মেঘনায় বিলীন ৫ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি by আব্বাছ হোসেন
লক্ষ্মীপুরের
কমলনগর উপজেলার চরফলকন, চর কালকিনি চর সাহেবের হাট ও চর পাটওয়ারীর হাট এ
চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন মেঘনা নদীর ভাঙন চলছে। ঘরবাড়ি
হারিয়ে শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে গত এক
বছরে ৮ বার ধস নামে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর
আগে ১৫শে জুলাই ভোররাতে ওই বাঁধের দক্ষিণাংশের প্রায় ২০০ মিটারে ধস নামে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু না হওয়ায় বাঁধের দুই পাশের এলাকায় অব্যাহতভাবে
ভাঙছে। আশেপাশের এলাকায় ভাঙনের কারণে বাঁধ ধসে পড়েছে। গত বর্ষা মৌসুমেও ওই
বাঁধে পাঁচ বার ধস নামে। অনিয়মের মধ্য দিয়ে নিম্নমানের কাজ করায় বার বার
বাঁধে ধস নামছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। হুমকির মুখে রয়েছে পুরো বাঁধ।
বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে কমলনগর উপজেলার দু-লক্ষাধিক মানুষ। গত
কয়েকদিনের তীব্র স্্েরাতে নদীর তীর এলাকার ঘরবাড়ি প্রতিদিন ভেঙে পড়ছে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ব্যয় হয় ৪৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। উক্ত কাজ পায় ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক লিমিটেড (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান)। কিন্তু ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি না করে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দিয়ে তখন কাজ শুরু করেন। শুরুতে নিম্নমানের বালু ও জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ শুরু করায় স্থানীয়দের চাপের মুখে পড়ে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনসহ নানান কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয়রা। এদিকে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে গত এক বছরে গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৫ হাজার পরিবার। এছাড়া কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা।
তীব্র স্রোতে এক কিলোমিটার নির্মাণাধীন বাঁধের দু’পাশে ব্লক সরে ধসে পড়ছে। এতে করে জোয়ারের পানি ডুকে পড়েছে কিছু এলাকায়। এছাড়া ব্লক থেকে ব্লকের দূরত্ব বাড়?ায় বাঁধের বেশ কিছু অংশ ফাঁকা হয়ে গেছে। ধস ঠেকাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জিও ব্যাগ (বালুভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করলে কোনোভাবেই রক্ষা করা যাচ্ছে না বাঁধ। এলাকাবাসীর দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ায় অনিয়মের কারণেই বার বার বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে আরো ৮ কিলোমিটার কাজ রামগতি আলেকজান্ডরের মতো সেনাবাহিনী দিয়ে করলেই জেলার মানচিত্র থেকে কমলনগর উপজেলা রক্ষা পাবে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মো. মুসা ভাঙনের কথা স্বীকার করে জানন, আমরা প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। অনুমোধন পেলে কাজ শুরু করবো।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ব্যয় হয় ৪৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। উক্ত কাজ পায় ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক লিমিটেড (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান)। কিন্তু ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি না করে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দিয়ে তখন কাজ শুরু করেন। শুরুতে নিম্নমানের বালু ও জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ শুরু করায় স্থানীয়দের চাপের মুখে পড়ে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনসহ নানান কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয়রা। এদিকে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে গত এক বছরে গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৫ হাজার পরিবার। এছাড়া কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা।
তীব্র স্রোতে এক কিলোমিটার নির্মাণাধীন বাঁধের দু’পাশে ব্লক সরে ধসে পড়ছে। এতে করে জোয়ারের পানি ডুকে পড়েছে কিছু এলাকায়। এছাড়া ব্লক থেকে ব্লকের দূরত্ব বাড়?ায় বাঁধের বেশ কিছু অংশ ফাঁকা হয়ে গেছে। ধস ঠেকাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জিও ব্যাগ (বালুভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করলে কোনোভাবেই রক্ষা করা যাচ্ছে না বাঁধ। এলাকাবাসীর দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ায় অনিয়মের কারণেই বার বার বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে আরো ৮ কিলোমিটার কাজ রামগতি আলেকজান্ডরের মতো সেনাবাহিনী দিয়ে করলেই জেলার মানচিত্র থেকে কমলনগর উপজেলা রক্ষা পাবে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মো. মুসা ভাঙনের কথা স্বীকার করে জানন, আমরা প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। অনুমোধন পেলে কাজ শুরু করবো।
No comments