মোদির ‘নতুন ভারতের’ পথে বাধা যুক্তরাষ্ট্র by ঝাঙ জিয়াদঙ
যে
মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে
দায়িত্ব নেন, ঠিক তখন থেকেই তার উপর চাপ দেয়া শুরু করেছে হোয়াইট হাউজ। গত ৩১
মে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ঘোষণা দেয় যে, ভারত যে সুবিধা ও
ছাড় পাচ্ছিল এতদিন, ৫ জুন থেকে সেটা উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ভারত বৈশ্বিক বাণিজ্য শক্তি হতে শুরু করার আগেই তাকে চেপে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র। তামাশার ব্যাপার হলো যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান এখনও “অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত” কৌশলের পক্ষে সাফাই গেয়ে চলেছেন। জুনের শুরুর দিকে সাংগ্রি-লা সংলাপে তিনি এই মন্তব্য করেন। এর মাধ্যমে বোঝা গেলো যে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চীনকে মোকাবেলার জন্য একটা ভূ-রাজনৈতিক দাবার ঘুঁটি মনে করে শুধু, অংশীদার মনে করে না।
এটা বলা হচ্ছে যে, ভারত মার্কিন বিভিন্ন শিল্পের জন্য গ্রহণযোগ্য বাজার সুবিধা দিতে না পারার কারণেই তাদের বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র। কারণ মার্কিন শিল্প যথার্থ সুবিধা না পাওয়ায় সেটা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ট্রাম্পের যে যুক্তি, এখানেও সেটা কাজ করেছে – ‘যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটা গ্রহণযোগ্য নয়’।
যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণাত্মক অবস্থানে যাওয়ার কারণ হলো ভারতের সাথে তাদের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। তক্ষণ বাণিজ্য ঘাটতি থাকবে, ততক্ষণ সেটাকে নিজের জন্য অগ্রহণযোগ্য বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারত উদীয়মান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং বিশ্বের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে তারা। মোদি সাম্প্রতিক নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় লাভের পর, ভারতের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে। এক সময় হয়তো অর্থনৈতিক দিক থেকে চীনকেও ছাড়িয়ে যাবে ভারত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চায় না ভারত দীর্ঘমেয়াদে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠুক।
এটা বলা যেতে পারে যে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ছাড় ও সুবিধা বাতিল করায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সেটা একটা সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করেছে। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় পশ্চিমা দেশগুলো বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়ার পর, ভারত ও চীনের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর ব্যাপারে পশ্চিমারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। প্রথমত, পশ্চিমারা চীনকে বাজার অর্থনীতির স্ট্যাটাসের স্বীকৃতি দিতে চায় না এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেও তাদের স্বীকৃতি দিতে চায় না। ভারতের বাণিজ্য পাওয়ার হাউজ হিসেবে গড়ে ওঠার যে আকাঙ্ক্ষা, যুক্তরাষ্ট্র তাদের জিএসপি সুবিধা তুলে নেয়ায় তাদের সেই অগ্রগতি ব্যাহত হবে। ট্রাম্পের সুবিধা প্রত্যাহারের কারণে হয়তো মোদির ‘নতুন ভারতের’ স্বপ্ন ব্যাহত হবে।
তবে, চলতি মাসে জাপানের ওসাকায় গ্রুপ অব টোয়েন্টি সম্মেলনে বাণিজ্য বাধাগুলো কাটিয়ে উঠার আশা করছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ভারত এরই মধ্যে ইরানের কাছ থেকে তাদের তেল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।
চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধের যে প্রভাব পড়ছে, ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিলের প্রভাব হয়তো অত বেশি হবে না। এরপরও এটা একটা বড় ধরনের আঘাত। মূল বিষয় হলো বাণিজ্য ঘাটতি দূর করার জন্য যা দরকার, সেটা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারত বৈশ্বিক বাণিজ্য শক্তি হতে শুরু করার আগেই তাকে চেপে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র। তামাশার ব্যাপার হলো যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান এখনও “অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত” কৌশলের পক্ষে সাফাই গেয়ে চলেছেন। জুনের শুরুর দিকে সাংগ্রি-লা সংলাপে তিনি এই মন্তব্য করেন। এর মাধ্যমে বোঝা গেলো যে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চীনকে মোকাবেলার জন্য একটা ভূ-রাজনৈতিক দাবার ঘুঁটি মনে করে শুধু, অংশীদার মনে করে না।
এটা বলা হচ্ছে যে, ভারত মার্কিন বিভিন্ন শিল্পের জন্য গ্রহণযোগ্য বাজার সুবিধা দিতে না পারার কারণেই তাদের বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র। কারণ মার্কিন শিল্প যথার্থ সুবিধা না পাওয়ায় সেটা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ট্রাম্পের যে যুক্তি, এখানেও সেটা কাজ করেছে – ‘যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটা গ্রহণযোগ্য নয়’।
যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণাত্মক অবস্থানে যাওয়ার কারণ হলো ভারতের সাথে তাদের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। তক্ষণ বাণিজ্য ঘাটতি থাকবে, ততক্ষণ সেটাকে নিজের জন্য অগ্রহণযোগ্য বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারত উদীয়মান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং বিশ্বের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে তারা। মোদি সাম্প্রতিক নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় লাভের পর, ভারতের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে। এক সময় হয়তো অর্থনৈতিক দিক থেকে চীনকেও ছাড়িয়ে যাবে ভারত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চায় না ভারত দীর্ঘমেয়াদে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠুক।
এটা বলা যেতে পারে যে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ছাড় ও সুবিধা বাতিল করায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সেটা একটা সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করেছে। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় পশ্চিমা দেশগুলো বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়ার পর, ভারত ও চীনের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর ব্যাপারে পশ্চিমারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। প্রথমত, পশ্চিমারা চীনকে বাজার অর্থনীতির স্ট্যাটাসের স্বীকৃতি দিতে চায় না এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেও তাদের স্বীকৃতি দিতে চায় না। ভারতের বাণিজ্য পাওয়ার হাউজ হিসেবে গড়ে ওঠার যে আকাঙ্ক্ষা, যুক্তরাষ্ট্র তাদের জিএসপি সুবিধা তুলে নেয়ায় তাদের সেই অগ্রগতি ব্যাহত হবে। ট্রাম্পের সুবিধা প্রত্যাহারের কারণে হয়তো মোদির ‘নতুন ভারতের’ স্বপ্ন ব্যাহত হবে।
তবে, চলতি মাসে জাপানের ওসাকায় গ্রুপ অব টোয়েন্টি সম্মেলনে বাণিজ্য বাধাগুলো কাটিয়ে উঠার আশা করছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ভারত এরই মধ্যে ইরানের কাছ থেকে তাদের তেল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।
চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধের যে প্রভাব পড়ছে, ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিলের প্রভাব হয়তো অত বেশি হবে না। এরপরও এটা একটা বড় ধরনের আঘাত। মূল বিষয় হলো বাণিজ্য ঘাটতি দূর করার জন্য যা দরকার, সেটা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
No comments