হালকা মিষ্টি স্বাদের রসেভরা জামরুল
আমাদের দেশের পরিচিত মৌসুমি ফলের মধ্যে এখন জামরুলের উপযুক্ত সময়। দেখতে সুন্দর ও হালকা মিষ্টি স্বাদের রসভরা এ ফলটির পুষ্টি গুণাগুণও অনেক এবং বাজারে অন্যান্য ফলের থেকে এ ফলের দামও অনেক কম। প্রকৃতি যত বেশি রোদে তপ্ত থাকে জামরুল তত বেশি মিষ্টি হয়। অপরদিকে বৃষ্টিবহুল বছরে জামরুলের স্বাদ হয় পানসে। ক্রান্তীয় অঞ্চলের ফল জামরুল। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডে প্রচুর জামরুল হয়। আমাদের দেশেও এখন বাণিজ্যিকভাবে জামরুলের চাষ হচ্ছে। সাধারণত গ্রীষ্ম-বর্ষায় পাকা জামরুল ফল বাজারে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। জামরুল এক রকমের হালকা সবুজ রঙের মিষ্টি ফল। লাল, সাদা, হালকা সবুজ, গোলাপি এবং কালো রঙের জামরুলও পাওয়া যায়। কালো বর্ণের জামরুল Black pearl নামে পরিচিত। এ ফলকে ঢাকাইয়া ভাষায় আমরুজও বলা হয়। আমাদের দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে সাদা জাম, গোলাপজাম, মণ্ডল নামেও ডাকে। শরীর সুস্থ রাখতে এ ফলের ভূমিকা অনেক। চলুন জেনে নিই জামরুল ফল সম্পর্কে বিস্তারিত।
জামরুলের বৈজ্ঞানিক নাম : Syyygiumsamarangense, ইংরেজি নাম : Champoo (থাই ভাষা থেকে), wax apple, love apple, java apple, royal apple। জামরুল বৃক্ষের উচ্চতা প্রায় ১২ মিটার হয়। পাতা চিরসবুজ। পাতার দৈর্ঘ্য ১০-২৫ সে.মি. এবং ৫-১০ সে.মি. চওড়া। ফুল সাদা রঙের, পাপড়ি সংখ্যা চার, পুংকেশন অসংখ্য, ফল বেরীজাতীয়। শাখা-প্রশাখায় গুচ্ছে গুচ্ছে জামরুল ফল ধরে। এটি সত্যিকার অর্থেই আদর্শ ফলবতী বৃক্ষ। সাধারণত বীজ থেকে গাছ হয়, কিন্তু ডাল কেটে পানিতে রাখলে শেকড় জন্মায়। একটি জামরুল গাছ থেকে প্রায় ৭০০টিরও বেশি জামরুল ফল পাওয়া যেতে পারে। জামরুল ফলের শাঁস হালকা অর্থাৎ নিরেট নয় এবং কেন্দ্র্রে একটি বীজ ধারণ করে। জামরুল ফলের মিষ্টতা বেশি না হলেও এ ফলটি খেতে সুস্বাদু। জামরুলের নিজস্ব একটি মিষ্টি গন্ধ আছে। জামরুলের বহিরাবরণ মোমের মতো মসৃণ। জামরুলের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অনেক। জামরুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সালফার প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে। দেখতে ছোট ফল হলেও কাজ করে বড় ফলের সমান! এতে আছে তরমুজ ও আনারসের সমান খনিজ পদার্থ। আম ও কমলার চেয়ে তিনগুণ! ক্যালসিয়াম ধারণের দিক থেকেও আঙুরকে হার মানিয়েছে জামরুল। একটি লিচুর সমান ক্যালসিয়াম পাবেন একটি জামরুলে। এখানেই শেষ নয়, জামরুলে আছে পেঁপে ও কাঁঠালের চেয়ে বেশি আয়রন এবং আম, কমলা ও আঙুরের চেয়ে বেশি ফসফরাস। জেনে নেয়া যাক, জামরুল খেলে আপনি কী কী উপকার পেতে পারেন।
* দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে জামরুল উপকারী।
* ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টিশক্তি অক্ষুণ্ণ রাখে।
* জামরুলের নিয়াসিন উপাদান ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমিয়ে উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরল মাত্রা বৃদ্ধি করে।
* জামরুল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এটি সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী।
* কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় জামরুল ফল বেশ কাজ করে।
* জামরুল মস্তিষ্ক ও লিভারের যত্নে টনিক হিসেবে কাজ করে।
* জামরুলে আছে ভিটামিন সি এবং ফাইবার। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে জামরুল চমৎকার একটি ফল।
