ভারত থেকে অবৈধদের বের করে দেয়াই সমাধান নয় -ইকোনমিক টাইমসের সম্পাদকীয়
ভারতীয়
জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি অমিত শাহ অবৈধ প্রতিজন অভিবাসীকে দেশ থেকে
বের করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণায় সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান নেই।
উল্টো তাতে চরম অবিচার ও তা থেকে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে। সম্প্রতি বিজেপির
শীর্ষ স্থানীয় একাধিক নেতা আসামের নাগরিকপঞ্জিকে কেন্দ্র করে আসামে ও
ভারতের অন্য রাজ্যে বসবাসকারী ‘অবৈধ প্রতিজন বাংলাদেশী’কে বের করে দেয়ার
ঘোষণা দিয়েছেন। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার অনলাইন ইকোনমিক টাইমস তার
সম্পাদকীয়তে উপরের কথাগুলো লিখেছে। এতে বিজেপির উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলা
হয়েছে।
বলা হয়েছে, ভারতে বসবাসকারী অন্য দেশের অবৈধ নাগরিকদের বিষয়ে বিজেপি তাহলে কি করবে। এ নিয়ে তাদের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, দেশ থেকে (অবৈধদের) বের করে দেয়াই সমস্যার সমাধান নয়। ওই সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ৩০ শে জুলাই প্রকাশিত হয় আসামের নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)র চূড়ান্ত খসড়া তালিতা। তা থেকে বাদ পড়েছেন ৪০ লাখ মানুষ। বাদ পড়াদের মধ্যে রয়েছেন অনেক গোর্খা, হিন্দি ও বাংলাভাষী। আছেন, আসামের আদিবাসীরাও। এ কথা সোমবার স্বীকার করেছেন আসাম বিজেপির নেতা রণজিত দাস।
অমিত শাহ যেমনটা বলেছেন, ভারতজুড়ে এনআরসি প্রয়োগ করা উচিত। তাহলে তামিলনাড়–তে যেসব শ্রীলঙ্কান তামিল বসবাস করেন তাদের কি হবে? বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে কি নেপালের গোর্খা ও লেপচাসদের উচ্ছেদ করা হবে? সিঙ্গফোসদের (মিয়ানামারে যাদেরকে কাচিন বলা হয়) কি বলা হবে অরুণাচল প্রদেশ থেকে চলে যেতে?
ওই সম্পাদকীয়তে প্রশ্ন রাখা হয়- যদি এটা সম্ভব হয়ও, তাহলে কিভাবে তাদেরকে বের করে দেয়া হবে? ব্যাপক সংখ্যায় মানুষকে ভারত থেকে বের করে দেয়ার জন্য পাশাপাশি থাকা সরকারগুলোর সঙ্গে কোনো চুক্তি নেই ভারতের। ভারতকে একটি মহত দেশ বা জাতি হিসেবে উপযুক্ত একটি সমাধান খুঁজতে হবে। সেটা করতে হবে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তকে প্রবেশযোগ্য রেখে, যেমনটি আছে নেপালের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি যেসব মানুষ ভারতে জন্ম নিয়েছেন তাদেরকে পিতামাতার বিষয়টি মাথায় না নিয়ে, বৈধতা দিয়ে নাগরিকত্বকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে হবে। যারা তাদের জীবনের বিবেচ্য বড় একটি অংশ ভারতে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে কাটিয়েছেন তাদেরকেও ধরতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, যখন কাউকে বিদেশী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয় তখন স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ফরেনার্স অ্যাক্ট ব্যবহার করে অভিযুক্তর নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে নির্দোষ হিসেবে দেখার যে মূলনীতি আছে এটা তার বিপরীত। এমন নীতি বাদ দেয়া উচিত।
বলা হয়েছে, ভারতে বসবাসকারী অন্য দেশের অবৈধ নাগরিকদের বিষয়ে বিজেপি তাহলে কি করবে। এ নিয়ে তাদের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, দেশ থেকে (অবৈধদের) বের করে দেয়াই সমস্যার সমাধান নয়। ওই সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ৩০ শে জুলাই প্রকাশিত হয় আসামের নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)র চূড়ান্ত খসড়া তালিতা। তা থেকে বাদ পড়েছেন ৪০ লাখ মানুষ। বাদ পড়াদের মধ্যে রয়েছেন অনেক গোর্খা, হিন্দি ও বাংলাভাষী। আছেন, আসামের আদিবাসীরাও। এ কথা সোমবার স্বীকার করেছেন আসাম বিজেপির নেতা রণজিত দাস।
অমিত শাহ যেমনটা বলেছেন, ভারতজুড়ে এনআরসি প্রয়োগ করা উচিত। তাহলে তামিলনাড়–তে যেসব শ্রীলঙ্কান তামিল বসবাস করেন তাদের কি হবে? বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে কি নেপালের গোর্খা ও লেপচাসদের উচ্ছেদ করা হবে? সিঙ্গফোসদের (মিয়ানামারে যাদেরকে কাচিন বলা হয়) কি বলা হবে অরুণাচল প্রদেশ থেকে চলে যেতে?
ওই সম্পাদকীয়তে প্রশ্ন রাখা হয়- যদি এটা সম্ভব হয়ও, তাহলে কিভাবে তাদেরকে বের করে দেয়া হবে? ব্যাপক সংখ্যায় মানুষকে ভারত থেকে বের করে দেয়ার জন্য পাশাপাশি থাকা সরকারগুলোর সঙ্গে কোনো চুক্তি নেই ভারতের। ভারতকে একটি মহত দেশ বা জাতি হিসেবে উপযুক্ত একটি সমাধান খুঁজতে হবে। সেটা করতে হবে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তকে প্রবেশযোগ্য রেখে, যেমনটি আছে নেপালের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি যেসব মানুষ ভারতে জন্ম নিয়েছেন তাদেরকে পিতামাতার বিষয়টি মাথায় না নিয়ে, বৈধতা দিয়ে নাগরিকত্বকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে হবে। যারা তাদের জীবনের বিবেচ্য বড় একটি অংশ ভারতে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে কাটিয়েছেন তাদেরকেও ধরতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, যখন কাউকে বিদেশী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয় তখন স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ফরেনার্স অ্যাক্ট ব্যবহার করে অভিযুক্তর নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে নির্দোষ হিসেবে দেখার যে মূলনীতি আছে এটা তার বিপরীত। এমন নীতি বাদ দেয়া উচিত।
No comments