ওয়াশিংটনে টিকফা বৈঠক: বাংলাদেশের বক্তব্য শুনলেন ট্রাম্প প্রশাসনের ৩০ কর্মকর্তা
ওয়াশিংটনে
টিকফার চতুর্থ বৈঠকে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্তত ৩০ জন কর্মকর্তা বাংলাদেশ
নিয়ে ঢাকার কর্মকর্তাদের কথা শুনেছেন। প্রায় ৩ ঘণ্টার ওই বৈঠকে বাংলাদেশের
বিভিন্ন বিষয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানার চেষ্টা করেন যুক্তরাষ্ট্রের
কর্মকর্তারা। সেখানে তারা শ্রম খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক
বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তবে এসব উদ্যোগে দ্রুত এবং কার্যকর
বাস্তবায়ন যেমন চেয়েছেন তেমনি দেরি হলে যেকোনো ভালো উদ্যোগই হারিয়ে যায় বলে
সতর্ক পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
বাংলাদেশের কর্মকর্তা অঙ্গীকার করেছেন চলতি সংসদেই শ্রম খাতের উদ্যোগগুলো আইনে রূপান্তরিত হওয়ার বিষয়ে। বৈঠকে অংশ নেয়া ঢাকার একাধিক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে কমর্রত শ্রমিকের অধিকার ও সুরক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ কমলেও এটি পুরোপুরি নিরসন হয়নি। ফলে দেশটিতে বহুল আলোচিত স্থগিত হওয়া জিএসপি (শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা) ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও কোনো আশার আলো নেই। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াশিংটনে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি- টিকফা’র চতুর্থ বৈঠক হয়। সেখানে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধার আওতায় জিএসপির ইস্যুটি উঠলে আলোচনা বেশি দূর এগোয়নি। বরং সার্বিক শ্রম কাঠামো নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি সামনে আনা হয়। যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য।
২০১৩ সাল থেকে জিএসপি সুবিধা স্থগিত রয়েছে দেশটিতে। শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকারের বহুপক্ষীয় উদ্যোগ দৃশ্যমান হওয়ার পরও জিএসপি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে কোনো হেরফের না হওয়ায় হতাশ ঢাকা। কর্মকর্তারা এ নিয়ে কোনো কথা না বললেও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ একাধিকার বলেছেন, জিএসপি সুবিধা ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর কোনো আলোচনায় আগ্রহী নয় ঢাকা। যদি যুক্তরাষ্ট্র তার ওই ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’ নিজে থেকে পরিবর্তন করে বাংলাদেশকে জিএসপি ফেরত দেয় ঢাকা তা স্বাগত জানাবে এমনটাই বলছেন কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবারের টিকফা বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর (ইউএসটিআর) প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- বৈঠকে উভয় দেশই বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বন্ধন আরো গভীর করার অঙ্গীকার করেছে। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সহকারী ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ মার্ক লিন্সকট ও বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু নেতৃত্ব দেন।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যবিষয়ক নীতি বিভাগের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল শ্রম অধিকার পরিস্থিতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে। প্রতিনিধি দলটি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করেছে। সূত্র জানিয়েছে, জিএসপি পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত পরিপালনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে খুশি নন প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ইইউ বাংলাদেশকে দেয়া জিএসপি সুবিধা পর্যালোচনার বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সেক্ষেত্রে চলমান রাখা-না রাখা কিংবা নতুন কোন শর্তের বিষয়টি উল্লেখ করতে পারে। ইইউ’র ২৮টি দেশে প্রায় সব পণ্যেই শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পায় বাংলাদেশ। এ দেশগুলো সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশের বেশি রপ্তানি হয় ইইউভুক্ত দেশগুলোতে। ফলে এখানে কোনো কারণে জিএসপি বাধাগ্রস্ত হলে কিংবা শর্তের মধ্যে পড়লে তা সার্বিক রপ্তানিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য সূত্র জানিয়েছে, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে মালিক পক্ষের পাশাপাশি শ্রমিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের শ্রমিকের স্বার্থে জিএসপি সুবিধা বহাল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শ্রম অধিকার ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার ঘাটতির অজুহাত তুলে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করে অ্যালায়েন্স ও অ্যাকর্ড নামে দুটি জোট। এরপর জিএসপি পুনরুদ্ধারে ১৬টি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের শর্ত দেয় দেশটি। গত কয়েক বছরে এসব কর্মপরিকল্পনার প্রায় সবই বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে শ্রম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। তবে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন আলোচনায় শ্রম অধিকারের ইস্যুটি আলোচনায় এনেছেন এবং এ বিষয়ে আরো অনেক কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে বলে তাগিদ দিয়ে আসছিলেন।
