বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে অবরোধ কেউই জানেন না by আল-আমিন
মামলার
এজাহারে ঘটনার তারিখ ১১ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার। সময় রাত ৮টা ১৫ মিনিট।
ঘটনার স্থান বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট। মামলায় অভিযোগ, বিএনপি ও ২০ দলীয়
জোটের নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে সড়ক অবরোধ করে জনজীবন
বিপর্যস্ত করেছে। নাশকতার উদ্দেশে তারা সেখানে জড়ো হয়েছিল। ঢাকার পল্টন
থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলা নম্বর-২৩। মামলায়
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় রয়েছে ২০ দলীয়
জোটের শরিক দলের নেতাকর্মীদের নামও। গতকাল দিনভর বায়তুল মোকাররম উত্তর
গেটে সরজমিনে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই এলাকায় সড়ক অবরোধের এমন
কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা সেখানে কাউকে জড়ো হতে দেখেনি। অবরোধ আর মামলার কথা
শুনে ওই এলাকার দোকানি ও লোকজন বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। মামলায় যারা
এজাহারনামীয় আসামি তাদের ধরতে বৃহস্পতিবার রাতে বাসায় পুলিশ অভিযান
চালিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, মামলার বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আসামিদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১১ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে যে মামলা দায়ের হয়েছে সেই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে যে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ঢাকার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জড়ো হতে থাকে। এ সময় তারা সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা এবং এর আশপাশ এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সড়কে আটকা পড়ে হাজার হাজার গাড়ি। সড়ক অবরোধের কারণে ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই হেঁটে গন্তব্যস্থলে রওনা দেয়। এজাহারে আরো বলা হয়েছে, পল্টন থানা পুলিশ ওয়াকিটকির মাধ্যমে খবর পেয়ে পল্টন থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম কয়েকজন কনস্টেবলকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
সড়ক অবরোধ করে জনভীতি ছড়ানোর জন্য এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আসামির তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, খালেদা জিয়ার আইনজীবীর অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এমএ মালেক, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি, শহীদুল ইসলাম বাবুল, কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও বেলাল আহমেদ, কণ্ঠশিল্পী মনির খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য হাসান মামুন, অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, শেখ মো. শামীম, অ্যাডভোকেট ফেরদৌসী আক্তার ওয়াহিদা, সাবেরা আলাউদ্দিন ও কাজী মফিজুর রহমান প্রমুখের নাম। এ ছাড়াও মামলার এজাহারে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করীম ও পল্টন থানা শিবিরের নেতা আহমেদ ইয়াসিনের নাম রয়েছে।
বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের ফুটওভার ব্রিজের চা দোকানি মো. আজিজ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত চা বিক্রয় করেছি। কিন্তু, কোন লোক সমাগম দেখিনি। কোন অবরোধের ঘটনা ঘটেনি। খেজুর বিক্রেতা শামসুল আলম জানান, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরাতো সকাল ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছিলাম। বই বিক্রেতা শহীদ আলম জানান, আমরা এমন কোনো ঘটনা দেখিনি। কে বলেছে এখানে অবরোধ হয়েছে? তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের মার্কেটের এক ঘড়ি ব্যবসায়ী জানান, সেই দিন এই এলাকায় কোনো অবরোধের ঘটনা ঘটেনি।
এ মামলার যারা আসামি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রায় সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানা গেছে, পুলিশি হয়রানি রোধে অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন। মামলার আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ জানান, এটা গায়েবি মামলা। সরকার ভীত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে এমন মামলা দিয়েছে। সরকার জলাতঙ্ক রোগে ভুগছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মামলার আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ছেলে দেবাশীষ রায় ফোনটি রিসিভ করেন। তিনি জানান, শুনেছি বাবার নামে মামলা হয়েছে। তরিকুল ইসলামের মতো যিনি গুরুতর অসুস্থ তার নামেও পুলিশ মামলা দিয়েছে। এ মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই রফিকুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান, মামলাটির তদন্তের দায়িত্বের ভার আমার ওপর পড়েছে। মামলার এজাহারনামীয় আসামি কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। মামলার এজাহারে যে অবরোধের স্থান বলা হয়েছে সেখানে কোনো অবরোধের ঘটনা ঘটেনি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১১ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে যে মামলা দায়ের হয়েছে সেই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে যে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ঢাকার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জড়ো হতে থাকে। এ সময় তারা সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা এবং এর আশপাশ এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সড়কে আটকা পড়ে হাজার হাজার গাড়ি। সড়ক অবরোধের কারণে ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই হেঁটে গন্তব্যস্থলে রওনা দেয়। এজাহারে আরো বলা হয়েছে, পল্টন থানা পুলিশ ওয়াকিটকির মাধ্যমে খবর পেয়ে পল্টন থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম কয়েকজন কনস্টেবলকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
সড়ক অবরোধ করে জনভীতি ছড়ানোর জন্য এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আসামির তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, খালেদা জিয়ার আইনজীবীর অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এমএ মালেক, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি, শহীদুল ইসলাম বাবুল, কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও বেলাল আহমেদ, কণ্ঠশিল্পী মনির খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য হাসান মামুন, অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, শেখ মো. শামীম, অ্যাডভোকেট ফেরদৌসী আক্তার ওয়াহিদা, সাবেরা আলাউদ্দিন ও কাজী মফিজুর রহমান প্রমুখের নাম। এ ছাড়াও মামলার এজাহারে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করীম ও পল্টন থানা শিবিরের নেতা আহমেদ ইয়াসিনের নাম রয়েছে।
বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের ফুটওভার ব্রিজের চা দোকানি মো. আজিজ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত চা বিক্রয় করেছি। কিন্তু, কোন লোক সমাগম দেখিনি। কোন অবরোধের ঘটনা ঘটেনি। খেজুর বিক্রেতা শামসুল আলম জানান, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরাতো সকাল ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছিলাম। বই বিক্রেতা শহীদ আলম জানান, আমরা এমন কোনো ঘটনা দেখিনি। কে বলেছে এখানে অবরোধ হয়েছে? তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের মার্কেটের এক ঘড়ি ব্যবসায়ী জানান, সেই দিন এই এলাকায় কোনো অবরোধের ঘটনা ঘটেনি।
এ মামলার যারা আসামি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রায় সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানা গেছে, পুলিশি হয়রানি রোধে অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন। মামলার আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ জানান, এটা গায়েবি মামলা। সরকার ভীত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে এমন মামলা দিয়েছে। সরকার জলাতঙ্ক রোগে ভুগছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মামলার আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ছেলে দেবাশীষ রায় ফোনটি রিসিভ করেন। তিনি জানান, শুনেছি বাবার নামে মামলা হয়েছে। তরিকুল ইসলামের মতো যিনি গুরুতর অসুস্থ তার নামেও পুলিশ মামলা দিয়েছে। এ মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই রফিকুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান, মামলাটির তদন্তের দায়িত্বের ভার আমার ওপর পড়েছে। মামলার এজাহারনামীয় আসামি কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। মামলার এজাহারে যে অবরোধের স্থান বলা হয়েছে সেখানে কোনো অবরোধের ঘটনা ঘটেনি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
No comments