আফগান স্বার্থ রক্ষায় পাকিস্তানের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র by দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী
ডোনাল্ড
ট্রাম্পের প্রশাসন দুই বছর আগে তাদের দক্ষিণ এশিয়া নীতিতে ভারতকে
কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রাখলেও এখন তারা ক্রমেই পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে বদ্ধপরিকর
যুক্তরাষ্ট্র, কারণ আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্রে। এ অবস্থায় আফগানিস্তানে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য
ব্যাপকভাবে ইসলামাবাদের উপর নির্ভর করছে দেশটি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ বছরের যুদ্ধের ইতি টানার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রাখতে পারেন এবং গত বছর যে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বাতিল করেছিলেন তিনি, সেটা পুনর্বহালেরও সম্ভাবনার কথা বলেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তানের সম্পর্কের ব্যাপারে অবগত সূত্রের মতে, এই বিষয়টা ইন্দো-পাক সম্পর্কের ব্যাপারে ট্রাম্পের নীতিকে একটা রূপ দিচ্ছে যেটা নির্ভর করবে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উত্তেজনা প্রশমনের মাত্রার উপর। সোমবার হোয়াইট হাইজের বৈঠকের শুরুতে ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি পাকিস্তান আমাদের সাহায্য করবে যাতে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি”। এ সময় খান তার পাশেই বসা ছিলেন। এক বছরের মধ্যে এটা ট্রাম্পের একটা ইউ-টার্নের মতো। ট্রাম্প গত বছর টুইট করেছিলেন যে, পাকিস্তান ‘আমাদেরকে মিথ্যা ও প্রতারণা ছাড়া কিছুই দেয়নি” এবং সন্ত্রাসীদের তারা ‘নিরাপদ আশ্রয়’ দিয়েছে।
পুলওয়ামা হামলার পর ওয়াশিংটন এমনকি মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা দেয়ার ভারতীয় দাবিকে সমর্থনও করেছিল এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্সে (এফএটিএফ) পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়ায় তারা নেতৃত্ব দিয়েছিল।
পাল্টা টুইটে খান বলেছেন যে, সন্ত্রাস বিরোধী মার্কিন যুদ্ধে পাকিস্তানের ৭৫,০০০ জন ব্যক্তি হতাহত হয়েছে এবং ১২৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে, যদিও ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় কোন পাকিস্তানি জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে শুধু ২০ বিলিয়ন ডলারের সামান্য সহায়তা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এখন পাকিস্তানের সাথে বিভেদ ঘুচানোর চেষ্টা করছে। ট্রাম্প সোমবার খানকে লক্ষ্য করে বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহে আমরা বেশ কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছি। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনেক কিছু ঘটছে, এবং আমরা মনে করি আপনার নেতৃত্বে পাকিস্তানেরও অনেক কিছু অর্জন হবে”।
জানা গেছে যে, আফগানিস্তানে পাকিস্তান যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, ট্রাম্প সে বিষয়টির স্বীকৃতি দেয়ায় খান বৈঠকে যথেষ্ট সন্তুষ্টচিত্ত ছিলেন। ইসলামাবাদ বলেছে, ট্রাম্প সোমবার তালেবানদের সাথে আলোচনার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং খান এই প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভূমিকা বেড়ে যাওয়ার অর্থ হলো ইন্দো-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে সেটা একটা ক্ষত তৈরি করবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ বছরের যুদ্ধের ইতি টানার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রাখতে পারেন এবং গত বছর যে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বাতিল করেছিলেন তিনি, সেটা পুনর্বহালেরও সম্ভাবনার কথা বলেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তানের সম্পর্কের ব্যাপারে অবগত সূত্রের মতে, এই বিষয়টা ইন্দো-পাক সম্পর্কের ব্যাপারে ট্রাম্পের নীতিকে একটা রূপ দিচ্ছে যেটা নির্ভর করবে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উত্তেজনা প্রশমনের মাত্রার উপর। সোমবার হোয়াইট হাইজের বৈঠকের শুরুতে ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি পাকিস্তান আমাদের সাহায্য করবে যাতে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি”। এ সময় খান তার পাশেই বসা ছিলেন। এক বছরের মধ্যে এটা ট্রাম্পের একটা ইউ-টার্নের মতো। ট্রাম্প গত বছর টুইট করেছিলেন যে, পাকিস্তান ‘আমাদেরকে মিথ্যা ও প্রতারণা ছাড়া কিছুই দেয়নি” এবং সন্ত্রাসীদের তারা ‘নিরাপদ আশ্রয়’ দিয়েছে।
পুলওয়ামা হামলার পর ওয়াশিংটন এমনকি মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা দেয়ার ভারতীয় দাবিকে সমর্থনও করেছিল এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্সে (এফএটিএফ) পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়ায় তারা নেতৃত্ব দিয়েছিল।
পাল্টা টুইটে খান বলেছেন যে, সন্ত্রাস বিরোধী মার্কিন যুদ্ধে পাকিস্তানের ৭৫,০০০ জন ব্যক্তি হতাহত হয়েছে এবং ১২৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে, যদিও ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় কোন পাকিস্তানি জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে শুধু ২০ বিলিয়ন ডলারের সামান্য সহায়তা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এখন পাকিস্তানের সাথে বিভেদ ঘুচানোর চেষ্টা করছে। ট্রাম্প সোমবার খানকে লক্ষ্য করে বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহে আমরা বেশ কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছি। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনেক কিছু ঘটছে, এবং আমরা মনে করি আপনার নেতৃত্বে পাকিস্তানেরও অনেক কিছু অর্জন হবে”।
জানা গেছে যে, আফগানিস্তানে পাকিস্তান যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, ট্রাম্প সে বিষয়টির স্বীকৃতি দেয়ায় খান বৈঠকে যথেষ্ট সন্তুষ্টচিত্ত ছিলেন। ইসলামাবাদ বলেছে, ট্রাম্প সোমবার তালেবানদের সাথে আলোচনার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং খান এই প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভূমিকা বেড়ে যাওয়ার অর্থ হলো ইন্দো-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে সেটা একটা ক্ষত তৈরি করবে।
No comments