‘পাস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে’ পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক চান প্রধানমন্ত্রী ইমরান
পাকিস্তানের
প্রধামন্ত্রী ইমরান খান পারস্পরিক আস্থা ও বন্ধুত্বের ভিত্তিতে ইসলামাবাদ ও
ওয়াশিংটনের মধ্যে শর্তহীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার আগ্রহ ব্যক্ত
করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে তিন দিনব্যাপী সফরের শেষ দিনে মঙ্গলবার ইউএস ইন্সটিটিউট অব পিস-এ বক্তব্যকালে খান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা আস্থা, সমতা ও বন্ধুত্বের ভিত্তিতে একটি সম্পর্ক দেখতে চাই। আগের মতো তেমন কোন সম্পর্ক দেখতে চাই না যেখানে পাকিস্তান সাহায্য চাইবে আর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নির্দিষ্ট কিছু কাজ করে দিতে বলা হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খুশি মনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিদায় নিচ্ছি। কারণ আমাদের সম্পর্কটি এখন পারস্পরিক স্বার্থভিত্তিক, আর তা হলো আফগানিস্তানে শান্তি।
শুধু আমেরিকা নয়, যে কোন দেশের কাছেই সাহায্য চাওয়াকে তিনি ঘৃণা করেন উল্লেখ করে খান বলেন, কারণ এই সাহায্য আমার দেশের জন্য সবচেয়ে বড় অভিশাপের কারণ হয়েছে। এটা করতে গিয়ে নির্ভরশীলতা রোগের সৃষ্টি হয়েছে।
পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যখন সৌদি আরব থেকে ফিরলাম সবাই জিজ্ঞেস করলো কি নিয়ে এসেছি। যেন আমি সেখানে টাকা চাইতে গিয়েছি। এটা আমার দেশের জন্য অপমানজনক বলে আমি মনে করি। আত্ম-মর্যাদা, আত্ম-নির্ভরশীলতা থাকলেই একটি দেশ জেগে উঠতে পারে। টাকা ভিক্ষা করে কেউ দাঁড়াতে পারে না।
আমি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক চাইবো, আমি কখনো আর এরকম অপমানকর অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। আমি আপনাদের বলছি যে একজন পাকিস্তানী হিসেবে আমি কখনো এমন অপমান বোধ করিনি যখন মার্কিন সেনারা পাকিস্তান থেকে ওসামা বিন লাদেনকে তুলে নিয়ে যায়।
আমরা বন্ধুত্বের সম্পর্ক চাই। বন্ধুত্বের মধ্যে একজন ধনী হবে আরেকজন গরীব হবে – তাতে কিছু আসে যায় না। এটা হবে মর্যাদার সম্পর্ক। আর এখানে সেটাই চাই আমি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতসহ নিকট প্রতিবেশী সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কামনা করেন।
তিনি বলেন, গত বছর ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) সরকার মতবিরোধ দূর করতে এবং উন্নত বাণিজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রত্যেক প্রতিবেশী দেশের কাছে ছুটে গেছে।
আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী খান বলেন যে তিনি দেশে ফিরে তালেবানদের আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার জন্য সবরকম চেষ্টা করবেন।
তিনি জানান যে কয়েক মাস আগে তালেবান প্রতিনিধিরা তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে চেয়েছে কিন্তু আফগান সরকারের বিরোধিতার কারণে তা হয়নি। খান বলেন, এবার আমি তালেবানদের সঙ্গে সাক্ষাত করবো এবং তাদেরকে আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি করানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করবো।
এই সমস্যা শুধু আলোচনার মাধ্যমেই নিরসন সম্ভব – এ কথা প্রথম দিন থেকে বলে আসার কারণে তিনি তালেবানদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন বলে খান জানান।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানরা চুক্তির কাছাকাছি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর বিনিময়ে আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটিতে পরিণত হতে না দেয়ার অঙ্গীকার করেছে তালেবানরা।
