প্যারোরে যদি সিডন্সের জবাবটা শুনতেন!
দড়ি দিয়ে ঘেরা বলে বোঝা যাচ্ছিল। নইলে বাকি মাঠের চেয়ে খুব আলাদা কিছু নয়। পার্থক্য বলতে সবুজ মাঠে আয়তাকার ওই জায়গাটা সবুজাভ। সোমবার শুরু টেস্ট ম্যাচ এই উইকেটেই হবে নাকি?
হ্যাঁ, এই উইকেটেই। ঘাস নিশ্চয়ই আরও ছাঁটা হবে। সেডন পার্কের কিউরেটর যে উত্তর দিলেন, সেটি তাঁকে জিজ্ঞেস করার আগেই জানা ছিল। ‘একটু ছাঁটতেও পারি, না-ও পারি।’
উপমহাদেশের দলের জন্য পুরোনো রেসিপি। উইকেটে ঘাস রাখো, শর্ট পিচ বোলিংয়ে কাঁপিয়ে দাও। সেডন পার্কে নতুন কিছু হচ্ছে না। নতুন মনে হলো ক্রিস মার্টিনের কথাটা। ওয়ানডে সিরিজ টিভিতে দেখেছেন। দেখে তাঁর মনে হয়েছে, শর্ট পিচ বোলিং আর আগের মতো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ‘অ্যাকিলিস হিল’ নয়। ‘ওয়ানডে সিরিজে শর্ট পিচ বলে কটা উইকেট পড়েছে, বলুন? বেশির ভাগ আউট তো স্লিপে ক্যাচ, এর মানে গুড লেংথ বলে। শর্ট পিচ বোলিং করলেই ওরা পটাপট আউট হয়ে যাবে—ব্যাপারটা এখন আর মোটেই এমন নয়।’
উপমহাদেশীয় ব্যাটসম্যানদের ‘ঘাস-অ্যালার্জি’ নিয়ে মজার অনেক গল্প চালু আছে। এটা সুনীল গাভাস্কারের মুখ থেকে শোনা। অস্ট্রেলিয়ায় খেলা, নিয়মিত এক ব্যাটসম্যান হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ম্যাচের দিন সকালে এক ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে ‘তুমি খেলছ’ বলায় ওই ব্যাটসম্যানের আর্তনাদ—‘আমি! আমি কেন?’
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে এমন কোনো আতঙ্ক নেই। বরং প্রসঙ্গটা তুললে তাঁদের মুখে ‘নিউজিল্যান্ডের উইকেটে ঘাস থাকবে, এ তো জানা কথাই। থাকলে থাকুক’ জাতীয় কথাবার্তা। তৃতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির পর হাঁটাচলাতেও বিচ্ছুরিত আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইমরুল কায়েস উইকেট দেখতে দেখতে বললেন, ‘ক্রাইস্টচার্চে তো এর চেয়ে বেশি ঘাস ছিল।’ আশরাফুল বলছেন, ‘উইকেটে পেস আর বাউন্স থাকলে বরং শট খেলে মজা। বল নিশ্চিন্তে ছাড়াও যায়।’
বাংলাদেশ দল থেকে উল্টো একটা রব উঠছে—উইকেটে ঘাস আমাদের জন্যও ভালো। ভালো কীভাবে? কারণ, এই প্রথম ইটের জবাবে পাটকেল ছোড়ার ক্ষমতায় বলীয়ান বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের ওই স্বপ্নের সফরেও পেসারদের প্রসঙ্গ উঠলেই যিনি বিরক্তি প্রকাশ করতেন, সেই সাকিব আল হাসানই এখন বলছেন, ‘আমাদের পেস অ্যাটাক এখন অনেক ভালো হয়েছে। দুজন বোলার নিয়মিত ১৪০-এর ওপরে বোলিং করতে পারে। খালি ওরা বাউন্সার মারবে—এই দিন শেষ!’
