‘কসাই নই, মাংস শ্রমিক’ by সাদ্দিফ অভি
ঈদুল
আজহায় পশু কেনার পরের বড় কাজটি কোরবানি দেওয়া। এক্ষেত্রে যারা মুখ্য
ভূমিকা রাখেন, তারা হলেন কসাই। তবে এ পেশায় জড়িত মানুষগুলো নিজেদের ‘কসাই’
নামে পরিচয় দিতে চান না। তারা চান, তাদের ‘মাংস শ্রমিক’ বলা হোক। মাংস
ব্যবসায়ী সমিতিরও ‘কসাই’ শব্দে আপত্তি। তারা বলছে, মাংসের কাজ যারা করে
তারা ‘মাংস শ্রমিক’। এ ব্যবসায় জড়িতরা ‘মাংস ব্যবসায়ী’।
রাজধানীর একাধিক কসাই বলেন, পশুর চামড়া নিখুঁতভাবে ছাড়িয়ে ঠিকঠাক মাংস তৈরি করার ক্ষেত্রে তাদের বিকল্প নেই। কারণ, তারা জানেন কীভাবে চামড়া অক্ষত রাখতে হয়, মাংস ঠিকঠাক তৈরি করতে হয়। তবে ‘কসাই’ শব্দটি নেতিবাচক; এর অর্থ ‘হত্যাকারী’। তাই তারা নিজেদের এই নামে পরিচয় দিতে চান না।
তারা বলছেন, মাংসের ব্যবসা বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটি এখন বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। তাই মাংস বিক্রেতাকে ‘মাংস ব্যবসায়ী’ হিসেবে এবং ‘কসাই’ না বলে তাদের ‘মাংস শ্রমিক’ বলে পরিচিত করা হোক।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কাঠালবাগান বাজারসহ কয়েকটি এলাকার কসাইদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারাও ‘মাংস শ্রমিক’ হিসেবে পরিচিত হতে চান, কসাই নয়।
মাংস বিক্রেতা সাব্বির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “‘কসাই’ শুনতে খুব খারাপ লাগে। নেতিবাচক মনে হয়। ‘কসাই’ অর্থ ‘হত্যাকারী’। আমরা তো তা করি না। আমরা বরং মানুষের উপকার করি। আর পশু কোরবানি তো হত্যা নয়।’
অনেকটা একই সুরে কথা বলেন মোহাম্মদপুরের কসাই একরাম। তিনি বলেন, “‘কসাই’ শব্দটি আমাদের পেশার সঙ্গে যায় না। আমরা মাংস শ্রমিক’।”
‘মাংস শ্রমিক’ বলার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৩০ বছর ধরে এ নিয়ে লেখালেখি করছি। ‘কসাই’ অর্থ হলো ‘হত্যাকারী’, ‘বেরহম’ বা ‘নির্দয়’। আমরা হত্যাকারীও না, নির্দয়ও না, আমরা জবাইও করি না। জবাই করেন তো মোল্লারা।”
এটা নিয়ে সংসদেও প্রায় ৩০ মিনিট বিতর্ক হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, “আমরা কিন্তু এখন আর ‘কসাইখানা’ লিখি না, লিখি ‘জবাইখানা’। এখন ট্রেড লাইসেন্সেও লেখা হয় ‘মাংস ব্যবসায়ী’। আমরা যেহেতু শুধু মাংস কাটি কিংবা মাংস বিক্রি করি, সেহেতু আমরা ‘মাংস ব্যবসায়ী’ ও ‘মাংস শ্রমিক’।” এখন অনেক সাংবাদিক ‘কসাই’ শব্দটি লেখেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
রবিউল আরও বলেন, “সবচেয়ে বড় কথা পৃথিবীতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরাও ভাষাগত দিক থেকে পরিবর্তন চাই। এখন আমরা কিন্তু নাপিতকে ‘নাপিত’ বলি না। ধোপাকে ‘ধোপা’ বলি না।” এরকম অনেক শব্দ এখন আর ব্যবহার করা হয় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজধানীর একাধিক কসাই বলেন, পশুর চামড়া নিখুঁতভাবে ছাড়িয়ে ঠিকঠাক মাংস তৈরি করার ক্ষেত্রে তাদের বিকল্প নেই। কারণ, তারা জানেন কীভাবে চামড়া অক্ষত রাখতে হয়, মাংস ঠিকঠাক তৈরি করতে হয়। তবে ‘কসাই’ শব্দটি নেতিবাচক; এর অর্থ ‘হত্যাকারী’। তাই তারা নিজেদের এই নামে পরিচয় দিতে চান না।
তারা বলছেন, মাংসের ব্যবসা বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটি এখন বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। তাই মাংস বিক্রেতাকে ‘মাংস ব্যবসায়ী’ হিসেবে এবং ‘কসাই’ না বলে তাদের ‘মাংস শ্রমিক’ বলে পরিচিত করা হোক।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কাঠালবাগান বাজারসহ কয়েকটি এলাকার কসাইদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারাও ‘মাংস শ্রমিক’ হিসেবে পরিচিত হতে চান, কসাই নয়।
মাংস বিক্রেতা সাব্বির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “‘কসাই’ শুনতে খুব খারাপ লাগে। নেতিবাচক মনে হয়। ‘কসাই’ অর্থ ‘হত্যাকারী’। আমরা তো তা করি না। আমরা বরং মানুষের উপকার করি। আর পশু কোরবানি তো হত্যা নয়।’
অনেকটা একই সুরে কথা বলেন মোহাম্মদপুরের কসাই একরাম। তিনি বলেন, “‘কসাই’ শব্দটি আমাদের পেশার সঙ্গে যায় না। আমরা মাংস শ্রমিক’।”
‘মাংস শ্রমিক’ বলার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৩০ বছর ধরে এ নিয়ে লেখালেখি করছি। ‘কসাই’ অর্থ হলো ‘হত্যাকারী’, ‘বেরহম’ বা ‘নির্দয়’। আমরা হত্যাকারীও না, নির্দয়ও না, আমরা জবাইও করি না। জবাই করেন তো মোল্লারা।”
এটা নিয়ে সংসদেও প্রায় ৩০ মিনিট বিতর্ক হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, “আমরা কিন্তু এখন আর ‘কসাইখানা’ লিখি না, লিখি ‘জবাইখানা’। এখন ট্রেড লাইসেন্সেও লেখা হয় ‘মাংস ব্যবসায়ী’। আমরা যেহেতু শুধু মাংস কাটি কিংবা মাংস বিক্রি করি, সেহেতু আমরা ‘মাংস ব্যবসায়ী’ ও ‘মাংস শ্রমিক’।” এখন অনেক সাংবাদিক ‘কসাই’ শব্দটি লেখেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
রবিউল আরও বলেন, “সবচেয়ে বড় কথা পৃথিবীতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরাও ভাষাগত দিক থেকে পরিবর্তন চাই। এখন আমরা কিন্তু নাপিতকে ‘নাপিত’ বলি না। ধোপাকে ‘ধোপা’ বলি না।” এরকম অনেক শব্দ এখন আর ব্যবহার করা হয় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
No comments