ম্যাককুলাম ঝড়ে পাকিস্তানকে ৬৪ রানে হারালো নিউজিল্যান্ড
মরু শহর আবুধাবিতে মরুঝড় নতুন কিছু নয়। কিন্তু কাল শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম যা করলেন, তাকে কিসের সঙ্গে তুলনা করা যায়? মরুঝড় তো এর কাছে কিছুই না। ম্যাককুলাম তাণ্ডবের কথা বোধ হয় পাকিস্তান দলের চেয়ে ভালো কেউ বলতে পারবে না। কারণ সেই তাণ্ডবের সবচেয়ে বড় শিকার যে তারাই।
২০০৯ ক্রিকেট মৌসুমটা একেবারেই ভালো যায়নি ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের। প্রত্যাশার কাছে প্রাপ্তির অসহনীয় অমিলে যেন হাঁপিয়ে উঠেছিলেন তিনি। ২০০৮-এর শুরুর দিকে আইপিএলে কলকাতা নাইটরাইডার্সের হয়ে একটি ম্যাচে দানবীয় ১৫৭ রানের পর যেন প্রত্যাশার চাপেই চাপা পড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়ক পদ থেকে বাদ পড়া তো ছিলই, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তাঁর ইনিংস ওপেন করার সামর্থ্য নিয়ে বিতর্ক। সব মিলিয়ে একেবারেই বাজে একটি সময় কাটছিল নিউজিল্যান্ড দলের এই উইকেটকিপার কাম উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩৮ রানের বিশাল পরাজয় হয়তো তাতিয়ে রেখেছিল কিউই ব্যাটসম্যানদের। এর সঙ্গে অবশ্যই ম্যাককুলামকে, তাই তো তাঁর মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরির ওপর ভর করে নিউজিল্যান্ড পাকিস্তানের সামনে দাঁড় করাল ৩০৩ রানের এক লড়াকু স্কোর। ম্যাককুলাম নিজে করলেন ১৩১। গুপটিল করলেন ৬২। ড্যানিয়েল ভেট্টরি ও জ্যাকব ওরামের ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ দুটি ‘তিরিশ’ এ (যথাক্রমে ৩০ ও ৩৩) কিউই দলের এই ব্যাটিং সাফল্য। এর আগে টস জিতে ব্যাট হাতে নেওয়ার নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরির সিদ্ধান্তকে যেন দারুণ সম্মানই জানালেন তাঁর দলের বাকি সদস্যরা। ম্যাককুলামের তাণ্ডবের দিনে পাকিস্তানের উমর গুল, আবদুল রাজ্জাক ও শহীদ আফ্রিদি ২টি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ৫৯, ৬০ ও ৪৯ রানের বিনিময়ে।
৩০৪ রান করলে জিতবে, এমন একটি কঠিন অথচ ‘খুবই সম্ভব’ লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তান দলের শুরুটা ছিল চমত্কার। সালমান বাট ও খালিদ লতিফ উদ্বোধনী জুটিকে টেনে নিয়ে যান ৭৭ রান পর্যন্ত। সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের বাকি ব্যাটসম্যানদের দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ব্যর্থতাই কেবল কাল পাকিস্তান দলকে জিততে দেয়নি। এর সঙ্গে যুক্ত হলো স্কট স্টাইরিসের এক অসাধারণ স্পেল। তিনি তাঁর স্লো-মিডিয়াম ভেলকিতে পাকিস্তানের তিন গুরুত্বপূর্ণ মিডল অর্ডার ইউনিস খান, শহীদ আফ্রিদি ও কামরান আকমলকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালে পাকিস্তান পরিণত হয় ১৩৪/৫-এ। এরপর মোহাম্মদ ইউসুফ, শোয়েব মালিক ও আবদুল রাজ্জাক মরিয়া হয়ে দলকে ম্যাচে ফেরত আনার চেষ্টা চালালেও তাঁদের সেই প্রচেষ্টা যথেষ্ট ছিল না। দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে পাকিস্তানের ইনিংস থেমে যায় ২৩৯ রানে, নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ থেকে ৬৪ রান দূরে থেকেই। ভেট্টরি ৩৭ রানে ২টি, কাই মিলস ৫৭ রানে ২টি উইকেট নিলেও পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে মোক্ষম ধাক্কাটা দেন স্টাইরিস মাত্র ২৩ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে।
কালকে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান-বোলারদের লড়াইয়ের মুখে পাকিস্তানের ভেঙে পড়া এই সিরিজের বাকি ওয়ানডেগুলোতে দুর্দান্ত লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতিই রেখে গেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৩০৩/৮ (৫০ ওভার)
