ডেঙ্গু রোগীদের ভিড় ঠাঁই নেই ঢামেকে: ২৪ ঘণ্টায় ৫৪৭ ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে
রাজধানীর
হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ব্যাপকহারে
রোগী আসায় হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সিট না থাকায় অনেক রোগীকে
ভর্তি করা যাচ্ছে না। তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কোন
কোন বেসরকারি হাসপাতালে আসন না থাকায় খালি হওয়া সাপেক্ষে রোগী ভর্তির
সিরিয়াল দিয়ে রাখা হচ্ছে। গুরুতর রোগীদের ভর্তি করতে এক হাসপাতাল থেকে অন্য
হাসপাতালে ছুটছে রোগী ও স্বজনরা। এদিকে অধিক সংখ্যক রোগী আসায় তাদের
সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে রাখতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে অন্য
রোগী ও স্বজনরাও ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে পড়ছেন।
সরজমিন দেখা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের পঞ্চম তলায় উঠতেই সিঁড়ির সামনে ডানে বামে সর্বত্রই ডেঙ্গু রোগী।
পা ফেলার জায়গা নেই। ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে হাঁটার রাস্তা ঘেঁষে শুয়ে আছেন রোগী। পাশেই বসে আছেন স্বজন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ঢামেকে। রোগীর সঙ্গে এসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন অনেক পরিবারের সদস্যরা। ভিন্ন অসুখ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গু জ্বরে। ফলে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন হাসপাতালে আসা অন্য রোগী ও স্বজনরা। ৫ম তলায় ওয়ার্ডের সামনে মেঝেতে ঠাঁই হয়েছে নারায়ণগঞ্জের নাজমার। বয়স ১৯ বছর। চেহারায় অনেকটা বিরক্তি নিয়ে রোগীর স্বামী সালাম জানান, স্থানীয় একটি গ্লাস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন তিনি। তাদের ঘরে ছোট একটি ছেলে রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন নাজমা। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এখানে তার চিকিৎসা চললেও স্ত্রীর সঙ্গে থেকে নিজেও অনেকটা রোগী হওয়ার পথে। পর্যাপ্ত আলো বাতাস নেই। ৪ ছেলে মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে ঢাকার ওয়ারিতে থাকেন সাহিদা। তৃতীয় মেয়ে ১১ বছর বয়সী চাঁদ গত ৪দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। রোগীর মা জানান, বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে পরে ঢামেকে মেয়েকে ভর্তি করি। এখানে এতো রোগী ডাক্তার নার্স সবাই হিমশিম খাচ্ছেন। ঢামেক সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে ৪৫৬ জন। আর চলতি বছরে হাসপাতালটি থেকে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৮৬৫ জন।
এদিকে গতকালের সরকারি হিসাব মতে, প্রতি আড়াই মিনিট অন্তর একজন ভর্তি করা হচ্ছে হাসপাতালে। বাকিরা সিট না পেয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সরকারি হিসাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি জুলাই মাসেই আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ১১২ জন। আর এবছর আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ২৫৬ জন। আক্রান্ত বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। ঢাকার বাইর থেকে ২২০ জন আক্রান্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে, ডেঙ্গু ক্রমেই ভয়ঙ্কর রূপ নেয়ায় জ্বর হলে ডেঙ্গু আতঙ্ক নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন রোগীরা। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ঠাঁই মিলছে না অনেক রোগীর। এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক হিসেবে বর্ণনা করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। জুলাই মাসে গড়ে প্রতিদিন ২৮৪ জনের উপরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এবছর রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নারী-পুরুষ ও শিশু রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ২৫৬ জন। ঢাকা শহর ব্যতীত ঢাকা বিভাগে ৫৫ জন, চট্টগ্রাম থেকে ৮১ জন, খুলনা ৪৯ জন, বরিশাল থেকে ৩৫ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২৫শে জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আটজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে এপ্রিলে দু’জন, জুনে দু’জন ও জুলাই মাসে চারজন মারা যান। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত ২৮ হবে। দু’জন চিকিৎসকও মারা গেছেন। বেসরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা তিন থেকে চার লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া মিটফোর্ড হাসপাতালে বর্তমানে ১৯৯ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৭৩ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১৬৫ জন, বারডেম হাসপাতালে ২৭ জন, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগ ৭৬ জন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ১৪০ জন, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১৫০ জন, বিজিবি হাসপাতালে ২৩ জন, কুর্মিটোলায় ২৭ জন, রাজধানীর ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালে ৮০ জন, ইবনে সিনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে ৯০ জন, স্কয়ার হাসপাতালে ৫৪ জন, গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ১০ জন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কাকরাইলে ৭৮ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৯০ জন, খিদমা হাসপাতালে ৩২ জন, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলে ১০৫ জন, এ্যাপোলো হাসপাতালে ৪৭ জন, আদ্ব-দীন হাসপাতালে ৪৪ জন, সালাউদ্দি হাসপাতালে ৪৪ জন, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩২ জন, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৭২ জন, বিআরবি হাসপাতালে ৩৭ জন, আজগর আলী হাসপাতালে ৪৯ জন, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ১৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
