তালেবান হামলার আশঙ্কা উপেক্ষা করে করাচিতে ফ্যাশন উইক
র্যাম্পে একের পর এক হেঁটে চলেছেন স্বল্পবসনা সুন্দরীরা। কারও পরনে অফ শোলডার, ব্যাকলেস গাউন। কেউ বা পরে আছেন হল্টার নেক টপ। দৃশ্যটি পাকিস্তানের করাচি শহরের একটি ফ্যাশন উইকের। বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই এ দৃশ্য স্বাভাবিক হলেও জঙ্গি হামলায় ক্ষতবিক্ষত পাকিস্তানে এই ছবি বিরল। জঙ্গি হামলার আশঙ্কা উপেক্ষা করে গত বুধবার শুরু হয়েছে করাচি ফ্যাশন উইক। বিপুল দর্শক টানছে এই ফ্যাশন শো।
সম্প্রতি দেশটিতে একের পর এক জঙ্গি হামলার কারণে করাচি ফ্যাশন উইক তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান শুরু করা সম্ভব হয়েছে। ফ্যাশন উইককে মৌলবাদী ও জঙ্গি অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রতীক হিসেবে দেখছেন আয়োজকেরা। ফ্যাশন উইকের প্রধান আয়োজক আয়েশা তামি হক বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে এটা কঠিন সময়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যখন কঠিন লড়াই চলছে, তখন এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান করতে পেরে আমরা গর্বিত।’
ফ্যাশন উইকে অংশ নিয়েছেন ৩২ জন ডিজাইনার। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় বিদেশি ডিজাইনারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
তালেবান যেখানে হরহামেশাই মেয়েদের স্কুল উড়িয়ে দিচ্ছে, পারতপক্ষে যেখানে তারা মেয়েদের ঘর থেকেই বের হতে দিতে চায় না, সেখানে ফ্যাশন উইক? অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তাঁরা কি কোনো ভয় পাননি? প্রশ্ন ছিল ডিজাইনার সনিয়া বাটলারের প্রতি। তিনি বলেন, ‘আমি সাহসী নারী। কাউকেই ভয় পাই না।’ ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে এসেছেন ডিজাইনার সমর মেহেদি। তিনি বলেন, ‘জীবন থেমে থাকে না। যারা জীবনের গতি থামিয়ে দিতে চায়, তাদের দেখিয়ে দিতে চাই, আমরা কী করতে পারি।’
পাকিস্তানের বিখ্যাত মডেল নাদিয়া হুসেন অবশ্য বেশি খোলামেলা পোশাক পরার পক্ষে নন। কিন্তু সৃজনশীলতার জন্য যে স্বাধীনতার দরকার, সে কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। নাদিয়া বলেন, ‘আমাদের দেশে যত সমস্যাই থাকুক, আমাদের ডিজাইনারেরা অনেক বেশি সৃজনশীল। আর আমাদের মডেলদের মতো সুন্দরী বিশ্বের আর কোথায় আছে?
সম্প্রতি দেশটিতে একের পর এক জঙ্গি হামলার কারণে করাচি ফ্যাশন উইক তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান শুরু করা সম্ভব হয়েছে। ফ্যাশন উইককে মৌলবাদী ও জঙ্গি অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রতীক হিসেবে দেখছেন আয়োজকেরা। ফ্যাশন উইকের প্রধান আয়োজক আয়েশা তামি হক বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে এটা কঠিন সময়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যখন কঠিন লড়াই চলছে, তখন এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান করতে পেরে আমরা গর্বিত।’
ফ্যাশন উইকে অংশ নিয়েছেন ৩২ জন ডিজাইনার। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় বিদেশি ডিজাইনারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
তালেবান যেখানে হরহামেশাই মেয়েদের স্কুল উড়িয়ে দিচ্ছে, পারতপক্ষে যেখানে তারা মেয়েদের ঘর থেকেই বের হতে দিতে চায় না, সেখানে ফ্যাশন উইক? অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তাঁরা কি কোনো ভয় পাননি? প্রশ্ন ছিল ডিজাইনার সনিয়া বাটলারের প্রতি। তিনি বলেন, ‘আমি সাহসী নারী। কাউকেই ভয় পাই না।’ ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে এসেছেন ডিজাইনার সমর মেহেদি। তিনি বলেন, ‘জীবন থেমে থাকে না। যারা জীবনের গতি থামিয়ে দিতে চায়, তাদের দেখিয়ে দিতে চাই, আমরা কী করতে পারি।’
পাকিস্তানের বিখ্যাত মডেল নাদিয়া হুসেন অবশ্য বেশি খোলামেলা পোশাক পরার পক্ষে নন। কিন্তু সৃজনশীলতার জন্য যে স্বাধীনতার দরকার, সে কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। নাদিয়া বলেন, ‘আমাদের দেশে যত সমস্যাই থাকুক, আমাদের ডিজাইনারেরা অনেক বেশি সৃজনশীল। আর আমাদের মডেলদের মতো সুন্দরী বিশ্বের আর কোথায় আছে?
No comments