ইস্টান সানডে বোমা হামলার জন্য ‘শক্তিধর দেশকে’ দুষলেন কার্ডিনাল রঞ্জিত
কার্ডিনাল ম্যালকম রঞ্জিত |
নয়জন
শ্রীলংকান কর্তৃক ইস্টার সানডেতে আইসিসের স্টাইলে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা
হামলায় আড়াই শতাধিক মানুষ – যাদের অধিকাংশই ক্যাথলিক ও অ-ক্যাথলিক
খ্রিস্টান – নিহত হওয়ার পর তিন মাস চলে গেলেও হামলার ভুক্তভোগী ও খ্রিস্টান
সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠি এখনও মনে করছেন যে, তারা স্থানীয় সরকার এবং জাতিসংঘের
দ্বারা অবহেলিত হচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক মনোযোগ বরং এখন রয়েছে ১০% সংখ্যালঘু মুসলিমদের দিকে, যারা হামলা পরবর্তী প্রতিশোধমূলক সহিংসতার শিকার হচ্ছে এবং যে সহিংসতায় পাঁচ শতাধিক মুসলিম মালিকানাধীন দোকানপাট ধ্বংস বা বিনষ্ট করা হয়েছে।
নিরপরাধ মুসলিম নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়া উচিত, এটি স্বীকার করে নিয়েই শ্রীলংকান ক্যাথলিকদের প্রধান কার্ডিনাল ম্যালকম রঞ্জিত রোববার প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছেন যে, ইস্টার সানডে হামলার আসল ভুক্তভোগীদের কথা ভুলে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে, বোমা হামলা নিয়ে যে সব তদন্ত করা হচ্ছে, সেগুলোর কোনটির ব্যাপারেই তার আস্থা নেই।
নেগোম্বোতে কাটুওয়াপিটিয়ার সেন্ট সেবাস্তিয়ান চার্চে ২১ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছিল। ওই চার্চটির পুনর্নির্মাণ ও পুনরায় চালু করা উপলক্ষ্যে এক বিশেষ বক্তৃতায় কার্ডিনাল রঞ্জিত এই বক্তব্য দেন, যেটাকে চরম রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেছেন যে, বর্তমান সরকারের এখন চলে যাওয়ার সময় হয়েছে।
তিনি বলেছেন, এই জাতির উচিত কোন ‘সক্ষম পক্ষের’ হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
ইস্টার সানডের হামলার পর কার্ডিনাল রঞ্জিত যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলেন, সেটা সকলের প্রশংসা পেয়েছিল। তিনি ক্যাথলিক ও অ-ক্যাথলিক যাজকদের সাথে নিয়ে খ্রিস্টান কর্তৃক মুসলিমবিদ্বেষী প্রতিহিংসা রুখে দিয়েছিলেন। ইস্টার সানডে হামলার তিন সপ্তাহ পর যখন মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়, তখন এটা পরিস্কার ছিল যে কোন খ্রিস্টান তাতে জড়িত ছিল না।
কার্ডিনাল তার বক্তৃতায় জোর দিয়ে বলেন যে, ইস্টার সানডের হত্যাযজ্ঞ ছিল একটা ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’। জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচিত রঞ্জিত – যিনি এর আগেও পশ্চিমাদের সমালোচনা করেছেন, তিনি এর আগে মানবাধিকারের প্রশ্নে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের জন্য পশ্চিমাদের কড়া সমালোচনা করেছিলেন।
কার্ডিনাল বলেছেন যে, এই সন্ত্রাসী হামলাকে শুধুমাত্র ইসলামী চরমপন্থীদের হাতের কাজ হিসেবে দেখলে চলবে না এবং কিছু আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী শ্রীলংকায় অস্থিরতা দেখতে চায়।
একই বিষয়ে দেয়া সাম্প্রতিক এক বক্তৃতায় তিনি মনোযোগ আকর্ষণ করে বলেছিলেন যে কিভাবে পশ্চিমারা – মানবাধিকারের স্বঘোষিত চ্যাম্পিয়নরা – বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে গাদা গাদা অস্ত্র বিক্রি করছে।
কার্ডিনাল বলেন, আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর ষড়যন্ত্রের শিকারের পরিণত হয়েছে মুসলিমরা এবং বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের এখন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ানো উচিত, যারা ইসলামিক আদর্শকে নিজেদের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজে লাগাচ্ছে।
তিনি বলেন, “এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসলামকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে এবং সমস্ত ধর্মের অনুসারীদের উচিত একজোট হয়ে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা”।
