কেনার চেয়ে বেশি দামে ভাড়া নেওয়া কেন -বিমানের উড়োজাহাজ ভাড়া
‘বাংলাদেশ বিমান’ ও ‘দুর্নীতি’—এ দুটি যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে। উড়োজাহাজ কেনা ও ভাড়ার ক্ষেত্রে বিগত সব রাজনৈতিক সরকারের ধারাবাহিকতায় এবারও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, যে চারটি বোয়িং ৭৭৭ ভাড়া করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভাড়া বাবদ চার বছরে তার জন্য খরচ দাঁড়াবে প্রায় এক হাজার ৫০ কোটি টাকা। রক্ষণাবেক্ষণের খরচ যোগ করলে ভাড়া বাবদ ব্যয় আরও বাড়বে। অথচ বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী, পুরোনো বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর চারটি উড়োজাহাজের বিক্রয়মূল্য এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। উড়োজাহাজ কেনার চেয়েও ভাড়া বেশি হলে উড়োজাহাজ ভাড়া করতে হবে কেন? তাহলে কি ভাড়া করার পরিকল্পনা নেওয়ার সময় এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হয়নি? এটা-কি নিছক অদক্ষতা, নাকি মধ্যস্বত্বভোগীদের ‘কমিশন-বাণিজ্যের’ স্বার্থ দেখতে গিয়ে তারা বিমানের স্বার্থ বিবেচনার ধার ধারেননি?
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের জুলাইয়ে বিমানকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করা হলেও এটি অচলায়তনের বৃত্ত থেকে এখনো বেরোতে পারেনি। কোম্পানিতে পরিণত করা হলেও বাংলাদেশ বিমান চলে বাংলাদেশের জনগণের টাকায়। এর শতভাগ মালিকানা সরকারের হাতেই। দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বুদ্ধিমত্তা, সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করা হলে এটিকে লাভজনক করা অসম্ভব ছিল না। বছরের পর বছর ধরে কোটি কোটি টাকা লোকসান দিয়ে বিমান যেভাবে চলছে, সেভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। বিমানের খোলনলচে বদলে ফেলে এটিকে ব্যবসায়িকভাবে মোটামুটি সচ্ছল-স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নেওয়া একান্ত জরুরি।
এ জন্য বিমানের ব্যবসা বোঝেন, অভিজ্ঞতা আছে, এমন কাউকে এ সংস্থা পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে। অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্বাসনকেন্দ্র বানিয়ে বিমানকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা যাবে না।
বাংলাদেশ বিমানের সেবার মান খুব সুবিধার নয়; এর ব্যবস্থাপনার মান নিয়ে অহরহ প্রশ্ন ওঠে। আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে এতগুলো উড়োজাহাজ ভাড়া নেওয়ার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। বিমান এই আর্থিক চাপ কীভাবে সামাল দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিমানকে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক করার কৌশল খুঁজে বের করতে হবে সরকারকে। এ জন্য বিমানসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও পেশাদারদের নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের জুলাইয়ে বিমানকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করা হলেও এটি অচলায়তনের বৃত্ত থেকে এখনো বেরোতে পারেনি। কোম্পানিতে পরিণত করা হলেও বাংলাদেশ বিমান চলে বাংলাদেশের জনগণের টাকায়। এর শতভাগ মালিকানা সরকারের হাতেই। দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বুদ্ধিমত্তা, সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করা হলে এটিকে লাভজনক করা অসম্ভব ছিল না। বছরের পর বছর ধরে কোটি কোটি টাকা লোকসান দিয়ে বিমান যেভাবে চলছে, সেভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। বিমানের খোলনলচে বদলে ফেলে এটিকে ব্যবসায়িকভাবে মোটামুটি সচ্ছল-স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নেওয়া একান্ত জরুরি।
এ জন্য বিমানের ব্যবসা বোঝেন, অভিজ্ঞতা আছে, এমন কাউকে এ সংস্থা পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে। অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্বাসনকেন্দ্র বানিয়ে বিমানকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা যাবে না।
বাংলাদেশ বিমানের সেবার মান খুব সুবিধার নয়; এর ব্যবস্থাপনার মান নিয়ে অহরহ প্রশ্ন ওঠে। আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে এতগুলো উড়োজাহাজ ভাড়া নেওয়ার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। বিমান এই আর্থিক চাপ কীভাবে সামাল দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিমানকে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক করার কৌশল খুঁজে বের করতে হবে সরকারকে। এ জন্য বিমানসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও পেশাদারদের নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
No comments