জাপান গার্ডেন সিটির দুর্ঘটনা -এ মৃত্যুর জবাব কী
মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটিতে আগুন লেগে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যুর ঘটনাটি যেমন হূদয়বিদারক তেমনি আমাদের নগরজীবনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এ মৃত্যুর জবাব কী? বহুতল আবাসিক ভবনগুলোয় নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ-ব্যবস্থাসহ যেসব অত্যাবশ্যক সুযোগ-সুবিধা থাকা প্রয়োজন, তা অনেক ভবনেই নেই। জাপান গার্ডেন সিটি মহানগরের বৃহত্তম আবাসিক কমপ্লেক্স হলেও সেখানে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নেই বলে বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা গার্ডেন সিটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গেরও অভিযোগ এনেছেন। এসব অভিযোগ যে একেবারে ভিত্তিহীন, তা বলা যাবে না। এক হাজার ৮০৩টি ফ্ল্যাটের এই আবাসিক কমপ্লেক্সে মসজিদ, খেলার মাঠ ও পার্কের সুবিধা না থাকাও অস্বাভাবিক।
অগ্নিনির্বাপণ কর্তৃপক্ষ বলেছে, অপ্রশস্ত সড়কের কারণে জাপান গার্ডেন সিটিতে গাড়ি নিয়ে যেতে বেগ পেতে হয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে যেতে তাদের বিলম্ব ঘটেছে। সময়মতো সেখানে পৌঁছাতে পারলে হয়তো পরিবারটিকে রক্ষা করা যেত। অতএব এ দুর্ঘটনার দায় গার্ডেন সিটি কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬ নম্বর ভবনের ১১তম তলার একটি ফ্ল্যাটে এক বছর ধরে মিস্ত্রিরা কাঠের কাজ করছিল, তাদের ফেলা সিগারেট থেকে আগুন লাগতে পারে। আবাসিক ফ্ল্যাটে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। নাগরিক জীবনে একজনের সামান্য ভুল যে আরও অনেকের জন্য অসামান্য ক্ষতি বয়ে আনতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
মহানগরে যেকোনো ভবন নির্মাণ করতে হলে কিছু পূর্বশর্ত পূরণ করতে হয়। বহুতল ভবন হলে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ-ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক। জাপান গার্ডেন সিটির ক্ষেত্রে কোথায় ত্রুটি ছিল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু জাপান গার্ডেন সিটি নয়, মহানগরের যত্রতত্র এ ধরনের বহু আবাসিক ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স গড়ে উঠেছে, যেখানে নিয়ম অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। রাজউক মহানগরের অননুমোদিত ভবন ভাঙার তোড়জোড় চালাচ্ছে, ভালো কথা। একটি ভবন নির্মাণ করতে রাজউক ছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বহু সংস্থার ছাড়পত্র নিতে হয়। সেসব ছাড়পত্রই বা তারা কীভাবে ও কাদের কাছ থেকে জোগাড় করল? এর পেছনে বাঁ হাতের কারসাজি আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কেউ যাতে অননুমোদিতভাবে ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে, সে ব্যাপারে রাজউকের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে।
জাপান গার্ডেন সিটির দুর্ঘটনায় যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা যাবে না । কিন্তু ভবিষ্যতে অনুরূপ দুর্ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে, সে জন্যই সেখানকার বাসিন্দাদের আনীত অনিয়ম ও আইন ভঙ্গের অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। গার্ডেন সিটি কর্তৃপক্ষ সত্যি সত্যি আইন ভেঙে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সেখানকার বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধা বিশেষ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
অগ্নিনির্বাপণ কর্তৃপক্ষ বলেছে, অপ্রশস্ত সড়কের কারণে জাপান গার্ডেন সিটিতে গাড়ি নিয়ে যেতে বেগ পেতে হয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে যেতে তাদের বিলম্ব ঘটেছে। সময়মতো সেখানে পৌঁছাতে পারলে হয়তো পরিবারটিকে রক্ষা করা যেত। অতএব এ দুর্ঘটনার দায় গার্ডেন সিটি কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬ নম্বর ভবনের ১১তম তলার একটি ফ্ল্যাটে এক বছর ধরে মিস্ত্রিরা কাঠের কাজ করছিল, তাদের ফেলা সিগারেট থেকে আগুন লাগতে পারে। আবাসিক ফ্ল্যাটে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। নাগরিক জীবনে একজনের সামান্য ভুল যে আরও অনেকের জন্য অসামান্য ক্ষতি বয়ে আনতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
মহানগরে যেকোনো ভবন নির্মাণ করতে হলে কিছু পূর্বশর্ত পূরণ করতে হয়। বহুতল ভবন হলে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ-ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক। জাপান গার্ডেন সিটির ক্ষেত্রে কোথায় ত্রুটি ছিল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু জাপান গার্ডেন সিটি নয়, মহানগরের যত্রতত্র এ ধরনের বহু আবাসিক ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স গড়ে উঠেছে, যেখানে নিয়ম অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। রাজউক মহানগরের অননুমোদিত ভবন ভাঙার তোড়জোড় চালাচ্ছে, ভালো কথা। একটি ভবন নির্মাণ করতে রাজউক ছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বহু সংস্থার ছাড়পত্র নিতে হয়। সেসব ছাড়পত্রই বা তারা কীভাবে ও কাদের কাছ থেকে জোগাড় করল? এর পেছনে বাঁ হাতের কারসাজি আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কেউ যাতে অননুমোদিতভাবে ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে, সে ব্যাপারে রাজউকের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে।
জাপান গার্ডেন সিটির দুর্ঘটনায় যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা যাবে না । কিন্তু ভবিষ্যতে অনুরূপ দুর্ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে, সে জন্যই সেখানকার বাসিন্দাদের আনীত অনিয়ম ও আইন ভঙ্গের অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। গার্ডেন সিটি কর্তৃপক্ষ সত্যি সত্যি আইন ভেঙে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সেখানকার বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধা বিশেষ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
No comments