ওয়াশিংটন-বেইজিং দ্বন্দ্বের নতুন রঙ্গমঞ্চ শ্রীলংকা! by ভবন জয়প্রকাস
কম্বোডিয়ার
কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে তাদের একটি নৌঘাঁটি ব্যবহার করতে দেয়ার জন্য
চীনা সামরিক বাহিনীর সাথে গোপন একটি চুক্তিতে সই করেছেন। তাদের দাবি, এই
চুক্তির ব্যাপারে তারা কয়েক হাজার মাইল দূরে শ্রীলংকা থেকে সহানুভূতি পাবে।
অন্যদিকে শ্রীলংকার কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে বিদেশী স্থায়ী উপস্থিতির কোনো পরিকল্পনার কথা বারবার অস্বীকার করে আসছে।
তবে শ্রীলংকার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গোপন চুক্তি করছেন।
শ্রীলংকাকেন্দ্রিক স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষকেরা দিজ উইককে বলেন, সরকার বারবার অভিযোগটি অস্বীকার করতে থাকলেও এ নিয়ে প্রচণ্ড প্রতিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, নাগরিকেরা জোরালোভাবে মনে করছেন যে বিদেশী সামরিক ঘাঁটি তাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হবে।
দক্ষিণ ভারতের প্রান্তে অবস্থিত শ্রীলংকা নিজেকে ক্রমবর্ধমান হারে যুক্তরাষ্ট্র-চীন কৌশলগত দ্বন্দ্বের মুখে দেখতে পাচ্ছে। উভয় পরাশক্তিই ভারত মহাসাগরে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে চাইছে।
হামবানতোতা বন্দরটি চীন ১.৫ বিলিয়ন ডলারে ইজারা নিলেও এখানে নৌস্থাপনা নির্মাণের কোনো অধিকার তাদের নেই।
অনেক মার্কিন পররাষ্ট্রবিষয়ক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তার কূটনৈতিক ছাতা ব্যবহার করে কলম্বোকে কাছে টানার জন্য আরো কিছু করা। তাদের মতে, তথাকথিত অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে শ্রীলংকা হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তারা মনে করছে, ঋণের কারণেই চীনের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে শ্রীলংকা।
নয়া দিল্লির ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের শ্রীলংকান গবেষক গুলবিন সুলতানা বলেন, বিদেশি ঘাঁটির সাথে সার্বভৌমত্বের বিষয়টি জড়িত। এতে বিদেশী হস্তক্ষেপের প্রশ্ন ওঠে। এ নিয়ে কেবল দেশের ভেতরে নয়, বিদেশেও রাজনৈতিক বিরোধিতার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোও এতে খুশি হয় না।
প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিঙ্গে এখন মার্কিন নৌঘাঁটি নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছেন। জুন মাসের শেষ দিকে স্থানীয় একটি পত্রিকায় এ নিয়ে গুজব ছড়ানোর পর পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটে। পত্রিকাটিতে কলম্বো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে খসড়া স্টাটাস অব ফোসের্স এগ্রিমেন্টের (সোফা) ফাঁস হওয়া কপির উদ্ধৃতিও দেয়া হয়।
জাপান, ইরাক ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশের সাথে সোফা চুক্তি সই করেছে ওয়াশিংটন। এই চুক্তির বলে স্বাগতিক দেশগুলোতে আমেরিকার সামরিক সদস্য ও ঠিকাদারেরা বিনা বাধায় প্রবেশ করতে পারে।
এমনকি এসব দেশে মার্কিনিরা কোনো অপরাধ করলে তাদেরকে স্থানীয় নয়, বরং মার্কিন আইনে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়।
পত্রিকায় প্রকাশের পর বিক্রমাসিঙ্গে বারবার জোর দিয়ে বলছেন যে তিনি দেশে স্থায়ী কোনো ঘাঁটি মঞ্জুর করবেন না।
তিনি বলেন, যে আলোচনা এখনো হচ্ছে তা ১৯৯৫ সালে ওয়াশিংটনের সাথে করা চুক্তির ধারাবাহিকতা।
তার বক্তব্যকে জোরদার করে মার্কিন দূত অ্যালেইনা বি তেপলিজ স্থানীয় মিডিয়াকে বলেন, তার দেশ শ্রীলংকায় কোনো ঘাঁটি বানানোর পরিকল্পনা করছে না।
তিনি বলেন, ত্রাণকাজের মতো কিছু বিষয়ে সহায়তার মতো চুক্তি করতে চান তারা।
