গর্বের হাসি থেকে ক্ষোভের বিস্ফোরণ
আর একটু হলেই ব্যাপারটা মতিঝিলের রাজপথে গড়ায়! বাংলাদেশের ফুটবল কর্মকর্তাদের অভিসম্পাত করতে থাকা জোরান জর্জেভিচ দুই সঙ্গীকে নিয়ে হেঁটে বাফুফে ভবন থেকে প্রধান ফটকে চলে এসেছেন। পেছনে সাংবাদিকের দল, সামনে ক্যামেরার হুড়োহুড়ি। মাঝখানে কত অনুরোধ, কত মিনতি—সবকিছুকেই ‘ব্যাকহিল’ করে জর্জেভিচ রাস্তায় নেমে পড়লেন বলে...! ঠিক ওই সময় তাঁর সামনে এসে দাঁড়ান বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আল মুসাব্বির। ভাগ্য ভালো সাধারণ সম্পাদকের অনুরোধটা রেখে জর্জেভিচ আর হেঁটে রাজপথে নামলেন না। বাফুফে ভবন ত্যাগ করলেন গাড়িতে চড়ে।
হ্যাঁ, কাল শেষ পর্যন্ত জর্জেভিচের জন্য বাফুফের অনুরোধ পর্ব এই পর্যায়েই নেমে এসেছিল—কোচ যেন হেঁটে না গিয়ে গাড়িতে চড়ে হোটেলে ফেরেন। এর আগে বাফুফের একটার পর একটা অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন এই সার্বিয়ান। অন্যায্য দাবি তুলে প্রথমে প্রত্যাখ্যান করেছেন চ্যালেঞ্জ কাপে দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার প্রস্তাব। এরপর গণমাধ্যমের সামনে বাফুফে ও বাফুফে কর্মকর্তাদের যাচ্ছেতাই বললেন, অভিযোগ তুললেন তাঁকে নাকি তাঁর প্রাপ্য টাকা-পয়সাও দেওয়া হয়নি। সহসভাপতি বাদল রায় তখন জর্জেভিচের গাড়ির কাছে এসে বলেন, ১০ মিনিট অপেক্ষা করে যেন টাকা-পয়সা নিয়েই বিদায় হন তিনি। জর্জেভিচ সে অনুরোধও রাখেননি। ‘ত্যক্ত-বিরক্ত-ক্ষুব্ধ’ কোচ তখনই গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা দেন।
এর আগে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে, উত্তেজিত ভঙ্গিতে বাফুফের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন জর্জেভিচ। বাফুফে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘এরা নিজেদের জন্য কাজ করে। বাংলাদেশ ফুটবলের মঙ্গলের জন্য কাজ করে না। আমি খুবই হতাশ।’ কথা যত এগোয়, বাফুফে ভবনের বারান্দায় গলা তত চড়ে যায় জর্জেভিচের, ‘এদের হাতে ফুটবলের কোনো ভবিষ্যত্ নেই। এঁরা এক দল গ্যাংস্টার। আমি ফুটবলের মানুষ, ফিফাও জানে জোরান (জর্জেভিচ) কে। কিন্তু এই মানুষগুলো ফুটবলের স্বার্থে কাজ করে না।’
বাফুফে কী করলে জর্জেভিচের মনে হতো কাজী সালাউদ্দিনরা ফুটবলের স্বার্থ দেখছেন, সেটা অবশ্য খুলে বলেননি। ঘুরেফিরে একটাই অভিযোগ করে গেছেন কোচ, ‘এখন পর্যন্ত আমি বা আমার সহকারীরা একটি ডলারও পাইনি। অথচ আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করেছি, যেমনটা করি নিজের দেশের জন্য।’ একটু পর এটাও বলেন, ‘টাকাটা সমস্যা না। তাদের কোনো লক্ষ্যই নেই। বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যত্ ভেবে আমার কষ্ট হচ্ছে।’ জর্জেভিচের দাবি, বাফুফের সঙ্গে তাঁর চুক্তি এক মাসেরই ছিল এবং সেটা এর মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। দাবির পক্ষে প্রমাণ দেখাতে বাফুফে আর তাঁর মধ্যে চালাচালি হওয়া দুটো চিঠির অনুলিপি সাংবাদিকদের দেন। দুটো চিঠিতেই অবশ্য লেখা, বাফুফের সঙ্গে তাঁর চুক্তিটা ২০১০-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত!
