সমগ্র ভারতে এনআরসি বাস্তবায়নে বিজেপির প্রতিশ্রুতি খুবই বিপজ্জনক by রোহান ভেঙ্কাটারামাকৃষ্ণা
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ |
গত ১৭ জুলাই বুধবার
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে পুরো
ভারতে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স (এনআরসি) বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি
দিয়েছেন। এই বিষাক্ত প্রক্রিয়াটি এই মুহূর্তে শুধু আসামেই সীমিত আছে। যারা
নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবে, কেবল তাদেরকেই তালিকাভুক্ত করার
চেষ্টা করা হচ্ছে সেখানে। শাহ ঘোষণা দেন যে, “আমরা দেশের প্রতিটি ইঞ্চি
জায়গায় বসবাসরত সমস্ত অবৈধ অভিবাসীদের ও অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করবো এবং
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের ফেরত পাঠাবো”।
এনআরসি সম্প্রসারণের এই প্রতিশ্রুতি শাহের এটাই প্রথম নয়। আসাম যেখানে তাদের তালিকা চূড়ান্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শাহের ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বারবার বলে আসছে যে, পুরো ভারতে তারা এটা বাস্তবায়ন করবে।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় শাহ “অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের” উঁইপোকা আখ্যা দিয়েছিলেন এবং প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, কেন তাদেরকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলা হবে না। সেই সাথে বিজেপির ম্যানিফেস্টোতে প্রস্তাব করা হয় যে, “এনআরসি দেশের বাকি অংশেও পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে”। পার্লামেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেয়া প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোভিন্দের বক্তৃতাতেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল, যে বক্তৃতাটি মূলত সরকার লিখে দেয়।
যদিও বহু মানুষ মনে করেন যে, ‘বাংলাদেশী’ শব্দটা আসলে বাঙালি মুসলিমের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, তবে বিজেপি নেতারা কাগজপত্রবিহীন অভিবাসনের জুজুর বিষয়টি উত্থাপন করতে পেরে খুশি এবং নিজেদের রাজ্যগুলোতে তারা এটা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্য, দিল্লী, কর্নাটক থেকে এর দাবি তোলা হয়েছে এবং সেটা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
অসম্ভব প্রতিশ্রুতি
এই সবকিছুই গভীরভাবে শঠতাপূর্ণ ও বিপজ্জনক।
আসামে এনআরসি তৈরির প্রক্রিয়াটি ভালোভাবে হয়নি। এমনিতেই এই প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতার কোন স্থান নেই, এরপরও রাজ্যের ইতিহাসে কিছু আইন রয়েছে, যে কারণে এটা করা গেছে সেখানে। কিন্তু এরপরও এমনকি ন্যায় বিচার ও মানবিকতার বিষয়টি আপনি যদি বাদও দেন, এরপরও পুরো ভারতে এনআরসি তৈরি একটা অসম্ভব বিষয়।
ভারতের বিশাল অংশের মানুষ তাদের পিতৃপুরুষের পরিচয় প্রমাণের মতো কোন কাগজপত্র দেখাতে পারবে না। এই প্রক্রিয়া শুরু হলে নিশ্চিতভাবে সংখ্যালঘুরা আরও হয়রানির শিকার হবে, আর বিজেপি ঠিক সেটাই চায়। পুরো ভারতে এনারসি করতে হলে বিপুল অর্থও ব্যয় হবে।
সরকার এখন পর্যন্ত এটাই জানাতে পারেনি যে, আসামে তালিকা থেকে বাদ পড়াদের নিয়ে তারা কি করবে, যে সংখ্যাটা কোটির দিকে যেতে পারে।
পুরো দেশে অভিবাসী জুজুর ভয় দেখালেও বিজেপি এখন পর্যন্ত ব্যাখ্যা করেনি যে, কিভাবে পুরো ভারতে এনআরসি কাজ করবে। এর কারণ হলো এটা পুরোপুরিই একটা রাজনৈতিক বুলি। এটা যে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করবে, সেটা সরকারের বক্তব্যেও উঠে এসেছে। বছরের শুরুর দিকে পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে সরকার জানিয়েছিল যে, তারা অন্যান্য রাজ্যে এনআরসি সম্প্রসারণ করবে না।
