কারফিউয়ের ঘেরাটোপে বন্দি কাশ্মিরিদের ঈদ আনন্দ
নিরাপত্তা
চৌকি, নজরদারি আর কারফিউয়ের ঘেরাটোপে বন্দি হয়ে পড়েছে কাশ্মিরিদের ঈদের
আনন্দ। প্রতি বছরই ঈদুল আজহার অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে উৎসবের ঢেউ লেগে
যায় উপত্যকায়। দলবেধে মানুষ বাজারে যায়; পোশাকসহ বিভিন্ন সাজসরঞ্জাম কেনে।
বেকারির দোকানগুলোতে সাজসাজ রব পড়ে যায়। তবে এবারের বাস্তবতা একেবারেই
আলাদা। সরকারের পক্ষ থেকে কাশ্মিরিদের ঈদ উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার
কথা জানানো হলেও শ্রীনগরের বেকারিগুলোতে প্রতি বছর ঈদের আগের দিন পণ্য
ফুরিয়ে যায়, সেখানে এবার প্রতিবারের তুলনায় ১০ ভাগ পণ্যও বিক্রি হয়নি।
সোমবারের ঈদকে সামনে রেখে পোশাক-পরিচ্ছদও তেমন একটা কিনতে দেখা যায়নি
কাউকে। কোরবানির পশু বিক্রির হারও প্রতিবারের তুলনায় একেবারেই নাজুক।
জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, উপত্যকার মানুষ যাতে ইদ উৎসব পালন করতে পারেন, সরকার তার বন্দোবস্ত করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, মানুষ যেন স্বস্তিতে ইদ উদযাপন করতে পারে তার জন্য ছুটির দিনেও ব্যাঙ্ক খোলা রাখা হয়েছে। ৩,৬৯৭টি রেশন দোকানের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিলি হচ্ছে। ছ’টি ‘সব্জিমন্ডি’ বা পাইকারি বাজারে পর্যাপ্ত কাঁচা আনাজ পাঠানো হয়েছে। আড়াই লক্ষ ভেড়া গিয়েছে, মানুষ যাতে কোরবানির জন্য তা কিনতে পারেন। ইদগা-র ময়দানও তৈরি। উপত্যকার বাইরে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ক’দিন চলা নম্বরের সঙ্গে আরও কিছু হেল্পলাইন নম্বর যোগ করা হয়েছে। তবে কাশ্মিরের বাস্তব পরিস্থিতিতে এর কোনও প্রভাব দেখা যায়নি।
শ্রীনগরের কাপড়ের দোকানগুলো বেশিরভাগ সময়ই ছিল বন্ধ। বেকারির পণ্য ছাড়া কাশ্মিরে ঈদের কথা ভাবাই যায় না। পাউরুটিসহ বিভিন্ন পণ্যে মানুষের আগ্রহ। তবে নিরাপত্তা চৌকি আর সামরিক-আধা সামরিক বাহিনীর নজরদারির সীমা পেরিয়ে কারও পক্ষে তেমন কেউ বেকারি অথবা অন্য কোনও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বেরও হয়নি। উপত্যকায় ঈদের আগের দিনও মোবাইল সংযোগ ছিল না। ইন্টারনেটও নেই টানা ছ’দিন। সংবাদ মাধ্যমের উপরে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা বহাল। দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে কোথায় আটক করে রাখা হয়েছে, খবর নেই। পাইকারি ও খুচরো বাজারে পণ্য বাড়ন্ত। এমনকি ওষুধও।
‘আমরা আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য যেসব পণ্য, সেসবই শুধু কিনে কিনে জমিয়ে রাখছি। হয়তো বিধিনিষেধ অনেক অনেক দিন ধরে জারি থাকবে; সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনকে বলেন শ্রীনগরের বাসিন্দা মোহাম্মদ সালমান। তার ভাষ্য ‘ঈদ যেখানে আনন্দের উপলক্ষ্য, সেই সময়টি আমাদের জন্য দুৎসহ যন্ত্রণার হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
