এসএ গেমস এখন গলার ফাঁস
প্রথমে ঠিক ছিল, এবারের এসএ গেমসে ১৭টি খেলা হবে। পূর্বনির্ধারিত ১৫টির সঙ্গে আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের পছন্দের কোটায় গলফ আর কুস্তি ঢুকল। পরে ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, সাইক্লিং, ভলিবল ও জুডো যোগ হওয়ায় সংখ্যাটা ঠেকেছে গতবারের চেয়ে তিনটি বেশি—২৩!
ক্রিকেট, গলফ আগে ছিল না। এবার উচ্চাভিলাষী হয়ে এ দুটি খেলাকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। ক্রিকেট যোগ করার যুক্তি, এতে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। যুব ক্রিকেট দিয়ে কীভাবে আয়োজকেরা টাকা তুলবেন, তা অবশ্য খোলাসা করে এখনো বলা হয়নি। গলফ নেওয়া হয়েছে সোনা জয়ের আশায়। আর এ খেলাগুলো যোগ করায় গেমসের কলেবর বেড়ে রীতিমতো গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, কুস্তির মতো নিয়মিত ইভেন্টগুলো শুরুতে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ফুটবল, হকি, অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, শ্যুটিং, কাবাডি, টেবিল টেনিস, ভারোত্তোলনে অবশ্য কাচি পড়েনি। তায়কোয়ান্দো, কারাতে, জুডো, আর্চারি, বক্সিং, উশু, স্কোয়াশ, হ্যান্ডবল—এই খেলাগুলোকে সুযোগ দিয়ে গেমসে ফিরিয়ে আনা হলো বাস্কেটবল।
অন্য সব খেলা কোনো রকমে এদিক-সেদিক চালিয়ে নিতে পারলেও স্কোয়াশ নিয়ে এখন বড় বিপদ। গুলশানে স্কোয়াশকে জায়গা দিয়ে নতুন কোর্ট করার উদ্যোগ ভেস্তে গেল জায়গা নিয়ে মামলা হওয়ায়। রাজশাহীর স্কোয়াশ কোর্টে যেতে বলা হলো ফেডারেশনকে, কিন্তু ওখানে মাত্র একটি কোর্ট। অন্তত দুটি কোর্ট হলেও ফেডারেশন চিন্তা করত।
বিকল্প হিসেবে ঢাকা ক্লাবের কোর্ট সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে ৩৮ লাখ টাকার বাজেট দিয়েছে ফেডারেশন। সরকার নিজের টাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোর্ট সংস্কার করবে কেন—জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দিচ্ছে এমন যুক্তি। এ অবস্থায় স্কোয়াশ আদৌ হবে কি না অনিশ্চিত। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হামিদ যদিও আশাবাদী, ‘ঢাকা ক্লাবের কোর্ট দেশের বাইরের নয়। সরকার ওটা সংস্কার না করলে শো’টা খারাপ হবে, এই আর কি! কিন্তু আমরা চাই, ঢাকা ক্লাবেই খেলা হোক। মাননীয় মন্ত্রী সোমবার দেখা করতে বলেছেন। দেখা যাক, কী হয়।’
স্কোয়াশের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জেরবার উশুকেও বাদ দেওয়ার চিন্তা ঢুকেছে অনেকের মাথায়। আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকায় দক্ষিণ এশীয় অলিম্পিক কমিটির সভায় খেলা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব আনার সুযোগ দেখছেন বিওএ সহসভাপতি মিজানুর রহমান মানু, ‘স্কোয়াশের নিজম্ব অবকাঠামোই নেই। উশুতে চলছে বিশৃঙ্খলা। এ অবস্থায় এই দুটি খেলার ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হয়তো নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে ১৮ তারিখের সভায়।’
বিওএ মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ অবশ্য খেলা কমানোর পক্ষে নন, ‘সব খেলা হবে। কোনো সমস্যা দেখছি না।’ স্কোয়াশের ব্যাপারে তাঁর কথা, ‘ওখানে দু-চার, পাঁচ লাখ টাকা লাগলে চালিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু আরও বেশি টাকা লাগলে এবং সরকার তা না দিলে খেলা হবে না।’
গেমসের দুই মাস আগে বাংলাদেশ যদি বলে, স্কোয়াশ হবে না, তাহলে ব্যাপারটা কেমন দেখাবে? বিদেশিরা হাসাহাসি করবে না? ওদিকে সাঁতারে ১৬ বছরের পুরোনো বোর্ড। গেমসের মাঝপথে এটি নষ্ট হয়ে গেলে? সাঁতারু শাহজাহান আলী মনে করেন, ‘দেশের সম্মানই তাহলে থাকবে না।’ ফেডারেশন এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা কখনোই রাখতে পারেনি। সরকারকে বিব্রত করলে না চেয়ার চলে যায়, এই ভয়!