সোজাসাপ্টা কথার জন্য পরিচিত কার্ডিনাল দাবি করেন যে, তিনি “একটি রিপোর্ট দেখেছেন, যেখানে আইসিস নেতা আবু বকর আল বাগদাদি একটি সামরিক ক্যাম্পে রয়েছে, যে ক্যাম্পটি পরিচালনা করছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ”।
দেশটির নাম নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি আরও বলেন যে, এই ধরনের উদ্বেগ রয়েছে যে, ‘বিশ্বের ক্ষমতাধর এই দেশটি’ নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আইসিস নেতাদের ব্যবহার করছে।
তিনি এই প্রশ্ন তোলেন যে এই ‘জাতিটি বোমা হামলা সম্পর্কে জানতো কি না’ এবং ‘কেউ শ্রীলংকায় সিংহল-মুসলিম সংঘর্ষ লাগানোর চেষ্টা করছে কি না’।
পোপ ফ্রান্সিসকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন যে, অস্ত্রের ব্যাপক উৎপাদনের কারণেই বিশ্বে সঙ্ঘাত অতিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে।
বক্তৃতায় আরও কঠোর বিষয় নিয়ে আসেন কার্ডিনাল রঞ্জিত। তিনি জাতিসংঘের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন যে, এই সংস্থাটিকে পাঁচটি দেশ তাদের নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার করছে এবং জাতিসংঘকে ‘বিশ্বাস করা যায় না’।
তিনি বলেন যে, বোমা হামলার পর যে সমস্ত জাতিসংঘের কর্মকর্তারা শ্রীলংকা সফর করেছেন, তাদের কেউই ভুক্তভোগীদের সাথে দেখা করেননি। তারা শুধু মুসলিম সন্দেহভাজনদের সাথে দেখা করেছেন যারা হামলার পরে গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মুসলিম চিকিৎসকও রয়েছেন যার বিরুদ্ধে সিংহলী বৌদ্ধ নারীদের সিজারিয়ার অপারেশানের সময় তাদের অসম্মতিতে বন্ধ্যা করার অভিযোগ রয়েছে। শ্রীলংকার মানবাধিকার কর্মীরা এই ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগকে সাজানো হিসেবে উল্লেখ করলেও এখনও কারাগারে আটক রয়েছেন ওই ডাক্তার।
কার্ডিনাল রঞ্জিতের প্রধান ক্ষোভ অবশ্য মূলত বর্তমান পশ্চিমা-পন্থী ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) সরকারের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, “এই নেতাদের বাড়ি চলে যেতে বলার সময় এসেছে। আমি ক্যাথলিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা হামলার জন্য দায়ীদের ক্ষমা করে দেয়। মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোন ক্রোধ রাখবেন না এবং তাদের কোন ক্ষতি করবেন না। তাদের কোন দোষ নেই”।
আন্তর্জাতিক মনোযোগ বরং এখন রয়েছে ১০% সংখ্যালঘু মুসলিমদের দিকে, যারা হামলা পরবর্তী প্রতিশোধমূলক সহিংসতার শিকার হচ্ছে এবং যে সহিংসতায় পাঁচ শতাধিক মুসলিম মালিকানাধীন দোকানপাট ধ্বংস বা বিনষ্ট করা হয়েছে।
নিরপরাধ মুসলিম নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়া উচিত, এটি স্বীকার করে নিয়েই শ্রীলংকান ক্যাথলিকদের প্রধান কার্ডিনাল ম্যালকম রঞ্জিত রোববার প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছেন যে, ইস্টার সানডে হামলার আসল ভুক্তভোগীদের কথা ভুলে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে, বোমা হামলা নিয়ে যে সব তদন্ত করা হচ্ছে, সেগুলোর কোনটির ব্যাপারেই তার আস্থা নেই।
নেগোম্বোতে কাটুওয়াপিটিয়ার সেন্ট সেবাস্তিয়ান চার্চে ২১ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছিল। ওই চার্চটির পুনর্নির্মাণ ও পুনরায় চালু করা উপলক্ষ্যে এক বিশেষ বক্তৃতায় কার্ডিনাল রঞ্জিত এই বক্তব্য দেন, যেটাকে চরম রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেছেন যে, বর্তমান সরকারের এখন চলে যাওয়ার সময় হয়েছে।
তিনি বলেছেন, এই জাতির উচিত কোন ‘সক্ষম পক্ষের’ হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
ইস্টার সানডের হামলার পর কার্ডিনাল রঞ্জিত যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলেন, সেটা সকলের প্রশংসা পেয়েছিল। তিনি ক্যাথলিক ও অ-ক্যাথলিক যাজকদের সাথে নিয়ে খ্রিস্টান কর্তৃক মুসলিমবিদ্বেষী প্রতিহিংসা রুখে দিয়েছিলেন। ইস্টার সানডে হামলার তিন সপ্তাহ পর যখন মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়, তখন এটা পরিস্কার ছিল যে কোন খ্রিস্টান তাতে জড়িত ছিল না।