অন্যদিকে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ আরো কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত (বাংলাদেশও রয়েছে) প্ল্যাটফর্ম ‘সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্টের’ সর্বশেষ সভায়ও শ্রম অধিকারের বিষয়টি জোরালোভাবে আলোচনায় এসেছে। এ লক্ষ্যে আইএলও’র নীতিমালার আলোকে শ্রম আইনের সংশোধন, শ্রমিকের স্বাধীনভাবে যৌথ দর কষাকষির লক্ষ্যে কার্যকর সিবিএ গঠন, হয়রানি বন্ধ করার কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে পরামর্শ দেয়া হয়।
বাংলাদেশের কর্মকর্তা অঙ্গীকার করেছেন চলতি সংসদেই শ্রম খাতের উদ্যোগগুলো আইনে রূপান্তরিত হওয়ার বিষয়ে। বৈঠকে অংশ নেয়া ঢাকার একাধিক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে কমর্রত শ্রমিকের অধিকার ও সুরক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ কমলেও এটি পুরোপুরি নিরসন হয়নি। ফলে দেশটিতে বহুল আলোচিত স্থগিত হওয়া জিএসপি (শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা) ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও কোনো আশার আলো নেই। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াশিংটনে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি- টিকফা’র চতুর্থ বৈঠক হয়। সেখানে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধার আওতায় জিএসপির ইস্যুটি উঠলে আলোচনা বেশি দূর এগোয়নি। বরং সার্বিক শ্রম কাঠামো নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি সামনে আনা হয়। যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য।
২০১৩ সাল থেকে জিএসপি সুবিধা স্থগিত রয়েছে দেশটিতে। শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকারের বহুপক্ষীয় উদ্যোগ দৃশ্যমান হওয়ার পরও জিএসপি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে কোনো হেরফের না হওয়ায় হতাশ ঢাকা। কর্মকর্তারা এ নিয়ে কোনো কথা না বললেও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ একাধিকার বলেছেন, জিএসপি সুবিধা ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর কোনো আলোচনায় আগ্রহী নয় ঢাকা। যদি যুক্তরাষ্ট্র তার ওই ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’ নিজে থেকে পরিবর্তন করে বাংলাদেশকে জিএসপি ফেরত দেয় ঢাকা তা স্বাগত জানাবে এমনটাই বলছেন কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবারের টিকফা বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর (ইউএসটিআর) প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- বৈঠকে উভয় দেশই বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বন্ধন আরো গভীর করার অঙ্গীকার করেছে। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সহকারী ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ মার্ক লিন্সকট ও বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু নেতৃত্ব দেন।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যবিষয়ক নীতি বিভাগের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল শ্রম অধিকার পরিস্থিতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে। প্রতিনিধি দলটি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করেছে। সূত্র জানিয়েছে, জিএসপি পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত পরিপালনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে খুশি নন প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ইইউ বাংলাদেশকে দেয়া জিএসপি সুবিধা পর্যালোচনার বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সেক্ষেত্রে চলমান রাখা-না রাখা কিংবা নতুন কোন শর্তের বিষয়টি উল্লেখ করতে পারে। ইইউ’র ২৮টি দেশে প্রায় সব পণ্যেই শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পায় বাংলাদেশ। এ দেশগুলো সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশের বেশি রপ্তানি হয় ইইউভুক্ত দেশগুলোতে। ফলে এখানে কোনো কারণে জিএসপি বাধাগ্রস্ত হলে কিংবা শর্তের মধ্যে পড়লে তা সার্বিক রপ্তানিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য সূত্র জানিয়েছে, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে মালিক পক্ষের পাশাপাশি শ্রমিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের শ্রমিকের স্বার্থে জিএসপি সুবিধা বহাল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শ্রম অধিকার ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার ঘাটতির অজুহাত তুলে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করে অ্যালায়েন্স ও অ্যাকর্ড নামে দুটি জোট। এরপর জিএসপি পুনরুদ্ধারে ১৬টি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের শর্ত দেয় দেশটি। গত কয়েক বছরে এসব কর্মপরিকল্পনার প্রায় সবই বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে শ্রম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। তবে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন আলোচনায় শ্রম অধিকারের ইস্যুটি আলোচনায় এনেছেন এবং এ বিষয়ে আরো অনেক কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে বলে তাগিদ দিয়ে আসছিলেন।
অন্যদিকে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ আরো কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত (বাংলাদেশও রয়েছে) প্ল্যাটফর্ম ‘সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্টের’ সর্বশেষ সভায়ও শ্রম অধিকারের বিষয়টি জোরালোভাবে আলোচনায় এসেছে। এ লক্ষ্যে আইএলও’র নীতিমালার আলোকে শ্রম আইনের সংশোধন, শ্রমিকের স্বাধীনভাবে যৌথ দর কষাকষির লক্ষ্যে কার্যকর সিবিএ গঠন, হয়রানি বন্ধ করার কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে পরামর্শ দেয়া হয়।
No comments