মেডিকেল বোর্ডকে খালেদার প্রশ্ন, আমার চিকিৎসক কোথায়?
বিএনপি
চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন তার চিকিৎসার
জন্য গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। গতকাল বিকালে পাঁচ
সদস্যের মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গেলে তিনি
প্রশ্ন করেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের কেউ বোর্ডে নেই কেন? এ সময় চিকিৎসকরা
জানান, নতুন মেডিকেল বোর্ডের সদস্য হিসেবে তারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে
এসেছেন। পরে খালেদা জিয়া তার শারীরিক সমস্যাগুলো মেডিকেল বোর্ডকে জানান।
বোর্ডের একজন চিকিৎসক মানবজমিনকে জানান, উনার সমস্যাগুলো পুরনো।
এক স্থানে থাকার কারণে বেড়েছে। রোববার আমরা চিকিৎসার বিষয়ে পরামর্শ দেব। শনিবার বিকাল পৌনে ৪টায় চিকিৎসক দলটি ‘বাংলাদেশ জেল’ লেখা একটি মাইক্রোবাসে করে কারাগারের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করেন। কারাভ্যন্তরে প্রায় ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট অবস্থান করে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে তারা বেরিয়ে আসেন। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা চিকিৎসার বিষয়ে তারা গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে কোনো মন্তব্য করেননি। এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা প্রায় ২০ মিনিট ধরে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। আজ (রোববার) চিকিৎসকরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার জন্য ব্যবস্থাপত্রের (প্রেসক্রিপশন) অফিসিয়ালি রিপোর্ট দেবেন। কী সমস্যা ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার শরীরে আগের যে সমস্যাগুলো ছিল- যেমন, আর্থাইটিস, হাঁটুতে ব্যথা।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন গণমাধ্যমকে জানান, কারা-কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পর ১৩ই সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের এই মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডা. মো. আবদুল জলিল চৌধুরীকে প্রধান করে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের এই মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক হারিসুল হক (কার্ডিওলজি), অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরী (অর্থোপেডিক সার্জারি), সহকারী অধ্যাপক তারেক রেজা আলী (চক্ষু) ও সহযোগী অধ্যাপক বদরুন্নেসা আহমেদ (ফিজিক্যাল মেডিসিন)। উল্লেখ্য, ৯ই সেপ্টেম্বর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করেন।
তারা খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী রাজধানীর কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর অনুরোধ জানায়। এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড হবে। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এই বছরের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। বন্দি থাকা অবস্থায় ইতিমধ্যে একবার মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। তখন স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মেডিকেল বোর্ড বলেছিল, খালেদা জিয়ার অবস্থা গুরুতর নয়। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শারীরিক পরীক্ষা করতে গত ৭ই এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বারের মতো মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
এক স্থানে থাকার কারণে বেড়েছে। রোববার আমরা চিকিৎসার বিষয়ে পরামর্শ দেব। শনিবার বিকাল পৌনে ৪টায় চিকিৎসক দলটি ‘বাংলাদেশ জেল’ লেখা একটি মাইক্রোবাসে করে কারাগারের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করেন। কারাভ্যন্তরে প্রায় ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট অবস্থান করে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে তারা বেরিয়ে আসেন। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা চিকিৎসার বিষয়ে তারা গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে কোনো মন্তব্য করেননি। এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা প্রায় ২০ মিনিট ধরে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। আজ (রোববার) চিকিৎসকরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার জন্য ব্যবস্থাপত্রের (প্রেসক্রিপশন) অফিসিয়ালি রিপোর্ট দেবেন। কী সমস্যা ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার শরীরে আগের যে সমস্যাগুলো ছিল- যেমন, আর্থাইটিস, হাঁটুতে ব্যথা।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন গণমাধ্যমকে জানান, কারা-কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পর ১৩ই সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের এই মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডা. মো. আবদুল জলিল চৌধুরীকে প্রধান করে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের এই মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক হারিসুল হক (কার্ডিওলজি), অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরী (অর্থোপেডিক সার্জারি), সহকারী অধ্যাপক তারেক রেজা আলী (চক্ষু) ও সহযোগী অধ্যাপক বদরুন্নেসা আহমেদ (ফিজিক্যাল মেডিসিন)। উল্লেখ্য, ৯ই সেপ্টেম্বর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করেন।
তারা খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী রাজধানীর কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর অনুরোধ জানায়। এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড হবে। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এই বছরের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। বন্দি থাকা অবস্থায় ইতিমধ্যে একবার মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। তখন স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মেডিকেল বোর্ড বলেছিল, খালেদা জিয়ার অবস্থা গুরুতর নয়। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শারীরিক পরীক্ষা করতে গত ৭ই এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বারের মতো মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
No comments