ইটপাথর গিলে খাচ্ছে চট্টগ্রামের কৃষিজমি by ইব্রাহিম খলিল
আবাসনের
ইটপাথর গিলে খাচ্ছে চট্টগ্রামের কৃষিজমি। নগরীর মোহাম্মদপুর, চান্দগাঁও,
শহীদনগর ও পাঁচলাইশ ওয়াজেদিয়ার মধ্যবর্তী বিশাল এলাকার কৃষিজমি কিছুদিনের
মধ্যে হারিয়ে যাবে। এসব এলাকার বিস্তৃত কৃষিজমির আইলে ইতিমধ্যে গড়ে তোলা
হয়েছে ইটপাথরের সীমানা দেয়াল। কোথাও কোথাও গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল ভবন।
সরজমিনে দেখা যায়, নগরীর আতুরার ডিপো থেকে নাজিরহাটগামী রেললাইন ধরে
চান্দগাঁও শমসেরপাড়া এলাকা পর্যন্ত রেললাইনের ধারে ও ভেতরে বেশির ভাগ জমিতে
আর আইল নেই। আইলের পরিবর্তে প্রায় দুই থেকে তিন ফুট উঁচু সীমানা দেয়াল
নির্মাণ করা হয়েছে।
সীমানা দেয়ালের ভেতরে কোথাও কচুখেত, কোথাও লালশাক কিংবা অন্যান্য সবজি চাষ করা হয়েছে। একইভাবে নগরীর উত্তর কাট্টলী, দক্ষিণ কাট্টলী, হালিশহর ফইল্যাতলী বাজারের পশ্চিমে, হালিশহর আনন্দবাজার এলাকা, পতেঙ্গার মাইজপাড়া, মুসলিমাবাদ, ফুলছড়িপাড়াসহ বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমিও পর্যায়ক্রমে আবাসনভূমিতে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। নগরীর কৃষিজমি এভাবে হারিয়ে যাওয়াকে অশনি সংকেত উল্লেখ করে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আমিনুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের যেকোনো উন্নয়নে কিংবা প্রয়োজনে সবার আগে বিনষ্ট হয় কৃষিজমি। এই প্রবণতা আবার চট্টগ্রামেই সবচেয়ে বেশি। তিনি জানান, চট্টগ্রাম বিভাগে প্রতিবছর ১৭ হাজার ৯৬৮ হেক্টর কৃষি জমি চলে যাচ্ছে অকৃষি খাতে। আর সারা বাংলাদেশে যাচ্ছে ৬৮ হাজার ৭৬০ হেক্টর চাষাযোগ্য জমি। মৃত্তিকা সমপদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বলে জানান তিনি। গবেষণার তথ্যমতে, বাংলাদেশে ১৯৭৬ সালে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৭৬২ মিলিয়ন হেক্টর। গত ৪০ বছরের এ জমির পরিমাণ কমেছে গড়ে ১ দশমিক ২৪২ মিলিয়ন হেক্টর। অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়নের জন্য কৃষিজমি অকৃষি জমিতে পরিণত হচ্ছে। এভাবে কৃষিজমি কমতে থাকলে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়বে দেশ। আর ৬৮ শতাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির সম্মুখীন হবে।
গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশে বছরে বাড়ছে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। দিনে ২২০ হেক্টরের বেশি কৃষিজমি অকৃষি খাতে যাচ্ছে। বছরে কমছে ৮২ হাজার হেক্টর জমি, যা মোট জমির ১ ভাগ। প্রতিবেদন অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিভাগে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ১৭ হাজার ৯৬৮ হেক্টর জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। এরপরের স্থান রাজশাহী বিভাগের। এই বিভাগের ১৫ হাজার ৯৪৫ হেক্টর, ঢাকায় ১৫ হাজার ১৩১ হেক্টর, খুলনায় ১১ হাজার ৯৬ হেক্টর, রংপুরে ৮ হাজার ৭৮১ হেক্টর এবং বরিশালে ৬ হাজার ৬৬১ হেক্টর জমি প্রতিবছর অকৃষি জমিতে পরিণত হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, বছরে প্রায় ১ শতাংশ হারে আবাদি জমি কমছে। এরমধ্যে মিরসরাই, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, পটিয়া, সীতাকুণ্ড ও আনোয়ারায় কৃষিজমি দ্রুত কমছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই জেলায় খাদ্য উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে। কৃষিজমি অকৃষি খাতে যাওয়ার পেছনে প্রধানত জনসংখ্যা বৃদ্ধিকেই দায়ী করেন তিনি। তিনি বলেন, ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সারা দেশে বসতবাড়ির সংখ্যা ছিল ২ কোটি সাড়ে ৪৮ লাখ। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বসতবাড়ির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩০। বসতবাড়ি এলাকার পরিমাণ ১৯৯৬-২০০৮ সময়ে তিন লাখ ৫২ হাজার একর থেকে বেড়ে ছয় লাখ ৭৭ হাজার একরে দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নগর পরিকল্পনাবিদ আবু ঈসা আনসারী বলেন, সিডিএ আওতাধীন এলাকার কোন ভূমি কী কাজে ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে একটি গাইডলাইন ড্যাপে রয়েছে। ড্যাপে কিছু ভুলত্রুটি থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে নতুন করে মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে। সেই মাস্টারপ্ল্যানে কোনটি কৃষিজমি তা শনাক্ত করা হবে কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে।
