রাক্ষসী পদ্মার থাবা নড়িয়ার ১২ গ্রাম বিলীন, নিঃস্ব ৭ হাজার পরিবার by শেখ খলিলুর রহমান
নড়িয়ায়
রাক্ষসী পদ্মার কালো থাবায় নিঃস্ব শত শত মানুষ। নদী ভাঙনে গত তিন-চার দিনে
মোক্তারেরচর, কেদারপুর ও ঘড়িষার তিনটি ইউনিয়নসহ নড়িয়া পৌরসভার ২নং ও ৪নং
ওয়ার্ডের ঘরবাড়ি, কয়েক শত একর ফসলি জমিসহ ১২টি গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে।
এরমধ্যে মোক্তারেরচরের শেহের আলী মাদবরেরকান্দি, ঈশ্বরকাঠি, পাঁচুখাঁরকান্দি, কেদারপুর ইউপির ওয়াপদা, লঞ্চঘাট, সাধুর বাজার, লঞ্চঘাট, চরনড়িয়া. সাহেবরচর, চরজুজিরা/উত্তর কেদারপুর, দাসপাড়া ,কেদারপুর, দেওয়া ক্লিনিক, রওশনারা শপিংমল, হেলথ কেয়ার ক্লিনিক, গাজী কালুরবাড়ীসহ সাধুর ও ওয়াবদা বাজার দুই-তিন শতাধিক দোকান ঘর, চরজুজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর কেদারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘড়িষার ইউপির চন্ডিপুর, শ্রী সত্য নারায়ণ মন্দির, পাঁচগাঁও, নড়িয়ার মুলফৎগঞ্জ বাজারের তিন শতাধিক দোকান ও বাসতলা বাজারের আরো ১৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ৪৫টি বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া কাঠগাছের বাগান, পানের বরজ, একটি কলাবাগানসহ কয়েক একর ফসলি জমি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে নড়িয়া উপজেলার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ৭ শতাধিক স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন হয়ে গেছে নড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নতুন ভবন, মসজিদ, গাড়ির গ্যারেজ, বসার স্থান। যেকোনো মুহূর্তে রাক্ষসী পদ্মায় খেয়ে ফেলতে পারে নড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনটি। এ দিকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নড়িয়া উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষ। নদীভাঙনের মুখে পড়েছে মুলফৎগঞ্জ বাজারের ৮-৯ শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ।
সব সময়ের জন্য আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় ব্যবসায়ীদের। কেউ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ছেড়ে যেত চায় না। গৃহহীন হয়ে পড়েছে এলাকার প্রায় ৭ হাজার পরিবার। এর মধ্যে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন কেউ কেউ। কেউ রাস্তার পাশে ঝুপড়ি করে আছে। নদীভাঙনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন পদ্মার তীরে ভিড় করছে হাজার হাজার মানুষ। বাসতলা এলাকার মন্নান ঢালীর স্ত্রী জাহানারা বলেন, আমাদের চোখের সামনে বাড়িঘর, জমিজমা পদ্মা নদী গিলে খেয়েছে। আমরা কিছুই বুজতে পারছি না, নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
আমাদের দাবি, তাড়াতাড়ি যেন নদীতে বেড়ি বাঁধ হয়। কেদারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন দেওয়ান বলেন, আমরা বাপ-দাদার ভিটাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। সন্তানদের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারলাম না। চরজুজিরা গ্রামের সুলতান লস্কর বলেন, নদীশাসন না করে পদ্মা সেতুর কাজ করা ঠিক হয়নি। কারণ, ড্রেজিং করে নদীর স্রোত দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে সরিয়ে দেয়ার কারণে আমরা নড়িয়া উপজেলাবাসী পদ্মার ভাঙনে পড়েছি। যদি নদীর স্রোত মাঝখান দিয়ে দেয়া হতো তাহলে আমরা ভাঙনে পড়তাম না।
কেদারপুর এলাকার মিহির চক্রবর্তী বলেন, শুধু পদ্মার পাড়ে কান্না আর কান্না, সনাতন ধর্মের মানুষ পদ্মার পাড়ে কালীমন্দিরের সামনে গঙ্গা পূজা করে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে এবং প্রসাদ বিতরণ করে। কেদারপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সানাউল্ল্যা বলেন, আমাদের কেদারপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৬টি ওয়ার্ড নদীগর্ভে চলে গেছে। এলাকার মানুষ অসহায়/মানবেতর জীবনযাপন করছে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ কোনো সাহায্য নেই। তড়িঘড়ি করে নদীশাসন না করলে পুরো উপজেলা নদীগর্ভে চলে যাবে। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, প্রতিদিন পদ্মা নদীর ডান তীর তথা নড়িয়া উপজেলার পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়ন ভাঙনে পড়েছে। কেদারপুর ইউনিয়ন বেশি ক্ষতি হচ্ছে। ফসলি জমি ছাড়া মানুষের ঘরবাড়ি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি হাসপাতাল, মসজিদ, মাদরাসা, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ভাঙনে পড়েছে। এ দিকে গত সোমবার বিকালে নড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুরাতন ভবনটি যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিঘ্ন ঘটবে। তবে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প.প. কর্মকর্তা ডা. মনির আহমেদ বলেন, আমরা স্বাস্থ্য কমপেক্সের মূল ভবন ছেড়ে আবাসিক ভবনে বসে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিই; যে রোগী জরুরি সেগুলো শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। এর কোনো সমস্যা দেখা দিলে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মতে ব্যবস্থা নেব।
