সবজি চাষে ভাগ্যবদল মজম্মিলের by আলাউদ্দিন কবির
কুলাউড়া
উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ কৌলা গ্রামের মজম্মিল আলী (৩৫)। পেশায়
একজন কৃষক। এলাকাজুড়ে সফল কৃষক হিসেবে তাঁর পরিচিতি ও সুনাম ব্যাপক। কৃষক
পরিবারের সন্তান মজম্মিল আলী বংশানুক্রমে কৃষির সঙ্গে জড়িত। কৃষি কাজ করে
খুব দ্রুতই লাভের মুখ দেখেন তিনি। শুরুতে বিভিন্ন ফলের চাষ করে সফলতা লাভ
করতে থাকেন।
একটু একটু করে এর পরিধি যেমন বৃদ্ধি করেন তেমনি সবজি চাষেও আগ্রহী হয়ে উঠেন। ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ বদলে দেয় তার ভাগ্যের চাকা। এরই সঙ্গে সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতা। সুষ্ঠু পরিকল্পনা, ইচ্ছাশক্তি আর শ্রম দিলে যেকোনো খামার বা প্রকল্প লাভজনক প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা সম্ভব সেটাই প্রমাণ করলেন মজম্মিল আলী। একই সঙ্গে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার পথ দেখালেন অন্য কৃষকদের। তিনি বর্তমানে এলাকার পাশাপাশি উপজেলাজুড়ে সফল সবজি চাষিদের মধ্যে অন্যতম একজন হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, মজম্মিল আলী প্রথমে নিজের বসত ভিটার কিছু অংশে বিভিন্ন জাতের ফলদ বৃক্ষ রোপণ করে ঢের স্বপ্ন দেখেন। এক সময় গাছে গাছে ফল আসতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তার স্বপ্নের বাস্তবতা। নিজের ও আত্মীয়-স্বজনের চাহিদা মিটিয়ে এক সময় সেই ফল বিক্রি করার মতো উপক্রম হয়ে উঠে। লোকাল ও ফরমালিনমুক্ত ফল থাকায় ক্রেতাদের চাহিদাও আকাশচুম্বী। প্রতিদিনই বাড়তে থাকে মজম্মিলের ফল বিক্রি। তিনি স্বপ্ন দেখা শুরু করেন আরো বড় পরিসরে। বাড়ির পাশের একাধিক জমিতে শুরু করেন পানি লাউ, বেগুন, শিম, টমেটো, গোল আলু, মিষ্টি লাউ, লাল শাক, ঝিঙ্গে, মিষ্টি আলু ও মুলাসহ হরেক রখমের সবজি। বিরামহীন পরিশ্রমে অল্প দিনেই ফল আসতে শুরু করে গাছে গাছে। শুরু হয় বিক্রি। আশেপাশের বাজারসহ শহরের অনেক ফল ও সবজি বিক্রেতারা ছুটতে থাকেন মজম্মিলের বাড়িতে। প্রতিদিনই ফল-সবজি বিক্রি হচ্ছে আর কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা জমা হতে থাকে তার কাছে। আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও তার ফলনকৃত ফল-সবজি খাওয়ার ও উপভোগ করার জন্য বন্ধুবান্ধব, জনপ্রতিনিধিসহ পরিচিত সবাইকে আমন্ত্রণ করেন তিনি। এভাবেই তিনি সফল একজন ফল-সবজি চাষি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন নিজ ইউনিয়নসহ উপজেলাজুড়ে। মজম্মিলের এই উদ্যোগ ও সফলতা দেখে বিভিন্ন এলাকার সবজি চাষিরা নিজ নিজ উদ্যোগে শুরু করেন সবজি চাষ।
মজম্মিল আলী বলেন, ইচ্ছাশক্তি ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকলে খুব অল্প খরচে লাভবান হওয়া যায়। আমি কৃষির মাধ্যমে এলাকার যুবকদের কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করতে চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ মোতাবেক উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষাবাদ করি। কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই বিকল্প পদ্ধতি ফাঁদ পাতার মাধ্যমে ধ্বংসাত্মক পোকা নিধন করে ফসলকে রক্ষা করি। মজম্মিলের স্বপ্ন, একজন সফল সবজি চাষি হিসেবে পুরস্কার পাওয়া। কুলাউড়ায় কৃষিমেলা, উন্নয়নমেলা ও বৃক্ষমেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খবর পাওয়ামাত্রই তিনি তার উৎপাদিত সফেদা, মালটা, চায়না কমলা, ডালিম, বেলেম্বুসহ হরেকরকমের ফসল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। তিনি এ বছর বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ৪ জাতের লাউ চাষ করে আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হয়েছেন। পরামর্শের পাশাপাশি আর্থিকভাবে সরকারের সহযোগিতা পেলে মজম্মিল অনেক দূর এগিয়ে যাবেন বলে ধারণা এলাকার লোকজনের।