জ্বর না কমা বা অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকা, বমি হওয়া, পেটে তীব্র ব্যথা, রক্তক্ষরণ, মাথা ধরা, চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা প্রস্রাব না হওয়া বা কম হওয়া, খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়া, নিদ্রাহীনতা ও আচরণের আকস্মিক পরিবর্তন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ। অন্তঃসত্ত্বা, বৃদ্ধ, শিশু, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, লিভার ও কিডনির রোগীরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সরজমিন দেখা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের পঞ্চম তলায় উঠতেই সিঁড়ির সামনে ডানে বামে সর্বত্রই ডেঙ্গু রোগী।
পা ফেলার জায়গা নেই। ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে হাঁটার রাস্তা ঘেঁষে শুয়ে আছেন রোগী। পাশেই বসে আছেন স্বজন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ঢামেকে। রোগীর সঙ্গে এসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন অনেক পরিবারের সদস্যরা। ভিন্ন অসুখ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গু জ্বরে। ফলে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন হাসপাতালে আসা অন্য রোগী ও স্বজনরা। ৫ম তলায় ওয়ার্ডের সামনে মেঝেতে ঠাঁই হয়েছে নারায়ণগঞ্জের নাজমার। বয়স ১৯ বছর। চেহারায় অনেকটা বিরক্তি নিয়ে রোগীর স্বামী সালাম জানান, স্থানীয় একটি গ্লাস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন তিনি। তাদের ঘরে ছোট একটি ছেলে রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন নাজমা। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এখানে তার চিকিৎসা চললেও স্ত্রীর সঙ্গে থেকে নিজেও অনেকটা রোগী হওয়ার পথে। পর্যাপ্ত আলো বাতাস নেই। ৪ ছেলে মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে ঢাকার ওয়ারিতে থাকেন সাহিদা। তৃতীয় মেয়ে ১১ বছর বয়সী চাঁদ গত ৪দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। রোগীর মা জানান, বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে পরে ঢামেকে মেয়েকে ভর্তি করি। এখানে এতো রোগী ডাক্তার নার্স সবাই হিমশিম খাচ্ছেন। ঢামেক সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে ৪৫৬ জন। আর চলতি বছরে হাসপাতালটি থেকে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৮৬৫ জন।
এদিকে গতকালের সরকারি হিসাব মতে, প্রতি আড়াই মিনিট অন্তর একজন ভর্তি করা হচ্ছে হাসপাতালে। বাকিরা সিট না পেয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সরকারি হিসাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি জুলাই মাসেই আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ১১২ জন। আর এবছর আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ২৫৬ জন। আক্রান্ত বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। ঢাকার বাইর থেকে ২২০ জন আক্রান্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে, ডেঙ্গু ক্রমেই ভয়ঙ্কর রূপ নেয়ায় জ্বর হলে ডেঙ্গু আতঙ্ক নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন রোগীরা। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ঠাঁই মিলছে না অনেক রোগীর। এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক হিসেবে বর্ণনা করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। জুলাই মাসে গড়ে প্রতিদিন ২৮৪ জনের উপরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এবছর রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নারী-পুরুষ ও শিশু রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ২৫৬ জন। ঢাকা শহর ব্যতীত ঢাকা বিভাগে ৫৫ জন, চট্টগ্রাম থেকে ৮১ জন, খুলনা ৪৯ জন, বরিশাল থেকে ৩৫ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২৫শে জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আটজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে এপ্রিলে দু’জন, জুনে দু’জন ও জুলাই মাসে চারজন মারা যান। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত ২৮ হবে। দু’জন চিকিৎসকও মারা গেছেন। বেসরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা তিন থেকে চার লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া মিটফোর্ড হাসপাতালে বর্তমানে ১৯৯ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৭৩ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১৬৫ জন, বারডেম হাসপাতালে ২৭ জন, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগ ৭৬ জন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ১৪০ জন, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১৫০ জন, বিজিবি হাসপাতালে ২৩ জন, কুর্মিটোলায় ২৭ জন, রাজধানীর ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালে ৮০ জন, ইবনে সিনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে ৯০ জন, স্কয়ার হাসপাতালে ৫৪ জন, গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ১০ জন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কাকরাইলে ৭৮ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৯০ জন, খিদমা হাসপাতালে ৩২ জন, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলে ১০৫ জন, এ্যাপোলো হাসপাতালে ৪৭ জন, আদ্ব-দীন হাসপাতালে ৪৪ জন, সালাউদ্দি হাসপাতালে ৪৪ জন, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩২ জন, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৭২ জন, বিআরবি হাসপাতালে ৩৭ জন, আজগর আলী হাসপাতালে ৪৯ জন, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ১৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
জ্বর না কমা বা অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকা, বমি হওয়া, পেটে তীব্র ব্যথা, রক্তক্ষরণ, মাথা ধরা, চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা প্রস্রাব না হওয়া বা কম হওয়া, খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়া, নিদ্রাহীনতা ও আচরণের আকস্মিক পরিবর্তন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ। অন্তঃসত্ত্বা, বৃদ্ধ, শিশু, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, লিভার ও কিডনির রোগীরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
No comments