বাজারে সরু ও সুগন্ধি চালের দর আবার কেন বাড়ছে by কে এ ইসলাম
গত ডিসেম্বরের শেষে নতুন ধান বাজারে এলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ মোকামে সরু ও সুগন্ধি চিনিগুঁড়া চালের মণ ছিল এক হাজার ৮০০ টাকা; সেই হিসাবে প্রতি কেজি ৪৮ টাকা। গত সপ্তাহ শেষে মোকামে প্রতি মণ চিনিগুঁড়া তিন হাজার ২০০ টাকায় উন্নীত হয়। অর্থাত্ প্রতি কেজি ৮৬ টাকা। ঢাকায় দুই মাস আগেও চিনিগুঁড়া চাল খুচরা বাজারে বিক্রি হতো ৬০ টাকার নিচে, গত সপ্তাহে তা মানভেদে হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
চিনিগুঁড়ার দাম তেতো হয়ে গেলেও তেমন উত্তেজনা হয়নি। কারণ এটি ভাতের চাল নয়। অসেদ্ধ ও সুগন্ধি চাল লাগে পোলাও, বিরিয়ানি ও পায়েসে। তবে সরু জাতের সেদ্ধ ভাতের চালের দাম গত দুই সপ্তাহে বেড়ে যাওয়ায় আলোচনাও শুরু হয়ে গেছে। যে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের কেজি দেড় মাস আগেও ছিল ৩৩ থেকে ৩৭ টাকার মধ্যে, সেটি গত সপ্তাহ শেষে ৩৮ থেকে ৪৬ টাকা। সাধারণ চালের মিলে প্রক্রিয়াজাত চালের মূল্যস্তর নিচের দিকে আর অটোমেটিক মেশিনে বাছাই করা ব্র্যান্ডেড চালের মূল্য ওপরের দিকে।
কেন বাড়ছে: নওগাঁর আবাদপুকুর বাজার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটগুলোর ব্যাপারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার আমন মৌসুমে সরু জাতের ধানের ফলন ভালো হয়নি। ফলন খারাপ হয়েছে চিকন জাতের ধান জিরা, পাইজাম ও রঞ্জিতের। জিরা ধান থেকে যে চাল হয়, তা-ই শহরে নাজিরশাইল নামে পরিচিত। নাজিরের দাম বেড়ে যাওয়ায় পুরোনো মজুদের মিনিকেট জাতের দামও বেড়েছে।
মৌসুমের শুরুতে এবার জিরা ধানের দাম ৮০০ টাকার অনেক নিচে ছিল, সেটি গত সপ্তাহে ৯২০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। দুই সপ্তাহ আগে চিকন ধানের দামে এতটাই ঊর্ধ্বগতি ছিল যে আরও বাড়বে—এমন প্রত্যাশা থেকে হাটে ধানই ওঠেনি। তবে মোকাম সূত্র বলছে, গত সপ্তাহে সরবরাহ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তাই চিকন ধান আর চালের দামও সপ্তাহ শেষে কিছুটা কমেছে।
বাজার নিয়ে কারসাজি: চিকন চালের সরবরাহ চ্যানেল আর বাজার অনেকটাই পাল্টে গেছে কয়েক বছরে। কুষ্টিয়া, নওগাঁ, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের কিছু বড় মিলার ও মজুদদারের হাতে এখন বিশাল পারিমাণ সরবরাহ নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই তাঁরা বাজারে দাম কমা ও বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের এহসান রাইস মিলের এহসান সুপার ব্র্যান্ড, আকবর শেঠের সোনার চামচ বা নওগাঁর বেলাল রাইসের রজনীগন্ধা এখন পোলাও চালের বাজারের ব্যাপক চাহিদা পূরণ করছে।
সেদ্ধ চিকন চালের বাজারেও এমন বড় বড় মিলার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন। নাজির ও মিনিকেটের ক্ষেত্রে কুষ্টিয়ার রশিদ রাইস মিলের ধানের শীষ, নওগাঁর রজনীগন্ধাসহ এমন অনেক ব্র্যান্ডের চালের বস্তা দেখা যায় ঢাকার সব চালের দোকানেই।
কুষ্টিয়া, নওগাঁ, দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে অন্তত কয়েক ডজন অটো রাইস মিল আছে, যেগুলো প্রতিদিন এক থেকে চার হাজার মণ চালও প্রক্রিয়াজাত করে। সেখানে স্বয়ংক্রিয় বয়লারে সেদ্ধ হয় ধান এবং ড্রায়ার মেশিনে শুকানো হয়। চালের চেহারা যাতে ঝকঝকে হয়, সে জন্য ইউরোপ থেকে আনা মিলিং মেশিনেও ধান ভাঙাচ্ছেন কোনো কোনো মিলার। অনেক মিলে কম্পিউটারাইজড মেশিনে মরা চাল, মাটি ও পাথরের কণা বাছাই করা হয়। আটো রাইস নামে পরিচিত এই চালের দাম মণপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশিও থাকে বাজারে।
