দেবর-ভাবির পরকীয়ার বলি স্বামী
দুই
ভাই মনিরুজ্জামান মনির (৩৫) ও আজমল হক মিন্টু (২৪)। কর্মসূত্রে একজন থাকেন
ঢাকা অন্যজন ফেনীতে। মনিরের স্ত্রী কাজল রেখা (৩০) থাকতেন গ্রামের বাড়ি
দিনাজপুরে। কাজল রেখার দুই সন্তান রয়েছে। আট বছর আগে আজমল একদিন গ্রামের
বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই সময় আজমলের সেবাযত্ন করেন তার ভাবি কাজল রেখা।
ওই সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে
শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। দিন দিন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়।
আজমল সিদ্ধান্ত নেয় কাজল রেখাকে বিয়ে করার। কিন্তু ওই বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ান মনির। তখন মনিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে আজমল। ১ লাখ টাকা দিয়ে ভাড়াতে খুনি ঠিক করে। নিজ ভাইকে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে হত্যা করে আবার নিজেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে লাশ শনাক্ত করতে যায়। সেখানে তাকে কাঁদতেও দেখা যায়। মনিরের স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে স্বামী খুনের কথা শুনে আহাজারি করতে থাকে।
কিন্তু খুনের কারণ ও পরিকল্পনার ছক আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে উদঘাটন করেছে পুলিশ। কাজল রেখা ও আজমল খুনের বিষয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়াও পুলিশ খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আজমল হক মিন্টু, আবদুল মান্নান, সোহাগ ওরফে শাওন ও ফাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে খুনে ব্যবহৃত ২টি চাকু ও মৃতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। গতকাল সকালে পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি এসএম মোস্তাক আহমেদ জানান, গত ৮ই সেপ্টেম্বর সকালে বাড্ডা থানাধীন সাঁতারকূল এলাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পশ্চিম দিকে হিন্দুপাড়ার খোলা মাঠে পায়ে চলাচলের রাস্তায় গলা এবং পেটে ছুরিকাঘাত করা একটি অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড্ডা থানা পুলিশ। সেটি ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠালে পরবর্তী সময়ে মৃতের ছোট ভাই আজমল হক মিন্টু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহটি শনাক্ত করে। পরে আজমল বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
তিনি জানান, এই মামলাটি তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মামলার তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়। নিহত মনিরের স্ত্রী কাজল রেখার সঙ্গে মনিরের আপন ছোট ভাই আজমল হক মিন্টুর প্রায় ৮ থেকে ৯ বছর যাবৎ অবৈধ পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। তাদের এই সম্পর্ক স্থায়ী করতে একমাত্র পথের কাটা স্বামী মনিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে কাজল ও মিন্টু। হত্যা করার পরিকল্পনা হিসেবে তারা এক লাখ টাকার ?চুক্তিতে ঢাকার ৩ খুনিকে ভাড়া করে।
অগ্রিম হিসাবে তাদের ত্রিশ হাজার টাকা দেয় তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাড়াটে খুনিরা মনিরকে হত্যা করে। পরিকল্পিতভাবে খুন করে খুনের দায় এড়ানোর জন্য আজমল হক মিন্টু নিজে বাদী হয়ে গত ৮ই সেপ্টেম্বর বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। তিনি আরো জানান, ফেনী যাওয়ার পথে গত ৭ই সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকায় আসেন মনিরুজ্জামান মনির। ঢাকায় ছোট ভাই মিন্টুর বাসায় যাওয়ার কথা ছিল তার। ওইদিন রাতে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরের দিন থেকে মনিরের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
৮ই সেপ্টেম্বর সকালে পুলিশ সাঁতারকূল এলাকায় লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে পরের দিন তার ভাইয়ের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে শনাক্ত করেন আজমল। আজমল গ্রামের বাড়িতে তার ভাই নিহতের কথা জানান। এ সময় গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ বিষয়টির তদন্তে নামে। মনিরের স্ত্রী কাজল রেখা এবং আজমলের দুটি মোবাইল জব্দ করে পুলিশ। পরে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা খুনের পরিকল্পনার কথা বলে।
তিনি আরো জানান, কোরবানি ঈদের পর মনিরকে হত্যার পরিকল্পনা নেয়। আজমল তার ভাইকে হত্যার জন্য এক লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ঠিক করে। অগ্রিম ৩০ হাজার টাকাও দেয়। পরিকল্পনা ছিল, ঈদের সময় দিনাজপুরে আসার পথে ঢাকায় মনিরকে হত্যা করা হবে। ঈদের সময় আজমল ফোন করে মনিরকে। ঢাকায় নিজের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখার কথা বলে আজমল। ঢাকায় আজমলের বাসায় যাওয়ার কথা বলে দিনাজপুর থেকে ৭ই সেপ্টেম্বর রওনা দেন মনির।
