‘ক্যামেরাম্যান পেঙ্গুইন!
হলিউডের
বিখ্যাত অ্যানিমেশন ছবি ‘হ্যাপি ফিট’ বা জিম ক্যারি অভিনীত ‘মিস্টার
পপার্স পেঙ্গুইন্স’র দৃশ্য নয়। বাস্তবেই ধরা পড়ল এমন এক দৃশ্য যা এখন
রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেলফি তোলার ভঙ্গিমায় মোবাইলে ভিডিও করছে
দুটি পেঙ্গুইন। ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিও। অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্টার্কটিক ডিভিসনের
ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার ভিডিওটি পোস্ট হওয়ার পর থেকে ৩০ হাজারেরও বেশি ভিউ
জমা হয়েছে এ পোস্টটির খাতায়। কিভাবে মোবাইল পেল এ দুটি পেঙ্গুইন?
জানা
গেছে, এডি গাল্ট নামে এক অভিযাত্রী একটি ক্যামেরা অ্যান্টার্কটিকার মাওসন
গবেষণা কেন্দ্রের কাছে অষ্টার রুকেরির কাছে (এ এলাকায় অসংখ্য পেঙ্গুইনের
বাস) রেখে যান। সাদা বরফের ওপর কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখে দুটি কৌতূহলী
পেঙ্গুইন ক্যামেরাটির কাছে এসে এ কাণ্ডটি ঘটিয়েছে। তবে পেঙ্গুইনের ছবি
তোলার ঘটনা এ প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৩ অ্যান্টার্কটিকায় কানাডিয়ান ক্রুজ
কোম্পানির রেখে যাওয়া একটি গো-প্রো ক্যামেরায় একটি পেঙ্গুইনের ‘সেলফি’ ধরা
পড়ে। এরও আগে ২০১১-এ একটি ব্ল্যাক ম্যাকাকের (একটি বিশেষ ধরনের বাঁদর) তোলা
সেলফি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার
দ্য ডেভিড জে স্ল্যাটারের ক্যামেরা হাতের কাছে পেয়ে ব্ল্যাক ম্যাকাকটি একটি
সেলফি তোলে। ইন্দোনেশিয়ায় টাংকোকো-ব্যাচুয়ানগস নেচার রিজার্ভে ব্ল্যাক
ম্যাকাকের তোলা এ ছবিটি নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা বিশ্বে। ২০১৪-এ প্রকাশিত ডেভিড
জে স্ল্যাটারের বই ‘ওয়াইল্ডলাইফ পার্সোনালিটি’তে ‘মাঙ্কি সেলফিজ’ নামে
ঘটনাটির উল্লেখ করেন। ছবিটি নিয়ে বিস্তর চর্চা হয় সে সময়। ২০১১-এর ওই ঘটনার
২ বছর পর ‘মাঙ্কি সেলফিজ’-এর কপিরাইট থেকে পাওয়া অর্থের ২৫ শতাংশ
স্ল্যাটার ইন্দোনেশিয়ার ব্ল্যাক ম্যাকাকদের সংরক্ষণের জন্য দেন। পেঙ্গুইনের
তোলা ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওটি ফের মনে করিয়ে দিল অতীতের ‘ওয়াইল্ডলাইফ
পার্সোনালিটি’দের কথা।
No comments