কাশ্মিরের রীতি অনুযায়ী ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে আত্মীয়-পরিজনের বাড়িতে যাওয়ার চল আছে। তবে যোগাযোগ পরিস্থিতির ভয়াবহতায় এবার তা হয়নি। সেখানকার যে ছেলেমেয়েরা বাইরে পড়াশোনা করে, তারাও ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে নিজের বাড়িতে আসে ছুটির সুযোগ নিয়ে। তবে এবার বাবা-মা তরুণ ছেলেমেয়েদের বারণ করেছেন ঈদের সময় আসতে। নাসিমা বেগমের মেয়ে থাকেন ব্যাঙ্গালুরুতে। সরকারের হেল্পলাইন সার্ভিস ব্যবহার করে তিনি মেয়েকে ফোন করতে সমর্থ হয়েছেন। নিউজ এইটিনকে তিনি বলেন, ‘ঈদ হলো উৎসবের সময়, তবে কাশ্মিরে এখন উদযাপন করার মতো কোনও বাস্তবতা নাই। আমার মেয়ে ব্যাঙ্গালুরুর এক কলেজে পড়ছে। প্রতি ঈদে ও বাড়িতে আসে। প্রতিবারের মতো এবারও আমরা তার জন্য আগাম টিকিট কেটে রেখেছিলাম। পরে ওকে আসতে মানা করেছি’। নাসিমা বলেন, ‘আমরা জানি না এবার এখানে কেমন করে ঈদ উদযাপিত হবে। ও ব্যাঙ্গালুরুতে অন্তত নিরাপদে থাকবে’। আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ঈদের আগের দিন রবিবার সকাল ১০টায় ব্যাঙ্ক খোলার কথা থাকলেও খুলেছে ১১টার পরে। শ’খানেক লোক টাকা তোলার লাইনে। এক কর্মী জানান— মানুষ খেপে রয়েছেন, অথচ সিন্দুক ফাঁকা! এটিএম-এ পাঠানোর টাকাও আসেনি। আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, পুরনো শ্রীনগরের বাসিন্দা খুরশিদ আলম শাহ বাজারে এসেছিলেন কিছু জমানো টাকা নিয়ে। সঙ্গের বড় ব্যাগের কোনাটাও ভরেনি। মুদিখানার দোকানে চাল-ডাল শেষ। বাজার ঢুঁড়ে পেয়েছেন কিছু শুকনো আনাজ। আর জেনে ফিরেছেন, কাল সকালে ইদের নমাজটা মসজিদে এসে পড়া যাবে।
কাশ্মিরে ঈদুল আজহায় কয়েক লাখ পশু কোরবানি করা হয় প্রতিবছর। এবার বাজারের অবস্থা ভয়াবহ। শ্রীনগরের একজন পশু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ওয়ালিদ বলেন, ঈদের আগমুহূর্তটা আমাদের ব্যবসার জন্য সবথেকে উপযুক্ত সময়। আগের দুইদিনে আমরা এক একজন ৬০০ থেকে ৭০০ পশু বিক্রি করতে পারি। তবে এবার আমি মাত্র ৫০টি ভেড়া বিক্রি করতে সমর্থ হয়েছি।‘ পশুর দামও নেমে গেছে বলে জানান তিনি। বলেন, প্রতি কেজি মাংস যেখানে সাড়ে ৩শ টাকায় বিক্রি করতাম সেখানে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।‘ ব্যবসায় তার লাখ টাকার ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইদ-উল-আজহার আগের দিনে শ্রীনগরের পশু বাজারে বেশ কিছু ভেড়া এসেছে বটে, কিন্তু কেনার লোক নেই। ছুটির দিনেও খোলা ব্যাঙ্ক থেকে শুকনো মুখে বেরিয়ে এলেন হাবাকের বাসিন্দা আব্দুল গফ্ফর। আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেন, ‘‘পকেটে একটা টাকাও নেই। ইদে ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় কিনে দিতে হয়। কিন্তু আমার এখন চিন্তা— খাব কী!’’