অবকাঠামোগুলো এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি হলো না। এ নিয়ে সর্বত্র হতাশা। তবে বিওএ মহাসচিবের দাবি, ‘সব ঠিকমতোই চলছে। অবকাঠামোও ভালোই আছে। এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।’
একদিকে খেলা বাড়ানো হয়েছে, অন্যদিকে অ্যাথলেটিকসের কোনো থ্রোয়িং ইভেন্টই নেই! সাঁতারে বাদ ৩৮ ইভেন্টের অর্ধেকই। বিওএ মহাসচিবের যুক্তি, ‘খেলা বাড়িয়ে ইভেন্ট কমিয়েছি। এতে আমাদের সুবিধাই হলো।’ সাঁতার-অ্যাথলেটিকসে অসম্পূর্ণ একটা প্রতিযোগিতা হবে। সুবিধাই বটে!
প্রায় ২২-২৩ শ অ্যাথলেট-কর্মকর্তার থাকার ব্যবস্থা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। গুলশান-বনানীর রেস্ট হাউসসহ ঢাকার দ্বিতীয় সারির হোটেলও খোঁজা হচ্ছে এখন। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানসহ গেমস ব্যবস্থাপনার জন্য বরাদ্দ ৪৯ কোটি, কিন্তু টাকা পাওয়া যায়নি এখনো। এ সপ্তাহের মধ্যে অন্তত ৫-৬ কোটি টাকা পাওয়া না গেলে গেমস আয়োজন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বলছেন, ‘গেমস করতে অভিজ্ঞ লোক দরকার। অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে এটা হয় না। এ জন্যই লেজে-গোবরে অবস্থা।’
ক্রিকেট, গলফ আগে ছিল না। এবার উচ্চাভিলাষী হয়ে এ দুটি খেলাকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। ক্রিকেট যোগ করার যুক্তি, এতে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। যুব ক্রিকেট দিয়ে কীভাবে আয়োজকেরা টাকা তুলবেন, তা অবশ্য খোলাসা করে এখনো বলা হয়নি। গলফ নেওয়া হয়েছে সোনা জয়ের আশায়। আর এ খেলাগুলো যোগ করায় গেমসের কলেবর বেড়ে রীতিমতো গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, কুস্তির মতো নিয়মিত ইভেন্টগুলো শুরুতে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ফুটবল, হকি, অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, শ্যুটিং, কাবাডি, টেবিল টেনিস, ভারোত্তোলনে অবশ্য কাচি পড়েনি। তায়কোয়ান্দো, কারাতে, জুডো, আর্চারি, বক্সিং, উশু, স্কোয়াশ, হ্যান্ডবল—এই খেলাগুলোকে সুযোগ দিয়ে গেমসে ফিরিয়ে আনা হলো বাস্কেটবল।
অন্য সব খেলা কোনো রকমে এদিক-সেদিক চালিয়ে নিতে পারলেও স্কোয়াশ নিয়ে এখন বড় বিপদ। গুলশানে স্কোয়াশকে জায়গা দিয়ে নতুন কোর্ট করার উদ্যোগ ভেস্তে গেল জায়গা নিয়ে মামলা হওয়ায়। রাজশাহীর স্কোয়াশ কোর্টে যেতে বলা হলো ফেডারেশনকে, কিন্তু ওখানে মাত্র একটি কোর্ট। অন্তত দুটি কোর্ট হলেও ফেডারেশন চিন্তা করত।
বিকল্প হিসেবে ঢাকা ক্লাবের কোর্ট সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে ৩৮ লাখ টাকার বাজেট দিয়েছে ফেডারেশন। সরকার নিজের টাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোর্ট সংস্কার করবে কেন—জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দিচ্ছে এমন যুক্তি। এ অবস্থায় স্কোয়াশ আদৌ হবে কি না অনিশ্চিত। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হামিদ যদিও আশাবাদী, ‘ঢাকা ক্লাবের কোর্ট দেশের বাইরের নয়। সরকার ওটা সংস্কার না করলে শো’টা খারাপ হবে, এই আর কি! কিন্তু আমরা চাই, ঢাকা ক্লাবেই খেলা হোক। মাননীয় মন্ত্রী সোমবার দেখা করতে বলেছেন। দেখা যাক, কী হয়।’