বিক্রমাসিঙ্গেকে পাশ্চাত্যপন্থী বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনার সাথে তার বিরোধ চলছে। তিনি গত বছর বিক্রমাসিঙ্গেকে বরখাস্ত করে ২০০৫-২০১৫ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশ শাসনকারী মহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। তবে আদালত তার এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক হিসেবে অভিহিত করলে তিনি বিক্রমাসিঙ্গেকে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হন।
বিক্রমাসিঙ্গে সোফা ধরনের একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনার কথা স্পষ্টভাবে বাতিল না করলেও প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বলছেন, জাতির সাথে বেইমানি হয়, এমন কোনো চুক্তিতে তিনি সই করবেন না।
তিনি জুলাই মাসের প্রথম দিকে এক সমাবেশে বলেন, কিছু বিদেশী শক্তি শ্রীলংকায় ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমি তাদেরকে দেশে আসতে দেব না।
বেশিরভাগ গুজবে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র চায় শ্রীলংকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দরনগরী ত্রিনকোমালিতে একটি নৌঘাঁটি বানাতে। এটি হলো বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক গভীর সমুদ্র পোতাশ্রয়।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর ন্যাভাল অ্যানালাইসিস থিঙ্ক ট্যাঙ্কের স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি অ্যানালাইসিসের পরিচালক নিলানথি সামারানায়েকে বলেন, ওই দুই ব্যক্তির দ্বন্দ্বের মধ্যেই এই বিতর্কের মূল নিহিত রয়েছে।
অবশ্য এ নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। নয়া দিল্লিভিত্তিক বিশ্লেষক সুলতানা বলেন, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত আমেরিকান সদস্যদের জন্য আইনগত অধিকার চাচ্ছে।
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেন্নাই চ্যাপ্টারের পরিচালক সাথিয়া মুর্তি বলেন, ১০০ বছরের জন্য হামবানতোতা নিয়ে শ্রীলংকায় ইতোমধ্যেই চীন ঢুকে পড়েছে। এখন অন্য যেকোনো চুক্তিতেই অন্য কোনো দেশকে আনা শ্রীলংকার জন্য হবে বিপজ্জনক।
তিনি বলেন, এ ধরনের বিষয় থেকে শ্রীলংকার বিরত থাকা উচিত হবে।
অন্যদিকে শ্রীলংকার কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে বিদেশী স্থায়ী উপস্থিতির কোনো পরিকল্পনার কথা বারবার অস্বীকার করে আসছে।
তবে শ্রীলংকার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গোপন চুক্তি করছেন।
শ্রীলংকাকেন্দ্রিক স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষকেরা দিজ উইককে বলেন, সরকার বারবার অভিযোগটি অস্বীকার করতে থাকলেও এ নিয়ে প্রচণ্ড প্রতিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, নাগরিকেরা জোরালোভাবে মনে করছেন যে বিদেশী সামরিক ঘাঁটি তাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হবে।
দক্ষিণ ভারতের প্রান্তে অবস্থিত শ্রীলংকা নিজেকে ক্রমবর্ধমান হারে যুক্তরাষ্ট্র-চীন কৌশলগত দ্বন্দ্বের মুখে দেখতে পাচ্ছে। উভয় পরাশক্তিই ভারত মহাসাগরে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে চাইছে।
হামবানতোতা বন্দরটি চীন ১.৫ বিলিয়ন ডলারে ইজারা নিলেও এখানে নৌস্থাপনা নির্মাণের কোনো অধিকার তাদের নেই।
অনেক মার্কিন পররাষ্ট্রবিষয়ক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তার কূটনৈতিক ছাতা ব্যবহার করে কলম্বোকে কাছে টানার জন্য আরো কিছু করা। তাদের মতে, তথাকথিত অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে শ্রীলংকা হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তারা মনে করছে, ঋণের কারণেই চীনের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে শ্রীলংকা।
নয়া দিল্লির ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের শ্রীলংকান গবেষক গুলবিন সুলতানা বলেন, বিদেশি ঘাঁটির সাথে সার্বভৌমত্বের বিষয়টি জড়িত। এতে বিদেশী হস্তক্ষেপের প্রশ্ন ওঠে। এ নিয়ে কেবল দেশের ভেতরে নয়, বিদেশেও রাজনৈতিক বিরোধিতার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোও এতে খুশি হয় না।
