সোমালিয়ায় ‘ব্যভিচার’-এর অভিযোগে পাথর মেরে হত্যা
সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে কট্টর মৌলবাদীরা ব্যভিচারের অভিযোগ এনে গতকাল শুক্রবার এক ব্যক্তিকে পাথর মেরে হত্যা করেছে। মৌলবাদীরা অবশ্য তাঁর সন্তান সম্ভাবা প্রেমিকাকে সন্তান জন্মের আগ পর্যন্ত রেহাই দিয়েছে। তবে সোমালিয়ার কট্টর মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন আল শাবাবের একজন মুখপাত্র জানান, ‘শিশু সন্তান জন্মের পর ওই মেয়েটিকে হত্যা করা হবে।’
আবাস হোসেন আবদিরহমান (৩৩) নামের ওই ব্যক্তিকে মেরকা শহরে প্রায় ৩০০ লোকের সামনে পাথর মেরে হত্যা করা হয়। পাথর মারার সময় তিনি চিত্কার করছিলেন। তাঁর বেয়ে তখন প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সাত মিনিট পর তাঁর দেহ নিথর হয়ে যায়। আল-শাবাব কর্মকর্তা শেখ সুলদান আলা মোহামেদ দাবি করেন, আবদিরহমান একটি ইসলামী আদালতে ব্যভিচারের কথা স্বীকার করেছেন।
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, ওই নারীকে হত্যা করা হলে তাঁর শিশু সন্তানকে লালন-পালনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সোমালিয়ায় ১৮ বছর ধরে কোনো নিয়মতান্ত্রিক একক সরকারের অস্তিত্ব নেই। রাজধানী মোগাদিসু ও এর আশপাশের এলাকায় কেবল জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের কর্তৃত্ব রয়েছে। আর সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে ইসলামপন্থী দলগুলো। ওই অঞ্চলে তাঁরা কট্টর শরিয়াহভিত্তিক শাসনব্যবস্থা চালাচ্ছে। গত এক বছরে বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্ক ও অন্যান্য ‘অনাচার’-এর অভিযোগে সোমালিয়ায় আরও দুজনকে পাথর ছুড়ে হত্যা করেছে মৌলবাদীরা। গত বছর ধর্ষিত হওয়ার পরও ১৩ বছরের একটি শিশু-কন্যাকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়। মানবাধিকার কর্মীরা জানান, ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট শেখ শরিফ শেখ আহমেদ বলেন, ‘আল শাবাব মানুষ হত্যা ও নারী নির্যাতনের মাধ্যমে শান্তির ধর্ম ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।’
আল-শাবাব সোমালিয়ায় নারীদের মোটা কাপড়ের পোশাক পরতে বাধ্য করছে। তারা চায়, নারীরা পুরো শরীর ঢেকে চলুক। কিন্তু এর পেছনে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট শেখ শরিফ বলেন ‘এ ধরনের পোশাক তারা বিক্রি করে। তারা নারীদের এই পোশাক কিনতে বাধ্য করে।’
আবাস হোসেন আবদিরহমান (৩৩) নামের ওই ব্যক্তিকে মেরকা শহরে প্রায় ৩০০ লোকের সামনে পাথর মেরে হত্যা করা হয়। পাথর মারার সময় তিনি চিত্কার করছিলেন। তাঁর বেয়ে তখন প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সাত মিনিট পর তাঁর দেহ নিথর হয়ে যায়। আল-শাবাব কর্মকর্তা শেখ সুলদান আলা মোহামেদ দাবি করেন, আবদিরহমান একটি ইসলামী আদালতে ব্যভিচারের কথা স্বীকার করেছেন।
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, ওই নারীকে হত্যা করা হলে তাঁর শিশু সন্তানকে লালন-পালনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সোমালিয়ায় ১৮ বছর ধরে কোনো নিয়মতান্ত্রিক একক সরকারের অস্তিত্ব নেই। রাজধানী মোগাদিসু ও এর আশপাশের এলাকায় কেবল জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের কর্তৃত্ব রয়েছে। আর সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে ইসলামপন্থী দলগুলো। ওই অঞ্চলে তাঁরা কট্টর শরিয়াহভিত্তিক শাসনব্যবস্থা চালাচ্ছে। গত এক বছরে বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্ক ও অন্যান্য ‘অনাচার’-এর অভিযোগে সোমালিয়ায় আরও দুজনকে পাথর ছুড়ে হত্যা করেছে মৌলবাদীরা। গত বছর ধর্ষিত হওয়ার পরও ১৩ বছরের একটি শিশু-কন্যাকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়। মানবাধিকার কর্মীরা জানান, ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট শেখ শরিফ শেখ আহমেদ বলেন, ‘আল শাবাব মানুষ হত্যা ও নারী নির্যাতনের মাধ্যমে শান্তির ধর্ম ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।’
আল-শাবাব সোমালিয়ায় নারীদের মোটা কাপড়ের পোশাক পরতে বাধ্য করছে। তারা চায়, নারীরা পুরো শরীর ঢেকে চলুক। কিন্তু এর পেছনে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট শেখ শরিফ বলেন ‘এ ধরনের পোশাক তারা বিক্রি করে। তারা নারীদের এই পোশাক কিনতে বাধ্য করে।’
No comments