জর্জেভিচের সব রাগ-ক্ষোভ আসলে একটা কারণেই—তাঁর চার বছরের চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বাফুফের দরজায়। খোদ প্রধানমন্ত্রী যেখানে জর্জেভিচের ‘সাহায্য’ চেয়েছেন, সেখানে বাফুফের মন না গলাটা তাঁর জন্য মনঃকষ্টেরই। জর্জেভিচই বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছেন, “কোচ, দয়া করে আপনার খেলোয়াড়দের নিয়ে আমাদের দেশকে গর্বিত করুন।” আমিও তাঁদের বলেছি, আমি, আমার স্টাফ এবং আমার খেলোয়াড়েরা কখনোই আপনাদের হতাশ করব না।’
বিধি বাম! জর্জেভিচকেই এখন হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে দেশে...।
হ্যাঁ, কাল শেষ পর্যন্ত জর্জেভিচের জন্য বাফুফের অনুরোধ পর্ব এই পর্যায়েই নেমে এসেছিল—কোচ যেন হেঁটে না গিয়ে গাড়িতে চড়ে হোটেলে ফেরেন। এর আগে বাফুফের একটার পর একটা অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন এই সার্বিয়ান। অন্যায্য দাবি তুলে প্রথমে প্রত্যাখ্যান করেছেন চ্যালেঞ্জ কাপে দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার প্রস্তাব। এরপর গণমাধ্যমের সামনে বাফুফে ও বাফুফে কর্মকর্তাদের যাচ্ছেতাই বললেন, অভিযোগ তুললেন তাঁকে নাকি তাঁর প্রাপ্য টাকা-পয়সাও দেওয়া হয়নি। সহসভাপতি বাদল রায় তখন জর্জেভিচের গাড়ির কাছে এসে বলেন, ১০ মিনিট অপেক্ষা করে যেন টাকা-পয়সা নিয়েই বিদায় হন তিনি। জর্জেভিচ সে অনুরোধও রাখেননি। ‘ত্যক্ত-বিরক্ত-ক্ষুব্ধ’ কোচ তখনই গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা দেন।
এর আগে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে, উত্তেজিত ভঙ্গিতে বাফুফের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন জর্জেভিচ। বাফুফে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘এরা নিজেদের জন্য কাজ করে। বাংলাদেশ ফুটবলের মঙ্গলের জন্য কাজ করে না। আমি খুবই হতাশ।’ কথা যত এগোয়, বাফুফে ভবনের বারান্দায় গলা তত চড়ে যায় জর্জেভিচের, ‘এদের হাতে ফুটবলের কোনো ভবিষ্যত্ নেই। এঁরা এক দল গ্যাংস্টার। আমি ফুটবলের মানুষ, ফিফাও জানে জোরান (জর্জেভিচ) কে। কিন্তু এই মানুষগুলো ফুটবলের স্বার্থে কাজ করে না।’
বাফুফে কী করলে জর্জেভিচের মনে হতো কাজী সালাউদ্দিনরা ফুটবলের স্বার্থ দেখছেন, সেটা অবশ্য খুলে বলেননি। ঘুরেফিরে একটাই অভিযোগ করে গেছেন কোচ, ‘এখন পর্যন্ত আমি বা আমার সহকারীরা একটি ডলারও পাইনি। অথচ আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করেছি, যেমনটা করি নিজের দেশের জন্য।’ একটু পর এটাও বলেন, ‘টাকাটা সমস্যা না। তাদের কোনো লক্ষ্যই নেই। বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যত্ ভেবে আমার কষ্ট হচ্ছে।’ জর্জেভিচের দাবি, বাফুফের সঙ্গে তাঁর চুক্তি এক মাসেরই ছিল এবং সেটা এর মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। দাবির পক্ষে প্রমাণ দেখাতে বাফুফে আর তাঁর মধ্যে চালাচালি হওয়া দুটো চিঠির অনুলিপি সাংবাদিকদের দেন। দুটো চিঠিতেই অবশ্য লেখা, বাফুফের সঙ্গে তাঁর চুক্তিটা ২০১০-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত!
জর্জেভিচের সব রাগ-ক্ষোভ আসলে একটা কারণেই—তাঁর চার বছরের চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বাফুফের দরজায়। খোদ প্রধানমন্ত্রী যেখানে জর্জেভিচের ‘সাহায্য’ চেয়েছেন, সেখানে বাফুফের মন না গলাটা তাঁর জন্য মনঃকষ্টেরই। জর্জেভিচই বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছেন, “কোচ, দয়া করে আপনার খেলোয়াড়দের নিয়ে আমাদের দেশকে গর্বিত করুন।” আমিও তাঁদের বলেছি, আমি, আমার স্টাফ এবং আমার খেলোয়াড়েরা কখনোই আপনাদের হতাশ করব না।’
বিধি বাম! জর্জেভিচকেই এখন হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে দেশে...।
No comments