একটু একটু করে এর পরিধি যেমন বৃদ্ধি করেন তেমনি সবজি চাষেও আগ্রহী হয়ে উঠেন। ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ বদলে দেয় তার ভাগ্যের চাকা। এরই সঙ্গে সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতা। সুষ্ঠু পরিকল্পনা, ইচ্ছাশক্তি আর শ্রম দিলে যেকোনো খামার বা প্রকল্প লাভজনক প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা সম্ভব সেটাই প্রমাণ করলেন মজম্মিল আলী। একই সঙ্গে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার পথ দেখালেন অন্য কৃষকদের। তিনি বর্তমানে এলাকার পাশাপাশি উপজেলাজুড়ে সফল সবজি চাষিদের মধ্যে অন্যতম একজন হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, মজম্মিল আলী প্রথমে নিজের বসত ভিটার কিছু অংশে বিভিন্ন জাতের ফলদ বৃক্ষ রোপণ করে ঢের স্বপ্ন দেখেন। এক সময় গাছে গাছে ফল আসতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তার স্বপ্নের বাস্তবতা। নিজের ও আত্মীয়-স্বজনের চাহিদা মিটিয়ে এক সময় সেই ফল বিক্রি করার মতো উপক্রম হয়ে উঠে। লোকাল ও ফরমালিনমুক্ত ফল থাকায় ক্রেতাদের চাহিদাও আকাশচুম্বী। প্রতিদিনই বাড়তে থাকে মজম্মিলের ফল বিক্রি। তিনি স্বপ্ন দেখা শুরু করেন আরো বড় পরিসরে। বাড়ির পাশের একাধিক জমিতে শুরু করেন পানি লাউ, বেগুন, শিম, টমেটো, গোল আলু, মিষ্টি লাউ, লাল শাক, ঝিঙ্গে, মিষ্টি আলু ও মুলাসহ হরেক রখমের সবজি। বিরামহীন পরিশ্রমে অল্প দিনেই ফল আসতে শুরু করে গাছে গাছে। শুরু হয় বিক্রি। আশেপাশের বাজারসহ শহরের অনেক ফল ও সবজি বিক্রেতারা ছুটতে থাকেন মজম্মিলের বাড়িতে। প্রতিদিনই ফল-সবজি বিক্রি হচ্ছে আর কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা জমা হতে থাকে তার কাছে। আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও তার ফলনকৃত ফল-সবজি খাওয়ার ও উপভোগ করার জন্য বন্ধুবান্ধব, জনপ্রতিনিধিসহ পরিচিত সবাইকে আমন্ত্রণ করেন তিনি। এভাবেই তিনি সফল একজন ফল-সবজি চাষি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন নিজ ইউনিয়নসহ উপজেলাজুড়ে। মজম্মিলের এই উদ্যোগ ও সফলতা দেখে বিভিন্ন এলাকার সবজি চাষিরা নিজ নিজ উদ্যোগে শুরু করেন সবজি চাষ।
মজম্মিল আলী বলেন, ইচ্ছাশক্তি ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকলে খুব অল্প খরচে লাভবান হওয়া যায়। আমি কৃষির মাধ্যমে এলাকার যুবকদের কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করতে চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ মোতাবেক উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষাবাদ করি। কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই বিকল্প পদ্ধতি ফাঁদ পাতার মাধ্যমে ধ্বংসাত্মক পোকা নিধন করে ফসলকে রক্ষা করি। মজম্মিলের স্বপ্ন, একজন সফল সবজি চাষি হিসেবে পুরস্কার পাওয়া। কুলাউড়ায় কৃষিমেলা, উন্নয়নমেলা ও বৃক্ষমেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খবর পাওয়ামাত্রই তিনি তার উৎপাদিত সফেদা, মালটা, চায়না কমলা, ডালিম, বেলেম্বুসহ হরেকরকমের ফসল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। তিনি এ বছর বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ৪ জাতের লাউ চাষ করে আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হয়েছেন। পরামর্শের পাশাপাশি আর্থিকভাবে সরকারের সহযোগিতা পেলে মজম্মিল অনেক দূর এগিয়ে যাবেন বলে ধারণা এলাকার লোকজনের।
No comments