স্কোয়াশের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জেরবার উশুকেও বাদ দেওয়ার চিন্তা ঢুকেছে অনেকের মাথায়। আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকায় দক্ষিণ এশীয় অলিম্পিক কমিটির সভায় খেলা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব আনার সুযোগ দেখছেন বিওএ সহসভাপতি মিজানুর রহমান মানু, ‘স্কোয়াশের নিজম্ব অবকাঠামোই নেই। উশুতে চলছে বিশৃঙ্খলা। এ অবস্থায় এই দুটি খেলার ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হয়তো নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে ১৮ তারিখের সভায়।’
বিওএ মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ অবশ্য খেলা কমানোর পক্ষে নন, ‘সব খেলা হবে। কোনো সমস্যা দেখছি না।’ স্কোয়াশের ব্যাপারে তাঁর কথা, ‘ওখানে দু-চার, পাঁচ লাখ টাকা লাগলে চালিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু আরও বেশি টাকা লাগলে এবং সরকার তা না দিলে খেলা হবে না।’
গেমসের দুই মাস আগে বাংলাদেশ যদি বলে, স্কোয়াশ হবে না, তাহলে ব্যাপারটা কেমন দেখাবে? বিদেশিরা হাসাহাসি করবে না? ওদিকে সাঁতারে ১৬ বছরের পুরোনো বোর্ড। গেমসের মাঝপথে এটি নষ্ট হয়ে গেলে? সাঁতারু শাহজাহান আলী মনে করেন, ‘দেশের সম্মানই তাহলে থাকবে না।’ ফেডারেশন এ ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা কখনোই রাখতে পারেনি। সরকারকে বিব্রত করলে না চেয়ার চলে যায়, এই ভয়!
অবকাঠামোগুলো এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি হলো না। এ নিয়ে সর্বত্র হতাশা। তবে বিওএ মহাসচিবের দাবি, ‘সব ঠিকমতোই চলছে। অবকাঠামোও ভালোই আছে। এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।’
একদিকে খেলা বাড়ানো হয়েছে, অন্যদিকে অ্যাথলেটিকসের কোনো থ্রোয়িং ইভেন্টই নেই! সাঁতারে বাদ ৩৮ ইভেন্টের অর্ধেকই। বিওএ মহাসচিবের যুক্তি, ‘খেলা বাড়িয়ে ইভেন্ট কমিয়েছি। এতে আমাদের সুবিধাই হলো।’ সাঁতার-অ্যাথলেটিকসে অসম্পূর্ণ একটা প্রতিযোগিতা হবে। সুবিধাই বটে!
প্রায় ২২-২৩ শ অ্যাথলেট-কর্মকর্তার থাকার ব্যবস্থা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। গুলশান-বনানীর রেস্ট হাউসসহ ঢাকার দ্বিতীয় সারির হোটেলও খোঁজা হচ্ছে এখন। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানসহ গেমস ব্যবস্থাপনার জন্য বরাদ্দ ৪৯ কোটি, কিন্তু টাকা পাওয়া যায়নি এখনো। এ সপ্তাহের মধ্যে অন্তত ৫-৬ কোটি টাকা পাওয়া না গেলে গেমস আয়োজন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বলছেন, ‘গেমস করতে অভিজ্ঞ লোক দরকার। অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে এটা হয় না। এ জন্যই লেজে-গোবরে অবস্থা।’
No comments