জেমির কথাটা মনে রেখেছিলাম
আট নম্বরে নেমে অপরাজিত ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ম্যাচ জিতিয়েছেন। এতেও পুরো বোঝানো যাচ্ছে না কৃতিত্বটা। গত পরশু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে পরিস্থিতিতে জয়, এর তুল্য কিছু যে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া ভার। এ নিয়েই কথা বললেন স্মরণীয় এই জয়ের নায়ক নাঈম ইসলাম
অমন একটা ইনিংস, অমন একটা জয়... রাতটা কীভাবে উদ্যাপন করলেন?
নাঈম ইসলাম: না, বিশেষ কিছু না। রাতে টিম ডিনার ছিল। পরদিন সকালেই ঢাকার ফ্লাইট ছিল, সেখান থেকে ফিরে তাই লাগেজ-টাগেজ গোছাতে হলো। এরপর ঘুম।
ওই ইনিংসের পর তো আপনার নামে ধন্য-ধন্য পড়ে গেছে। এতসব প্রশংসার মধ্যে সবচেয়ে ভালো লেগেছে কোনটা?
নাঈম: প্রশংসা... প্রশংসা... ও হ্যাঁ, বিকেএসপিতে আমাদের রুশো স্যার ফোন করে বলেছেন, ‘তুই তো এমনই খেলিস। তোর কাছ থেকে আমি আরও আগেই এমন কিছু আশা করেছিলাম। যাক, দেরিতে হলেও তো হয়েছে। এখন থেকে যেন নিয়মিতই এমন হয়।’ স্যারের কথাটা খুব ভালো লেগেছে।
জাতীয় দলে খেলা শুরু করার পর নিশ্চয়ই বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। পরশু যা করলেন, তেমন কিছু করারই স্বপ্ন ছিল, নাকি এর চেয়েও বড় কিছু?
নাঈম: স্বপ্ন দেখতাম, কোনো একদিন আমি একা ব্যাট করে বড় কোনো দলকে হারিয়ে দেব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তো আমরা আগেই সিরিজ জিতে গিয়েছিলাম। সিরিজটা যদি ২-২ থাকত, আর আমি এমন ব্যাট করে ম্যাচ জেতাতাম, তাহলে আরও ভালো লাগত। ভবিষ্যতে আরও ক্রুশিয়াল সময়ে এমন খেলে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতানোর স্বপ্ন দেখি।
ব্যাটিংয়ের সময় কী ভাবছিলেন? টিভিতে অন্য কোনো ব্যাটসম্যানকে এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতাতে দেখার স্মৃতি, না অন্য কিছু?
নাঈম: এ রকম কিছুই না। শুধু চিন্তা করছিলাম, শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করব। তবে নাজমুল ক্রিজে আসার পর পুরোনো একটা ঘটনা মনে পড়ছিল। জিম্বাবুয়েতে একটা প্র্যাকটিস ম্যাচেও আমি আর নাজমুল ব্যাট করছিলাম। আমি ১ রান নিয়ে ওকে স্ট্রাইক দেওয়ার পর ও আউট হয়ে যায়। ওই ম্যাচের পর জেমি (কোচ জেমি সিডন্স) আমাকে বুঝিয়েছেন, ‘দেখো, তুমি ১ রান নেওয়ায় নিজেও রান করতে পারলে না, দলও হেরে গেল। ভবিষ্যতে এমন অবস্থায় নিজে দায়িত্ব নেবে।’ তো এ দিন জেমির কথাটা আমি মনে রেখেছিলাম।
পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়াটাই আপনার ইনিংসটাকে আরও মহিমান্বিত করেছে...
নাঈম: বাংলাদেশ হেরে গেলে হয়তো কথা হতো, নাজমুলের ওপর আমি কেন একটু বিশ্বাস রাখলাম না! আমি জেনেশুনেই ঝুঁকিটা নিয়েছি। ভবিষ্যতেও এমনই করব। প্রতিদিন হয়তো পারব না।
ভবিষ্যতে তো এই ইনিংসটাও আপনাকে বিশ্বাস জোগাবে—একবার যখন পেরেছি, আবার কেন পারব না...
নাঈম: হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই।
এর উল্টো দিক হলো, এখন আপনার কাছ থেকে সবার প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। আস্কিং রেট ৮-৯-১০... সবাই আপনার কাছ থেকে ছক্কা চাইবে। চাপটা কি বেড়ে গেল?
নাঈম: না, চাপের কী আছে? আমি যেখানে ব্যাটিং করি, সেখানে সব সময় ভালো কিছু করার সুযোগ আসে না। সুযোগ পেলে টিমের জন্য কিছু করতে চাই। ভবিষ্যতে এর চেয়েও টাফ সিচুয়েশনে এমন কিছু করতে চাই।
আট নম্বরে নেমে অপরাজিত ৭৩... আপনার পরিচয় কী ভাই—বোলিং অলরাউন্ডার, না ব্যাটিং অলরাউন্ডার?