এটা সেই সব বিপজ্জনক বিজেপির সিদ্ধান্তগুলোর একটি, যেটা ভারতীয়দের আতঙ্কিত করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন অবৈধ অভিবাসীর জুজুর বিষয়টি বিজেপির এমন একটা রাজনৈতিক অস্ত্র হয়ে উঠেছে, যেটার ব্যবহার তারা আর বন্ধ করতে পারছে না। এখন আসামকে এই সহায়তা করা দরকার যাতে তারা এই অসহ্য চর্চাটাকে যথাসম্ভব মানিবকতা বজায় রেখে শেষ করতে পারে, যদিও এই মুহূর্তে ব্যাপক বন্যার কারণে এর প্রক্রিয়া থমকে আছে। একটা আগুনঝড় উসকে দেয়া থেকে ক্ষমতাসীন দলকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
এনআরসি সম্প্রসারণের এই প্রতিশ্রুতি শাহের এটাই প্রথম নয়। আসাম যেখানে তাদের তালিকা চূড়ান্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শাহের ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বারবার বলে আসছে যে, পুরো ভারতে তারা এটা বাস্তবায়ন করবে।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় শাহ “অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের” উঁইপোকা আখ্যা দিয়েছিলেন এবং প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, কেন তাদেরকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলা হবে না। সেই সাথে বিজেপির ম্যানিফেস্টোতে প্রস্তাব করা হয় যে, “এনআরসি দেশের বাকি অংশেও পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে”। পার্লামেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেয়া প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোভিন্দের বক্তৃতাতেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল, যে বক্তৃতাটি মূলত সরকার লিখে দেয়।
যদিও বহু মানুষ মনে করেন যে, ‘বাংলাদেশী’ শব্দটা আসলে বাঙালি মুসলিমের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, তবে বিজেপি নেতারা কাগজপত্রবিহীন অভিবাসনের জুজুর বিষয়টি উত্থাপন করতে পেরে খুশি এবং নিজেদের রাজ্যগুলোতে তারা এটা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্য, দিল্লী, কর্নাটক থেকে এর দাবি তোলা হয়েছে এবং সেটা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
অসম্ভব প্রতিশ্রুতি
এই সবকিছুই গভীরভাবে শঠতাপূর্ণ ও বিপজ্জনক।
আসামে এনআরসি তৈরির প্রক্রিয়াটি ভালোভাবে হয়নি। এমনিতেই এই প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতার কোন স্থান নেই, এরপরও রাজ্যের ইতিহাসে কিছু আইন রয়েছে, যে কারণে এটা করা গেছে সেখানে। কিন্তু এরপরও এমনকি ন্যায় বিচার ও মানবিকতার বিষয়টি আপনি যদি বাদও দেন, এরপরও পুরো ভারতে এনআরসি তৈরি একটা অসম্ভব বিষয়।
ভারতের বিশাল অংশের মানুষ তাদের পিতৃপুরুষের পরিচয় প্রমাণের মতো কোন কাগজপত্র দেখাতে পারবে না। এই প্রক্রিয়া শুরু হলে নিশ্চিতভাবে সংখ্যালঘুরা আরও হয়রানির শিকার হবে, আর বিজেপি ঠিক সেটাই চায়। পুরো ভারতে এনারসি করতে হলে বিপুল অর্থও ব্যয় হবে।
সরকার এখন পর্যন্ত এটাই জানাতে পারেনি যে, আসামে তালিকা থেকে বাদ পড়াদের নিয়ে তারা কি করবে, যে সংখ্যাটা কোটির দিকে যেতে পারে।
পুরো দেশে অভিবাসী জুজুর ভয় দেখালেও বিজেপি এখন পর্যন্ত ব্যাখ্যা করেনি যে, কিভাবে পুরো ভারতে এনআরসি কাজ করবে। এর কারণ হলো এটা পুরোপুরিই একটা রাজনৈতিক বুলি। এটা যে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করবে, সেটা সরকারের বক্তব্যেও উঠে এসেছে। বছরের শুরুর দিকে পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে সরকার জানিয়েছিল যে, তারা অন্যান্য রাজ্যে এনআরসি সম্প্রসারণ করবে না।
এটা সেই সব বিপজ্জনক বিজেপির সিদ্ধান্তগুলোর একটি, যেটা ভারতীয়দের আতঙ্কিত করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন অবৈধ অভিবাসীর জুজুর বিষয়টি বিজেপির এমন একটা রাজনৈতিক অস্ত্র হয়ে উঠেছে, যেটার ব্যবহার তারা আর বন্ধ করতে পারছে না। এখন আসামকে এই সহায়তা করা দরকার যাতে তারা এই অসহ্য চর্চাটাকে যথাসম্ভব মানিবকতা বজায় রেখে শেষ করতে পারে, যদিও এই মুহূর্তে ব্যাপক বন্যার কারণে এর প্রক্রিয়া থমকে আছে। একটা আগুনঝড় উসকে দেয়া থেকে ক্ষমতাসীন দলকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
No comments