ভিন্নমত ছাড়া গণতন্ত্র বাঁচে না by সাজেদুল হক
কথাটা
হয়তো আপনি অনেকবারই পড়েছেন। দুঃখিত যে, তা আবারো লিখতে হচ্ছে। ভিন্নমতের
পৃথিবী ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। দুনিয়ার দেশে দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা
সংকুচিত হচ্ছে ক্রমশ। আবির্ভাব হচ্ছে বলশালী শাসকদের। যারা ভিন্নমত ঘৃণা
করেন। মার্কিন মুল্লুকে ডনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় এক অভিনব পরিস্থিতিই তৈরি
করেছে। প্রায় প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন তিনি। মিডিয়াও তাকে
ছেড়ে কথা বলছে না। ক’দিন আগেই তিনশ’ সংবাদপত্র ঐক্যবদ্ধভাবে তার বিরুদ্ধে
সম্পাদকীয় প্রকাশ শুরু করেছে। আমরা আরেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের
কথাও স্মরণ করতে পারি। তিনি আফগান-ইরাক যুদ্ধের পটভূমিতে সারা দুনিয়াকে
হুঁশিয়ার করেছিলেন, হয় তুমি আমাদের পক্ষে, না হয় বিপক্ষে।
বাংলাদেশের মিডিয়াও বহুদিন ধরেই এ বুশ ডকট্রিনে চলছে। হয় তুমি আমার পক্ষে, না হয় বিপক্ষে। তৃতীয় কোনো মত থাকতে পারে- এটা কেউই মানতে চান না। পছন্দ না হলেই আক্রমণ। চাপাতিতে শান দেন কেউ। কেউবা নিক্ষেপ করেন কারাগারে। অথচ এ দেশের স্বাধীনতার পেছনে সংবাদপত্রের ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে। ইত্তেফাক এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে সংবাদপত্রের চলার পথ মসৃণ ছিল না। তবে এরশাদের পতনের পর এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশের মিডিয়া। সাপ্তাহিক খবরের কাগজের মামলায় উচ্চ আদালতের রায় এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। সংবিধানে কিছু বাধা-নিষেধ রয়ে গেলেও প্রায় অবাধ স্বাধীনতাই ভোগ করছিল সংবাদপত্র। যদিও মতপ্রকাশের জন্য হত্যা আর হামলা কখনো থামেনি। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা যে এখন এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সে কথা হলফ করে না বললেও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সোশ্যাল মিডিয়া, সুবিধা-অসুবিধা দুটোই তৈরি করেছে। সেখানে মন্তব্য-কটূক্তি করার দায়ে কারাভোগ করেছেন বহু মানুষ।
পাকিস্তানে সেনা ছাউনির সঙ্গে দেশটির শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ডনের টানাপড়েন চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। ভারতে দুই/তিন দিনে বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী আর মানবাধিকার কর্মীকে আটক করা হয়েছে। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এক্ষেত্রে খুবই সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ঐতিহাসিক সত্য ফের উচ্চারণ করেছে আদালত, ভিন্নমত গণতন্ত্রের সেফটি বাল্ব।
শুধু ব্যালট উৎসবের নাম গণতন্ত্র নয়। গণতন্ত্র একটি ব্যবস্থা। সম্ভবত, এর সবচেয়ে বড় উপাদান, মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ভোটও তো মত প্রকাশই। আর এই মত প্রকাশের জন্য মানুষের আকাঙ্ক্ষা আর লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সপ্তদশ শতকে বৃটিশ রাজার সঙ্গে বিবেকের স্বাধীনতা ও চিন্তার স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে নামেন কবি জন মিল্টন। অ্যারিওপ্যাজিটিকায় তার অমর উচ্চারণ স্মরণ করে শেষ করছি এই লেখা, ‘আমায় জ্ঞানের স্বাধীনতা দাও, কথা কইবার স্বাধীনতা দাও। আর সবার উপরে আমাকে দাও মুক্তি।’
বাংলাদেশের মিডিয়াও বহুদিন ধরেই এ বুশ ডকট্রিনে চলছে। হয় তুমি আমার পক্ষে, না হয় বিপক্ষে। তৃতীয় কোনো মত থাকতে পারে- এটা কেউই মানতে চান না। পছন্দ না হলেই আক্রমণ। চাপাতিতে শান দেন কেউ। কেউবা নিক্ষেপ করেন কারাগারে। অথচ এ দেশের স্বাধীনতার পেছনে সংবাদপত্রের ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে। ইত্তেফাক এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে সংবাদপত্রের চলার পথ মসৃণ ছিল না। তবে এরশাদের পতনের পর এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশের মিডিয়া। সাপ্তাহিক খবরের কাগজের মামলায় উচ্চ আদালতের রায় এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। সংবিধানে কিছু বাধা-নিষেধ রয়ে গেলেও প্রায় অবাধ স্বাধীনতাই ভোগ করছিল সংবাদপত্র। যদিও মতপ্রকাশের জন্য হত্যা আর হামলা কখনো থামেনি। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা যে এখন এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সে কথা হলফ করে না বললেও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সোশ্যাল মিডিয়া, সুবিধা-অসুবিধা দুটোই তৈরি করেছে। সেখানে মন্তব্য-কটূক্তি করার দায়ে কারাভোগ করেছেন বহু মানুষ।
পাকিস্তানে সেনা ছাউনির সঙ্গে দেশটির শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ডনের টানাপড়েন চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। ভারতে দুই/তিন দিনে বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী আর মানবাধিকার কর্মীকে আটক করা হয়েছে। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এক্ষেত্রে খুবই সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ঐতিহাসিক সত্য ফের উচ্চারণ করেছে আদালত, ভিন্নমত গণতন্ত্রের সেফটি বাল্ব।
শুধু ব্যালট উৎসবের নাম গণতন্ত্র নয়। গণতন্ত্র একটি ব্যবস্থা। সম্ভবত, এর সবচেয়ে বড় উপাদান, মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ভোটও তো মত প্রকাশই। আর এই মত প্রকাশের জন্য মানুষের আকাঙ্ক্ষা আর লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সপ্তদশ শতকে বৃটিশ রাজার সঙ্গে বিবেকের স্বাধীনতা ও চিন্তার স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে নামেন কবি জন মিল্টন। অ্যারিওপ্যাজিটিকায় তার অমর উচ্চারণ স্মরণ করে শেষ করছি এই লেখা, ‘আমায় জ্ঞানের স্বাধীনতা দাও, কথা কইবার স্বাধীনতা দাও। আর সবার উপরে আমাকে দাও মুক্তি।’
No comments