টেস্ট অভিষেকের প্রহর গুনতে থাকা কিউই ব্যাটসম্যান পিটার ইনগ্রামের মুখেও ওই ‘১৪০-এর ওপরে’ গতির কথা। বাংলাদেশের মতো নরম-সরম দলের বিপক্ষে অভিষেক হয়ে তো ভালোই হয়েছে বলায় তীব্র প্রতিবাদ, ‘আমি তো নরম-সরম কিছু দেখলাম না। ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করে এমন একাধিক বোলার আছে ওদের দলে। মাঠে চোখ গরম করে তাকানো কথাবার্তা এসবেও তো দেখলাম ওরা কম যায় না।’
রুবেলের সঙ্গে শফিউল যোগ হওয়ায় দলে ‘১৪০-এর ওপরের’ দুই পেসার। উইকেট দেখে যাদের চোখ চকচক করছে। কিন্তু উইকেটে ঘাস আর পেস-বাউন্স থাকলেই তো হবে না। সেটি কাজে লাগাতে অভিজ্ঞতা চাই, যা নিয়ে অবশ্যই বড় প্রশ্ন।
টেস্ট ম্যাচের আগে বাংলাদেশকে নিয়ে এমনই এক বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের এক সাবেক। হেরাল্ড-এ লেখা কলামে বাংলাদেশ দল সম্পর্কে যারপরনাই অপমানকর কথাবার্তা লিখে অ্যাডাম প্যারোরে ঘোষণা করেছেন, দুই বছর আগে সফর করে যাওয়া দলটির চেয়েও খারাপ এবারের দল। বাংলাদেশের সঙ্গে খেলা মানে সময় নষ্ট। নিউজিল্যান্ড যেন আগামী পাঁচ বছরেও বাংলাদেশের সঙ্গে না খেলে।
যা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠা বলতে যা বোঝায়, তা-ই উঠলেন জেমি সিডন্স। তীব্র শ্লেষের সঙ্গে বললেন, ‘এই প্যারোরেটা কে? এর তো দেখি স্মরণশক্তি একদমই ভালো নয়। এত বড় বড় কথা বলে, অথচ খুব বেশি দিন হয়নি, অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে হাসাহাসি করত। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সারির দল আসত এখানে। প্যারোরে এতগুলো টেস্ট-ওয়ানডে খেলেছে তো নিউজিল্যান্ড অমন পচা দল বলেই। আমাদের এই দলেই তো উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে ওর জায়গা হবে না।’
তামিম ইকবাল তো প্যারোরের কথা শুনে সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন, ‘ওরা আসলে আমাদের ভয় পাচ্ছে। এ কারণেই এসব বলছে।’ ভয়! ভয় পাবে কেন? তৃতীয় ওয়ানডের একটু ঝলক বাদ দিলে বাংলাদেশ কি ভয় পাওয়ার মতো কিছু খেলতে পেরেছে? তামিম তার পরও নিজের উপলব্ধিতে অটল, ‘দেখুন, এই নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে এসে অনেক বড় দলও সমস্যায় পড়ে। মনে নেই, অস্ট্রেলিয়া ৩০০-৩৫০ রান করেও এখানে ৩-০-তে সিরিজ হেরেছিল। ওদের বাংলাদেশে নেন না, যদি না হারাই তো কী বলব!’
প্যারোরে যা বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের এই দলেরও কি সেই ধারণাই নাকি! মনের কথা তো বোঝার উপায় নেই, তবে প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়ায় সাবেক উইকেটকিপারের মন্তব্যে বিরক্তিই প্রকাশ পাচ্ছে। ক্রিস মার্টিন তো উল্টো টিটকারি মেরে বললেন, ‘কলাম-টলাম লিখলে এমন কিছু বলতেই হয়।’ তৃতীয় ওয়ানডের বাংলাদেশই নাকি মার্টিনের কাছে আসল বাংলাদেশ। প্রথম দুটি ওয়ানডেতে অমন খারাপ করার কারণ খুঁজে পেতেও সমস্যা হয়নি তাঁর, ‘কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলাটা বাংলাদেশের বড় ভুল হয়েছে। একটু মানিয়ে নেওয়াতেই তৃতীয় ওয়ানডেতে অমন খেলেছে ওরা।’
সরাসরি পূর্বসূরির ওই মন্তব্য ব্রেন্ডন ম্যাককালামেরও পছন্দ হয়নি, ‘পাঁচ বছর বাংলাদেশের সঙ্গে খেলব না—ধেত্, এটা একটা কথা হলো নাকি! তাহলে তো আমাদের সঙ্গেও অনেক দল না খেলতে চাইতে পারত। আমাদেরও অনেক খারাপ সময় গেছে।’
তরুণ এই বাংলাদেশ দলে প্রতিভার ঝলক দেখে ম্যাককালাম বরং মুগ্ধ, ‘প্রতিভাবান দল, দারুণ আক্রমণাত্মকও, ভয়-ডরহীন ক্রিকেট খেলে। এর সমস্যা হলো, এটা কখনো ক্লিক করে, কখনো করে না। আমি তো আমাদের দলের সবাইকে বলছি, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের ঠিক ওদের মতোই খেলা উচিত। প্রথাগত খেলা খেলে তো আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারব না।’
তাই নাকি? অন্তত একটা জায়গায় বাংলাদেশকেও তাহলে অনুসরণীয় ভাবছে নিউজিল্যান্ড!