তবে তারা এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি’র সরকারের সঙ্গে বসতে রাজি হয়নি। এই সরকারকে মার্কিনীদের পুতুল বলে মনে করে তারা। তবে আফগান সমঝোতা এগিয়ে নিতে আফগান নাগরিকদের ৬০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কাতারে তালেবানদের সঙ্গে দুই দিনব্যাপী বৈঠক করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে তিন দিনব্যাপী সফরের শেষ দিনে মঙ্গলবার ইউএস ইন্সটিটিউট অব পিস-এ বক্তব্যকালে খান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা আস্থা, সমতা ও বন্ধুত্বের ভিত্তিতে একটি সম্পর্ক দেখতে চাই। আগের মতো তেমন কোন সম্পর্ক দেখতে চাই না যেখানে পাকিস্তান সাহায্য চাইবে আর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নির্দিষ্ট কিছু কাজ করে দিতে বলা হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খুশি মনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিদায় নিচ্ছি। কারণ আমাদের সম্পর্কটি এখন পারস্পরিক স্বার্থভিত্তিক, আর তা হলো আফগানিস্তানে শান্তি।
শুধু আমেরিকা নয়, যে কোন দেশের কাছেই সাহায্য চাওয়াকে তিনি ঘৃণা করেন উল্লেখ করে খান বলেন, কারণ এই সাহায্য আমার দেশের জন্য সবচেয়ে বড় অভিশাপের কারণ হয়েছে। এটা করতে গিয়ে নির্ভরশীলতা রোগের সৃষ্টি হয়েছে।
পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যখন সৌদি আরব থেকে ফিরলাম সবাই জিজ্ঞেস করলো কি নিয়ে এসেছি। যেন আমি সেখানে টাকা চাইতে গিয়েছি। এটা আমার দেশের জন্য অপমানজনক বলে আমি মনে করি। আত্ম-মর্যাদা, আত্ম-নির্ভরশীলতা থাকলেই একটি দেশ জেগে উঠতে পারে। টাকা ভিক্ষা করে কেউ দাঁড়াতে পারে না।
আমি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক চাইবো, আমি কখনো আর এরকম অপমানকর অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। আমি আপনাদের বলছি যে একজন পাকিস্তানী হিসেবে আমি কখনো এমন অপমান বোধ করিনি যখন মার্কিন সেনারা পাকিস্তান থেকে ওসামা বিন লাদেনকে তুলে নিয়ে যায়।
আমরা বন্ধুত্বের সম্পর্ক চাই। বন্ধুত্বের মধ্যে একজন ধনী হবে আরেকজন গরীব হবে – তাতে কিছু আসে যায় না। এটা হবে মর্যাদার সম্পর্ক। আর এখানে সেটাই চাই আমি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতসহ নিকট প্রতিবেশী সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কামনা করেন।
তিনি বলেন, গত বছর ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) সরকার মতবিরোধ দূর করতে এবং উন্নত বাণিজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রত্যেক প্রতিবেশী দেশের কাছে ছুটে গেছে।
আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী খান বলেন যে তিনি দেশে ফিরে তালেবানদের আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার জন্য সবরকম চেষ্টা করবেন।
তিনি জানান যে কয়েক মাস আগে তালেবান প্রতিনিধিরা তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে চেয়েছে কিন্তু আফগান সরকারের বিরোধিতার কারণে তা হয়নি। খান বলেন, এবার আমি তালেবানদের সঙ্গে সাক্ষাত করবো এবং তাদেরকে আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি করানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করবো।
এই সমস্যা শুধু আলোচনার মাধ্যমেই নিরসন সম্ভব – এ কথা প্রথম দিন থেকে বলে আসার কারণে তিনি তালেবানদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন বলে খান জানান।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানরা চুক্তির কাছাকাছি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর বিনিময়ে আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটিতে পরিণত হতে না দেয়ার অঙ্গীকার করেছে তালেবানরা।
তবে তারা এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি’র সরকারের সঙ্গে বসতে রাজি হয়নি। এই সরকারকে মার্কিনীদের পুতুল বলে মনে করে তারা। তবে আফগান সমঝোতা এগিয়ে নিতে আফগান নাগরিকদের ৬০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কাতারে তালেবানদের সঙ্গে দুই দিনব্যাপী বৈঠক করেছে।
No comments