আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান শুরু
২০০১ সালে তালেবান সরকারের পতনের পর আফগানিস্তানে তালেবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযান শুরু হয়েছে এবার। ইতিমধ্যে অভিযানে ২০ তালেবান জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ন্যাটো বাহিনী। অভিযানে অংশ নিচ্ছেন ১৫ হাজারেরও বেশি মার্কিন, ব্রিটিশ ও আফগান সেনা। তালেবাননিয়ন্ত্রিত মারজাহ শহরের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ওই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এদিকে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে দুটি বোমা হামলায় গতকাল চার মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে।
অপারেশন ‘মোশতারাক’ নামের ওই অভিযান শুরু হওয়ার আগে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন অনেক স্থানীয় অধিবাসী। বেসামরিক লোকজনের হতাহতের সংখ্যা সীমিত রাখার জন্য অভিযানের আগে মারজাহ শহরে ন্যাটোর হেলিকপ্টার থেকে প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে।
হেলমান্দ থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, অনেক মানুষ এখনো শহরে রয়ে গেছেন। তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলা প্রতিরোধে তাঁরাও পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে ন্যাটো কমান্ডার মেজর জেনারেল নিক কার্টার বিবিসিকে বলেছেন, অভিযান এ পর্যন্ত খুবই সফল।
অভিযান মোকাবিলায় তালেবানের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় অনেক বোমা পেতে রাখা হয়েছে—এমন আশংকা করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার অপারেশন মোশতারাকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্রিটিশ সেনা বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বব আইনসওয়ার্থ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সামনের দিনগুলোয় আরও অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
অপারেশন মোশতারাকে নেতৃত্ব দিচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী। কিন্তু অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন চার হাজার ব্রিটিশ সেনা। এ ছাড়া কানাডা, ডেনমার্ক ও এস্তোনিয়ার সেনারাও অভিযানে সমর্থন দিচ্ছেন। গতকাল শনিবার সূর্যাস্তের আগে অভিযান শুরু হয়। মার্কিন মেরিন বাহিনী ও আফগান সেনা সদস্যরা হেলিকপ্টার থেকে মারজাহ অবতরণ করেন।
একজন জ্যেষ্ঠ ন্যাটো কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, গত বৃহস্পতিবার অভিযান শুরুর বিষয়টি অনুমোদন করেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। অভিযানে বেসামরিক জনগণ যাতে হতাহত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কারজাই।
এক বিবৃতিতে তিনি বেসামরিক লোকজনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সম্পূর্ণ সতর্ক থাকতে আফগান ও আন্তর্জাতিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে রণাঙ্গন থেকে হতাহতের খবর আসতে শুরু করেছে। ন্যাটো বাহিনী দাবি করেছে, হামলায় এ পর্যন্ত ২০ তালেবান জঙ্গি নিহত হয়েছে।
হেলমান্দের গভর্নর মোহাম্মদ গুলাব মঙ্গল সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিরোধ এলে প্রতিহত করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ৬০টি হেলিকপ্টার থেকে সেনারা মারজাহ শহরে অবতরণ করেন। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১১টি জায়গা দখল করে নিয়েছে সেনা সদস্যরা। গভর্নর আরও জানান, ওই এলাকায় অনেক ভূমি-মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে। শনাক্ত করার পর সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে।
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে দুটি বোমা হামলায় চার মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। ন্যাটোর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনী (আইএসএএফ) এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে হেলমান্দের দক্ষিণে মারজায় বোমা হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহতের কথা জানায়। এ ছাড়া অন্য একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় এক মার্কিন সেনা নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন। গতকাল এক আত্মঘাতী হামলাকারী একটি মার্কিন সেনা টহল দলের কাছে বিস্ফোরকবোঝাই মোটরসাইকেল উড়িয়ে দিলে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। আফগান সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা এ কথা জানান। ওই হামলায় এক আফগান বেসামরিক লোক নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
অপারেশন ‘মোশতারাক’ নামের ওই অভিযান শুরু হওয়ার আগে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন অনেক স্থানীয় অধিবাসী। বেসামরিক লোকজনের হতাহতের সংখ্যা সীমিত রাখার জন্য অভিযানের আগে মারজাহ শহরে ন্যাটোর হেলিকপ্টার থেকে প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে।
হেলমান্দ থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, অনেক মানুষ এখনো শহরে রয়ে গেছেন। তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলা প্রতিরোধে তাঁরাও পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে ন্যাটো কমান্ডার মেজর জেনারেল নিক কার্টার বিবিসিকে বলেছেন, অভিযান এ পর্যন্ত খুবই সফল।
অভিযান মোকাবিলায় তালেবানের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় অনেক বোমা পেতে রাখা হয়েছে—এমন আশংকা করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার অপারেশন মোশতারাকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্রিটিশ সেনা বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বব আইনসওয়ার্থ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সামনের দিনগুলোয় আরও অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
অপারেশন মোশতারাকে নেতৃত্ব দিচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী। কিন্তু অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন চার হাজার ব্রিটিশ সেনা। এ ছাড়া কানাডা, ডেনমার্ক ও এস্তোনিয়ার সেনারাও অভিযানে সমর্থন দিচ্ছেন। গতকাল শনিবার সূর্যাস্তের আগে অভিযান শুরু হয়। মার্কিন মেরিন বাহিনী ও আফগান সেনা সদস্যরা হেলিকপ্টার থেকে মারজাহ অবতরণ করেন।
একজন জ্যেষ্ঠ ন্যাটো কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, গত বৃহস্পতিবার অভিযান শুরুর বিষয়টি অনুমোদন করেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। অভিযানে বেসামরিক জনগণ যাতে হতাহত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কারজাই।
এক বিবৃতিতে তিনি বেসামরিক লোকজনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সম্পূর্ণ সতর্ক থাকতে আফগান ও আন্তর্জাতিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে রণাঙ্গন থেকে হতাহতের খবর আসতে শুরু করেছে। ন্যাটো বাহিনী দাবি করেছে, হামলায় এ পর্যন্ত ২০ তালেবান জঙ্গি নিহত হয়েছে।
হেলমান্দের গভর্নর মোহাম্মদ গুলাব মঙ্গল সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিরোধ এলে প্রতিহত করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ৬০টি হেলিকপ্টার থেকে সেনারা মারজাহ শহরে অবতরণ করেন। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১১টি জায়গা দখল করে নিয়েছে সেনা সদস্যরা। গভর্নর আরও জানান, ওই এলাকায় অনেক ভূমি-মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে। শনাক্ত করার পর সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে।
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে দুটি বোমা হামলায় চার মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। ন্যাটোর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনী (আইএসএএফ) এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে হেলমান্দের দক্ষিণে মারজায় বোমা হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহতের কথা জানায়। এ ছাড়া অন্য একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় এক মার্কিন সেনা নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন। গতকাল এক আত্মঘাতী হামলাকারী একটি মার্কিন সেনা টহল দলের কাছে বিস্ফোরকবোঝাই মোটরসাইকেল উড়িয়ে দিলে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। আফগান সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা এ কথা জানান। ওই হামলায় এক আফগান বেসামরিক লোক নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
No comments