হ্যাঁ, এই উইকেটেই। ঘাস নিশ্চয়ই আরও ছাঁটা হবে। সেডন পার্কের কিউরেটর যে উত্তর দিলেন, সেটি তাঁকে জিজ্ঞেস করার আগেই জানা ছিল। ‘একটু ছাঁটতেও পারি, না-ও পারি।’
উপমহাদেশের দলের জন্য পুরোনো রেসিপি। উইকেটে ঘাস রাখো, শর্ট পিচ বোলিংয়ে কাঁপিয়ে দাও। সেডন পার্কে নতুন কিছু হচ্ছে না। নতুন মনে হলো ক্রিস মার্টিনের কথাটা। ওয়ানডে সিরিজ টিভিতে দেখেছেন। দেখে তাঁর মনে হয়েছে, শর্ট পিচ বোলিং আর আগের মতো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ‘অ্যাকিলিস হিল’ নয়। ‘ওয়ানডে সিরিজে শর্ট পিচ বলে কটা উইকেট পড়েছে, বলুন? বেশির ভাগ আউট তো স্লিপে ক্যাচ, এর মানে গুড লেংথ বলে। শর্ট পিচ বোলিং করলেই ওরা পটাপট আউট হয়ে যাবে—ব্যাপারটা এখন আর মোটেই এমন নয়।’
উপমহাদেশীয় ব্যাটসম্যানদের ‘ঘাস-অ্যালার্জি’ নিয়ে মজার অনেক গল্প চালু আছে। এটা সুনীল গাভাস্কারের মুখ থেকে শোনা। অস্ট্রেলিয়ায় খেলা, নিয়মিত এক ব্যাটসম্যান হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ম্যাচের দিন সকালে এক ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে ‘তুমি খেলছ’ বলায় ওই ব্যাটসম্যানের আর্তনাদ—‘আমি! আমি কেন?’
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে এমন কোনো আতঙ্ক নেই। বরং প্রসঙ্গটা তুললে তাঁদের মুখে ‘নিউজিল্যান্ডের উইকেটে ঘাস থাকবে, এ তো জানা কথাই। থাকলে থাকুক’ জাতীয় কথাবার্তা। তৃতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির পর হাঁটাচলাতেও বিচ্ছুরিত আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইমরুল কায়েস উইকেট দেখতে দেখতে বললেন, ‘ক্রাইস্টচার্চে তো এর চেয়ে বেশি ঘাস ছিল।’ আশরাফুল বলছেন, ‘উইকেটে পেস আর বাউন্স থাকলে বরং শট খেলে মজা। বল নিশ্চিন্তে ছাড়াও যায়।’
বাংলাদেশ দল থেকে উল্টো একটা রব উঠছে—উইকেটে ঘাস আমাদের জন্যও ভালো। ভালো কীভাবে? কারণ, এই প্রথম ইটের জবাবে পাটকেল ছোড়ার ক্ষমতায় বলীয়ান বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের ওই স্বপ্নের সফরেও পেসারদের প্রসঙ্গ উঠলেই যিনি বিরক্তি প্রকাশ করতেন, সেই সাকিব আল হাসানই এখন বলছেন, ‘আমাদের পেস অ্যাটাক এখন অনেক ভালো হয়েছে। দুজন বোলার নিয়মিত ১৪০-এর ওপরে বোলিং করতে পারে। খালি ওরা বাউন্সার মারবে—এই দিন শেষ!’
