দুটিতে বেশি আগ্রহ ভারতের
তিনটি
অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য জমি চাইলেও ভারত আপাতত দুটি নির্মাণে
আগ্রহী। দেশটির সরকার সে দেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বিবেচনা করে মোংলা ও
মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে
বাংলাদেশকে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার জন্য তারা সে দেশের
ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ে কাজ করছে। ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার এ
অগ্রগতি উঠে এসেছে সর্বশেষ জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে। গত ২২
ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে এ বৈঠক হয়। এতে বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধিদল অংশ
নেয়। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) জানিয়েছে, অর্থনৈতিক
অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াগত কাজ এগিয়ে নিতে আগামী জুনে ভারত থেকে একটি
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবে। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন,
‘আমরা ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য মে মাসের মধ্যে উন্নয়নকারী
নিয়োগের চুক্তি করতে চাই। তারা মোংলা ও মিরসরাই নিয়ে বেশি আগ্রহী বলে মনে
হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার বিষয়ে আপাতত তাদের বিশেষ আগ্রহ
দেখা যাচ্ছে না। আবার সেখানে তারা অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবে না,
সেটাও এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সরকারের সঙ্গে সরকারের চুক্তির ভিত্তিতে তিনটি
দেশের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এর মধ্যে মিরসরাইতে ১
হাজার ৫৪ একর, মোংলায় ১১০ একর ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৪৬০ একর জমি ভারতের
জন্য রেখেছিল সরকার। জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের
আড়াইহাজারে। সেখানে জমির পরিমাণ ৮০৩ একর। অন্যদিকে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল
হবে চট্টগ্রামের আনোয়ারায়, জমির পরিমাণ ৭৮৩ একর। তিন দেশের অর্থনৈতিক
অঞ্চলের মধ্যে জাপান ও ভারতের তিনটি অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থায়ন
পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছে। জাপান বাংলাদেশকে এ জন্য সাড়ে ১৩ কোটি ডলার ও ভারত
২৭ দশমিক ৮০ কোটি ডলার কম সুদে ঋণ হিসেবে দিচ্ছে। অন্যদিকে চীন ২৮ কোটি
ডলার ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে, তবে তা চূড়ান্ত হয়নি।
ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল
২০১৫ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। প্রথমে ভারতকে দেওয়ার জন্য মোংলা ও ভেড়ামারায় জমি চিহ্নিত করা হয়। সর্বশেষ গত বছর জানুয়ারিতে ভারত মিরসরাইয়ে জমি নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। বেজা মিরসরাইতে ভারতের জন্য ১ হাজার ৫৪ একর জমি রেখেছে। তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চলেই সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা করেছে ভারত। ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে অংশ নেওয়া বেজার নির্বাহী সদস্য এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের পক্ষে দেশটির কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করবে, তা ঠিক করতে কাজ শুরু করেছে তারা। তারা আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বাছাই করে একটি তালিকা বাংলাদেশকে পাঠাবে। এরপর দুই পক্ষের বৈঠকে এটি চূড়ান্ত হবে। তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় পক্ষ আমাদের কাছে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের প্রণোদনা ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন পাস হয়েছে। তারা আরও কিছু সুবিধা চেয়েছে।’
জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরকালে এ দেশে জাপানি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর জাপান সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে নারায়ণগঞ্জে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার স্থান চূড়ান্ত করে। অবশ্য ২০১৫ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পরের বছর গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা জাপানের কার্যক্রম পিছিয়ে দেয়। অবশেষে গত বছরের মে মাসে জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সমঝোতা স্মারক সই করে বেজা। প্রথম ধাপে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে প্রায় ৫০০ একর জমিতে। বেজা জানিয়েছে, এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ৪৯৭ একর জমি অধিগ্রহণপ্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে।
চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে দেশটির বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সমঝোতা স্মারক সই হয়। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠার জন্য গত জুনে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তি সই করে বেজা। চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত। কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে এর দূরত্ব হবে তিন কিলোমিটার। বর্তমানে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে সীমানা দেয়াল নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে দুটি সড়ক নির্মাণ করেছে চায়না হারবার। তবে জমির মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়নি বলে জানায় বেজা। এদিকে আগামী মাসে চীন থেকে একটি প্রতিনিধিদল আসবে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা নিয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক করতে। এ বৈঠকে চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ২৮ কোটি ডলার ঋণের বিষয়টি সুরাহা হতে পারে।
ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল
২০১৫ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। প্রথমে ভারতকে দেওয়ার জন্য মোংলা ও ভেড়ামারায় জমি চিহ্নিত করা হয়। সর্বশেষ গত বছর জানুয়ারিতে ভারত মিরসরাইয়ে জমি নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। বেজা মিরসরাইতে ভারতের জন্য ১ হাজার ৫৪ একর জমি রেখেছে। তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চলেই সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা করেছে ভারত। ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে অংশ নেওয়া বেজার নির্বাহী সদস্য এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের পক্ষে দেশটির কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করবে, তা ঠিক করতে কাজ শুরু করেছে তারা। তারা আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বাছাই করে একটি তালিকা বাংলাদেশকে পাঠাবে। এরপর দুই পক্ষের বৈঠকে এটি চূড়ান্ত হবে। তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় পক্ষ আমাদের কাছে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের প্রণোদনা ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন পাস হয়েছে। তারা আরও কিছু সুবিধা চেয়েছে।’
জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরকালে এ দেশে জাপানি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর জাপান সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে নারায়ণগঞ্জে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার স্থান চূড়ান্ত করে। অবশ্য ২০১৫ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পরের বছর গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা জাপানের কার্যক্রম পিছিয়ে দেয়। অবশেষে গত বছরের মে মাসে জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সমঝোতা স্মারক সই করে বেজা। প্রথম ধাপে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে প্রায় ৫০০ একর জমিতে। বেজা জানিয়েছে, এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ৪৯৭ একর জমি অধিগ্রহণপ্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে।
চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে দেশটির বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সমঝোতা স্মারক সই হয়। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠার জন্য গত জুনে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তি সই করে বেজা। চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত। কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে এর দূরত্ব হবে তিন কিলোমিটার। বর্তমানে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে সীমানা দেয়াল নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে দুটি সড়ক নির্মাণ করেছে চায়না হারবার। তবে জমির মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়নি বলে জানায় বেজা। এদিকে আগামী মাসে চীন থেকে একটি প্রতিনিধিদল আসবে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা নিয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক করতে। এ বৈঠকে চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ২৮ কোটি ডলার ঋণের বিষয়টি সুরাহা হতে পারে।
No comments