সীমানা দেয়ালের ভেতরে কোথাও কচুখেত, কোথাও লালশাক কিংবা অন্যান্য সবজি চাষ করা হয়েছে। একইভাবে নগরীর উত্তর কাট্টলী, দক্ষিণ কাট্টলী, হালিশহর ফইল্যাতলী বাজারের পশ্চিমে, হালিশহর আনন্দবাজার এলাকা, পতেঙ্গার মাইজপাড়া, মুসলিমাবাদ, ফুলছড়িপাড়াসহ বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমিও পর্যায়ক্রমে আবাসনভূমিতে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। নগরীর কৃষিজমি এভাবে হারিয়ে যাওয়াকে অশনি সংকেত উল্লেখ করে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আমিনুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের যেকোনো উন্নয়নে কিংবা প্রয়োজনে সবার আগে বিনষ্ট হয় কৃষিজমি। এই প্রবণতা আবার চট্টগ্রামেই সবচেয়ে বেশি। তিনি জানান, চট্টগ্রাম বিভাগে প্রতিবছর ১৭ হাজার ৯৬৮ হেক্টর কৃষি জমি চলে যাচ্ছে অকৃষি খাতে। আর সারা বাংলাদেশে যাচ্ছে ৬৮ হাজার ৭৬০ হেক্টর চাষাযোগ্য জমি। মৃত্তিকা সমপদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বলে জানান তিনি। গবেষণার তথ্যমতে, বাংলাদেশে ১৯৭৬ সালে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৭৬২ মিলিয়ন হেক্টর। গত ৪০ বছরের এ জমির পরিমাণ কমেছে গড়ে ১ দশমিক ২৪২ মিলিয়ন হেক্টর। অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়নের জন্য কৃষিজমি অকৃষি জমিতে পরিণত হচ্ছে। এভাবে কৃষিজমি কমতে থাকলে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়বে দেশ। আর ৬৮ শতাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির সম্মুখীন হবে।
গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশে বছরে বাড়ছে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। দিনে ২২০ হেক্টরের বেশি কৃষিজমি অকৃষি খাতে যাচ্ছে। বছরে কমছে ৮২ হাজার হেক্টর জমি, যা মোট জমির ১ ভাগ। প্রতিবেদন অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিভাগে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ১৭ হাজার ৯৬৮ হেক্টর জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। এরপরের স্থান রাজশাহী বিভাগের। এই বিভাগের ১৫ হাজার ৯৪৫ হেক্টর, ঢাকায় ১৫ হাজার ১৩১ হেক্টর, খুলনায় ১১ হাজার ৯৬ হেক্টর, রংপুরে ৮ হাজার ৭৮১ হেক্টর এবং বরিশালে ৬ হাজার ৬৬১ হেক্টর জমি প্রতিবছর অকৃষি জমিতে পরিণত হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, বছরে প্রায় ১ শতাংশ হারে আবাদি জমি কমছে। এরমধ্যে মিরসরাই, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, পটিয়া, সীতাকুণ্ড ও আনোয়ারায় কৃষিজমি দ্রুত কমছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই জেলায় খাদ্য উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে। কৃষিজমি অকৃষি খাতে যাওয়ার পেছনে প্রধানত জনসংখ্যা বৃদ্ধিকেই দায়ী করেন তিনি। তিনি বলেন, ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সারা দেশে বসতবাড়ির সংখ্যা ছিল ২ কোটি সাড়ে ৪৮ লাখ। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বসতবাড়ির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩০। বসতবাড়ি এলাকার পরিমাণ ১৯৯৬-২০০৮ সময়ে তিন লাখ ৫২ হাজার একর থেকে বেড়ে ছয় লাখ ৭৭ হাজার একরে দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নগর পরিকল্পনাবিদ আবু ঈসা আনসারী বলেন, সিডিএ আওতাধীন এলাকার কোন ভূমি কী কাজে ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে একটি গাইডলাইন ড্যাপে রয়েছে। ড্যাপে কিছু ভুলত্রুটি থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে নতুন করে মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে। সেই মাস্টারপ্ল্যানে কোনটি কৃষিজমি তা শনাক্ত করা হবে কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে।
No comments