টেস্ট অভিষেকের প্রহর গুনতে থাকা কিউই ব্যাটসম্যান পিটার ইনগ্রামের মুখেও ওই ‘১৪০-এর ওপরে’ গতির কথা। বাংলাদেশের মতো নরম-সরম দলের বিপক্ষে অভিষেক হয়ে তো ভালোই হয়েছে বলায় তীব্র প্রতিবাদ, ‘আমি তো নরম-সরম কিছু দেখলাম না। ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করে এমন একাধিক বোলার আছে ওদের দলে। মাঠে চোখ গরম করে তাকানো কথাবার্তা এসবেও তো দেখলাম ওরা কম যায় না।’
রুবেলের সঙ্গে শফিউল যোগ হওয়ায় দলে ‘১৪০-এর ওপরের’ দুই পেসার। উইকেট দেখে যাদের চোখ চকচক করছে। কিন্তু উইকেটে ঘাস আর পেস-বাউন্স থাকলেই তো হবে না। সেটি কাজে লাগাতে অভিজ্ঞতা চাই, যা নিয়ে অবশ্যই বড় প্রশ্ন।
টেস্ট ম্যাচের আগে বাংলাদেশকে নিয়ে এমনই এক বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের এক সাবেক। হেরাল্ড-এ লেখা কলামে বাংলাদেশ দল সম্পর্কে যারপরনাই অপমানকর কথাবার্তা লিখে অ্যাডাম প্যারোরে ঘোষণা করেছেন, দুই বছর আগে সফর করে যাওয়া দলটির চেয়েও খারাপ এবারের দল। বাংলাদেশের সঙ্গে খেলা মানে সময় নষ্ট। নিউজিল্যান্ড যেন আগামী পাঁচ বছরেও বাংলাদেশের সঙ্গে না খেলে।
যা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠা বলতে যা বোঝায়, তা-ই উঠলেন জেমি সিডন্স। তীব্র শ্লেষের সঙ্গে বললেন, ‘এই প্যারোরেটা কে? এর তো দেখি স্মরণশক্তি একদমই ভালো নয়। এত বড় বড় কথা বলে, অথচ খুব বেশি দিন হয়নি, অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে হাসাহাসি করত। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সারির দল আসত এখানে। প্যারোরে এতগুলো টেস্ট-ওয়ানডে খেলেছে তো নিউজিল্যান্ড অমন পচা দল বলেই। আমাদের এই দলেই তো উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে ওর জায়গা হবে না।’
তামিম ইকবাল তো প্যারোরের কথা শুনে সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন, ‘ওরা আসলে আমাদের ভয় পাচ্ছে। এ কারণেই এসব বলছে।’ ভয়! ভয় পাবে কেন? তৃতীয় ওয়ানডের একটু ঝলক বাদ দিলে বাংলাদেশ কি ভয় পাওয়ার মতো কিছু খেলতে পেরেছে? তামিম তার পরও নিজের উপলব্ধিতে অটল, ‘দেখুন, এই নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে এসে অনেক বড় দলও সমস্যায় পড়ে। মনে নেই, অস্ট্রেলিয়া ৩০০-৩৫০ রান করেও এখানে ৩-০-তে সিরিজ হেরেছিল। ওদের বাংলাদেশে নেন না, যদি না হারাই তো কী বলব!’
প্যারোরে যা বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের এই দলেরও কি সেই ধারণাই নাকি! মনের কথা তো বোঝার উপায় নেই, তবে প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়ায় সাবেক উইকেটকিপারের মন্তব্যে বিরক্তিই প্রকাশ পাচ্ছে। ক্রিস মার্টিন তো উল্টো টিটকারি মেরে বললেন, ‘কলাম-টলাম লিখলে এমন কিছু বলতেই হয়।’ তৃতীয় ওয়ানডের বাংলাদেশই নাকি মার্টিনের কাছে আসল বাংলাদেশ। প্রথম দুটি ওয়ানডেতে অমন খারাপ করার কারণ খুঁজে পেতেও সমস্যা হয়নি তাঁর, ‘কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলাটা বাংলাদেশের বড় ভুল হয়েছে। একটু মানিয়ে নেওয়াতেই তৃতীয় ওয়ানডেতে অমন খেলেছে ওরা।’
সরাসরি পূর্বসূরির ওই মন্তব্য ব্রেন্ডন ম্যাককালামেরও পছন্দ হয়নি, ‘পাঁচ বছর বাংলাদেশের সঙ্গে খেলব না—ধেত্, এটা একটা কথা হলো নাকি! তাহলে তো আমাদের সঙ্গেও অনেক দল না খেলতে চাইতে পারত। আমাদেরও অনেক খারাপ সময় গেছে।’
তরুণ এই বাংলাদেশ দলে প্রতিভার ঝলক দেখে ম্যাককালাম বরং মুগ্ধ, ‘প্রতিভাবান দল, দারুণ আক্রমণাত্মকও, ভয়-ডরহীন ক্রিকেট খেলে। এর সমস্যা হলো, এটা কখনো ক্লিক করে, কখনো করে না। আমি তো আমাদের দলের সবাইকে বলছি, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের ঠিক ওদের মতোই খেলা উচিত। প্রথাগত খেলা খেলে তো আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারব না।’
তাই নাকি? অন্তত একটা জায়গায় বাংলাদেশকেও তাহলে অনুসরণীয় ভাবছে নিউজিল্যান্ড!
No comments