এরমধ্যে মোক্তারেরচরের শেহের আলী মাদবরেরকান্দি, ঈশ্বরকাঠি, পাঁচুখাঁরকান্দি, কেদারপুর ইউপির ওয়াপদা, লঞ্চঘাট, সাধুর বাজার, লঞ্চঘাট, চরনড়িয়া. সাহেবরচর, চরজুজিরা/উত্তর কেদারপুর, দাসপাড়া ,কেদারপুর, দেওয়া ক্লিনিক, রওশনারা শপিংমল, হেলথ কেয়ার ক্লিনিক, গাজী কালুরবাড়ীসহ সাধুর ও ওয়াবদা বাজার দুই-তিন শতাধিক দোকান ঘর, চরজুজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর কেদারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘড়িষার ইউপির চন্ডিপুর, শ্রী সত্য নারায়ণ মন্দির, পাঁচগাঁও, নড়িয়ার মুলফৎগঞ্জ বাজারের তিন শতাধিক দোকান ও বাসতলা বাজারের আরো ১৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ৪৫টি বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া কাঠগাছের বাগান, পানের বরজ, একটি কলাবাগানসহ কয়েক একর ফসলি জমি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে নড়িয়া উপজেলার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ৭ শতাধিক স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন হয়ে গেছে নড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নতুন ভবন, মসজিদ, গাড়ির গ্যারেজ, বসার স্থান। যেকোনো মুহূর্তে রাক্ষসী পদ্মায় খেয়ে ফেলতে পারে নড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনটি। এ দিকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নড়িয়া উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষ। নদীভাঙনের মুখে পড়েছে মুলফৎগঞ্জ বাজারের ৮-৯ শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ।
সব সময়ের জন্য আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় ব্যবসায়ীদের। কেউ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ছেড়ে যেত চায় না। গৃহহীন হয়ে পড়েছে এলাকার প্রায় ৭ হাজার পরিবার। এর মধ্যে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন কেউ কেউ। কেউ রাস্তার পাশে ঝুপড়ি করে আছে। নদীভাঙনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন পদ্মার তীরে ভিড় করছে হাজার হাজার মানুষ। বাসতলা এলাকার মন্নান ঢালীর স্ত্রী জাহানারা বলেন, আমাদের চোখের সামনে বাড়িঘর, জমিজমা পদ্মা নদী গিলে খেয়েছে। আমরা কিছুই বুজতে পারছি না, নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
আমাদের দাবি, তাড়াতাড়ি যেন নদীতে বেড়ি বাঁধ হয়। কেদারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন দেওয়ান বলেন, আমরা বাপ-দাদার ভিটাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। সন্তানদের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারলাম না। চরজুজিরা গ্রামের সুলতান লস্কর বলেন, নদীশাসন না করে পদ্মা সেতুর কাজ করা ঠিক হয়নি। কারণ, ড্রেজিং করে নদীর স্রোত দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে সরিয়ে দেয়ার কারণে আমরা নড়িয়া উপজেলাবাসী পদ্মার ভাঙনে পড়েছি। যদি নদীর স্রোত মাঝখান দিয়ে দেয়া হতো তাহলে আমরা ভাঙনে পড়তাম না।
কেদারপুর এলাকার মিহির চক্রবর্তী বলেন, শুধু পদ্মার পাড়ে কান্না আর কান্না, সনাতন ধর্মের মানুষ পদ্মার পাড়ে কালীমন্দিরের সামনে গঙ্গা পূজা করে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে এবং প্রসাদ বিতরণ করে। কেদারপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সানাউল্ল্যা বলেন, আমাদের কেদারপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৬টি ওয়ার্ড নদীগর্ভে চলে গেছে। এলাকার মানুষ অসহায়/মানবেতর জীবনযাপন করছে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ কোনো সাহায্য নেই। তড়িঘড়ি করে নদীশাসন না করলে পুরো উপজেলা নদীগর্ভে চলে যাবে। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, প্রতিদিন পদ্মা নদীর ডান তীর তথা নড়িয়া উপজেলার পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়ন ভাঙনে পড়েছে। কেদারপুর ইউনিয়ন বেশি ক্ষতি হচ্ছে। ফসলি জমি ছাড়া মানুষের ঘরবাড়ি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি হাসপাতাল, মসজিদ, মাদরাসা, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ভাঙনে পড়েছে। এ দিকে গত সোমবার বিকালে নড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুরাতন ভবনটি যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিঘ্ন ঘটবে। তবে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প.প. কর্মকর্তা ডা. মনির আহমেদ বলেন, আমরা স্বাস্থ্য কমপেক্সের মূল ভবন ছেড়ে আবাসিক ভবনে বসে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিই; যে রোগী জরুরি সেগুলো শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। এর কোনো সমস্যা দেখা দিলে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মতে ব্যবস্থা নেব।
No comments