শিশু মালেকের পায়ে গুলি ভিডিও ফুটেজে যা রয়েছে
নিষ্পাপ,
অবুঝ সাত বছরের শিশু আবদুল মালেক। রামপুরার বাগিচারটেক পাড়ায় খেলা করতে
গিয়েছিল বন্ধুদের সঙ্গে। হঠাৎ গুলির শব্দ। আর ওই গুলি এসে লাগে তার পায়ে।
দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখন তার ঠিকানা
হাসপাতালের ২০৬ নম্বর কক্ষে। গত শুক্রবার সন্ধ্যার ঘটনা এটি। ওই দিন মালেক
মায়ের কাছে বলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করতে গিয়েছিল। আর তার মাঝেই
সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। সন্ত্রাসীদের দুটি গুলি
বিদ্ধ হয় তার বাঁ পায়ে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু সন্তানের পাশে
বসে কাঁদছেন মা ফাতেমা বেগম। তিনি বলেন, আমার ছেলের দোষ কী! ওর পায়ে ক্যান
গুলি লাগলো! কারা গুলি করছে আমি কিছু জানি না। আমার ছেলের কি হইবো? ও কি
আগের মতো পারবো?
কি হয়েছিল সেদিন? জানতে চাইলে ফাতেমা বলেন, আমি বাসায় রান্না করছিলাম। মালেক বাসার পাশের গলিতে খেলতে যায়। যাওয়ার আগে বইলা বের হইছে। হঠাৎ কইরা শুনি গুলির আওয়াজ। আগাইয়া দেখি মালেকের পায়ে গুলি লাগছে। ফাতেমা জানান, মালেক ঢাকায় থাকে না। গ্রামের বাড়িতে দাদা-দাদীর সঙ্গে থাকে। ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে তাদের বাড়ি। সেখানেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। মায়ের সঙ্গে থাকতে প্রায়ই ঢাকায় আসে। গত বৃহস্পতিবারও ঢাকায় আসে সে। আর শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটে এই ঘটনা। ফাতেমা জানান, বাগিচারটেক এলাকায় একটি ছোট্ট বাসা ভাড়া করে থাকেন তিনি ও তার স্বামী চান মিয়া। ফাতেমা পোশাক কারখানায় কাজ করেন। মালেকের বাবা রিকশা চালান।
রামপুরার ওই ঘটনায় আরও আহত হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী রাব্বী নামের এক তরুণ, পাঁ বছরের সোহেল নামের আরেক শিশুও। তারাও বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোহেল বাগিচারটেক এলাকায় শামসুলের বাড়িতে ভাড়া থাকে। তার বাবার নাম মনির হোসেন। জানা গেছে, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি নিয়েই শুক্রবার রাতে রামপুরায় সুজন ও রইস বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকায় স্থাপিত বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েছে শুক্রবারের হামলার চিত্র। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে রমনা থানা পুলিশ। ফুটেজে দেখা যায় ১১টি মোটরসাইকেল করে প্রতিপক্ষ রইস বাহিনীকে ঘায়েল করতে টোকাই সুজনের বাহিনী শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে ওয়াপদা রোড দিয়ে বাগিচারটেক বালুর মাঠে প্রবেশ করে। এরপর মাঠে গোলাগুলি শেষে রাত ৮টা ১০ মিনিটে বাগিচারটেক ১ নম্বর রোড হয়ে হাতিরঝিলের দিকে বেরিয়ে যায়। আর এ গোলাগুলিতেই ২শিশুসহ আহত হয় ৩ জন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই মাদক এবং চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে এ দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবারের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় সময় উপস্থিত কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন সানী, নাসির এবং লায়ন। তারা তিনজনই এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। গোলাগুলির সময় উপস্থিত সবাই মুখোশ পরা ছিল, যাতে সহজে তাদের কেউ চিনতে না পারে। এদিকে সন্ত্রাসী কাইল্যা পলাশ এবং টোকাই সুজন সদস্যদের বিভিন্ন সময় বাসায় গিয়ে চাঁদা দাবির ফুটেজও ধরা পড়েছে রামপুরার বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে।
কি হয়েছিল সেদিন? জানতে চাইলে ফাতেমা বলেন, আমি বাসায় রান্না করছিলাম। মালেক বাসার পাশের গলিতে খেলতে যায়। যাওয়ার আগে বইলা বের হইছে। হঠাৎ কইরা শুনি গুলির আওয়াজ। আগাইয়া দেখি মালেকের পায়ে গুলি লাগছে। ফাতেমা জানান, মালেক ঢাকায় থাকে না। গ্রামের বাড়িতে দাদা-দাদীর সঙ্গে থাকে। ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে তাদের বাড়ি। সেখানেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। মায়ের সঙ্গে থাকতে প্রায়ই ঢাকায় আসে। গত বৃহস্পতিবারও ঢাকায় আসে সে। আর শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটে এই ঘটনা। ফাতেমা জানান, বাগিচারটেক এলাকায় একটি ছোট্ট বাসা ভাড়া করে থাকেন তিনি ও তার স্বামী চান মিয়া। ফাতেমা পোশাক কারখানায় কাজ করেন। মালেকের বাবা রিকশা চালান।
রামপুরার ওই ঘটনায় আরও আহত হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী রাব্বী নামের এক তরুণ, পাঁ বছরের সোহেল নামের আরেক শিশুও। তারাও বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোহেল বাগিচারটেক এলাকায় শামসুলের বাড়িতে ভাড়া থাকে। তার বাবার নাম মনির হোসেন। জানা গেছে, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি নিয়েই শুক্রবার রাতে রামপুরায় সুজন ও রইস বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকায় স্থাপিত বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েছে শুক্রবারের হামলার চিত্র। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে রমনা থানা পুলিশ। ফুটেজে দেখা যায় ১১টি মোটরসাইকেল করে প্রতিপক্ষ রইস বাহিনীকে ঘায়েল করতে টোকাই সুজনের বাহিনী শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে ওয়াপদা রোড দিয়ে বাগিচারটেক বালুর মাঠে প্রবেশ করে। এরপর মাঠে গোলাগুলি শেষে রাত ৮টা ১০ মিনিটে বাগিচারটেক ১ নম্বর রোড হয়ে হাতিরঝিলের দিকে বেরিয়ে যায়। আর এ গোলাগুলিতেই ২শিশুসহ আহত হয় ৩ জন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই মাদক এবং চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে এ দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবারের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় সময় উপস্থিত কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন সানী, নাসির এবং লায়ন। তারা তিনজনই এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। গোলাগুলির সময় উপস্থিত সবাই মুখোশ পরা ছিল, যাতে সহজে তাদের কেউ চিনতে না পারে। এদিকে সন্ত্রাসী কাইল্যা পলাশ এবং টোকাই সুজন সদস্যদের বিভিন্ন সময় বাসায় গিয়ে চাঁদা দাবির ফুটেজও ধরা পড়েছে রামপুরার বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে।
No comments