ম্যাককুলাম ১৩১, গুপটিল ৬২
গুল ২/৫৯, রাজ্জাক ২/৬০, আফ্রিদি ২/৪৯
পাকিস্তান ২৩৯ (৪৭.২ ওভার)
সালমান বাট ৫৯, খালিদ লতিফ ৪৫
স্টাইরিস ৩/২৩, ভেট্টরি ২/৩৭
ফল: নিউজিল্যান্ড ৬৪ রানে জয়ী।
২০০৯ ক্রিকেট মৌসুমটা একেবারেই ভালো যায়নি ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের। প্রত্যাশার কাছে প্রাপ্তির অসহনীয় অমিলে যেন হাঁপিয়ে উঠেছিলেন তিনি। ২০০৮-এর শুরুর দিকে আইপিএলে কলকাতা নাইটরাইডার্সের হয়ে একটি ম্যাচে দানবীয় ১৫৭ রানের পর যেন প্রত্যাশার চাপেই চাপা পড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়ক পদ থেকে বাদ পড়া তো ছিলই, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তাঁর ইনিংস ওপেন করার সামর্থ্য নিয়ে বিতর্ক। সব মিলিয়ে একেবারেই বাজে একটি সময় কাটছিল নিউজিল্যান্ড দলের এই উইকেটকিপার কাম উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩৮ রানের বিশাল পরাজয় হয়তো তাতিয়ে রেখেছিল কিউই ব্যাটসম্যানদের। এর সঙ্গে অবশ্যই ম্যাককুলামকে, তাই তো তাঁর মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরির ওপর ভর করে নিউজিল্যান্ড পাকিস্তানের সামনে দাঁড় করাল ৩০৩ রানের এক লড়াকু স্কোর। ম্যাককুলাম নিজে করলেন ১৩১। গুপটিল করলেন ৬২। ড্যানিয়েল ভেট্টরি ও জ্যাকব ওরামের ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ দুটি ‘তিরিশ’ এ (যথাক্রমে ৩০ ও ৩৩) কিউই দলের এই ব্যাটিং সাফল্য। এর আগে টস জিতে ব্যাট হাতে নেওয়ার নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরির সিদ্ধান্তকে যেন দারুণ সম্মানই জানালেন তাঁর দলের বাকি সদস্যরা। ম্যাককুলামের তাণ্ডবের দিনে পাকিস্তানের উমর গুল, আবদুল রাজ্জাক ও শহীদ আফ্রিদি ২টি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ৫৯, ৬০ ও ৪৯ রানের বিনিময়ে।
৩০৪ রান করলে জিতবে, এমন একটি কঠিন অথচ ‘খুবই সম্ভব’ লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তান দলের শুরুটা ছিল চমত্কার। সালমান বাট ও খালিদ লতিফ উদ্বোধনী জুটিকে টেনে নিয়ে যান ৭৭ রান পর্যন্ত। সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের বাকি ব্যাটসম্যানদের দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ব্যর্থতাই কেবল কাল পাকিস্তান দলকে জিততে দেয়নি। এর সঙ্গে যুক্ত হলো স্কট স্টাইরিসের এক অসাধারণ স্পেল। তিনি তাঁর স্লো-মিডিয়াম ভেলকিতে পাকিস্তানের তিন গুরুত্বপূর্ণ মিডল অর্ডার ইউনিস খান, শহীদ আফ্রিদি ও কামরান আকমলকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালে পাকিস্তান পরিণত হয় ১৩৪/৫-এ। এরপর মোহাম্মদ ইউসুফ, শোয়েব মালিক ও আবদুল রাজ্জাক মরিয়া হয়ে দলকে ম্যাচে ফেরত আনার চেষ্টা চালালেও তাঁদের সেই প্রচেষ্টা যথেষ্ট ছিল না। দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে পাকিস্তানের ইনিংস থেমে যায় ২৩৯ রানে, নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ থেকে ৬৪ রান দূরে থেকেই। ভেট্টরি ৩৭ রানে ২টি, কাই মিলস ৫৭ রানে ২টি উইকেট নিলেও পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে মোক্ষম ধাক্কাটা দেন স্টাইরিস মাত্র ২৩ রানে ৩টি উইকেট নিয়ে।
কালকে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান-বোলারদের লড়াইয়ের মুখে পাকিস্তানের ভেঙে পড়া এই সিরিজের বাকি ওয়ানডেগুলোতে দুর্দান্ত লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতিই রেখে গেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৩০৩/৮ (৫০ ওভার)
ম্যাককুলাম ১৩১, গুপটিল ৬২
গুল ২/৫৯, রাজ্জাক ২/৬০, আফ্রিদি ২/৪৯
পাকিস্তান ২৩৯ (৪৭.২ ওভার)
সালমান বাট ৫৯, খালিদ লতিফ ৪৫
স্টাইরিস ৩/২৩, ভেট্টরি ২/৩৭
ফল: নিউজিল্যান্ড ৬৪ রানে জয়ী।
No comments