কার্ডিনাল তার বক্তৃতায় জোর দিয়ে বলেন যে, ইস্টার সানডের হত্যাযজ্ঞ ছিল একটা ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’। জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচিত রঞ্জিত – যিনি এর আগেও পশ্চিমাদের সমালোচনা করেছেন, তিনি এর আগে মানবাধিকারের প্রশ্নে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের জন্য পশ্চিমাদের কড়া সমালোচনা করেছিলেন।
কার্ডিনাল বলেছেন যে, এই সন্ত্রাসী হামলাকে শুধুমাত্র ইসলামী চরমপন্থীদের হাতের কাজ হিসেবে দেখলে চলবে না এবং কিছু আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী শ্রীলংকায় অস্থিরতা দেখতে চায়।
একই বিষয়ে দেয়া সাম্প্রতিক এক বক্তৃতায় তিনি মনোযোগ আকর্ষণ করে বলেছিলেন যে কিভাবে পশ্চিমারা – মানবাধিকারের স্বঘোষিত চ্যাম্পিয়নরা – বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে গাদা গাদা অস্ত্র বিক্রি করছে।
কার্ডিনাল বলেন, আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর ষড়যন্ত্রের শিকারের পরিণত হয়েছে মুসলিমরা এবং বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের এখন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ানো উচিত, যারা ইসলামিক আদর্শকে নিজেদের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজে লাগাচ্ছে।
তিনি বলেন, “এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসলামকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে এবং সমস্ত ধর্মের অনুসারীদের উচিত একজোট হয়ে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা”।
সোজাসাপ্টা কথার জন্য পরিচিত কার্ডিনাল দাবি করেন যে, তিনি “একটি রিপোর্ট দেখেছেন, যেখানে আইসিস নেতা আবু বকর আল বাগদাদি একটি সামরিক ক্যাম্পে রয়েছে, যে ক্যাম্পটি পরিচালনা করছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ”।
দেশটির নাম নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি আরও বলেন যে, এই ধরনের উদ্বেগ রয়েছে যে, ‘বিশ্বের ক্ষমতাধর এই দেশটি’ নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আইসিস নেতাদের ব্যবহার করছে।
তিনি এই প্রশ্ন তোলেন যে এই ‘জাতিটি বোমা হামলা সম্পর্কে জানতো কি না’ এবং ‘কেউ শ্রীলংকায় সিংহল-মুসলিম সংঘর্ষ লাগানোর চেষ্টা করছে কি না’।
পোপ ফ্রান্সিসকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন যে, অস্ত্রের ব্যাপক উৎপাদনের কারণেই বিশ্বে সঙ্ঘাত অতিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে।
বক্তৃতায় আরও কঠোর বিষয় নিয়ে আসেন কার্ডিনাল রঞ্জিত। তিনি জাতিসংঘের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন যে, এই সংস্থাটিকে পাঁচটি দেশ তাদের নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার করছে এবং জাতিসংঘকে ‘বিশ্বাস করা যায় না’।
তিনি বলেন যে, বোমা হামলার পর যে সমস্ত জাতিসংঘের কর্মকর্তারা শ্রীলংকা সফর করেছেন, তাদের কেউই ভুক্তভোগীদের সাথে দেখা করেননি। তারা শুধু মুসলিম সন্দেহভাজনদের সাথে দেখা করেছেন যারা হামলার পরে গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মুসলিম চিকিৎসকও রয়েছেন যার বিরুদ্ধে সিংহলী বৌদ্ধ নারীদের সিজারিয়ার অপারেশানের সময় তাদের অসম্মতিতে বন্ধ্যা করার অভিযোগ রয়েছে। শ্রীলংকার মানবাধিকার কর্মীরা এই ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগকে সাজানো হিসেবে উল্লেখ করলেও এখনও কারাগারে আটক রয়েছেন ওই ডাক্তার।
কার্ডিনাল রঞ্জিতের প্রধান ক্ষোভ অবশ্য মূলত বর্তমান পশ্চিমা-পন্থী ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) সরকারের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, “এই নেতাদের বাড়ি চলে যেতে বলার সময় এসেছে। আমি ক্যাথলিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা হামলার জন্য দায়ীদের ক্ষমা করে দেয়। মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোন ক্রোধ রাখবেন না এবং তাদের কোন ক্ষতি করবেন না। তাদের কোন দোষ নেই”।
No comments