* জামরুল ভেষজগুণ সমৃদ্ধ ফল। বাত নিরাময়ে এটি ব্যবহার করা হয়।
* চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতেও জামরুলের ভূমিকা অনন্য।
* জামরুলে আছে ভিটামিন সি এবং ফাইবার, যা হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
* ক্যান্সার প্রতিরোধের উপাদান সমৃদ্ধ জামরুল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
* প্রতিদিন একটি তাজা জামরুল খেলে আপনার পুষ্টিহীনতা কিছুটা হলেও পূরণ করা সম্ভব। লোকজ এবং ভেষজ চিকিৎসায় জামরুলের পাতা, ফুল, কাণ্ড প্রভৃতি বিভিন্ন অংশের ব্যবহার হয়।
জামরুলের বৈজ্ঞানিক নাম : Syyygiumsamarangense, ইংরেজি নাম : Champoo (থাই ভাষা থেকে), wax apple, love apple, java apple, royal apple। জামরুল বৃক্ষের উচ্চতা প্রায় ১২ মিটার হয়। পাতা চিরসবুজ। পাতার দৈর্ঘ্য ১০-২৫ সে.মি. এবং ৫-১০ সে.মি. চওড়া। ফুল সাদা রঙের, পাপড়ি সংখ্যা চার, পুংকেশন অসংখ্য, ফল বেরীজাতীয়। শাখা-প্রশাখায় গুচ্ছে গুচ্ছে জামরুল ফল ধরে। এটি সত্যিকার অর্থেই আদর্শ ফলবতী বৃক্ষ। সাধারণত বীজ থেকে গাছ হয়, কিন্তু ডাল কেটে পানিতে রাখলে শেকড় জন্মায়। একটি জামরুল গাছ থেকে প্রায় ৭০০টিরও বেশি জামরুল ফল পাওয়া যেতে পারে। জামরুল ফলের শাঁস হালকা অর্থাৎ নিরেট নয় এবং কেন্দ্র্রে একটি বীজ ধারণ করে। জামরুল ফলের মিষ্টতা বেশি না হলেও এ ফলটি খেতে সুস্বাদু। জামরুলের নিজস্ব একটি মিষ্টি গন্ধ আছে। জামরুলের বহিরাবরণ মোমের মতো মসৃণ। জামরুলের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অনেক। জামরুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সালফার প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে। দেখতে ছোট ফল হলেও কাজ করে বড় ফলের সমান! এতে আছে তরমুজ ও আনারসের সমান খনিজ পদার্থ। আম ও কমলার চেয়ে তিনগুণ! ক্যালসিয়াম ধারণের দিক থেকেও আঙুরকে হার মানিয়েছে জামরুল। একটি লিচুর সমান ক্যালসিয়াম পাবেন একটি জামরুলে। এখানেই শেষ নয়, জামরুলে আছে পেঁপে ও কাঁঠালের চেয়ে বেশি আয়রন এবং আম, কমলা ও আঙুরের চেয়ে বেশি ফসফরাস। জেনে নেয়া যাক, জামরুল খেলে আপনি কী কী উপকার পেতে পারেন।
* দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে জামরুল উপকারী।
* ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টিশক্তি অক্ষুণ্ণ রাখে।
* জামরুলের নিয়াসিন উপাদান ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমিয়ে উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরল মাত্রা বৃদ্ধি করে।
* জামরুল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এটি সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী।
* কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় জামরুল ফল বেশ কাজ করে।
* জামরুল মস্তিষ্ক ও লিভারের যত্নে টনিক হিসেবে কাজ করে।
* জামরুলে আছে ভিটামিন সি এবং ফাইবার। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে জামরুল চমৎকার একটি ফল।
* জামরুল ভেষজগুণ সমৃদ্ধ ফল। বাত নিরাময়ে এটি ব্যবহার করা হয়।
* চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতেও জামরুলের ভূমিকা অনন্য।
* জামরুলে আছে ভিটামিন সি এবং ফাইবার, যা হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
* ক্যান্সার প্রতিরোধের উপাদান সমৃদ্ধ জামরুল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
* প্রতিদিন একটি তাজা জামরুল খেলে আপনার পুষ্টিহীনতা কিছুটা হলেও পূরণ করা সম্ভব। লোকজ এবং ভেষজ চিকিৎসায় জামরুলের পাতা, ফুল, কাণ্ড প্রভৃতি বিভিন্ন অংশের ব্যবহার হয়।
No comments