সাভারসহ আরও কিছু এলাকায় এমন কিছু মিল গড়ে উঠেছে, যেগুলো মেশিনে ছেঁটে মোটা চালকে চিকন চাল বানাচ্ছে। ভোক্তাকে খুচরা বিক্রেতারা ফাঁকি দিচ্ছেন এই চাল দিয়ে। তবে পাইকারি বাজারে ঠিকই সাভারি নাজির আর দিনাজপুরি নাজিরের মূল্যে পার্থক্য থাকে অনেক।
চিনিগুঁড়ার দাম তেতো হয়ে গেলেও তেমন উত্তেজনা হয়নি। কারণ এটি ভাতের চাল নয়। অসেদ্ধ ও সুগন্ধি চাল লাগে পোলাও, বিরিয়ানি ও পায়েসে। তবে সরু জাতের সেদ্ধ ভাতের চালের দাম গত দুই সপ্তাহে বেড়ে যাওয়ায় আলোচনাও শুরু হয়ে গেছে। যে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের কেজি দেড় মাস আগেও ছিল ৩৩ থেকে ৩৭ টাকার মধ্যে, সেটি গত সপ্তাহ শেষে ৩৮ থেকে ৪৬ টাকা। সাধারণ চালের মিলে প্রক্রিয়াজাত চালের মূল্যস্তর নিচের দিকে আর অটোমেটিক মেশিনে বাছাই করা ব্র্যান্ডেড চালের মূল্য ওপরের দিকে।
কেন বাড়ছে: নওগাঁর আবাদপুকুর বাজার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটগুলোর ব্যাপারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার আমন মৌসুমে সরু জাতের ধানের ফলন ভালো হয়নি। ফলন খারাপ হয়েছে চিকন জাতের ধান জিরা, পাইজাম ও রঞ্জিতের। জিরা ধান থেকে যে চাল হয়, তা-ই শহরে নাজিরশাইল নামে পরিচিত। নাজিরের দাম বেড়ে যাওয়ায় পুরোনো মজুদের মিনিকেট জাতের দামও বেড়েছে।
মৌসুমের শুরুতে এবার জিরা ধানের দাম ৮০০ টাকার অনেক নিচে ছিল, সেটি গত সপ্তাহে ৯২০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। দুই সপ্তাহ আগে চিকন ধানের দামে এতটাই ঊর্ধ্বগতি ছিল যে আরও বাড়বে—এমন প্রত্যাশা থেকে হাটে ধানই ওঠেনি। তবে মোকাম সূত্র বলছে, গত সপ্তাহে সরবরাহ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তাই চিকন ধান আর চালের দামও সপ্তাহ শেষে কিছুটা কমেছে।
বাজার নিয়ে কারসাজি: চিকন চালের সরবরাহ চ্যানেল আর বাজার অনেকটাই পাল্টে গেছে কয়েক বছরে। কুষ্টিয়া, নওগাঁ, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের কিছু বড় মিলার ও মজুদদারের হাতে এখন বিশাল পারিমাণ সরবরাহ নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই তাঁরা বাজারে দাম কমা ও বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের এহসান রাইস মিলের এহসান সুপার ব্র্যান্ড, আকবর শেঠের সোনার চামচ বা নওগাঁর বেলাল রাইসের রজনীগন্ধা এখন পোলাও চালের বাজারের ব্যাপক চাহিদা পূরণ করছে।
সেদ্ধ চিকন চালের বাজারেও এমন বড় বড় মিলার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন। নাজির ও মিনিকেটের ক্ষেত্রে কুষ্টিয়ার রশিদ রাইস মিলের ধানের শীষ, নওগাঁর রজনীগন্ধাসহ এমন অনেক ব্র্যান্ডের চালের বস্তা দেখা যায় ঢাকার সব চালের দোকানেই।
কুষ্টিয়া, নওগাঁ, দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে অন্তত কয়েক ডজন অটো রাইস মিল আছে, যেগুলো প্রতিদিন এক থেকে চার হাজার মণ চালও প্রক্রিয়াজাত করে। সেখানে স্বয়ংক্রিয় বয়লারে সেদ্ধ হয় ধান এবং ড্রায়ার মেশিনে শুকানো হয়। চালের চেহারা যাতে ঝকঝকে হয়, সে জন্য ইউরোপ থেকে আনা মিলিং মেশিনেও ধান ভাঙাচ্ছেন কোনো কোনো মিলার। অনেক মিলে কম্পিউটারাইজড মেশিনে মরা চাল, মাটি ও পাথরের কণা বাছাই করা হয়। আটো রাইস নামে পরিচিত এই চালের দাম মণপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশিও থাকে বাজারে।
সাভারসহ আরও কিছু এলাকায় এমন কিছু মিল গড়ে উঠেছে, যেগুলো মেশিনে ছেঁটে মোটা চালকে চিকন চাল বানাচ্ছে। ভোক্তাকে খুচরা বিক্রেতারা ফাঁকি দিচ্ছেন এই চাল দিয়ে। তবে পাইকারি বাজারে ঠিকই সাভারি নাজির আর দিনাজপুরি নাজিরের মূল্যে পার্থক্য থাকে অনেক।
No comments