কারফিউয়ের কারণে পৌরসভার কর্মীরা কাজে আসতে পারেননি। শনিবার থেকে ময়লা পরিষ্কার হচ্ছে না। পশুর হাটের অবস্থা সব চেয়ে খারাপ। কোরবানির পরে শহরের হাল আরও খারাপ হতে পারে, এমন আশঙ্কাও করছেন অনেকে। এ সবের মধ্যেই রবিবার রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক কাশ্মিরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলেছেন, এই ইদ কাশ্মীরে সুদিন আনবে। সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়াবে। উপত্যকার রাস্তার প্রতি মোড়ে, সেতুর ওপরে তখন মোতায়েন হচ্ছে কার্বাইন হাতে সেনা-জওয়ান। নতুন করে পড়েছে কাঁটাতার। এ প্রস্তুতি ইদের জমায়েতের পরে সম্ভাব্য বিক্ষোভ দমনের।
জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, উপত্যকার মানুষ যাতে ইদ উৎসব পালন করতে পারেন, সরকার তার বন্দোবস্ত করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, মানুষ যেন স্বস্তিতে ইদ উদযাপন করতে পারে তার জন্য ছুটির দিনেও ব্যাঙ্ক খোলা রাখা হয়েছে। ৩,৬৯৭টি রেশন দোকানের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিলি হচ্ছে। ছ’টি ‘সব্জিমন্ডি’ বা পাইকারি বাজারে পর্যাপ্ত কাঁচা আনাজ পাঠানো হয়েছে। আড়াই লক্ষ ভেড়া গিয়েছে, মানুষ যাতে কোরবানির জন্য তা কিনতে পারেন। ইদগা-র ময়দানও তৈরি। উপত্যকার বাইরে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ক’দিন চলা নম্বরের সঙ্গে আরও কিছু হেল্পলাইন নম্বর যোগ করা হয়েছে। তবে কাশ্মিরের বাস্তব পরিস্থিতিতে এর কোনও প্রভাব দেখা যায়নি।
শ্রীনগরের কাপড়ের দোকানগুলো বেশিরভাগ সময়ই ছিল বন্ধ। বেকারির পণ্য ছাড়া কাশ্মিরে ঈদের কথা ভাবাই যায় না। পাউরুটিসহ বিভিন্ন পণ্যে মানুষের আগ্রহ। তবে নিরাপত্তা চৌকি আর সামরিক-আধা সামরিক বাহিনীর নজরদারির সীমা পেরিয়ে কারও পক্ষে তেমন কেউ বেকারি অথবা অন্য কোনও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বেরও হয়নি। উপত্যকায় ঈদের আগের দিনও মোবাইল সংযোগ ছিল না। ইন্টারনেটও নেই টানা ছ’দিন। সংবাদ মাধ্যমের উপরে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা বহাল। দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে কোথায় আটক করে রাখা হয়েছে, খবর নেই। পাইকারি ও খুচরো বাজারে পণ্য বাড়ন্ত। এমনকি ওষুধও।
‘আমরা আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য যেসব পণ্য, সেসবই শুধু কিনে কিনে জমিয়ে রাখছি। হয়তো বিধিনিষেধ অনেক অনেক দিন ধরে জারি থাকবে; সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনকে বলেন শ্রীনগরের বাসিন্দা মোহাম্মদ সালমান। তার ভাষ্য ‘ঈদ যেখানে আনন্দের উপলক্ষ্য, সেই সময়টি আমাদের জন্য দুৎসহ যন্ত্রণার হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
