নথি হাইকোর্টে জামিন বিষয়ে আদেশ আজ
জিয়া
অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম
খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে আজ আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। গতকাল এ বিষয়ে আদেশের
জন্য দিন ধার্য থাকলেও বিচারিক আদালতের নথি হাইকোর্টে পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায়
আজ সোমবার দুপুর ২টায় আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর
রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর আগে সাবেক
এই প্রধানমন্ত্রীর জামিন আবেদনের ওপর আদেশের জন্য বুধবার সংশ্লিষ্ট আদালতে
মেনশন স্লিপ জমা দেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে মেনশন স্লিপ
গ্রহণ করে রোববার বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকার ১ নম্বরে রাখেন হাইকোর্টের
ওই বেঞ্চ। কিন্তু গতকাল শুনানি শুরুর আগ পর্যন্ত নথি না পৌঁছানোয় আদেশ
পিছিয়ে সোমবার বিকালে নির্ধারণ করেন হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ। এদিকে জিয়া
অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারিক আদালতের নথি গতকাল দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে
হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে। আদালতের ডেসপাচ শাখার কর্মকর্তারা নথি গ্রহণ করেন।
পরে এই নথি হাইকোর্টের ফৌজদারি আপিল শাখায় নেয়া হয়। এর আগে গত ২৫শে
ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষে এক আদেশে বিচারিক আদালতের নথি
পাওয়া সাপেক্ষে জামিন প্রশ্নে আদেশ দেয়া হবে বলে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের
জানান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত
হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গতকাল সকালে শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সকাল পর্যন্ত নথি না আসার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে বলেন, এ জামিনের জন্য রেকর্ডের প্রয়োজন নেই। এই আদালতের ট্র্যাডিশন আছে রেকর্ড ছাড়াই জামিন দেয়ার। এই আদালতের সেই পাওয়ারও আছে। আমাদের আবেদনটি বিবেচনা করুন।
এ সময় আদালত বলেন, নজির আছে ঠিক। কিন্তু আমরা রেকর্ড তলব করেছিলাম। ২২শে ফেব্রুয়ারি রেকর্ডের জন্য আদেশ দিয়েছিলাম ১৫ দিনের মধ্যে রেকর্ড পাঠানোর জন্য। আদেশ তারা (বিচারিক আদালত) কবে পেয়েছিলেন?
জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, ওই দিনেই (২২শে ফেব্রুয়ারি) নিম্ন আদালত নথি পাঠানোর আদেশ গ্রহণ করেছেন।
এ সময় আদালত বলেন, নোটিশে দেখা যাচ্ছে তারা ২৫শে ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের অর্ডার রিসিভ করেছেন। যদি ওই তারিখে (২৫শে ফেব্রুয়ারি) অর্ডার রিসিভ করে থাকে তাহলে আজ ১৫ দিন শেষ হচ্ছে। আজ পর্যন্ত নথি আসে কি-না দেখা যাক। আদালতের আদেশ প্রতিপালিত হয় কি-না তাও আমাদের দেখতে হবে। আমরা এটি (জামিনের বিষয়ে আদেশ) নট টু ডে রাখলাম।
এ সময় জয়নুল আবেদীন বলেন, নথি না আসলেও এই আদালত ইচ্ছা করলে আমাদের আবেদনের ওপর আদেশ দিতে পারেন। আমরা যে জামিনের আবেদন করেছি, এটি স্বল্প সাজার। আপনারা এই অবস্থাতেই জামিন দিতে পারেন। আদালতেরও সেই ক্ষমতা রয়েছে। শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন।
এসময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, আব্দুর রেজাক খান, মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, নিতাই রায় চৌধুরী, কায়সার কামাল, সগীর হোসেন লিয়ন, এহসানুর রহমান প্রমুখ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহম্মেদ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবদিন ফারুক প্রমুখ। শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি, আমরা যে জামিনের আবেদনটি করেছি, সেটি স্বল্প সাজার। নথি না আসলেও এই আদালতের ক্ষমতা রয়েছে জামিন দেয়ার। আদালত আগামীকাল ২টায় আদেশের জন্য রেখেছেন। জয়নুল আবেদীন বলেন, এ ধরনের কম সাজার ক্ষেত্রে জামিন দেয়ার বিষয়ে অতীতে অনেক ঘটনা আছে। আমরা আশা করি আগামীকালই (আজ) আদালত থেকে খালেদা জিয়া জামিন পাবেন। এদিকে গতকাল দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার নথি হাইকোর্টে আসে। পরে তা কড়া নিরাপত্তায় হাইকোর্টের ডেসপাচ শাখায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার দায়িত্বরত সেকশন কর্মকর্তা নথি গ্রহণ করে তা যাচাই করে দুপুর সোয়া ১টার দিকে নথি ফৌজদারি আপিল শাখায় পাঠিয়ে দেন।
গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়। রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯শে ফেব্রুয়ারি রায়ের অনুলিপি হাতে পান খালেদার আইনজীবীরা। ২০শে ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। পরে ২২শে ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল গ্রহণ করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিচারিক আদালতের দেয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনের শুনানির দিন (২৫শে ফেব্রুয়ারি) ধার্য করে হাইকোর্ট এ মামলার বিচারিক আদালতের নথি তলব করেন যা ১৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয় আদেশে। ২৫শে ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ উভয়পক্ষের আইনজীবীদের জানান, বিচারিক আদালতের নথি আসার পর জামিন প্রশ্নে আদেশ দেয়া হবে।
গতকাল সকালে শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সকাল পর্যন্ত নথি না আসার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে বলেন, এ জামিনের জন্য রেকর্ডের প্রয়োজন নেই। এই আদালতের ট্র্যাডিশন আছে রেকর্ড ছাড়াই জামিন দেয়ার। এই আদালতের সেই পাওয়ারও আছে। আমাদের আবেদনটি বিবেচনা করুন।
এ সময় আদালত বলেন, নজির আছে ঠিক। কিন্তু আমরা রেকর্ড তলব করেছিলাম। ২২শে ফেব্রুয়ারি রেকর্ডের জন্য আদেশ দিয়েছিলাম ১৫ দিনের মধ্যে রেকর্ড পাঠানোর জন্য। আদেশ তারা (বিচারিক আদালত) কবে পেয়েছিলেন?
জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, ওই দিনেই (২২শে ফেব্রুয়ারি) নিম্ন আদালত নথি পাঠানোর আদেশ গ্রহণ করেছেন।
এ সময় আদালত বলেন, নোটিশে দেখা যাচ্ছে তারা ২৫শে ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের অর্ডার রিসিভ করেছেন। যদি ওই তারিখে (২৫শে ফেব্রুয়ারি) অর্ডার রিসিভ করে থাকে তাহলে আজ ১৫ দিন শেষ হচ্ছে। আজ পর্যন্ত নথি আসে কি-না দেখা যাক। আদালতের আদেশ প্রতিপালিত হয় কি-না তাও আমাদের দেখতে হবে। আমরা এটি (জামিনের বিষয়ে আদেশ) নট টু ডে রাখলাম।
এ সময় জয়নুল আবেদীন বলেন, নথি না আসলেও এই আদালত ইচ্ছা করলে আমাদের আবেদনের ওপর আদেশ দিতে পারেন। আমরা যে জামিনের আবেদন করেছি, এটি স্বল্প সাজার। আপনারা এই অবস্থাতেই জামিন দিতে পারেন। আদালতেরও সেই ক্ষমতা রয়েছে। শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন।
এসময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, আব্দুর রেজাক খান, মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, নিতাই রায় চৌধুরী, কায়সার কামাল, সগীর হোসেন লিয়ন, এহসানুর রহমান প্রমুখ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহম্মেদ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবদিন ফারুক প্রমুখ। শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি, আমরা যে জামিনের আবেদনটি করেছি, সেটি স্বল্প সাজার। নথি না আসলেও এই আদালতের ক্ষমতা রয়েছে জামিন দেয়ার। আদালত আগামীকাল ২টায় আদেশের জন্য রেখেছেন। জয়নুল আবেদীন বলেন, এ ধরনের কম সাজার ক্ষেত্রে জামিন দেয়ার বিষয়ে অতীতে অনেক ঘটনা আছে। আমরা আশা করি আগামীকালই (আজ) আদালত থেকে খালেদা জিয়া জামিন পাবেন। এদিকে গতকাল দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার নথি হাইকোর্টে আসে। পরে তা কড়া নিরাপত্তায় হাইকোর্টের ডেসপাচ শাখায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার দায়িত্বরত সেকশন কর্মকর্তা নথি গ্রহণ করে তা যাচাই করে দুপুর সোয়া ১টার দিকে নথি ফৌজদারি আপিল শাখায় পাঠিয়ে দেন।
গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়। রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯শে ফেব্রুয়ারি রায়ের অনুলিপি হাতে পান খালেদার আইনজীবীরা। ২০শে ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। পরে ২২শে ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল গ্রহণ করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিচারিক আদালতের দেয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনের শুনানির দিন (২৫শে ফেব্রুয়ারি) ধার্য করে হাইকোর্ট এ মামলার বিচারিক আদালতের নথি তলব করেন যা ১৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয় আদেশে। ২৫শে ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ উভয়পক্ষের আইনজীবীদের জানান, বিচারিক আদালতের নথি আসার পর জামিন প্রশ্নে আদেশ দেয়া হবে।
No comments