিন হাজার কোটি ডলার খরচ হবে। প্রথম দিন অফিস করার পর তিনি বলেন, প্রাপ্ত ঋণ এবং এ খাতে বরাদ্দের অর্থ বাড়িঘর ও শিল্প-কারখানার অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে ব্যয় করা হবে।
রাজধানী সান্তিয়াগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে পিনেরা বলেন, তিনি দেশ পুনর্গঠনে অন্য দেশগুলোর কাছেও সহযোগিতা চাইবেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলি এখন ভয়ানক দরিদ্র হয়ে পড়েছে। তবে সরকার চায়, কপার রপ্তানি করে অর্জিত আয়ের একটি অংশ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ করা হবে। উল্লেখ্য, চিলি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কপার উত্পাদনকারী দেশ। পিনেরা বলেন, কপারের দাম আগের মতোই আছে। তাই মূল্যবান এই সম্পদটি বিক্রি করে তা দেশ পুনর্গঠনের কাজে লাগানো যাবে।
এর আগে দেশটির অর্থমন্ত্রী ফেলিপ লারাইন বলেছিলেন, ঋণ বাবদ কত অর্থ বরাদ্দ করা হবে, সরকার এখনো তা ঠিক করেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি জানায়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খুব কম ঝুঁকির দেশ হওয়ায় লাতিন আমেরিকার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ‘মডেল’ বলে খ্যাত চিলি সহজেই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।
গত শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে পিনেরা বলেন, তিন লাখ বাড়িসহ স্কুল ও রাস্তাঘাট নতুন করে তৈরির জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হবে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৮ দশমিক ৮ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেশটির প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত ও বহু নিখোঁজ হয়। গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পিনেরার অভিষেকের দিনেও ৬ দশমিক ৯ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ভূমিকম্পের পর চিলির কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত ৪৯৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। প্রেসিডেন্ট পিনেরা অবশ্য মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে স্বীকার করেছেন।
এ ছাড়া বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ভূমিকম্প এবং এর পরবর্তী সুনামিতে দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকায় পাঁচ লাখেরও বেশি বাড়ি ধ্বংস অথবা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.