প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিঙ্গে এখন মার্কিন নৌঘাঁটি নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছেন। জুন মাসের শেষ দিকে স্থানীয় একটি পত্রিকায় এ নিয়ে গুজব ছড়ানোর পর পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটে। পত্রিকাটিতে কলম্বো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে খসড়া স্টাটাস অব ফোসের্স এগ্রিমেন্টের (সোফা) ফাঁস হওয়া কপির উদ্ধৃতিও দেয়া হয়।
জাপান, ইরাক ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশের সাথে সোফা চুক্তি সই করেছে ওয়াশিংটন। এই চুক্তির বলে স্বাগতিক দেশগুলোতে আমেরিকার সামরিক সদস্য ও ঠিকাদারেরা বিনা বাধায় প্রবেশ করতে পারে।
এমনকি এসব দেশে মার্কিনিরা কোনো অপরাধ করলে তাদেরকে স্থানীয় নয়, বরং মার্কিন আইনে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়।
পত্রিকায় প্রকাশের পর বিক্রমাসিঙ্গে বারবার জোর দিয়ে বলছেন যে তিনি দেশে স্থায়ী কোনো ঘাঁটি মঞ্জুর করবেন না।
তিনি বলেন, যে আলোচনা এখনো হচ্ছে তা ১৯৯৫ সালে ওয়াশিংটনের সাথে করা চুক্তির ধারাবাহিকতা।
তার বক্তব্যকে জোরদার করে মার্কিন দূত অ্যালেইনা বি তেপলিজ স্থানীয় মিডিয়াকে বলেন, তার দেশ শ্রীলংকায় কোনো ঘাঁটি বানানোর পরিকল্পনা করছে না।
তিনি বলেন, ত্রাণকাজের মতো কিছু বিষয়ে সহায়তার মতো চুক্তি করতে চান তারা।
বিক্রমাসিঙ্গেকে পাশ্চাত্যপন্থী বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনার সাথে তার বিরোধ চলছে। তিনি গত বছর বিক্রমাসিঙ্গেকে বরখাস্ত করে ২০০৫-২০১৫ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশ শাসনকারী মহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। তবে আদালত তার এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক হিসেবে অভিহিত করলে তিনি বিক্রমাসিঙ্গেকে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হন।
বিক্রমাসিঙ্গে সোফা ধরনের একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনার কথা স্পষ্টভাবে বাতিল না করলেও প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বলছেন, জাতির সাথে বেইমানি হয়, এমন কোনো চুক্তিতে তিনি সই করবেন না।
তিনি জুলাই মাসের প্রথম দিকে এক সমাবেশে বলেন, কিছু বিদেশী শক্তি শ্রীলংকায় ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমি তাদেরকে দেশে আসতে দেব না।
বেশিরভাগ গুজবে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র চায় শ্রীলংকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দরনগরী ত্রিনকোমালিতে একটি নৌঘাঁটি বানাতে। এটি হলো বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক গভীর সমুদ্র পোতাশ্রয়।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর ন্যাভাল অ্যানালাইসিস থিঙ্ক ট্যাঙ্কের স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি অ্যানালাইসিসের পরিচালক নিলানথি সামারানায়েকে বলেন, ওই দুই ব্যক্তির দ্বন্দ্বের মধ্যেই এই বিতর্কের মূল নিহিত রয়েছে।
অবশ্য এ নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। নয়া দিল্লিভিত্তিক বিশ্লেষক সুলতানা বলেন, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত আমেরিকান সদস্যদের জন্য আইনগত অধিকার চাচ্ছে।
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেন্নাই চ্যাপ্টারের পরিচালক সাথিয়া মুর্তি বলেন, ১০০ বছরের জন্য হামবানতোতা নিয়ে শ্রীলংকায় ইতোমধ্যেই চীন ঢুকে পড়েছে। এখন অন্য যেকোনো চুক্তিতেই অন্য কোনো দেশকে আনা শ্রীলংকার জন্য হবে বিপজ্জনক।
তিনি বলেন, এ ধরনের বিষয় থেকে শ্রীলংকার বিরত থাকা উচিত হবে।
No comments