রাত ১০টার দিকে গ্রামীণফোনের সিমে স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন। অন্যদিকে, আরেকটি সিম দিয়ে দেবরের সঙ্গে কথা বলেন কাজল। আজমল ফোন করে তার ভাইকে মেরে ফেলার কথা জানান কাজলকে। এরপর কাজল গ্রামীণফোনের সিমটি ফেলে দেন। কান্নাকাটি করে কাজল বাড়ির সবাইকে বলেন, ২০ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলেন মনির। ছিনতাইকারীদের হাতে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানান কাজল। সংবাদ সম্মেলনে বাড্ডা জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার আশরাফুল কবীর ও বাড্ডা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আজমল সিদ্ধান্ত নেয় কাজল রেখাকে বিয়ে করার। কিন্তু ওই বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ান মনির। তখন মনিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে আজমল। ১ লাখ টাকা দিয়ে ভাড়াতে খুনি ঠিক করে। নিজ ভাইকে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে হত্যা করে আবার নিজেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে লাশ শনাক্ত করতে যায়। সেখানে তাকে কাঁদতেও দেখা যায়। মনিরের স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে স্বামী খুনের কথা শুনে আহাজারি করতে থাকে।
কিন্তু খুনের কারণ ও পরিকল্পনার ছক আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে উদঘাটন করেছে পুলিশ। কাজল রেখা ও আজমল খুনের বিষয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়াও পুলিশ খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আজমল হক মিন্টু, আবদুল মান্নান, সোহাগ ওরফে শাওন ও ফাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে খুনে ব্যবহৃত ২টি চাকু ও মৃতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। গতকাল সকালে পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি এসএম মোস্তাক আহমেদ জানান, গত ৮ই সেপ্টেম্বর সকালে বাড্ডা থানাধীন সাঁতারকূল এলাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পশ্চিম দিকে হিন্দুপাড়ার খোলা মাঠে পায়ে চলাচলের রাস্তায় গলা এবং পেটে ছুরিকাঘাত করা একটি অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড্ডা থানা পুলিশ। সেটি ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠালে পরবর্তী সময়ে মৃতের ছোট ভাই আজমল হক মিন্টু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহটি শনাক্ত করে। পরে আজমল বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
তিনি জানান, এই মামলাটি তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মামলার তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়। নিহত মনিরের স্ত্রী কাজল রেখার সঙ্গে মনিরের আপন ছোট ভাই আজমল হক মিন্টুর প্রায় ৮ থেকে ৯ বছর যাবৎ অবৈধ পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। তাদের এই সম্পর্ক স্থায়ী করতে একমাত্র পথের কাটা স্বামী মনিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে কাজল ও মিন্টু। হত্যা করার পরিকল্পনা হিসেবে তারা এক লাখ টাকার ?চুক্তিতে ঢাকার ৩ খুনিকে ভাড়া করে।
অগ্রিম হিসাবে তাদের ত্রিশ হাজার টাকা দেয় তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাড়াটে খুনিরা মনিরকে হত্যা করে। পরিকল্পিতভাবে খুন করে খুনের দায় এড়ানোর জন্য আজমল হক মিন্টু নিজে বাদী হয়ে গত ৮ই সেপ্টেম্বর বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। তিনি আরো জানান, ফেনী যাওয়ার পথে গত ৭ই সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকায় আসেন মনিরুজ্জামান মনির। ঢাকায় ছোট ভাই মিন্টুর বাসায় যাওয়ার কথা ছিল তার। ওইদিন রাতে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরের দিন থেকে মনিরের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
৮ই সেপ্টেম্বর সকালে পুলিশ সাঁতারকূল এলাকায় লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে পরের দিন তার ভাইয়ের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে শনাক্ত করেন আজমল। আজমল গ্রামের বাড়িতে তার ভাই নিহতের কথা জানান। এ সময় গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ বিষয়টির তদন্তে নামে। মনিরের স্ত্রী কাজল রেখা এবং আজমলের দুটি মোবাইল জব্দ করে পুলিশ। পরে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা খুনের পরিকল্পনার কথা বলে।
তিনি আরো জানান, কোরবানি ঈদের পর মনিরকে হত্যার পরিকল্পনা নেয়। আজমল তার ভাইকে হত্যার জন্য এক লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ঠিক করে। অগ্রিম ৩০ হাজার টাকাও দেয়। পরিকল্পনা ছিল, ঈদের সময় দিনাজপুরে আসার পথে ঢাকায় মনিরকে হত্যা করা হবে। ঈদের সময় আজমল ফোন করে মনিরকে। ঢাকায় নিজের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখার কথা বলে আজমল। ঢাকায় আজমলের বাসায় যাওয়ার কথা বলে দিনাজপুর থেকে ৭ই সেপ্টেম্বর রওনা দেন মনির।
রাত ১০টার দিকে গ্রামীণফোনের সিমে স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন। অন্যদিকে, আরেকটি সিম দিয়ে দেবরের সঙ্গে কথা বলেন কাজল। আজমল ফোন করে তার ভাইকে মেরে ফেলার কথা জানান কাজলকে। এরপর কাজল গ্রামীণফোনের সিমটি ফেলে দেন। কান্নাকাটি করে কাজল বাড়ির সবাইকে বলেন, ২০ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলেন মনির। ছিনতাইকারীদের হাতে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানান কাজল। সংবাদ সম্মেলনে বাড্ডা জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার আশরাফুল কবীর ও বাড্ডা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
No comments