ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন দুই শিক্ষক তবুও বহাল অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্তরা by মুনির হোসেন
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোনো বিভাগে ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে
বিভাগ চাইলে ওই পদে অস্থায়ী নিয়োগ দিতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে যে
শিক্ষকের বিপরীতে নিয়োগ দেয়া হবে, তিনি ছুটি শেষে বিভাগে ফিরলে
অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল হবে। নিতে পারবেন না কোনো ক্লাস,
অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে বেতন-ভাতাও। তবে এ নিয়ম মানা হচ্ছে না ফলিত রসায়ন ও
কেমিকৌশল বিভাগের ক্ষেত্রে।
বিভাগটির দুইজন সহকারী অধ্যাপক ছুটি শেষে স্বপদে ফিরলেও তাদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই প্রভাষক এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে মাসিক বেতন-ভাতা। যদিও একই বিভাগে ১৯৯৭ সালে ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ পেয়ে পরবর্তীতে ছুটি শেষে ওই পদে ফিরলে চাকরি হারিয়েছেন একজন শিক্ষক। যিনি পুনরায় নিয়োগ পেয়ে বর্তমানে ওই বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। বিষয়টি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে বিভাগ। আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। জানতে চাইলে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম নুরুল আমিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের বিভাগীয় সিএনডি মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখান থেকে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
গত বছর ৬ই মার্চ ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে ৯ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- ড. মো. শাহরুজ্জামান, মো. সিরাজুর রহমান, শান্তা বিশ্বাস, মো. মিনহাজুল ইসলাম, মো. সাজেদুল ইসলাম, সৈকত চন্দ্র দে, তানভীর আহমেদ, মো. নুরুস সাকিব ও সজীব বড়ুয়া। ৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হলেও পত্রিকায় দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল ৪টি ছুটিজনিত শূন্যপদের বিপরীতে অস্থায়ী প্রভাষক পদে। বাকিগুলো বিজ্ঞপ্তির বাইরে অতিরিক্ত নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আবার নিয়োগপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে মানা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া শর্তও। এদের মধ্যে ৩ জন মার্স্টাস পাস করেননি। যাদের দুইজন এখনো মাস্টার্স শেষ করতে পারেননি। যদিও বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি চাওয়া হয়েছে। আবার বিজ্ঞপ্তির বিষয় পত্রিকা দেখে জেনেছেন বলে তখন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রশাসন ৪ জনের বিপরীতে ৯ জনকে নিয়োগ প্রদান করতে চাওয়ায় এক পর্যায়ে বিভাগীয় সিএনডি মিটিং থেকে ছুটিজনিত কিছু পদ ফাঁকা রাখার সুপারিশও করা হয়েছে। কিন্তু আমলে নেয়া হয়নি সে সুপারিশ।
তবে বিড়ম্বনা তৈরি হয় যখন শিক্ষা ছুটিতে থাকা দুই সহকারী অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম ও সুমাইয়া ফারহানা কবির ছুটি শেষে স্বপদে ফিরেছেন। নিয়ম অনুযায়ী এ দুইজন স্বপদে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই চাকরি হারানোর কথা তাদের বিপরীতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের। কিন্তু শহিদুল ইসলাম গত বছরের ১০ই ডিসেম্বর ও সুমাইয়া ফারহানা কবির গত ৩১শে জানুয়ারি বিভাগে স্বপদে ফিরলেও তাদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই প্রভাষক মো. সিরাজুর রহমান ও মো. সাজেদুল ইসলাম এখনো বহাল রয়েছেন। বিভাগসূত্রে জানা গেছে, এ দু’জন এখনো বিভাগে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। যার কারণে বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে বিভাগে। কারণ বিভাগটিতে বর্তমানে কোনো শূন্যপদ নেই। অতিরিক্ত কোনো শিক্ষকেরও প্রয়োজন হচ্ছে না। তাই গত ৮ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সিএনডি মিটিং থেকে এক চিঠির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে দুই পদের বিপরীতে চারজনকে বেতন-ভাতা দিতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের তথ্য মতে স্বপদে ফেরা দুই সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম শুধু বেতন বাবদ ৪৩ হাজার ৭০ টাকা এবং সুমাইয়া ফারহানা কবির ৪৫ হাজার ৩৩০ টাকা পাচ্ছেন। সঙ্গে বেসিক বেতনের ৫০% বাড়ি ভাড়া, মেডিসিন বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা, টেলিফোন বিল বাবদ ৮০০ টাকা, গবেষণা খরচ বাবদ ৩ হাজার ৫০০ টাকা। আর ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করলে আরো ১ হাজার টাকা যাতায়াত ভাড়া। কিন্তু চাকরি না হারানোয় দুই প্রভাষকের পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়কে ৪৬ হাজার ২০০ টাকা (প্রত্যেকের জন্য ২৩ হাজার ১০০ টাকা) শুধু বেতন হিসেবেই গচ্চা দিতে হচ্ছে। সঙ্গে প্রত্যেককে বেসিক বেতনের ৫৫% বাড়ি ভাড়া, মেডিসিন বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা, টেলিফোন বিল বাবদ ৮০০ টাকা, গবেষণা খরচ বাবদ ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করলে আরো ১ হাজার টাকা যাতায়াত ভাড়া বাবদ ভাতা দিতে হচ্ছে। যার কারণে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এটা তো নিয়ম অনুযায়ীই হবে। নিয়মের বাইরে কিছু হওয়ার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। নিয়মের মধ্যে যা হওয়ার তাই হবে।