নাঈম: আমি তো নিজেকে ব্যাটিং অলরাউন্ডারই মনে করি। তবে আমাদের দলের এখন যে অবস্থা, তাতে ওপরে ব্যাট করার সুযোগ নেই।
অমন একটা ইনিংস, অমন একটা জয়... রাতটা কীভাবে উদ্যাপন করলেন?
নাঈম ইসলাম: না, বিশেষ কিছু না। রাতে টিম ডিনার ছিল। পরদিন সকালেই ঢাকার ফ্লাইট ছিল, সেখান থেকে ফিরে তাই লাগেজ-টাগেজ গোছাতে হলো। এরপর ঘুম।
ওই ইনিংসের পর তো আপনার নামে ধন্য-ধন্য পড়ে গেছে। এতসব প্রশংসার মধ্যে সবচেয়ে ভালো লেগেছে কোনটা?
নাঈম: প্রশংসা... প্রশংসা... ও হ্যাঁ, বিকেএসপিতে আমাদের রুশো স্যার ফোন করে বলেছেন, ‘তুই তো এমনই খেলিস। তোর কাছ থেকে আমি আরও আগেই এমন কিছু আশা করেছিলাম। যাক, দেরিতে হলেও তো হয়েছে। এখন থেকে যেন নিয়মিতই এমন হয়।’ স্যারের কথাটা খুব ভালো লেগেছে।
জাতীয় দলে খেলা শুরু করার পর নিশ্চয়ই বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। পরশু যা করলেন, তেমন কিছু করারই স্বপ্ন ছিল, নাকি এর চেয়েও বড় কিছু?
নাঈম: স্বপ্ন দেখতাম, কোনো একদিন আমি একা ব্যাট করে বড় কোনো দলকে হারিয়ে দেব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তো আমরা আগেই সিরিজ জিতে গিয়েছিলাম। সিরিজটা যদি ২-২ থাকত, আর আমি এমন ব্যাট করে ম্যাচ জেতাতাম, তাহলে আরও ভালো লাগত। ভবিষ্যতে আরও ক্রুশিয়াল সময়ে এমন খেলে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতানোর স্বপ্ন দেখি।
ব্যাটিংয়ের সময় কী ভাবছিলেন? টিভিতে অন্য কোনো ব্যাটসম্যানকে এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতাতে দেখার স্মৃতি, না অন্য কিছু?
নাঈম: এ রকম কিছুই না। শুধু চিন্তা করছিলাম, শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করব। তবে নাজমুল ক্রিজে আসার পর পুরোনো একটা ঘটনা মনে পড়ছিল। জিম্বাবুয়েতে একটা প্র্যাকটিস ম্যাচেও আমি আর নাজমুল ব্যাট করছিলাম। আমি ১ রান নিয়ে ওকে স্ট্রাইক দেওয়ার পর ও আউট হয়ে যায়। ওই ম্যাচের পর জেমি (কোচ জেমি সিডন্স) আমাকে বুঝিয়েছেন, ‘দেখো, তুমি ১ রান নেওয়ায় নিজেও রান করতে পারলে না, দলও হেরে গেল। ভবিষ্যতে এমন অবস্থায় নিজে দায়িত্ব নেবে।’ তো এ দিন জেমির কথাটা আমি মনে রেখেছিলাম।
পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়াটাই আপনার ইনিংসটাকে আরও মহিমান্বিত করেছে...
নাঈম: বাংলাদেশ হেরে গেলে হয়তো কথা হতো, নাজমুলের ওপর আমি কেন একটু বিশ্বাস রাখলাম না! আমি জেনেশুনেই ঝুঁকিটা নিয়েছি। ভবিষ্যতেও এমনই করব। প্রতিদিন হয়তো পারব না।
ভবিষ্যতে তো এই ইনিংসটাও আপনাকে বিশ্বাস জোগাবে—একবার যখন পেরেছি, আবার কেন পারব না...
নাঈম: হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই।
এর উল্টো দিক হলো, এখন আপনার কাছ থেকে সবার প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। আস্কিং রেট ৮-৯-১০... সবাই আপনার কাছ থেকে ছক্কা চাইবে। চাপটা কি বেড়ে গেল?
নাঈম: না, চাপের কী আছে? আমি যেখানে ব্যাটিং করি, সেখানে সব সময় ভালো কিছু করার সুযোগ আসে না। সুযোগ পেলে টিমের জন্য কিছু করতে চাই। ভবিষ্যতে এর চেয়েও টাফ সিচুয়েশনে এমন কিছু করতে চাই।
আট নম্বরে নেমে অপরাজিত ৭৩... আপনার পরিচয় কী ভাই—বোলিং অলরাউন্ডার, না ব্যাটিং অলরাউন্ডার?
নাঈম: আমি তো নিজেকে ব্যাটিং অলরাউন্ডারই মনে করি। তবে আমাদের দলের এখন যে অবস্থা, তাতে ওপরে ব্যাট করার সুযোগ নেই।
No comments