কাশ্মিরের রীতি অনুযায়ী ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে আত্মীয়-পরিজনের বাড়িতে যাওয়ার চল আছে। তবে যোগাযোগ পরিস্থিতির ভয়াবহতায় এবার তা হয়নি। সেখানকার যে ছেলেমেয়েরা বাইরে পড়াশোনা করে, তারাও ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে নিজের বাড়িতে আসে ছুটির সুযোগ নিয়ে। তবে এবার বাবা-মা তরুণ ছেলেমেয়েদের বারণ করেছেন ঈদের সময় আসতে। নাসিমা বেগমের মেয়ে থাকেন ব্যাঙ্গালুরুতে। সরকারের হেল্পলাইন সার্ভিস ব্যবহার করে তিনি মেয়েকে ফোন করতে সমর্থ হয়েছেন। নিউজ এইটিনকে তিনি বলেন, ‘ঈদ হলো উৎসবের সময়, তবে কাশ্মিরে এখন উদযাপন করার মতো কোনও বাস্তবতা নাই। আমার মেয়ে ব্যাঙ্গালুরুর এক কলেজে পড়ছে। প্রতি ঈদে ও বাড়িতে আসে। প্রতিবারের মতো এবারও আমরা তার জন্য আগাম টিকিট কেটে রেখেছিলাম। পরে ওকে আসতে মানা করেছি’। নাসিমা বলেন, ‘আমরা জানি না এবার এখানে কেমন করে ঈদ উদযাপিত হবে। ও ব্যাঙ্গালুরুতে অন্তত নিরাপদে থাকবে’। আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ঈদের আগের দিন রবিবার সকাল ১০টায় ব্যাঙ্ক খোলার কথা থাকলেও খুলেছে ১১টার পরে। শ’খানেক লোক টাকা তোলার লাইনে। এক কর্মী জানান— মানুষ খেপে রয়েছেন, অথচ সিন্দুক ফাঁকা! এটিএম-এ পাঠানোর টাকাও আসেনি। আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, পুরনো শ্রীনগরের বাসিন্দা খুরশিদ আলম শাহ বাজারে এসেছিলেন কিছু জমানো টাকা নিয়ে। সঙ্গের বড় ব্যাগের কোনাটাও ভরেনি। মুদিখানার দোকানে চাল-ডাল শেষ। বাজার ঢুঁড়ে পেয়েছেন কিছু শুকনো আনাজ। আর জেনে ফিরেছেন, কাল সকালে ইদের নমাজটা মসজিদে এসে পড়া যাবে।
কাশ্মিরে ঈদুল আজহায় কয়েক লাখ পশু কোরবানি করা হয় প্রতিবছর। এবার বাজারের অবস্থা ভয়াবহ। শ্রীনগরের একজন পশু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ওয়ালিদ বলেন, ঈদের আগমুহূর্তটা আমাদের ব্যবসার জন্য সবথেকে উপযুক্ত সময়। আগের দুইদিনে আমরা এক একজন ৬০০ থেকে ৭০০ পশু বিক্রি করতে পারি। তবে এবার আমি মাত্র ৫০টি ভেড়া বিক্রি করতে সমর্থ হয়েছি।‘ পশুর দামও নেমে গেছে বলে জানান তিনি। বলেন, প্রতি কেজি মাংস যেখানে সাড়ে ৩শ টাকায় বিক্রি করতাম সেখানে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।‘ ব্যবসায় তার লাখ টাকার ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইদ-উল-আজহার আগের দিনে শ্রীনগরের পশু বাজারে বেশ কিছু ভেড়া এসেছে বটে, কিন্তু কেনার লোক নেই। ছুটির দিনেও খোলা ব্যাঙ্ক থেকে শুকনো মুখে বেরিয়ে এলেন হাবাকের বাসিন্দা আব্দুল গফ্ফর। আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেন, ‘‘পকেটে একটা টাকাও নেই। ইদে ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় কিনে দিতে হয়। কিন্তু আমার এখন চিন্তা— খাব কী!’’
কারফিউয়ের কারণে পৌরসভার কর্মীরা কাজে আসতে পারেননি। শনিবার থেকে ময়লা পরিষ্কার হচ্ছে না। পশুর হাটের অবস্থা সব চেয়ে খারাপ। কোরবানির পরে শহরের হাল আরও খারাপ হতে পারে, এমন আশঙ্কাও করছেন অনেকে। এ সবের মধ্যেই রবিবার রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক কাশ্মিরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলেছেন, এই ইদ কাশ্মীরে সুদিন আনবে। সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়াবে। উপত্যকার রাস্তার প্রতি মোড়ে, সেতুর ওপরে তখন মোতায়েন হচ্ছে কার্বাইন হাতে সেনা-জওয়ান। নতুন করে পড়েছে কাঁটাতার। এ প্রস্তুতি ইদের জমায়েতের পরে সম্ভাব্য বিক্ষোভ দমনের।
No comments