বিভাগটির দুইজন সহকারী অধ্যাপক ছুটি শেষে স্বপদে ফিরলেও তাদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই প্রভাষক এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে মাসিক বেতন-ভাতা। যদিও একই বিভাগে ১৯৯৭ সালে ছুটিজনিত শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ পেয়ে পরবর্তীতে ছুটি শেষে ওই পদে ফিরলে চাকরি হারিয়েছেন একজন শিক্ষক। যিনি পুনরায় নিয়োগ পেয়ে বর্তমানে ওই বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। বিষয়টি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে বিভাগ। আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। জানতে চাইলে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম নুরুল আমিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের বিভাগীয় সিএনডি মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখান থেকে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
গত বছর ৬ই মার্চ ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে ৯ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- ড. মো. শাহরুজ্জামান, মো. সিরাজুর রহমান, শান্তা বিশ্বাস, মো. মিনহাজুল ইসলাম, মো. সাজেদুল ইসলাম, সৈকত চন্দ্র দে, তানভীর আহমেদ, মো. নুরুস সাকিব ও সজীব বড়ুয়া। ৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হলেও পত্রিকায় দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল ৪টি ছুটিজনিত শূন্যপদের বিপরীতে অস্থায়ী প্রভাষক পদে। বাকিগুলো বিজ্ঞপ্তির বাইরে অতিরিক্ত নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আবার নিয়োগপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে মানা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া শর্তও। এদের মধ্যে ৩ জন মার্স্টাস পাস করেননি। যাদের দুইজন এখনো মাস্টার্স শেষ করতে পারেননি। যদিও বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি চাওয়া হয়েছে। আবার বিজ্ঞপ্তির বিষয় পত্রিকা দেখে জেনেছেন বলে তখন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রশাসন ৪ জনের বিপরীতে ৯ জনকে নিয়োগ প্রদান করতে চাওয়ায় এক পর্যায়ে বিভাগীয় সিএনডি মিটিং থেকে ছুটিজনিত কিছু পদ ফাঁকা রাখার সুপারিশও করা হয়েছে। কিন্তু আমলে নেয়া হয়নি সে সুপারিশ।
তবে বিড়ম্বনা তৈরি হয় যখন শিক্ষা ছুটিতে থাকা দুই সহকারী অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম ও সুমাইয়া ফারহানা কবির ছুটি শেষে স্বপদে ফিরেছেন। নিয়ম অনুযায়ী এ দুইজন স্বপদে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই চাকরি হারানোর কথা তাদের বিপরীতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের। কিন্তু শহিদুল ইসলাম গত বছরের ১০ই ডিসেম্বর ও সুমাইয়া ফারহানা কবির গত ৩১শে জানুয়ারি বিভাগে স্বপদে ফিরলেও তাদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই প্রভাষক মো. সিরাজুর রহমান ও মো. সাজেদুল ইসলাম এখনো বহাল রয়েছেন। বিভাগসূত্রে জানা গেছে, এ দু’জন এখনো বিভাগে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। যার কারণে বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে বিভাগে। কারণ বিভাগটিতে বর্তমানে কোনো শূন্যপদ নেই। অতিরিক্ত কোনো শিক্ষকেরও প্রয়োজন হচ্ছে না। তাই গত ৮ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সিএনডি মিটিং থেকে এক চিঠির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে দুই পদের বিপরীতে চারজনকে বেতন-ভাতা দিতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের তথ্য মতে স্বপদে ফেরা দুই সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম শুধু বেতন বাবদ ৪৩ হাজার ৭০ টাকা এবং সুমাইয়া ফারহানা কবির ৪৫ হাজার ৩৩০ টাকা পাচ্ছেন। সঙ্গে বেসিক বেতনের ৫০% বাড়ি ভাড়া, মেডিসিন বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা, টেলিফোন বিল বাবদ ৮০০ টাকা, গবেষণা খরচ বাবদ ৩ হাজার ৫০০ টাকা। আর ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করলে আরো ১ হাজার টাকা যাতায়াত ভাড়া। কিন্তু চাকরি না হারানোয় দুই প্রভাষকের পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়কে ৪৬ হাজার ২০০ টাকা (প্রত্যেকের জন্য ২৩ হাজার ১০০ টাকা) শুধু বেতন হিসেবেই গচ্চা দিতে হচ্ছে। সঙ্গে প্রত্যেককে বেসিক বেতনের ৫৫% বাড়ি ভাড়া, মেডিসিন বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা, টেলিফোন বিল বাবদ ৮০০ টাকা, গবেষণা খরচ বাবদ ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করলে আরো ১ হাজার টাকা যাতায়াত ভাড়া বাবদ ভাতা দিতে হচ্ছে। যার কারণে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এটা তো নিয়ম অনুযায়ীই হবে। নিয়মের বাইরে কিছু হওয়ার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। নিয়মের মধ্যে যা হওয়ার তাই হবে।
No comments